মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার বাস্তবসম্মত ১০টি উপায়

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় রয়েছে যা বাস্তবসম্মত ও দারুন কার্যকর। এই উপায় গুলো আমাদের জন্য টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ বিষয়ে পুরোপুরি জানতে হবে।

মাসে-২০-হাজার-টাকা-আয়-করার-উপায়

আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি দৌড়াদৌড়ি করি টাকা ইনকাম করার জন্য। কারন টাকা ইনকাম করা এতটাও সহজ নয়। সেজন্য মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার বাস্তবসম্মত ১০টি উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আজকে প্রবন্ধটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। পোস্ট সূচিপত্রঃ

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনাদের অনেকে জানার প্রচুর আগ্রহ রয়েছে।আজকের আধুনিক যুগে অতিরিক্ত ইনকামের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজ ও ফ্রিল্যান্সাররা মাসে নির্দিষ্ট একটি আয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে চান। অনেকেই খুঁজে থাকেন কীভাবে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

মাসে-২০-হাজার-টাকা-আয়-করার-উপায়
প্রথমত, ফ্রিল্যান্সিং কাজ বর্তমানে আয়ের একটি বড় মাধ্যম। গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং—এগুলো আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেসে প্রচুর চাহিদাসম্পন্ন। দিনে কয়েক ঘণ্টা নিয়মিত কাজ করলে সহজেই মাসে ২০ হাজার বা তার বেশি আয় সম্ভব।

দ্বিতীয়ত, অনলাইন টিউশন বা কোচিং আয়ের আরেকটি বড় সুযোগ। বিভিন্ন বিষয় যেমন ইংরেজি, গণিত বা কম্পিউটার ট্রেনিং অনলাইনে শেখানো যায়। Zoom, Google Meet-এর মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি সংগ্রহ করে মাসিক আয় বাড়ানো যায়।

তৃতীয়ত, ই-কমার্স ব্যবসা করে আয় করা যায়। ফেসবুক পেজ বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে পোশাক, কসমেটিকস, হস্তশিল্প বা বই বিক্রি করা সম্ভব। সামান্য পুঁজি নিয়েই শুরু করা যায় এবং ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ করলে দ্রুত আয় বৃদ্ধি পায়।

চতুর্থত, ইউটিউব ও কনটেন্ট ক্রিয়েশন। যদি কারও ভিডিও বানানোর প্রতি আগ্রহ থাকে, তবে ইউটিউবে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করে বিজ্ঞাপন, স্পন্সরশিপ এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে মাসে ভালো ইনকাম করা যায়। ধৈর্য ধরে মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করো। 

ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার উপায় 

বর্তমান সময়ে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার সুযোগ বেড়ে গেছে। ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ এখন ঘরে বসেই বিভিন্ন কাজ করে আয় করতে পারছে। বিশেষ করে যারা পড়াশোনার পাশাপাশি অতিরিক্ত আয় করতে চান বা চাকরির পাশাপাশি সাইড ইনকাম করতে চান।

ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় উপায়। ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি কিংবা কনটেন্ট রাইটিংয়ের মতো কাজগুলো অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে করা যায়। এই কাজের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আপনি নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কাজ বেছে নিতে পারবেন।

অনলাইন টিউশনি একটি চমৎকার বিকল্প। অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য অনলাইনে শিক্ষক খুঁজে থাকে। আপনি যদি কোনো বিষয়ে দক্ষ হন, তবে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা ভিডিও কলে সহজেই শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন। এতে জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

তৃতীয়ত, ই-কমার্স ও অনলাইন ব্যবসা এখন ঘরে বসে টাকা ইনকামের বড় সুযোগ তৈরি করেছে। ঘরে তৈরি খাবার, পোশাক, হ্যান্ডক্রাফট বা যেকোনো পণ্য অনলাইনে বিক্রি করা যায়। ফেসবুক পেজ, ওয়েবসাইট বা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনেকেই ঘরে বসেই ব্যবসা গড়ে তুলছেন।

