মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার কার্যকর ১৫টি উপায়
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনি কি জানতে আগ্রহী? তাহলে এই প্রবন্ধে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় ও কার্যকর ১৫টি উপায় সম্পর্কে জেনে নিন। সাথে জানবেন, ব্যবসা করে মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সমূহ
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় অনলাইন
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার অনলাইন উপায় গুলো নিচে দেখে নিন। মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করার জন্য আজকের আর্টিকেলে উল্লেখিত অনলাইন উপায় গুলো কার্যকরী উপায় হিসেবে ইতিমধ্যে জনপ্রিয়।
আপনার যদি মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার লক্ষ্য থাকে তাহলে যে কোন উপায় কাজে লাগিয়ে এই পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন। এজন্য অবশ্যই আপনাকে সময়, ধৈর্য এবং পরিশ্রম নিয়ে কাজ করতে হবে।
তাহলে নিচে দেখে নিন মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার অনলাইনা উপায় গুলো কি কিঃ
ই কমার্স ব্যবসা করে আয়ঃ
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার বর্তমান সময়ের একটি সেরা উপায় ই কমার্স ব্যবসা। ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে পণ্য ক্রয় বিক্রয় ও আর্থিক লেনদেন করাকে ই-বাণিজ্য বলে। অর্থাৎ অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা পরিচালনা করা যেখানে কোন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য, সেবা বা তথ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে বিক্রি করে
এবং গ্রাহকরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন মাধ্যমে যেমনঃ ওয়েবসাইট, অ্যাপ ব্যবহার করে তা ক্রয় করে থাকে। এই উপায়ে পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে হয়ে থাকে।
ই-কমার্সে ব্যবসা করে আয় করতে হলে প্রথমে এমন পণ্য বেছে নিতে হবে বাজারে যার চাহিদা রয়েছে কিন্তু প্রতিযোগিতা তুলনামূলক কম, তাহলে আপনি আয় করতে পারবেন। যেমন: হ্যান্ডমেড পণ্য, স্থানীয় খাবার, বুটিক ড্রেস, কসমেটিকস বা বেবি প্রোডাক্ট। এরপর ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ও মার্কেটপ্লেস ব্যবহার করে প্রচার চালাতে হবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকামঃ
ফেসবুক পেজ বা ব্লগ থেকে ইনকামঃ
বাংলা লেখালেখি করে আয়ঃ
রিমোট ওয়ার্ক করে আয়ঃ
বর্তমানে অনলাইন ইনকাম এর উৎস হিসেবে যে উপায়টি লোকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তা হল remote work বা রিমোট জব যাকে দূরবর্তী চাকরি বলা হয়ে থাকে। এই অবস্থায় একজন কর্মীকে গতানুগতিক নয়টা পাঁচটা অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
নিজের সুবিধামতো যে কোন জায়গা থেকে সেটা হতে পারে বাড়িতে বসে, রেস্তোরাঁ বা রেস্টুরেন্টে বসে এমনকি পার্কে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজের কাজ সম্পন্ন করে। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা কর্মী কোন প্রতিষ্ঠান এর চুক্তি নির্ভর ফুল টাইম কর্মী হিসেবে ঘরে বসে নিজের দায়িত্ব পালন করে থাকে। এই কাজকে অনেকের টেলিকমিউটিং কাজ বলতে ভালোবাসেন।
কয়টি জনপ্রিয় রিমোট ওয়ার্ক এর উদাহরণ হলঃ কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে প্রতিষ্ঠানের জন্য নানা ধরনের ডিজাইন তৈরি করা। এছাড়া আপনি যদি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কাজ ভালো জানেন তাহলে কোন প্রতিষ্ঠানের হয়ে একজন সফটওয়্যার ডেভলপার হিসেবে কোডিং সংক্রান্ত কাজ করতে পারবেন।
