প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন সহজ ২৫টি উপায়ে
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন বিশেষ করে যারা বেকার অবস্থায় বসে আছেন টাকা ইনকাম করতে পারছেননা। আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন অনলাইন এবং অফলাইনের ২৫টি সহজ উপায় যার মাধ্যমে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা আয় করা যাবে সে সম্পর্কে।
বর্তমান সময়ে হাজার হাজার মানুষ অনলাইনে ব্যবসা এবং বিভিন্ন ধরনের ছোট বড় কাজ করে টাকা ইনকাম করছে। আবার অনেকে অফলাইনে ব্যবসা করে সাপ্তহে ৪০০০ টাকা ইনকাম করতে পারছেন খুব সহজে। তাই আপনি যদি টাকা আয় করতে চান আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পযন্ত মনযোগ সহকারে পড়ুন। পোস্ট সূচিপত্রঃ
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর ২৫ উপায়ে। বর্তমান যুগে টাকা ইনকাম করার আইডিয়ার অনেক পরিবর্তন এসেছে। চাকরি ও ব্যবসার সাথে সাথে অর্থ উপার্জনের এমন কিছু জনপ্রিয় উপায় তৈরি হয়েছে যা দিয়ে সহজে যে কেউ প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত ৪০০০ টাকা থেকে শুরু করে আরো বেশি রিয়েল টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছে।
আপনাদের সাথে আজকের প্রবন্ধে সেই সকল তথ্য শেয়ার করবো। আপনার যদি টাকা উপার্জনের প্রচুর আগ্রহ ও ধৈর্য থাকে এবং সময় বিনিয়োগ করতে পারেন তাহলে নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন কোন কোন মাধ্যমে আপনারা এই পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন সে বিষয়ে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকামঃ বর্তমান যুগ ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগ। অনলাইন আয় এর ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ডিজিটাল মার্কেটিং হলো অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর মাধ্যমে পণ্য বা সেবার প্রচার ও বিক্রি করা। ডিজিটাল মার্কেটিং এসইও, কনটেন্ট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এফিলিয়েট মার্কেটিং সহ আরো অন্যান্য শাখায় বিস্তৃত।
আপনি চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর যে কোন একটি বিষয়ে প্রচুর দক্ষতা অর্জন করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন। কারণ বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতিটি ক্ষেত্রে চাহিদা প্রচুর, শুধু আপনাকে কাজ জানতে হবে। যেমনঃ ব্যবসার ভিডিও প্রচার করা মার্কেট ভ্যালু বৃদ্ধি করতে সাহায্য করা। কিংবা সঠিক ভাবে ফেসবুক পেজ অথবা ইউটিউব চ্যানেল SEO করে দিয়ে টাকা ইনকাম করা।
ভিডিও এডিটিং করে আয়ঃ বর্তমান সময়ে আরেকটি যে কাজের চাহিদা প্রচুর রয়েছে এবং দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে তা হলো ভিডিও এডিটিং। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমনঃ facebook পেজ বা ইউটিউবে আমরা যে পরিমাণ ভিডিও প্রতিদিন ভিউ করি সেই সকল ভিডিও এডিট করার জন্য প্রতিনিয়ত ক্রিয়েটরদের দক্ষ ভিডিও এডিটরদের প্রয়োজন হয়।
আপনি চাইলে ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখে অল্প সময়ে ভিডিও এডিটিং করে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যে ধরনের ভিডিও এডিট করতে পারেন সেই ভিডিও গুলো তৈরি করে মার্কেট প্লেসে অথবা মার্কেট এর বাহিরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভিডিও বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ড্রপ শিপিং করে আয় করাঃ ড্রপ শিপিং হলো বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করার আরেকটি যুগোপযোগী নিরাপদ উপায়। মূলতঃ ড্রপ শিপিং বলতে অন্যের পণ্য সেল করে ইনকাম করা। এখানে কোনো ইনভেস্ট করা লাগবে না বা ন্যূনতম পরিমাণ ইনভেস্ট করতে হতে পারে, তবে ঠিকমতো কাজটি করতে পারলে আয়ের পরিমাণ অনেক বেশি।
