সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন, বেতন কত ২০২৫ সহ ভিসা আবেদন পদ্ধতি কেমন এবং এর বেতনের কতটুকু পরিমাণ দেওয়া হয় তা আমাদের জানাটা অপরিহার্য। তাই সৌদি আরবের ভিসা আবেদন ও বেতন কত তা জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম ধনী ও সুন্দর দেশ। যেখানে বিভিন্ন দেশের নাগরিক বিভিন্ন কাজের জন্য গিয়ে বসবাস করেন। তাই আপনি যদি সৌদি আরবে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে দেশটির ভিসা আবেদন বেতন কত এবং যাওয়ার উপায় গুলো কি কি সকল কিছু জানতে পারবেন এই আটিকেলটি পড়লে। পোস্ট সূচিপত্র:
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন বেতন কত ২০২৫
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন, বেতন কত ২০২৫ সর্বশেষ আপডেট তথ্য জানতে পারবেন আজকের আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়লে। সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম কর্মসংস্থানের বড় একটি দেশ। বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ থেকে শ্রমিকরা সৌদিতে কাজের জন্য ভিসা নিয়ে যান। ২০২৫ সালে সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া কিছুটা সহজ হলেও নিয়মকানুন রয়েছে।
কোম্পানি ভিসার জন্য নিয়োগকর্তা বা সৌদি কোম্পানি স্পন্সর হয়ে আবেদন করে। বাংলাদেশ থেকে আবেদনকারীদের মেডিকেল টেস্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজপত্র এবং মন্ত্রণালয় অনুমোদন দরকার হয়। কোম্পানি সরাসরি অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে কর্মীদের নিয়োগ দেয়।
২০২৫ সালে সৌদি আরবে বিভিন্ন সেক্টরে কাজের চাহিদা বেড়েছে। যেমন– কনস্ট্রাকশন, ড্রাইভিং, টেকনিশিয়ান, নার্সিং, হাউজকিপিং এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে প্রচুর চাকরির সুযোগ রয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোম্পানির নিজস্ব শর্ত এবং ভিসা প্রসেসিংয়ের সময় নির্দিষ্ট মেয়াদে তা সম্পন্ন করতে হয়।
বেতনের বিষয়ে ২০২৫ সালের জন্য সাধারণ শ্রমিকদের মাসিক বেতন ৮০০ থেকে ১২০০ রিয়াল পর্যন্ত হয়ে থাকে। দক্ষ কর্মীদের বেতন ১৫০০ থেকে ২৫০০ রিয়াল পর্যন্ত এবং প্রফেশনাল বা ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন বেশি। কোম্পানি থেকে থাকা-খাওয়ার সুবিধা যা কর্মীদের জন্য বড় সুবিধা।
সৌদি আরবে কোম্পানি ভিসার আবেদন ও বেতন নির্ভর করে কাজের ধরণ ও কোম্পানির উপর। যারা ২০২৫ সালে সৌদিতে চাকরির সুযোগ খুঁজছেন, তাদের উচিত অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন করা। সঠিক তথ্য জেনে ভিসা করলে ভালো বেতন ও নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।
সৌদি আরবের জব স্যালারি
সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় কর্মক্ষেত্রগুলোর একটি, যেখানে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ চাকরির উদ্দেশ্যে যায়। দেশের উন্নয়নমূলক প্রকল্প, নির্মাণ কাজ, শিল্প ও সেবা খাতে বিপুল পরিমাণ শ্রমিকের চাহিদা তৈরি হয়। ফলে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কর্মীরা সৌদি আরবে চাকরি খুঁজে নেয়।
সৌদি আরবে চাকরির বেতন বা স্যালারি মূলত নির্ভর করে কাজের ধরণ ও অভিজ্ঞতার উপর। সাধারণ শ্রমিক বা হেল্পারদের মাসিক বেতন গড়ে ৮০০ থেকে ১২০০ রিয়াল হয়ে থাকে। তবে যারা ড্রাইভার, প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান বা টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন, তাদের বেতন একটু বেশি।