কনটেন্ট ক্রিয়েশন ও ব্লগিং ঘরে বসে আয়ের আরেকটি মাধ্যম। ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক কিংবা ব্লগ লিখে আয় করা যায় বিজ্ঞাপন, স্পনসরশিপ বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে। তবে এর জন্য নিয়মিত কাজ করতে হবে এবং দর্শক বা পাঠকের আস্থা অর্জন করতে হবে।

মোবাইল আ্যপ ব্যবহার করে ইনকাম 

বর্তমান সময়ে মোবাইল শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং আয়েরও অন্যতম একটি মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন ধরনের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ঘরে বসেই সহজে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত সময় কাজে লাগাতে চান তাদের ইনকাম করতে হবে।

 ফ্রিল্যান্সিং অ্যাপ যেমন Fiverr, Upwork বা Freelancer মোবাইল ভার্সনের মাধ্যমে সহজেই কাজ করা যায়। এসব অ্যাপে গ্রাফিক্স ডিজাইন, লেখা, মার্কেটিং বা অনুবাদের মতো কাজ পাওয়া যায়। আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে দক্ষ হন।
আরো পড়ুনঃ আরো

কনটেন্ট ক্রিয়েশন অ্যাপ যেমন YouTube Studio, TikTok বা Facebook Creator Studio অনেকের আয়ের অন্যতম উৎস। ভিডিও বানানো, লাইভ স্ট্রিমিং কিংবা শর্ট ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে দর্শক টেনে এনে বিজ্ঞাপন ও স্পনসরশিপ থেকে ইনকাম করা যায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ই-কমার্স অ্যাপ যেমন Daraz, Amazon বা Flipkart Partner Program-এর মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য প্রচার করে কমিশন পাওয়া যায়। মোবাইল ব্যবহার করে সহজেই লিংক শেয়ার বা পণ্যের প্রচার করে ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

গেমিং ও সার্ভে অ্যাপ অনেকের জন্য বাড়তি ইনকামের উৎস। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সার্ভে অ্যাপ বা রিওয়ার্ড ভিত্তিক গেম খেলে পয়েন্ট সংগ্রহ করে পরে তা টাকা বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করা যায়। যদিও এগুলো থেকে বড় অঙ্কের আয় সম্ভব নয়, তবে অতিরিক্ত পকেট খরচের জন্য বেশ কার্যকর।

সোশাল মিডিয়া ম্যানেজম্যান্ট করে ইনকাম

বর্তমান সময়ে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় বাস্তবসম্মত ও সেরা হল সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট। বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড প্রচারের অন্যতম কার্যকর মাধ্যম হলো সোশ্যাল মিডিয়া। এজন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট একটি জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ পেশা হিসেবে গড়ে উঠেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের প্রধান কাজ হলো কনটেন্ট তৈরি ও পোস্ট শিডিউল করা। আকর্ষণীয় পোস্ট, ছবি, ভিডিও বা ইনফোগ্রাফিক তৈরি করে সঠিক সময়ে তা প্রকাশ করা প্রয়োজন। এতে ব্যবসার ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ে এবং গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ দৃঢ় হয়।

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের দায়িত্ব হলো অডিয়েন্সের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা। কমেন্টের জবাব দেওয়া, মেসেজ রিপ্লাই করা এবং গ্রাহকের চাহিদা বোঝার মাধ্যমে ব্যবসাকে আরও উন্নত করা যায়। এটি শুধু গ্রাহক সন্তুষ্টিই আনে না, বরং ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা তৈরি করে।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টে অ্যানালিটিক্স ও রিপোর্টিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোন পোস্ট বেশি এনগেজমেন্ট পাচ্ছে, কোন বিজ্ঞাপন থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে কিংবা গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া কেমন—এসব বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতের কৌশল নির্ধারণ করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট হলো একটি ক্যারিয়ার গড়ার বড় সুযোগ। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ফ্রিল্যান্সার বা ফুল-টাইম সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ দিচ্ছে। যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান বা ঘরে বসে কাজ করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ পেশা হতে পারে।