এই মাধ্যমে আপনি কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করে তাদের পণ্য গুলো অনলাইনের মাধ্যমে সেল করে সেখান থেকে কমিশন পাবেন। এখানে পণ্যের কোনরকম উৎপাদন, সংরক্ষণ, প্যাকেটজাত বা শিপিং করার আপনার প্রয়োজন হয় না। লেগে থাকলে এবং নিয়মিত কাজ করলে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন ড্রপ শিপিং করে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ইনকামঃ গ্রাফিক ডিজাইন বর্তমান সময়ের আরেকটি জনপ্রিয় ও চাহিদা সম্পন্ন কাজ, যেখানে নিজের সৃজনশীলতা ও দক্ষতার সমন্বয়ে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ। আপনি চাইলে এই সেক্টর থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেট ছাড়াও অন্যান্য জায়গায় একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ গ্রাফিক ডিজাইনারের চাহিদা প্রচুর।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ হলো কোম্পনির লোগো ডিজাইন করা, ইউটিউব ভিডিওর থাম্বনেল ডিজাইন করা, সোশাল মিডিয়ার পোস্ট ডিজাইন করা, ক্লায়েন্টের জন্য ভিজিটিং কার্ড ডিজাইন করা, ব্যবসার জন্য ব্যানার তৈরি করা ইত্যাদি। আপনি যদি এই কাজে পারদর্শী হয়ে থাকে অনলাইনে ঘরে বসে সপ্তাহে ৪০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করে ইনকামঃ অনলাইন থেকে টাকা উপার্জন করার সহজ ও জনপ্রিয় যে উপায়টির কথা বলব তা হল ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করে ইনকাম। বর্তমানে অনেক মানুষ ফেসবুকে বিভিন্ন টপিকের উপর নানা ধরনের ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করছেন। তবে ফেসবুক থেকে ভিডিও তৈরি করে ইনকাম করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে ৬ মাস অথবা ১ বছর সময় নিয়ে আসতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ৩০টি সেরা ফ্রি টাকা ইনকাম অ্যাপস ও সাইট ২০২৫
এই সময়ে যদি আপনি নিয়মিত কাজ করে থাকেন তাহলে সপ্তাহে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে। এছাড়াও আপনি এখানে যত সময় দিবেন এবং যত বেশি ভিডিও তৈরি করে ভিউ পাবেন তত বেশি ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।
ইউটিউবে কাজ করে টাকা ইনকামঃ ফেসবুকের মত ইউটিউবে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ভিডিও আপলোড করা এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি টাকা ইনকামের উপায়। আপনি চাইলে ইউটিউবে কনটেন্ট আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে। ইউটিউব থেকে তাড়াতাড়ি ইনকাম করতে চাইলে বর্তমান সময়ে মানুষ যে ভিডিও গুলো বেশি দেখে সেই ভিডিও নিয়ে কাজ করতে হবে। ইউটিউবে এক টানা ৬ মাস কাজ করলে সপ্তাহে ৪০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
SEO করে টাকা ইনকামঃ আপনি যদি এসইও করার কাজ শিখতে পারেন তাহলে ইউটিউবে ভিডিও অথবা ওয়েবসাইট SEO করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে। SEO এর কাজ আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে পাবেন অথবা বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে কাজ নিতে পারবেন। আপনি যদি এসইও এর পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে বেশি বেশি কাজ করে অধিক পরিমান টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।