পেশাদার চাকরি যেমন– ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, আইটি স্পেশালিস্ট বা ম্যানেজমেন্ট লেভেলের পদে বেতন অনেক বেশি। এসব পদের বেতন ৪০০০ থেকে ১০,০০০ রিয়াল বা তারও বেশি হতে পারে। এছাড়া অভিজ্ঞতার পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সৌদি আরবে অধিকাংশ কোম্পানি কর্মীদের জন্য অতিরিক্ত সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন– থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, পরিবহন খরচ, মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স এবং ওভারটাইম বেতন। নির্মাণ বা শিল্পখাতে কাজ করলে অতিরিক্ত সময় কাজ করার সুযোগ থাকে, যার মাধ্যমে মাস শেষে ভালো অঙ্কের ইনকাম করা সম্ভব।
২০২৫ সালে সৌদি আরবের জব স্যালারি পূর্বের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য ভালো সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাই যারা সৌদি আরবে চাকরি করতে আগ্রহী, তাদের উচিত নির্দিষ্ট ক্ষেত্র অনুযায়ী দক্ষতা বৃদ্ধি করা, যাতে উচ্চ বেতনের কাজ পাওয়া যায়।
সৌদি আরবের চাকরি আবেদন প্রদ্ধতি
সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানুষের কর্মক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত। প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শ্রমিক সৌদি আরবে কাজের জন্য ভিসা নিয়ে যান। চাকরির আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়মকানুন রয়েছে যা মেনে চললে সহজেই কাজের সুযোগ পাওয়া যায়।
সৌদি আরবে চাকরির জন্য আবেদন করতে হলে প্রথমে বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। এরপর নিয়োগকর্তা বা সৌদি কোম্পানি থেকে একটি জব অফার লেটার সংগ্রহ করতে হয়। এই অফার লেটারের ভিত্তিতে ভিসার জন্য আবেদন করা যায়।
আবেদনের অংশ হিসেবে আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতার সনদপত্র, মেডিকেল রিপোর্ট এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স জমা দিতে হয়। মেডিকেল টেস্টে পাস করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ সৌদি সরকার শুধু শারীরিকভাবে সুস্থ ও সক্ষম কর্মীদের নিয়োগ দিয়ে থাকে।
চাকরি আবেদন প্রক্রিয়ায় কোম্পানি বা এজেন্সি নির্দিষ্ট কাগজপত্র সৌদি দূতাবাসে জমা দেয়। এরপর ভিসা ইস্যু হলে কর্মীকে টিকিট এবং অন্যান্য ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়। তবে যেকোনো ধরণের টাকা-পয়সার লেনদেন কেবলমাত্র অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে করা উচিত।
সৌদি আরবের চাকরি আবেদন প্রক্রিয়া মূলত ধাপে ধাপে সম্পন্ন হয়—পাসপোর্ট, জব অফার, সরকারি অনুমোদন, মেডিকেল ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং ভিসা ইস্যু। সব ধাপ সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে নিরাপদে সৌদি আরবে যাওয়া সম্ভব। তাই যেকোনো আবেদন করার আগে নির্ভরযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করা দরকার।
সৌদি আরবের ভিসা ডকুমেন্ট তালিকা
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন সম্পর্কে উপরে আপনারা জেনেছেন। এখন জেনে নিন সৌদি আরবের ভিসা ডকুমেন্ট তালিকা সম্পর্কে। সৌদি আরবে চাকরি বা ভ্রমণের জন্য ভিসা আবেদন করার সময় নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র প্রস্তুত রাখা জরুরি। ডকুমেন্ট সঠিক না হলে ভিসা আবেদন বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আগেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পর্কে ধারণা নেওয়া এবং সেগুলো হালনাগাদ রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সৌদি আরবের ভিসার জন্য সবচেয়ে প্রথমে দরকার বৈধ পাসপোর্ট। পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে। এরপর প্রয়োজন সাম্প্রতিক বায়োমেট্রিক ছবি, যেখানে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে স্পষ্ট ছবি তোলা থাকবে। এগুলো ভিসা ফরম পূরণের সময় সংযুক্ত করতে হয়।