বাংলাদেশে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়- টিপস

মাসে বিশ হাজার টাকা ইনকাম করার বাস্তবসম্মত অনেক উপায় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার কয়েকটি টিপস নিম্নরূপঃ
  • ফ্রিল্যান্সিং কাজ – ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স, কনটেন্ট রাইটিং করে অনলাইনে আয় করা যায়।
  • ইউটিউব চ্যানেল খোলা – ভিডিও বানিয়ে বিজ্ঞাপন ও স্পনসরশিপ থেকে আয় সম্ভব।
  • অনলাইন টিউশনি – শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পড়িয়ে মাসে ভালো আয় করা যায়।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং – বিভিন্ন পণ্যের লিংক শেয়ার করে কমিশন পাওয়া যায়।
  • ব্লগিং – ওয়েবসাইটে নিয়মিত লেখা প্রকাশ করে গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করা যায়।
  • ই-কমার্স ব্যবসা – অনলাইনে পোশাক, হ্যান্ডক্রাফট, ফুড ডেলিভারি বিক্রি করে আয় সম্ভব।
  •  ডিজিটাল মার্কেটিং – ফেসবুক অ্যাড, গুগল অ্যাড চালিয়ে ক্লায়েন্টদের সার্ভিস দিয়ে আয় করা যায়।
  •  ডাটা এন্ট্রি কাজ – সহজ ডাটা এন্ট্রি বা টাইপিং কাজ থেকে ইনকাম করা যায়।
  • মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার – সার্ভে, গেমিং বা ফ্রিল্যান্স অ্যাপ ব্যবহার করে আয় করা সম্ভব।
  • ফটোগ্রাফি বিক্রি – ছবি তুলে অনলাইনে Shutterstock বা Adobe Stock-এ বিক্রি করা যায়।
  • ডেলিভারি সার্ভিস – খাবার বা কুরিয়ার ডেলিভারির মাধ্যমে মাসে ২০ হাজার আয় সম্ভব।
  • লোকাল ব্যবসা – ফাস্ট ফুড, চায়ের দোকান বা ছোট ব্যবসা থেকে ভালো আয় হয়।
  • টিকটক/ফেসবুক ক্রিয়েটর – শর্ট ভিডিও বানিয়ে বিজ্ঞাপন ও গিফট থেকে আয় করা যায়।
  •  ড্রপশিপিং ব্যবসা – নিজের স্টক ছাড়াই বিদেশি পণ্য বিক্রি করে লাভ করা যায়।
  • ট্রান্সলেশন সার্ভিস – ইংরেজি-বাংলা অনুবাদের কাজ করে বাড়তি ইনকাম সম্ভব।
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন – লোগো, পোস্টার, ব্যানার বানিয়ে মাসে ভালো পরিমাণ আয় করা যায়।
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট – মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে বিজ্ঞাপন ও বিক্রি থেকে ইনকাম করা যায়।
  • রাইড শেয়ারিং – উবার, পাঠাও, ইনড্রাইভ ব্যবহার করে বাইক/গাড়ি চালিয়ে আয় করা যায়।

চাকরি ছাড়া মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম 

বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র চাকরির উপর নির্ভরশীল না হয়ে অনেকেই বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন। বিশেষ করে যারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান বা চাকরির সীমাবদ্ধতা এড়িয়ে নতুন কিছু করতে চান, তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং, অনলাইন ব্যবসা কিংবা স্থানীয় উদ্যোগগুলো হতে পারে সেরা সমাধান।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়। Upwork, Fiverr বা Freelancer-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি বা কনটেন্ট রাইটিং করে সহজেই মাসে ২০ হাজার বা তারও বেশি আয় করা সম্ভব।

অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স অনেকের জন্য আয়ের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। ফেসবুক পেজে কাপড়, প্রসাধনী, হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট বা খাবার বিক্রি করে ভালো আয় করা যায়। সঠিক মার্কেটিং এবং মান বজায় রাখতে পারলে এই ব্যবসা খুব দ্রুতই লাভজনক হয়ে ওঠে।

কনটেন্ট ক্রিয়েশন যেমন ইউটিউব, ফেসবুক বা টিকটকে ভিডিও বানানো বর্তমানে তরুণদের জন্য বড় সুযোগ তৈরি করেছে। ভিডিও ভিউ, বিজ্ঞাপন এবং স্পনসরশিপ থেকে নিয়মিত ভালো ইনকাম করা যায়। অনেকে ঘরে বসেই চাকরি ছাড়াই মাসে কয়েকগুণ বেশি আয় করছেন।