কনটেন্ট লিখে টাকা ইনকামঃ কনটেন্ট লিখাতে পারদর্শী হয়ে থাকলে আপনি খুব সহজে এই কাজ গুলো করতে পারবেন। যারা ব্লগ পোস্ট করে তাদের সাথে যোগাযোগ করে কনটেন্ট লিখার কাজ নিবেন। এবং সেই কাজ গুলো করে আপনি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা পযন্ত ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট ডিজাইন করে আয়ঃ বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন এর কাজের অনেক মূল্য রয়েছে। আপনি যদি কাস্টমারদের পছন্দ মতো ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দিতে পারেন তাহলে সপ্তাহে ৪ হাজারের বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ওয়েবসাইট ডিজাইন করার কাজের চাহিদা অত্যন্ত বেশি রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করার কাজ করেও আপনি ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারেন।
জিমেইল আইডি খুলে ইনকামঃ আপনার যদি একাধিক জিমেইল খুলার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে জিমেইল খুলে ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুকে জিমেইল কেনাবেচা করার বিভিন্ন রকম পাবলিক গ্রুপ রয়েছে। সেই গ্রুপে জয়েন হয়ে জিমেইল সেল করার জন্য পোস্ট করলে আপনার জিমেইল খুব তাড়াতাড়ি বিক্রি হয়ে যাবে। আর এভাবে চাইলে আপনি প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
টিউশনি করে ইনকাম করার উপায়ঃ টিউশনি করে ইনকাম করার জন্য আপনার পড়াশোনা থাকতে হবে এবং কোন বিষয়ের উপর ভালো দখল থাকতে হবে। আপনার যদি টিউশনি করানোর মতে অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে সোশাল মিডিয়া থেকে ছাএ ছাএী খুজে নিতে পারবেন। এছাড়া অফলাইনেও আপনি টিউশন সেবা দিয়ে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে এই উপায়ে প্রচুর মানুষ মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হচ্ছেন।
অনলাইনে খাবার ডেলিভেরি করে ইনকামঃ বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে অনলাইনে মাধ্যমে খাবারের অর্ডার নিয়ে সরবরাহ করা আরেকটি জনপ্রিয় টাকা ইনকাম করার উপায়। আপনি যদি শহরের দিকে থাকেন এবং যদি রান্ন করাতে পারদর্শী হন, তাহলে বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রাবাস ও মেসে খাবার ডেলিভারি করার কাজ করতে পারেন। আপনার জন্য অনেক সহজ কাজ হবে এটি। নতুন নতুন সুস্বাদু খাবার তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।
ফেসবুক আইডি বিক্রি করে টাকা ইনকামঃ বর্তমান সময়ে রেডি বা তৈরীকৃত ফেসবুক আইডির অনেক চাহিদা রয়েছে। অনেকেই সময়ের অভাব বা ঝামেলার জন্য এই ধরনের ফেসবুক আইডি ক্রয় করতে চান। আপনি যদি কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে একাধিক ফেসবুক আইডি খোলার দক্ষ হয়ে থাকেন। তাহলে বেশি বেশি আইডি খুলে বিক্রি করে প্রতি সপ্তাহে চার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল বিক্রি করে টাকা ইনকামঃ ইউটিউব চ্যানেল বিক্রি করে আপনার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এইজন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেল চালানো দক্ষ থাকতে হবে। বর্তমান সময়ে AI ভিডিও উপরে আছে। আপনি যদি এ ধরনের ভিডিও বানানো দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে
প্রতিদিন বেশি বেশি ইউটিউব চ্যানেল ভিডিও আপলোড করে চ্যানেলে হিউজ পরিমাণ সাবস্ক্রাইব হওয়ার পর চ্যানেলগুলো সেল করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