চাকরির ভিসার ক্ষেত্রে জব অফার লেটার বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার একটি অপরিহার্য ডকুমেন্ট। নিয়োগকর্তা প্রতিষ্ঠান থেকে এই লেটার সরবরাহ করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হয়, যা ভিসা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ।
মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সৌদি ভিসার জন্য অপরিহার্য শর্ত। মেডিকেল টেস্টে আবেদনকারীর শারীরিক সক্ষমতা যাচাই করা হয়।পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিয়ে প্রমাণ হয় যে আবেদনকারীর কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। এসব কাগজপত্র ছাড়া ভিসা ইস্যু করা হয় না।
সবশেষে ভিসা আবেদনের সময় ভিসা ফি, টিকিট বুকিংয়ের কাগজপত্র, এবং কোম্পানি স্পন্সরশিপ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট জমা দিতে হয়। এসব কাগজ সঠিকভাবে জমা দিলে ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হয়। তাই সৌদি আরবের ভিসা ডকুমেন্ট তালিকা সম্পর্কে সচেতন থাকা।
বাংলাদেশিদের জন্য সৌদি আরবের বেতন কাঠামো
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন জানার পর এখন নিশ্চয়ই আপনাদের জানার আগ্রহ রয়েছে বাংলাদেশীদের জন্য সৌদি আরবের বেতন কাঠামো কিরকম সে বিষয়ে। সৌদি আরব দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মক্ষেত্র। প্রতিবছর লাখ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক ও দক্ষ কর্মী সেখানে কাজের সুযোগ পান। ২০২৫ সালে সৌদি আরবে বিভিন্ন সেক্টরে বাংলাদেশিদের চাহিদা আরও বেড়েছে, ফলে বেতনের ক্ষেত্রেও আগের তুলনায় কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
সাধারণ শ্রমিক বা হেল্পার হিসেবে কাজ করা বাংলাদেশিদের মাসিক বেতন সাধারণত ৮০০ থেকে ১২০০ রিয়ালের মধ্যে হয়ে থাকে। এই ধরনের কাজে সাধারণত থাকা-খাওয়ার খরচ কোম্পানি বহন করে। এছাড়া অতিরিক্ত সময়ে কাজ করলে ওভারটাইম বাবদ আরও আয় করা সম্ভব।
দক্ষ কর্মী যেমন– ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, ওয়েল্ডার বা টেকনিশিয়ানদের বেতন তুলনামূলক বেশি। এ ধরনের কাজে বাংলাদেশিরা মাসে ১৫০০ থেকে ২৫০০ রিয়াল পর্যন্ত আয় করতে পারেন। অভিজ্ঞতা ও কাজের দক্ষতার ওপর নির্ভর করে এই বেতন আরও বাড়তে পারে।
বাংলাদেশি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইটি বিশেষজ্ঞ বা ম্যানেজমেন্ট লেভেলের কর্মীদের বেতন অনেক বেশি হয়ে থাকে। এসব পদের বেতন মাসে ৪০০০ থেকে ১০,০০০ রিয়াল পর্যন্ত হতে পারে। পাশাপাশি থাকে বিভিন্ন সুবিধা যেমন– হাউজ ভাড়া, মেডিকেল ইন্স্যুরেন্স, পরিবহন খরচ ও অন্যান্য ভাতা।
সৌদি আরবে বাংলাদেশিদের বেতন নির্ভর করে কাজের ধরণ, অভিজ্ঞতা এবং নিয়োগকর্তা কোম্পানির উপর। সাধারণ শ্রমিক থেকে শুরু করে দক্ষ ও পেশাদার কর্মীরা সবাই উপযুক্ত সুযোগ পেতে পারেন। তাই সৌদি আরবে চাকরি করতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের উচিত নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
সৌদি আরবের চাকরিতে সুবিধা ও বোনাস
সৌদি আরব শুধু ভালো বেতনের জন্য নয়, বরং চাকরিতে দেওয়া বিভিন্ন সুবিধা ও বোনাসের কারণে বাংলাদেশিসহ অনেক বিদেশি কর্মীর কাছে জনপ্রিয়। এখানে কাজ করলে কর্মীরা সাধারণত কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী বাড়তি কিছু সুযোগ-সুবিধা পান, যা তাদের জীবনযাত্রা সহজ করে তোলে।