রিমোট ওয়ার্ক করে একজন কর্মী তার সম্পূর্ণ নমনীয় সময় ও স্বাধীনতা উপভোগ করে ইনকাম করতে পারেন। অনলাইনে প্রচুর রিমোট জব অফার করে এরকম ওয়েবসাইট রয়েছে, আপনি সহজে সেখানে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ খুঁজতে পারেন।
বর্তমানে যেহেতু রিমোট জব করে ইনকাম করার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই আপনি যদি বিশেষ কিছু স্কিলে দক্ষ হন তাহলে রিমোট ওয়ার্ক করে মাসে ৩০ হাজার কেন এর বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ইউটিউব চ্যানেল খুলে আয়ঃ
হ্যান্ড মেড পণ্য বিক্রি করে আয়ঃ
আপনি কি নিজের হাতে তৈরি যে কোন ধরনের ডিজিটাল পণ্য তৈরিতে দক্ষ? তাহলে আপনার এই দক্ষতা কাজে লাগান এবং আয় করা শুরু করুন। বর্তমানে ডিজিটাল হ্যান্ড মেড ডিজাইনকৃত পণ্যের চাহিদা বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের মধ্যে অত্যন্ত বেশি।
এই চাহিদাকে কাজে লাগিয়ে আপনি যেকোনো ধরনের হস্ত নির্মিত পণ্য তৈরি করে তা বিক্রি করার মাধ্যমে মাসের ৩০ হাজার টাকা সহজেই ইনকাম করতে পারেন। যেমনঃ যেকোনো ধরনের ক্রাফটিং পণ্য, আপনার হাতে তৈরি আর্ট ওয়ার্ক, টি শার্ট ডিজাইন, আকর্ষণীয় মগ ডিজাই্ন,
কাস্টমাইজ যে কোন পণ্যের ডিজাইন করে ই-কমার্স ও অনলাইন নানা ধরনের প্লাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন। Amazon, Etsy, Gumroad, Red bubble হতে পারে আপনার পণ্য বিক্রি করার আদর্শ জায়গা।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায় অফলাইন
চাকরি করে আয়ঃ
মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করার অফলাইন উপায় এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ একটি উপায় হল চাকুরী। আপনি যে কোন প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে একজন চাকরিজীবী হিসেবে মাসে সহজে ৩০ হাজার থেকে শুরু করে বেশি টাকা বেতন আয় করতে পারেন।
আপনি যদি উচ্চতর বেতন কাঠামো ও চাহিদা সম্পন্ন কোন কাজে নিয়োগ পান তাহলে মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করা আপনার জন্য কোন ব্যাপার না।
ব্যবসা করে আয়ঃ
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য ব্যবসা হলো আরেকটি জনপ্রিয় উপায়। অনেকে আছেন যারা ব্যবসা করতে চাইলেও মূলধনের জন্য ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। তারা ভাবেন যে কোন ব্যবসা শুরু করার জন্য ভালো পরিমান পুঁজি বা মূলধনের প্রয়োজন।
তবে এমন কিছু ব্যবসা আইডিয়া রয়েছে যেখানে আপনি চাইলেই প্রায় বিনা পুঁজিতে বা অল্প কিছু টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এরকম কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া হল- অর্গানিক খাবারের ব্যবসা, হাতে তৈরি যে কোন ধরনের পণ্য বিক্রির ব্যবসা, হোমমেড খাবার সার্ভিস বা টিফিন সার্ভিস ব্যবসা, চায়ের দোকান ইত্যাদি।
বিনিয়োগ করে আয়ঃ
মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করার জন্য আপনি বিভিন্ন আর্থিক সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারেন। যেমনঃ মিউচুয়াল ফান্ড, স্টকস অথবা যে কোন আর্থিক গ্রহণযোগ্য জায়গায়। তবে এসব জায়গায় ইনভেস্ট করে আয় করা যেহেতু একটু ঝুঁকির মধ্যে পড়ে, এজন্য অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করে তারপর বিনিয়োগ করা উচিত হবে।
একবার আপনি বাজার বুঝে গেলে এই উপায়ে মাসে ৩০ কেন এর বেশি টাকা ইনকাম করা আপনার জন্য সহজ হবে।
পার্ট টাইম জব করে আয়ঃ
মাসে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করার আরেকটি সেরা উপায় হতে পারে পার্ট টাইম জব। আপনি আপনার কাজের দক্ষতা ও সময় ব্যবস্থাপনা করে পার্ট টাইম চাকরিতে নিয়োগ হয়ে বাড়তি ইনকাম শুরু করতে পারেন।
এজন্য আপনার স্থানীয় বা এলাকাভিত্তিক যে কোন পার্ট টাইম কাজের জন্য চাকুরি খুঁজতে পারেন। চাইলে আপনি অনলাইনেও পার্ট টাইম জব করে ইনকাম করতে পারেন।