দর্জির কাজ করে টাকা আয়ঃ সপ্তাহে চার হাজার টাকা ইনকাম করার একটি সহজ উপায় হল পোশাক বানানো। আপনি যদি দর্জির কাজ ভালো পারেন কিংবা যেকেনো পোশাক বানানোর জন্য পারদর্শী হন তাহলে এই দক্ষতাকে আপনি কাজে লাগাতে পারেন। পোশাক বানানোর সাথে সাথে আপনার যদি পোশাকে ডিজাইন করতে পারেন তাহলে আপনার আয় দ্বিগুণ হবে।
কারণ বর্তমানে নিজস্ব পোশাক ডিজাইন করা পোশাকের চাহিদা পুরুষ মহিলাদের মধ্যে অনেক বেশি, কারণ এতে পোশাকে স্বতন্ত্র ভাব তৈরি হয় যা সবাই পছন্দ করে। এজন্য ভালো কোনো বাজারে দোকান দিয়ে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ছবি তুলে আয় করার উপায়ঃ আপনি যদি ছবি তোলা পছন্দ করে থাকেন বা ছবি তোলা দক্ষ হন তাহলে ফটো বা ছবি তোলার কাজ করতে পারেন। এজন্য কিছু টাকা ম্যানেজ করে একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা কিনবেন। বর্তমানে বিয়ে, জন্মদিন, আকিকা সহ যে কোন প্রোগ্রামে ভালো ভালো ফটোগ্রাফারের প্রয়োজন হয়।
আপনি আপনার ছবি তোলার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো ছোট বড় ইভেন্টে ছবি অথবা ভিডিও করার কাজ পাবেন। যে কাজগুলো করে আপনি প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
রিচার্জ করে টাকা ইনকামঃ আপনি একটি সিম কিনে ছোটপরিসরে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে এজেন্ট কোম্পানির সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে তাদের সাথে কানেক্ট করার পর প্রতি হাজারে ৩০ টাকা কমিশন পাবেন। এছাড়া বড় বড় ড্রাইভ সেল করলে সেখান থেকে কিছু টাকা ক্যাশব্যাক পাবেন। এসব কিছু মিলিয়ে আপনি প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকার মত ইনকাম পারেন।
কপিরাইটিং কাজ করে আয়ঃ কপিরাইট হল কোনো পণ্যের উপর ভিত্তি করে সেই পণ্যের কমার্শিয়াল ক্রিপ্ট লিখতে হবে। অর্থাৎ কোন পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের জানালার উদ্দেশ্যে সেই পণ্যের ডেসক্রিপশন লেখার কাজ। যাতে সেই পণ্যর বিষয়ে সবাই জানতে পারে, এর ফলে বিভিন্ন বড় বড় গনমাধ্যমে প্রচার করলে পন্যের গুনাগুন সম্পর্কে লোকজন জানতে পারবে এবং বিক্রি বেশি হবে। পণ্য গুলো বেশি বিক্রি করতে পারলে বেশি বেশি কমিশন পাবপন আপনার লিখার উপর মার্কেটিং করে।
কাঁচা মালের ব্যবসা করে আয়ঃ কাঁচামাল কিনে খুব সহজে বেশি টাকা ব্যবসা করার নিয়ম হলো, আপনি যখন কাঁচা মাল কিনবেন তখন অন্য অন্য ব্যবসায়ীদের থেকে কম দামে ক্রয় করার চেষ্টা করবেন। কিংবা বাজার ভালোভাবে যাচাই বাছাই করে যেখানে কম দাম পাবেন সেখান থেকে পাইকারি কিনে, পরবর্তী আপনি চাইলে বেশি দামে পাইকারি দিতে পারেন অথবা তার থেকেও বেশি দামে খুচরা বিক্রি করতে পারেন।
এভাবে ব্যবসা করে আপনি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন বা এর থেকে বেশি টাকাও ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।
অনলাইনে মধু বিক্রি করে আয়ঃ বর্তমান সময়ে খাটি মধু সব জায়গায় পাওয়া যায়না। আপনি যদি কোথাও খেকে খাটি মধু ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে অনেক লাভে বিক্রি করতে পারবেন। খাটি মধু সংগ্রহ করার জন্য বন জঙ্গলে গিয়ে খোঁজ খবর নিবেন বা মৌমাছি চাষ করে এরকম লোকজনের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন সুন্দর বনের খটি মধু। আপনি যে দামে পাইকারি নিবেন তার থেকে ডাবল লাভ করে বিক্রি করতে পারবেন। এর ফলে সহজে আপনি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা কেন এর বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকামঃ ফেসবুক মার্কটিং হলো পেইজ প্রোমোট করে ফলোয়ার বৃদ্ধি করা কিংবা কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সেল বৃদ্ধি করার জন্য তাদের পণ্যর ফটো, ভিডিও প্রচার করা। এই কাজে যদি আপনি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে মার্কেট প্লেস এর ভিতরে এবং বাহির থেকে কাজ নিয়ে করতে পারবেন। বর্তমানে ফেসবুক মার্কেটিং করে এই কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিগণ প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। চাইলে আপনিও ফেসবুক মার্কেটিং শিখে এই কাজটি শুরু করতে পারেন।