সৌদি আরবে অধিকাংশ কোম্পানি তাদের কর্মীদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা প্রদান করে। এতে কর্মীদের বাড়তি খরচ কমে যায় এবং সঞ্চয়ের সুযোগ বাড়ে। পাশাপাশি কর্মীদের জন্য ফ্রি পরিবহন সুবিধাও দেওয়া হয়, বিশেষ করে যারা দূরের প্রকল্পে কাজ করেন।
মেডিকেল সুবিধা সৌদি চাকরির অন্যতম আকর্ষণ। প্রায় সব কোম্পানি কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা প্রদান করে থাকে। এতে চিকিৎসা খরচ কোম্পানি বহন করে এবং অনেক সময় পরিবারের সদস্যরাও এই সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হন।
চাকরিতে ওভারটাইম (OT) বেতন সৌদি আরবে একটি বড় সুবিধা। নিয়মিত বেতনের পাশাপাশি অতিরিক্ত কাজের জন্য আলাদা বেতন দেওয়া হয়। এছাড়া বছরে একবার বোনাস যা কর্মীদের জন্য বাড়তি প্রাপ্তি হিসেবে ধরা হয়।
সব মিলিয়ে সৌদি আরবের চাকরিতে শুধু মূল বেতন নয়, বরং থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন সুবিধা, ওভারটাইম বেতন, বার্ষিক বোনাস এবং চাকরি শেষে গ্র্যাচুইটি—এসব মিলিয়েই কর্মীদের আয়ের সুযোগ বৃদ্ধি পায়।
সৌদি আরবের মাসিক বেতন কত
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন বেতন কত এটির মধ্যে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া জানা, যেমনঃ জরুরী ঠিক তেমনি এর প্রতি মাসিক বেতন কত তাও আমাদের জন্য জানা অত্যন্ত জরুরী। কারণ কোন এক সময় হয়তো এটি আমাদের কাজে লাগতে পারে।
সৌদি আরবের মাসিক বেতন কত এবং কিভাবে দেয়া হয় তা নিম্নরূপঃ
সাধারণ শ্রমিক (হেল্পার) – মাসে প্রায় ৮০০ থেকে ১২০০ রিয়াল।
ক্লিনার – মাসে প্রায় ৯০০ থেকে ১২০০ রিয়াল।
হাউসকিপার – মাসে প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ রিয়াল।
ড্রাইভার – মাসে প্রায় ১২০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল।
কন্সট্রাকশন শ্রমিক – মাসে প্রায় ১০০০ থেকে ১৫০০ রিয়াল।
ইলেকট্রিশিয়ান – মাসে প্রায় ১৫০০ থেকে ২৫০০ রিয়াল।
প্লাম্বার – মাসে প্রায় ১৫০০ থেকে ২২০০ রিয়াল।
ওয়েল্ডার – মাসে প্রায় ১৬০০ থেকে ২৪০০ রিয়াল।
টাইলস মিস্ত্রি – মাসে প্রায় ১৫০০ থেকে ২৩০০ রিয়াল।
কার্পেন্টার – মাসে প্রায় ১৫০০ থেকে ২৫০০ রিয়াল।
টেকনিশিয়ান (বিভিন্ন সেক্টর) – মাসে প্রায় ১৮০০ থেকে ৩০০০ রিয়াল।
সেলসম্যান – মাসে প্রায় ১৫০০ থেকে ২৫০০ রিয়াল।
সিকিউরিটি গার্ড – মাসে প্রায় ১২০০ থেকে ১৮০০ রিয়াল।
নার্স – মাসে প্রায় ২৫০০ থেকে ৪০০০ রিয়াল।
শিক্ষক – মাসে প্রায় ৩০০০ থেকে ৬০০০ রিয়াল।
ইঞ্জিনিয়ার – মাসে প্রায় ৪০০০ থেকে ৮০০০ রিয়াল।
ডাক্তার – মাসে প্রায় ৬০০০ থেকে ১০,০০০ রিয়াল।
আইটি বিশেষজ্ঞ/ম্যানেজার – মাসে প্রায় ৫০০০ থেকে ৯০০০ রিয়াল।
কোম্পানি ট্রান্সফার ভিসা সৌদি আরব
সৌদি আরবে কাজ করা প্রবাসীদের জন্য সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর একটি হলো কোম্পানি ট্রান্সফার ভিসা। এটি মূলতঃ এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন কর্মী নিজের বর্তমান স্পন্সর বা কোম্পানি থেকে অন্য কোনো কোম্পানিতে ট্রান্সফার হতে পারেন।
ট্রান্সফার ভিসার জন্য প্রথমেই বর্তমান কোম্পানির থেকে অনুমতি বা “নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (NOC)” নিতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে চাকরির চুক্তির নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর ট্রান্সফারের অনুমতি সহজ হয়। তবে নতুন কোম্পানির পক্ষ থেকে ভিসা ট্রান্সফারের আবেদন ও দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