অনলাইন/অফলাইনে কোচিং করিয়ে আয়ঃ
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার যুগোপযোগী একটি উপায় হলো কোচিং করিয়ে আয়। পড়াশোনার প্রতি চাহিদা ও প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায়, কোচিং একটি লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে। আপনি যদি গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান বা অন্য যেকোনো বিষয়ে দক্ষ হন, তাহলে ঘরে বসেই ছাত্র পড়িয়ে আয় শুরু করতে পারেন।
প্রতি ছাত্র থেকে মাসে ৫০০-১০০০ টাকা ফি নেওয়া যায়। যদি আপনি দিনে ২ ব্যাচে ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী পড়ান, তাহলে মাস শেষে সহজেই ৩০ হাজার বা তার বেশি আয় করা সম্ভব। শুধু স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী নয়, বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্যও কোচিং চালিয়ে আয় করা যায়।
যেমনঃ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার বা বিসিএস পরীক্ষার মতো চ্যালেঞ্জিং প্রতিযোগিতার প্রস্তুতিমূলক কোচিং করিয়ে অনেকেই এখন মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। এই কাজটি আপনি শুধু এখন অফলাইনে করবেন তেমনটা নয় বরং অনলাইনে এই কাজের জনপ্রিয়তা এবং প্রসার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনেকেই এখন অনলাইন এবং অফলাইনে কোচিং কোচ এর মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী পড়িয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন। নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করছেন এই সেক্টরে।
আপনি চাইলে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ভিডিও লেকচার, জুম ক্লাস বা ফেসবুক লাইভ ক্লাসের মাধ্যমে আরও বড় পরিসরে শিক্ষার্থী সংগ্রহ করা যায়। এতে খরচ কম, আয়ের সুযোগ বেশি। ধাপে ধাপে ভালো রিভিউ ও ফলাফল পেলে, ছাত্রসংখ্যা বাড়বে এবং আয়ও বাড়তে থাকবে।
মোবাইলে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
ডেলিভারি ও রাইড শেয়ারিং কাজের সুবিধা কাজে লাগিয়ে এখন চাইলেই আপনি মাসে ১০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনার এলাকায় যদি ফুডপান্ডা থাকে, তাহলে ফুডপান্ডার মত ডেলিভারি সার্ভিস আপনি কাজে লাগাতে পারেন।
এছাড়া উবার রাইড শেয়ারিং এর মত প্লাটফর্মে জয়েন হয়ে আপনি মাসে ৫০০০ থেকে ১০০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়
হোম স্টে বা গেস্ট হাউস ব্যবসাঃ মাসে লাখ টাকা অনায়াসে যে ইনকাম করতে পারেন তা হল রেস্ট হাউস বা গেস্টহাউজ ব্যবসা করে। বর্তমানে ট্র্যাভেল ও টুরিজম বাড়ার কারণে অনেক মানুষ শহরের বাইরে আরামদায়ক জায়গায় থাকতে পছন্দ করে। আপনি যদি শহরের কাছাকাছি আপনার বাড়ির অতিরিক্ত একটি অংশ বা অন্য কোনো জায়গা ভাড়া দিয়ে হোম স্টে বা গেস্ট হাউস হিসেবে পরিচালনা করেন,
ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রিঃ বর্তমান সময়ে মাসে লাখ টাকা আয় করার অনন্য একটি উপায় হতে পারে ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি করে বিক্রি করা। ডিজিটাল প্রোডাক্ট হলো সেই ধরনের পণ্য যা ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে তৈরি করার পর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করা হয়। নিজের তৈরি ডিজিটাল প্রোডাক্ট হতে পারে একটি অনলাইন কোর্স, ওয়ার্ডপ্রেস থিম, ডিজাইন টেমপ্লেট বা সফটওয়্যার প্লাগইন ইত্যাদি ওয়েবসাইটে বিক্রি করে মাসে লাখ টাকা আয় সম্ভব।
নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি ও বিক্রিঃ মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করার বর্তমান সময়ের আরেকটি গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় উপায় বাজারে নিজের একটি ব্র্যান্ড তৈরি ও বিক্রি করা। কারন বাজারে এক্সক্লুসিভ ব্র্যান্ড তৈরি করে পণ্য বিক্রি করা আজ সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার একটি। আপনি পোশাক, প্রসাধনী, কসমেটিকস বা হেলথ প্রোডাক্টস নিজের ব্র্যান্ড নামে তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
ব্যবসা করে মাসে লাখ টাকা আয় করার উপায়
বাজার বিশ্লেষণঃ ব্যবসার নিশ বাছাই করার পর এই পর্যায়ে আপনি যে পণ্যটি নিয়ে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তার বাজার বিশ্লেষণ বা বাজার সম্পর্কে ধারণা তৈরি করতে হবে। এজন্য আপনার ব্যবসার সম্ভাব্য প্রতিযোগীতা, টার্গেট কাস্টমার এবং মূলধনের সামর্থ্য অনুযায়ী মার্কেট রিসার্চ করা গুরুত্বপূর্ণ।
এর ফলে ব্যবসার জন্য প্রয়োজনে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে আপনার সুবিধা হবে। ব্যবসার পণ্যের চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য তৈরি করতে পারবেন। চাহিদা ও যোগানের সঠিক মিল থাকলে ব্যবসা দ্রুত লাভজনক হয়।
ব্যাকআপ প্ল্যানঃ আমরা জানি ব্যবসা মানেই ঝুঁকি। তবে আপনি যদি ব্যবসা শুরুর আগে ঝুঁকি আরোর জন্য ব্যাকআপ প্ল্যান রাখেন তাহলে এই ঝুঁকি সহজে মোকাবেলা করার সহজ হয়। তাই ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য আপনার অবশ্যই তিন থেকে ছয় মাসের একটি ব্যাকআপ প্লান থাকতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই পরিকল্পনার জন্য ব্যবসার যেকোনো ধরনের ঝুঁকি সহজেই এড়াতে পারবেন ফলে দৃঢ় মনোবল নিয়ে আপনি ব্যবসা এগিয়ে যেতে পারবেন।
মুনাফা ও খরচের সঠিক হিসাব ও স্কেলিংঃ ব্যবসা সফল করার আরেকটি মূলনীতি হলো মুনাফা ও খরচের সঠিক হিসাব রাখা এবং তা একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর পর্যবেক্ষণ করা। অর্থাৎ মাসে ১ লাখ টাকা আয় করতে চাইলে ব্যবসার লাভের হার হতে হবে কমপক্ষে ২৫-৩০%। ধরুন আপনি প্রতি মাসে ৪ লাখ টাকার বিক্রি করছেন এবং তার ২৫% লাভ থাকলে, আপনি ১ লাখ আয় করছেন।
মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার জন্য করণীয়
- প্রথমে আপনাকে আপনার জন্য উপযুক্ত নিশ বাছাই করতে হবে। অর্থাৎ যে কাজটি করতে আপনার আগ্রহ রয়েছে সেই কাজ টি করতে পারেন। তাহলে আপনি কাজে ফোকাস ধরে রাখতে পারবেন এবং আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।
- যেকোনো কাজের সফলতা অর্জনের জন্য সময় ব্যবস্থাপনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পড়াশোনার পাশাপাশি কিভাবে কাজটি করলে পড়াশোনার ক্ষতি হবে না কিন্তু মসৃণ ভাবে কাজটি করতে পারবেন তা আগে থেকেই ঠিক করতে হবে।
- আপনি যদি বেকার বা ফুলটাইম চাকরিজীবী হন তাহলে আপনাকে এই সময় ব্যবস্থাপনার দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে আপনি লক্ষ্য অর্জনে দৃঢ় মনোবল রাখতে পারবেন।
- যে বিষয়টি নিয়ে আপনি কাজ করছেন তা সম্পর্কে সব সময় স্টাডি করুন। নিজেকে ওই বিষয়ে সবসময় আপডেট রাখার চেষ্টা করুন।
- যে কোন কাজে সফলতা অর্জনের জন্য ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাজের কনসিসটেন্সি বজায় রাখুন তাহলে সহজে আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন।
- যেকোনো কাজে সহজে সফল হওয়া যায় না। ধৈর্য এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ধৈর্য ধরে কাজটি করে যান একসময় সফল হবেন।
- আপনার নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং লক্ষ্য পূরণে কাজ করুন। আপনার এই লক্ষ্য আপনাকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিবে।
- নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার শিখুন। এতে আপনার ব্যবসায় বা কাজ পরিচালনা করা অনেক সহজ হবে।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url