লোকাল সার্ভিস বা ক্ষুদ্র ব্যবসা থেকেও মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। যেমন অনলাইন টিউশনি, হোম ডেলিভারি সার্ভিস, ফটোগ্রাফি বা ছোট রেস্টুরেন্ট চালানো। এগুলোতে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে এবং চাকরির মতো নির্দিষ্ট সময়ের বাঁধনও থাকে না।

অনলাইনে বিজনেস করে টাকা ইনকাম 

অনলাইনে বিজনেস করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা সম্ভব যদি আপনি বিজনেস করার দক্ষতা জানেন। মাসে ২০ হাজার টাকা ছাড়াও বিজনেস করে এর থেকেও বেশি টাকা ইনকাম করার উপায় রয়েছে তবে এগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।

ঘরে বসে অনলাইনে বিজনেস করে টাকা ইনকাম করার কিছু উপায় হলঃ
  • ই-কমার্স স্টোর খোলা – নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজে পণ্য বিক্রি।
  •  ড্রপশিপিং ব্যবসা – স্টক ছাড়াই বিদেশি পণ্য অনলাইনে বিক্রি।
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং – অন্যের পণ্য প্রচার করে কমিশন আয়।
  • ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি – ই-বুক, কোর্স, সফটওয়্যার অনলাইনে বিক্রি।
  • ফুড ডেলিভারি ব্যবসা – ঘরে তৈরি খাবার অনলাইনে বিক্রি করা।
  • ফেসবুক মার্কেটিং – ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ ব্যবহার করে বিক্রি বৃদ্ধি।
  •  ইনস্টাগ্রাম শপিং – ইনস্টাগ্রামে ফ্যাশন বা হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট বিক্রি।
  • ইউটিউব ব্যবসা – কনটেন্ট বানিয়ে বিজ্ঞাপন ও স্পনসরশিপ থেকে ইনকাম।
  • ফ্রিল্যান্স সার্ভিস বিক্রি – গ্রাফিক্স, ডিজাইন, লেখা ইত্যাদি সেবা বিক্রি করা।
  • অনলাইন কোর্স তৈরি – নিজের দক্ষতা শেখানোর জন্য কোর্স বানিয়ে বিক্রি।
  • প্রিন্ট অন ডিমান্ড – টি-শার্ট, মগ বা পোস্টারে ডিজাইন বিক্রি।
  • অ্যাপ ও সফটওয়্যার ব্যবসা – মোবাইল অ্যাপ বানিয়ে বিজ্ঞাপন/বিক্রি থেকে আয়।
  • ওয়েব হোস্টিং ও ডোমেইন রিসেলিং – হোস্টিং/ডোমেইন কিনে বিক্রি করা।
  •  অনলাইন কনসালটিং – বিভিন্ন বিষয়ে অনলাইন পরামর্শ দিয়ে আয়।
  • গেমিং স্ট্রিমিং – অনলাইনে গেম খেলে ভিউ ও ডোনেশন থেকে ইনকাম।
  • সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক সেবা – প্রিমিয়াম কনটেন্ট বা সেবা মাসিক সাবস্ক্রিপশনে দেওয়া।
  • ব্লগিং – ওয়েবসাইটে কনটেন্ট লিখে বিজ্ঞাপন ও অ্যাফিলিয়েট থেকে আয়।
  •  হ্যান্ডক্রাফট বিক্রি – নিজ হাতে বানানো পণ্য অনলাইনে প্রচার ও বিক্রি।

ই-বুক থেকে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম 

বর্তমান ডিজিটাল যুগে ই-বুক প্রকাশনা একটি জনপ্রিয় উপায়ে পরিণত হয়েছে। আগে বই প্রকাশ করতে গেলে প্রকাশক ও মুদ্রণের খরচের ঝামেলা থাকত, কিন্তু এখন ই-বুক ফরম্যাটে যেকেউ সহজে নিজের লেখা সারা বিশ্বের পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। 