এই ভিসা ট্রান্সফার প্রক্রিয়ায় কর্মীর বৈধ ইকামা, চাকরির চুক্তি, মেডিকেল রিপোর্ট এবং নতুন কোম্পানির অফার লেটার জমা দিতে হয়। সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ের অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদনটি সম্পন্ন হয়। সব তথ্য যাচাই শেষে অনুমোদন দেওয়া হয়।
ট্রান্সফার ভিসা নেওয়ার মাধ্যমে কর্মীরা নতুন কোম্পানিতে ভালো বেতন, সুবিধা এবং উন্নত পরিবেশে কাজ করার সুযোগ পান। অনেক সময় একই সেক্টরে বেশি অভিজ্ঞতা থাকার কারণে নতুন নিয়োগকর্তা বাড়তি সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে। এতে কর্মীর আর্থিক ও পেশাগত উন্নয়ন ঘটে।
সৌদি আরবে কোম্পানি ট্রান্সফার ভিসা একটি বৈধ ও নিরাপদ প্রক্রিয়া হলেও এটি নিয়ম মেনে করতে হয়। অনুমোদিত এজেন্সি বা সরাসরি কোম্পানির মাধ্যমে আবেদন করাই উত্তম। সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে কর্মীরা তাদের ক্যারিয়ার আরও ভালোভাবে গড়ে তুলতে পারেন।
সৌদি আরবের উপরি পরিশ্রম নীতি
বাংলাদেশ ছাড়াও অন্য যে সকল দেশ থেকে বিদেশি শ্রমিক সৌদিতে যায় সেখানে মানুষ কিভাবে পরিশ্রম করে টাকা ইনকাম করে সেটি আমরা জেনেছি। সৌদি প্রবাসীরা কাজ করে মাসিক ইনকামের পাশাপাশি অতিরিক্ত কাজ করে যে টাকা ইনকাম করে তাকে বলা হয় উপরি পরিশ্রম নীতি।
সৌদি আরবের উপরি পরিশ্রম নীতিতে যে সকল নীতিমালা রয়েছে এবং যেগুলো নিয়ম কানুন মানতে হবে তা হলঃ
সৌদি আরবে কর্মীদের নির্ধারিত কর্মঘণ্টা সাধারণত দিনে ৮ ঘণ্টা বা সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা।
সপ্তাহে ৬ দিনের কাজের নিয়ম চালু থাকে অধিকাংশ কোম্পানিতে।
নির্ধারিত কর্মঘণ্টার বাইরে কাজ করলে সেটি উপরি পরিশ্রম বা ওভারটাইম ধরা হয়।
ওভারটাইমের জন্য কর্মীরা অতিরিক্ত হারে বেতন পান।
সাধারণত ওভারটাইমের বেতন মূল ঘণ্টা বেতনের ১.৫ গুণ।
শুক্রবার বা সরকারি ছুটির দিনে কাজ করলে বেতন আরও বেশি হয়।
ছুটির দিনে ওভারটাইমের জন্য ঘণ্টা বেতন দ্বিগুণ হিসেবে গণনা করা হয়।
কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী ওভারটাইমের সময় নির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়।
গরমের মৌসুমে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত বাইরে কাজ করানো নিষিদ্ধ।
এই সময়ের বাইরে ওভারটাইম করলে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক।
ওভারটাইমের মাধ্যমে শ্রমিকরা মাস শেষে ভালো অঙ্কের অতিরিক্ত আয় করতে পারেন।
নির্মাণ খাত ও শিল্প কারখানায় ওভারটাইমের সুযোগ সবচেয়ে বেশি।
প্রফেশনাল ও অফিস কর্মীদের জন্য ওভারটাইম তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।
মহিলাকর্মীদের ক্ষেত্রে রাতের বেলায় ওভারটাইম করানোর জন্য বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন।
ওভারটাইমের বেতন মাসিক বেতনের সাথে যুক্ত হয়ে প্রদান করা হয়।
শ্রম আইন ভঙ্গ করে যদি কোম্পানি ওভারটাইমের টাকা না দেয়, তাহলে অভিযোগ করা যায়।
সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় ওভারটাইম বেতন নিশ্চিত করতে কঠোর নজরদারি করে থাকে।
পরিশেষে
সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন, বেতন কত 2025 এবং সৌদি আরবের ভিসা আবেদন করতে কি কি নিয়ম মানতে হয় এবং কি কি ডকুমেন্টের প্রয়োজন এবং সৌদি আরবের প্রতিটি কাজ অনুযায়ী তাদের কতটুকু বেতন দেয়া হয় এই সকল কিছু জানতে পারলাম আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে।
সৌদি আরব বিশ্বের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। অন্যান্য দেশের তুলনায় সৌদি আরবের সকল নিয়ম কানুন বেশ গোছালো। সৌদি আরবের কোম্পানির কোয়ালিটি কেমন এ সকল কিছু আমরা জেনেছি। তাই নিয়মিত এরকম আরো পোস্ট পেতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url