বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া আরবি

বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া আরবি সম্পর্কে আপনি কি জানতে চান? তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন. কারণ এই প্রবন্ধে বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া আরবি সহ এই সম্পর্কিত আরো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পারবেন.

বদ-নজর-থেকে-বাঁচার-দোয়া

হাদিসে বদ নজরকে বাস্তব বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এর কারণে মানুষের দেহে অসুস্থতা, জীবনে অশান্তি কিংবা কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই এটি থেকে আমাদের বাঁচতে হবে। আর এজন্য জানা প্রয়োজন বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া সম্পর্কে যা আজকের এই আটিকেলটি পড়লে জানতে পারবেন। পোষ্ট সূচিপত্র:

বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া আরবি

বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া আরবি সম্পর্কে প্রতিটি মুসলমানদের জানা জরুরী। মানুষের জীবনে আনন্দ, সাফল্য কিংবা উন্নতি দেখে অনেক সময় অন্যের চোখে হিংসা বা ঈর্ষা জন্মায়, আর একেই ইসলামে বদ নজর বলা হয়। তবে বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া রয়েছে। তাই বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলে।

বদ নজর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রাসূলুল্লাহ যে দোয়া পড়তে শিখিয়েছেন তা হলো:আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত-তাম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিন ওয়া হাম্মাতিন, ওয়া মিন কুল্লি আইনিল্লাম্মাহ।
আমি আশ্রয় চাই আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ বাণীর বরকতে, প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী ও বদ নজর থেকে।

বদ-নজর-থেকে-বাঁচার-দোয়া-আরবি

এই দোয়া প্রতিদিন সকালে ও রাতে পড়লে, বিশেষ করে শিশুদের উপর ফুঁ দিলে, ইনশাআল্লাহ বদ নজরের প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।বদ নজর খুবই খারাপ একটি জিনিস। এটি অনেক সময় আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে এবং আমদের জীবনে কখনো কখনো দুঃখ বয়ে নিয়ে আসে।

এছাড়া বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য আরেকটি দোয়া হলো:বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক।মিন শার্রি মা খালাক।ওয়া মিন শার্রি গাসিকিন ইযা ওয়াকাব। ওয়া মিন শার্রিন নাফফাসাতি ফিল উক্বাদ।ওয়া মিন শার্রি হাসিদিন ইযা হাসাদ।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। কুল আউযু বিরাব্বিন নাস।মালিকিন্নাস।ইলাহিন্নাস।মিন শার্রিলওয়াসওয়াসিল খন্নাস।আল্লাযি ইউওয়াসউইসু ফি সুধূরিন্নাস।মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্নাস। এটি পাঠ করলে বদ নজর থেকে বাঁচার উপায় রয়েছে। তাই এটি আমারা পাঠ করব।

আরো পড়ুনঃ বিয়ের জন্য ইস্তেখারা নামাজ পড়ার নিয়ম।

খারাপ মানুষ থেকে বাঁচার দোয়া 

খারাপ মানুষ থেকে বাঁচার জন্য দোয়া মুসলিম জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দোয়াগুলো আমাদের রক্ষা করে অপকার, মন্দাচারণ ও খারাপ প্রভাব থেকে। প্রতিদিন সালাতের পরে বা প্রয়োজনবোধে এই দোয়া পাঠ করলে আল্লাহ্‌র কাছে নিরাপত্তা প্রার্থনা করা যায়।

এটির উদাহরণস্বরূপ দোয়া হলো "আউযুবিল্লাহি মিনাশ শয়তানির রাজীমি মিনশাররি নাফসী ওয়ামিন শারির নাসি" অর্থাৎ "আমি আল্লাহ্‌র আশ্রয় চাই আমার ও শয়তানের সমস্ত মন্দ থেকে এবং মানুষের ক্ষতি থেকে।" নিয়মিত এই দোয়া পাঠ করলে শত্রু, বদ ইচ্ছা ও খারাপ মানুষের প্রভাব থেকে আত্মাকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়। 

এছাড়া, সদাচরণ, সততা ও ধৈর্য্যও আমাদেরকে খারাপ মানুষ থেকে দূরে রাখে।খারাপ মানুষ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহ্‌র নিকট দোয়া করা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন “আউযুবিল্লাহি মিনাশ শয়তানির রাজীম” অর্থাৎ “আমি শয়তানের প্রতিকূলতা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।”

এছাড়া“রব্বানা হাফলনা মিনাশ শাররি লমিন কফারু” অর্থাৎ “হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে খারাপ মানুষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করো” এর মতো দোয়া পাঠ করলে নিরাপত্তা পাওয়া যায়। পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে সদাচরণ, ধৈর্য্য ও সতর্ক থাকা, মন্দাচরণ এড়িয়ে চলা, ও নিজের কাজ-কর্মে সতর্ক থাকা। 