ডোমেইন কেনা বেচা করে ইনকামঃ আপনি যখন এক সাথে অনেক ডোমেইন কিনবেন এবং আকর্ষণীয় নাম দিয়ে কিনে রাখবেন, যেগুলো পরবর্তীতে অন্যকেও ব্যবহার করতে চাইলে আপনার থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনে ব্যবহার করবেন। অর্থাৎ আপনি কেনা দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন, তাহলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই কাজে আপনার দক্ষতা ও বিচার বিশ্লেষণ ক্ষমতা থাকলে আপনি এই কাজটি করতে পারেন।
ইউটিউব সাবস্ক্রাইব সেল করে টাকা ইনকামঃ ইউটিউবের সাবস্ক্রাইব বৃদ্ধি করার জন্য অনেক জিমেইল একাউন্ট প্রয়োজন হয়। আপনি যখন আপনার ফোনে ১০০-২০০ জিমেইল ম্যানেজ করতে পারবেন তখন আপনি সাবস্ক্রাইব এর কাজ করতে পারবেন। ১ হাজার সাবসক্রাইবার সেল করলে আপনি ১ হাজার টাকা বা তার বেশিও পেতে পারেন। এভাবে কাজ করলে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।
ফেসবুক পেজ কেনা বেচা করে আয়ঃ বর্তমানে অনেকেই বহুমুখী টাকা ইনকাম করার উপায় মধ্যে ফেসবুক পেজ কেনাবেচা করে ভালো টাকা ইনকাম করছেন। তবে এই কাজটি তারাই করছেন যারা এ সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখেন। ফেসবুক পেজ ক্রয় বিক্রয় করে আয় করতে হলে আপনার আগে পেইজের দাম সম্পর্কে আইডিয়া জানতে হবে।
বাজার অনুযায়ী পেজ কিনে আপনি পরবর্তীতে বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন। তবে অনেক সময় পেইজের দাম কমে যায় অনেকদিন পর্যন্ত রেখে দিলে, এ বিষয়টি ভালোভাবে আপনাকে নজর রাখতে হবে। অর্থাৎ আপনার আগে জানতে হবে কোন পেইজের দাম পরবর্তীতে বাড়বে নাকি কমবে সেই বিষয়ে। তাহলে এই কাজ করে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকার বেশি আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট তৈরি করে আয়ঃ বর্তমান সময়ে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানসহ, ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন পেশাদার নিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ওয়েবসাইট এর চাহিদা প্রচুর। আপনি চাইলে এই ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ করে ভালো টাকায় করতে পারেন। এছাড়া এখনকার যুগে ই- কমার্স সাইটের ব্যবহার বেশি রয়েছে। আপনি যদি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। অনলাইনে ওয়েবসাইট তৈরি করে বিক্রি করলে সপ্তহে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজ ভালোভাবে শিখতে পারেন তাহলে অনায়াসে সপ্তাহে চার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং অনেক জনপ্রিয় একটি কাজ। যে কাজ গুলো আপনি ঘরে বসে খুব সহজে করতে পারবেন। আপনার ব্যবসা, পড়াশোনা, বা চাকরির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করার সুযোগ পাবেন।
যারা বেকার বসে আছে ভাবছেন ঘরে বসে কিভাবে ইনকাম করবেন তাহলে এটি আপনার জন্য। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে একটি মুক্ত পেশা যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছে মতো কাজ করতে পারবেন। জনপ্রিয় কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর নাম হলো-ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপুল পার আওয়ার, গুরু ডট কম ইত্যাদি।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সহজ ১৫টি উপায়
তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ গুলো করতে হলে আপনার আগে শিখতে হবে। বর্তমান সময়ে বাজারে চাহিদা রয়েছে এরকম একটি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখে নিতে পারেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় কাজ হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ভিডিও এডিটিং, এই দুইটি কাজ আপনি যেকোনো ভাল কোন প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময় ভিত্তিক কোর্স করে শিখে তারপর ফাইভার অথবা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে একাউন্ট করবেন।
যদিও মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে হলে অনেক সময় লাগে তবে একবার কাজ পাওয়া শুরু করলে তখন আর আপনার কাজের অভাব হবে না। এছাড়া আপনি মার্কেট এর পাশাপাশি ফেসবুক গ্রুপে কিংবা ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে পোস্ট করে আপনার কাজের দক্ষতা মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি মার্কেট এর বাহির থেকে কাজ পাবেন। হলে আপনার ইনকাম বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সপ্তাহে ৪০০০ টাকা ইনকাম
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে আমাদের কমবেশি সকলের জানা আছে। কিন্তু আমাদের মনের ভিতর প্রশ্ন থাকে যে আমি কিভাবে তাদের পণ্য সেল করবো এবং সেল করতে পারবো কিনা। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করে সফল হতে হলে একটু সময়ের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে অনেকেই শুধুমাত্র এফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে ভালো টাকা ইনকাম করছেন।
আপনি যদি সময় নিয়ে কাজ করেন এখানে কোনো ধরনের অর্থ বিনিয়োগ না করেই সপ্তাহ ৪০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পণ্য সেল করার অন্যতম উপায় হলো সোশ্যাল মিডিয়া। আপনি যদি লং টাইম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার সোশ্যাল মিডিয়াতে অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে যেমনঃ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংকদিন, টুইটার অথবা টিকটক।
বর্তমান সময়ে খুব তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় পাওয়ার মাধ্যম হলো টিকটক। আপনি যে ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করবেন সেই পণ্যগুলো টিক টকে বেশি বেশি পোস্ট করবেন এবং ভিডিও তৈরি করে আপলোড করেবেন। এতে আপনার ভিউয়ার গণ পণ্য সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি হবে এবং পণ্যটি ক্রয় করতে উদ্বুদ্ধ হবে। এতে করে আপনার সেল বৃদ্ধি পাবে খুব তাড়াতাড়ি এবং সাথে ইনকামও বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় কয়েকটি এফিলিয়েট নেটওয়ার্কিং এর নাম হল- সি জে এফিলিয়েট, এমাজন অ্যাসোসিয়েট, রাকুটেন মার্কেটিং, পার্টনারস্টেক, ফ্লেক্সাওফারস ইত্যাদি।
টুর্নামেন্ট খেলে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন টুর্নামেন্ট খেলে। বর্তমান সময়ে টুর্নামেন্ট অনেক জনপ্রিয় একটি খেলা। ফুটবল খেলা ক্রিকেট খেলা কিংবা ফ্রী ফায়ার খেলাতে টুর্নামেন্ট হয়। আপনি যদি ফ্রি ফায়ার খেলাতে পারে বেশি হয়ে থাকেন তাহলে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। ফ্রী ফায়ার এ কিভাবে টুর্নামেন্ট খেলে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম পর্যন্ত জেতা যায় তা প্রথমে বিস্তারিত জেনে নিবেন।