মাসে-২০-হাজার-টাকা-আয়-করার-উপায়
ই-বুক থেকে ইনকামের প্রধান উপায় হলো বিক্রি করা। Amazon Kindle, Google Play Books কিংবা Apple Books-এর মতো প্ল্যাটফর্মে ই-বুক প্রকাশ করে বিক্রি করা যায়। এখানে বইয়ের মান ও বিষয়বস্তু যত ভালো হবে, তত বেশি বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

অনেক লেখক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা প্রোমোশনাল লিংক ই-বুকের ভেতরে যুক্ত করেন। পাঠক যখন লিংকে ক্লিক করে কোনো পণ্য কিনে, তখন লেখক কমিশন পান। এটি ই-বুক থেকে ইনকামের একটি স্মার্ট উপায়।

ই-বুক ব্যবহার করে কেউ চাইলে নিজের ব্র্যান্ড বা সার্ভিস প্রচার করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং বা ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক ই-বুক লিখেন, তবে পাঠকরা আপনার কোর্স, ট্রেনিং বা পরামর্শ সেবা নিতে আগ্রহী হবে। এতে সরাসরি বিক্রি ছাড়াও বাড়তি ইনকাম হয়।

ই-বুক থেকে সফলভাবে আয় করতে হলে নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে, সঠিকভাবে প্রচার করতে হবে এবং পাঠকের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। ধৈর্য ধরে কাজ করলে ই-বুক থেকে একটি দীর্ঘমেয়াদি ইনকাম সোর্স তৈরি করা সম্ভব।

কম পূজি দিয়ে মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম 

বর্তমান সময়ে ব্যবসা শুরু করতে বা আয় করতে বড় পুঁজির প্রয়োজন নেই। অনেকে ভাবেন যে বেশি টাকা ছাড়া কোনো ব্যবসা সম্ভব নয়, কিন্তু বাস্তবে কম পুঁজিতেও মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। সঠিক পরিকল্পনা, দক্ষতা এবং সময়কে কাজে লাগাতে হবে।

অনলাইন ভিত্তিক কাজ কম পুঁজিতে শুরু করা যায়। যেমন ফ্রিল্যান্সিং, কনটেন্ট রাইটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন বা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো কাজগুলো শিখে মোবাইল বা ল্যাপটপ দিয়েই শুরু করা যায়। এখানে মূল পুঁজি হলো সময় ও দক্ষতা। এতে ঘরে বসেই মাসে ২০ হাজার বা তার বেশি আয় সম্ভব।

ই-কমার্স ব্যবসা কম টাকায় শুরু করা যায়। ফেসবুক পেজ বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাপড়, প্রসাধনী, হ্যান্ডমেড পণ্য বা খাবার বিক্রি করা যায়। শুরুতে স্টক কম রেখে টেস্ট মার্কেটিং করলে ঝুঁকিও কম হয়। সঠিক প্রচারণা থাকলে অল্প সময়েই ভালো ইনকাম করা সম্ভব।

লোকাল ছোট ব্যবসা থেকেও আয় সম্ভব। যেমন ফাস্ট ফুডের দোকান, চা-নাস্তার দোকান বা অনলাইন ফুড ডেলিভারি। এগুলোতে কম টাকায় শুরু করা যায় এবং লোকেশন ভালো হলে দ্রুতই মাসে ২০ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করা যায়।

সার্ভিস ভিত্তিক কাজ কম পুঁজিতে সবচেয়ে সহজ উপায়। যেমন অনলাইন টিউশনি, হোম ডেলিভারি সার্ভিস, কুরিয়ার এজেন্ট, ফটোগ্রাফি বা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। এগুলোতে বড় পুঁজির প্রয়োজন নেই, বরং দক্ষতা ও প্রচেষ্টা থাকলেই আয় সম্ভব।

লেখকের মতামত

মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় বাস্তবসম্মত ১০টি কি কি এবং কিভাবে উপায় খুঁজে বের করতে আমরা টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় পাব তার সবকিছু জানতে পেরেছেন আজকের এই আটিকেলটির মাধ্যমে।

এছাড়া চাকরি ছাড়া বিজনেস ছাড়া বিভিন্ন কাজ করে কিভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবো তার সবকিছু আমরা জেনেছি। হালাল উপায়ে টাকা ইনকাম করা আমাদের শিখতে হবে। তাই নিয়মিত এরকম আরো পোস্ট পেতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url