Booyah Clash নামে একটি অ্যাপ রয়েছে, যেটা আপনি গুগলে সার্চ করলে পেয়ে যাবেন। অ্যাপটি আপনার মোবাইলে নামানোর পরে আপনার সকল ইনফরমেশন দিয়ে সাইন আপ করতে হবে। সাইন আপ করা হলে একাউন্টে ২০ থেকে ৩০ টাকা ডিপোজিট করতে হবে। আপনি যদি ১০ টাকা দিয়ে অংশগ্রহণ করে টুর্নামেন্ট খেলেন।
এক নম্বর অবস্থান করলে থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত জিতে নিতে পারবেন। আর যদি আপনি ২০ টাকা দিয়ে অংশগ্রহণ করে সেখান থেকে আপনি এক নম্বরে অবস্থান করলে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত দিতে নিতে পারবেন। আপনি যদি খেলাই পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে নিয়মিত খেলে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে।
গরু ছাগলের ব্যবসা করে সপ্তাহ ৪ হাজার টাকা ইনকাম
গরু ছাগলের ব্যবসা করে প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করার সহজ একটি উপায়। গরু ছাগলের ব্যবসা করে আপনি কিভাবে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করবেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। গরু ছাগলের ব্যবসা করার জন্য শুরুতে কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
এরপর আপনি বিক্রতাদের বাসায় গিয়ে এগুলো পশু কেনার চেষ্টা করবেন তাহলে কম দামে কিনতে পারবেন। তবে ক্রয় করার আগে আপনার কাজ হলো বাজারের দাম কেমন যাচ্ছে তা যাচাই করা।
বাজার অনুযায়ী দেখে তারপর কেমন দাম দিয়ে কিনলে লাভ করা সম্ভব হবে যাচাই বাছাই করে কিনতে হবে। নতুন ব্যবসায়ীরা একটা ভুল করে সেটা হলো বাজার দাম এবং কোন পশুর কেমন দাম সেই সম্পর্কে আইডিয়া না জেনে হুট করে কিনে ফেলে।
এমন কাজ মোটেও করা যাবেনা। এরকম ভুল করলে আপনি ব্যবসা করে লাভ করতে পারবেন না। ব্যবসার নিয়ম মেনে বুঝে শুনে দাম সম্পর্কে ধারণা রেখে করতে পারলে এখানে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আমি বলবো আপনি যদি গরু ছাগলের দাম সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারনা থাকে তাহলে আপনি এই ব্যবসা করে সপ্তাহ ৪ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন।
মুদি দোকান দিয়ে সপ্তাহে ৪০০০ টাকা ইনকাম
বর্তমান সময়ে অল্প পুঁজির একটি চাহিদা সম্পন্ন ও লাভজনক ব্যবসা হল মুদি দোকান। মুদি দোকানে সব মানুষেরই যেতে হয়। তার কারন হলো রান্ন করার জন্য যেকোনো পণ্য কিনতে হলে মুদি দোকান থেকে ক্রয় করতে হয়। আপনার আশেপাশে যদি কোনো বাজার থাকে তাহলে আপনি এইরকম একটি দোকান দিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। মুদি দোকান করার জন্য অবশ্যই এমন একটি জায়গা লাগবে যেখানে লোকজন কেনা কাটা বেশি করে।
অথবা আপনি যদি শহরের দিকে থাকেন সেখানে একটি ছোট খাটো মুদি দোকান দিতে পারলে প্রচুর পরিমান লাভ করা সম্ভব হবে। একটা সময় গিয়ে আপনার দোকান যখন পরিচালনা হবে তখন বেচা কেনা বেশি বেশি হবে ফলে বেশি বেশি লাভ করতে পারবেন। এই কাজটি আপনি চাইলে দীর্ঘ সময় ধরে করতে পারবেন। এই ব্যবসার একটি সুবিধা হল, ছোট হলেও লস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকেনা এই ধরনের ব্যবসায়
অনলাইনে কাজ সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম
অনলাইনে কাজ করে যদি ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে সময় নিয়ে আসতে হবে। সময়, ধৈর্য এবং পরিশ্রম এই ৩ টা জিনিস আপনি ঠিকঠাক রাখতে পারলে অনলাইন থেকে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। শুরুতে আপনি যদি অভিজ্ঞতা ছাড়া কাজ করতে চান তাহলে রিসেলিং কাজ করতে পারেন।
এই কাজে তেমন কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হবে না শুধুমাত্র মোবাইল ফোন চালানো শিখলেই হবে। এর পাশাপাশি আপনি খুব সহজে আরেকটি কাজ করতে পারবেন তা হল ইউটিউবে বসে বসে ভিডিও তৈরি করা। কোন ব্যবসার বিষয়ে কিংবা দেশ বিদেশের খবর নিয়ে যদি আপনি বাসায় বসে থেকে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার জনপ্রিয় ২০টি সাইট
আপনার করা ভিডিও গুলো যদি কোয়ালিটি ফুল হয়ে থাকে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি ইউটিউব থেকে ইনকাম শুরু করতে পারবেন। ধৈর্য ধরে কাজ করলে অবশ্যই সফল হবে। বর্তমান সময়ের মানুষ ইউটিউব থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে। তাই আপনি যদি বেকার বসে থাকেন তাহলে ইউটিউবে কাজ শুরু করে দিন।
আশা করছি ভালো কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারবেন এই প্লাটফর্ম থেকে। কিংবা আপনি যদি বিষয়ভিত্তিক বা যে কোন বিষয়ে লেখালেখি ভালো পারেন তাহলে অন্যের ওয়েবসাইটে পোস্ট লিখে দিয়ে প্রতি সপ্তাহে চার থেকে ৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজেই।
প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
টাকা আয় করার আগে অনেকের মনে চিন্ত থাকতেই পারে। তাই আজ কিছু প্রশ্নের উওর দিবো যেগুলো জেনে আপনার লাইফে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
প্রশ্নঃ কিভাবে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করবো?
উত্তরঃ আপনি যদি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে সময় দিতে হবে। আপনি একটা কাজ শুরু করলেন হুট করেই ৪ হাজার টাকা সপ্তাহে ইনকাম করতে পারবেন না। ফ্রিল্যান্সিং হোক কিংবা ব্যবসা শুরুতে আপনি অল্প করে ইনকাম করতে পারবেন। পরবর্তীতে যদি আয় বাড়াতে চান তাহলে নিজের কাজের উপর দহ্মতা বাড়াতে হবে।
প্রশ্নঃ কাজ শুরু করার কতদিন পর থেকে সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবো?
উত্তরঃ টাকা ইনকাম করা অনেক পরিশ্রম এর প্রয়োজন হয় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ধয্য সহকারে কাজ চালিয়ে যেতে হয়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ভালোভাবে কাজ শিখার পর কাজের দহ্মতা বিভিন্ন মানুষের কাছে পৌছে দিতে হবে।
যখন তারা বুঝতে পারবে যে আপনার কাজের দহ্মতা কেমন আছে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে ৬ মাস থেকে ১ বছর পরিশ্রম ধয্য আর কাজের দহ্মতা বাড়াতে পারলে সপ্তাহ ৪ হাজার টাকা বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
প্রশ্নঃ ছাএ অবস্থায় কি কাজ করা যাবে?
উত্তরঃ ছাএ অবস্থায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করা অনেক ভালো হবে। আর যদি আপনি অনলাইন থেকে ভালো কিছু করতে চান সে হ্মেএে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর পাশাপাশি ফ্রিলান্সিং করতে পারেন।
লেখক এর মতামত
প্রিয় পাঠক, প্রতি সপ্তাহে 4000 টাকা পর্যন্ত আয় করুন সবচেয়ে সহজ ২৫ উপায় এবং বাসায় বসে থেকে কিভাবে অনলাইনে কাজ করে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা বা তার বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেই সম্পর্কে। সম্পন্ন আর্টিকেলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো
আপনি যে কাজ করেন না কেন অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে। প্রথম অবস্থায় অল্প কিছু টাকা উপার্জন হবে তবে এটা নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। ধৈর্য ধরে সঠিকভাবে কাজ করতে পারলে আপনি ৪ হাজার টাকা বাহির থেকে বেশি টাকা সপ্তাহে উপার্জন করতে পারবেন। আজকের মতো আটিকেল এখানেই শেষ করছি।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url