খারাপ মানুষ থেকে বাঁচতে হলে প্রথমেই নিজের চরিত্র ও নৈতিকতাকে দৃঢ় রাখতে হবে। তাদের খারাপ কথায় বা কাজে প্রভাবিত না হয়ে ধৈর্য ধরে সঠিক পথে চলা জরুরি। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া, দোয়া করা এবং সৎ মানুষের সঙ্গ গ্রহণ করলে খারাপ মানুষের প্রভাব থেকে অনেকটাই মুক্ত থাকা যায়।

বদ নজর থেকে মুক্তির উপায় 

বদ নজর থেকে মুক্তি পেতে সর্বপ্রথম আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে হবে এবং নিয়মিত কুরআন ও দোয়ার আমল করতে হবে। বিশেষ করে সূরা ফালাক, সূরা নাস ও আয়াতুল কুরসী পড়া বদ নজরের প্রভাব থেকে সুরক্ষা দেয়। নামাজ আদায় ও আল্লাহর জিকিরে মনোযোগী থাকা হৃদয়কে শান্ত রাখে।

এছাড়া হিংসুক ও খারাপ মনের মানুষের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখা, চোখে বা মনে অহংকার না আনা এবং অন্যের ভালো দেখে আলহামদুলিল্লাহ বলা বদ নজরের ক্ষতি থেকে মুক্ত থাকার গুরুত্বপূর্ণ উপায়।তাই আমরা বদ নজর থেকে বাঁচার উপায় গুলো খুজবো এবং সাবধানতার সাথে চলবো।

বদ নজরের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে ঘরে-বাইরে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা এবং প্রতিটি কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলা অত্যন্ত কার্যকর। সন্তানের ওপর বা নিজের ওপর কুরআনের দোয়া পড়ে ফুঁ দেওয়া একটি সুন্নতি পদ্ধতি যা বদ নজরের প্রভাব কমায়।

মনের ভেতর হিংসা বা হিংস্রতা পোষণ না করে সবসময় অন্যের মঙ্গল কামনা করা উচিত। নিয়মিত দান-সদকা করলে বদ নজরের প্রভাব দূর হয় এবং আল্লাহর রহমত লাভ করা যায়। সবকিছুর শেষে মনে রাখতে হবে, প্রকৃত মুক্তি ও সুরক্ষা কেবলমাত্র আল্লাহর কাছেই নিহিত।তাই বেশি চিন্তা ভাবনা করবোনা।

বদ নজর থেকে মুক্ত থাকতে হলে প্রতিদিন সকালে ও রাতে আল্লাহর কাছে হেফাজতের দোয়া করা জরুরি। সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিনবার করে পড়ে নিজের ও পরিবারের ওপর দম করলে আল্লাহর রহমতে সুরক্ষা পাওয়া যায়। কোনো সাফল্য পেলে আলহামদুলিল্লাহ বলা উচিত।

মুখ দোষের পানি পড়ার দোয়া 

মুখ দোষ বা বদ নজরের প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে পানি পড়ে দোয়া করার একটি উত্তম পদ্ধতি হলো— সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পড়ে পানির ওপর দম করা। এরপর সেই পানি আক্রান্ত ব্যক্তি পান করলে বা সেই পানি দিয়ে গোসল করলে ইনশাআল্লাহ মুখ দোষের ক্ষতিকর প্রভাব দূর হয়।

এ ছাড়া আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখা, নিয়মিত নামাজ পড়া এবং জিকিরে অভ্যস্ত থাকা মুখ দোষ ও বদ নজর থেকে স্থায়ী সুরক্ষার উপায়। অনেক আলেম বলেন, পানি পড়ার সময় আন্তরিকভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে দ্রুত আরোগ্য লাভ হয়। তাই মুখ দোষ থেকে মুক্তির জন্য এ আমল উপকারী।

আল্লাহর নামে পানি দম করে সেই পানি আক্রান্ত ব্যক্তিকে খাওয়ানো বা তার মাথা ও শরীরে ব্যবহার করলে মুখ দোষের প্রভাব দূর হয়। মূল কথা হলো— আন্তরিক নিয়তে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া এবং কুরআনের দোয়া দিয়ে চিকিৎসা করা, কারণ একমাত্র আল্লাহই সব অনিষ্ট থেকে রক্ষা করেন।

আল্লাহ আমাদের জন্য কল্যাণ চায় সবসময়। তিনি চাই আমরা সৎ পথ অনুসরণ করি, অন্যের সঙ্গে ভালো আচরণ করি, নামাজ, রোজা, দান ও দোয়া করি এবং নিজের জীবনকে নৈতিক ও সুন্দরভাবে গঠন করি। আল্লাহ আমাদের সুখী ও শান্তিপূর্ণ জীবন দিতে চান।

বিপদ ও অনিষ্ট থেকে রক্ষা করতে চান এবং আমাদের আত্মাকে পরিপূর্ণ করে তোলার মাধ্যমে আখিরাতেও সাফল্য দান করতে চান। তিনি চাই আমরা তাঁর নির্দেশ মেনে চলি, ধৈর্য্য ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে জীবন যাপন করি, যাতে আমাদের জীবনে সত্যিকারের কল্যাণ আসে।

বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া বাংলা

মানুষের জীবনে বদ নজর একটি বাস্তব সমস্যা, যা হিংসা, ঈর্ষা বা খারাপ দৃষ্টির কারণে কারও ক্ষতি করতে পারে। ইসলামে বদ নজর থেকে সুরক্ষার জন্য দোয়া পড়তে বলা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম দোয়া হলো: “বিসমিল্লাহি মা শা-আল্লাহু লা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”।

এ দোয়া পাঠ করলে আল্লাহ তাআলার রহমতে বদ নজরের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন সকালে ও রাতে এই দোয়া পাঠ করা অভ্যাস করলে জীবন হবে নিরাপদ ও শান্তিময়। তাই নিয়মিত আমরা এ দোয়া পাঠ করব।

বদ নজর মানুষের জীবনে বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। ইসলাম এ থেকে বাঁচার জন্য দোয়া পড়তে শিখিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ দোয়াটি হলো: “আউযু বি-কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক”।

এ দোয়া পাঠ করলে আল্লাহর রহমতে মানুষ শত্রু, হিংসুক ও অশুভ শক্তির ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকে। তাই প্রতিদিন সকালে ও রাতে এ দোয়া পড়ার অভ্যাস করলে বদ নজরের প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। নিয়ম মেনে এ দোয়াটি পড়বো।

মানুষের জীবনে নানা বিপদ ও অশুভ শক্তি আসতে পারে, যার মধ্যে বদ নজর অন্যতম। এ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহানবী (সা.) আমাদের কিছু বিশেষ দোয়া শিখিয়েছেন। তার মধ্যে একটি হলো: “হাসবিয়াল্লাহু লা ইলা-হা ইল্লা হুয়া, আলাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আযীম”।

শিশুদের বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া

শিশুরা সবচেয়ে নিষ্পাপ ও কোমল প্রাণ। তাই তাদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যেমন বেশি থাকে, তেমনি অনেক সময় হিংসা বা ঈর্ষার কারণে বদ নজরের শিকারও হতে পারে। বদ নজরের প্রভাবে শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে, কান্নাকাটি করতে পারে বা অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারে।

এজন্য ইসলাম শিশুদের বদ নজর থেকে রক্ষার বিশেষ দোয়া শিখিয়েছে।রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর নাতি হাসান ও হুসাইন (রা.)-কে বদ নজর থেকে বাঁচাতে উপরের দোয়াটি পড়তেন। এ দোয়ায় আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া হয় শয়তান, ক্ষতিকর প্রাণী এবং কুদৃষ্টি থেকে।

 অভিভাবকদের উচিত প্রতিদিন সকালে ও রাতে সন্তানের মাথায় হাত রেখে এই দোয়া পড়া।আজকের যুগে বদ নজরের ভয় আগের চেয়ে অনেক বেশি, কারণ সামাজিক মাধ্যমে শিশুদের ছবি ও সাফল্য শেয়ার করার প্রবণতা বেড়ে গেছে। তাই শুধু দোয়া পড়াই নয়।

অপ্রয়োজনে শিশুদের নিয়ে অহেতুক প্রচার না করাও জরুরি। নিয়মিত এই দোয়া পড়লে আল্লাহর রহমতে শিশুরা বদ নজরের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষিত থাকবে এবং সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠবে। তাই শিশুর সুরক্ষার জন্য নিয়মিত এই দোয়াটি পাঠ করব।

সন্তান আমাদের সকলের কাছে অনেক প্রিয়। তাই সন্তানের কিছু হোক তা আমরা কখনোই চাইবো না। আমরা সর্বদাই সন্তানের মঙ্গল কামনা করি। সন্তানের কিসে ভালো হবে তা আমরা ভেবে থাকি। তাই সন্তানের কথা চিন্তা করে আমরা এই সকল আমলগুলো করে থাকবো।

আরো পড়ুনঃ ইশরাক নামাজ পড়ার নিয়ম ও আরবি নিয়ত।

বদ নজর দূর করার দোয়া

বদ নজর থেকে বাঁচারদেওয়ার মধ্যে অনেকগুলো দোয়া শিখেছি। এগুলো আমাদের বদনজর দূর করার দোয়া। বদনজর থেকে বেঁচে থাকতে হলে এবং দূরে থাকতে হলে আমাদের অনেকগুলো উপায় মেনে চলতে হবে তবে আমরা বদ নজর থেকে দূরে থাকবো।

বদ নজর খুবই খারাপ একটি জিনিস। আমরা সাধারণত সকলে মিলেমিশে একে অপরের সাথে সমাজে বসবাস করি। কিন্তু সমাজে বসবাস করলেও সবার মন মানসিকতা একরকম নাও থাকতে পারে। এই জন্য আমরা সর্বদা সতর্কতার সাথে কথাবার্তা বলব।

আমাদের মধ্যে যারা আমাদের সব থেকে আপন এবং বিশ্বস্ত মানুষ তাদেরকে আমরা আমাদের মনের কথাগুলো বলতে পারব কিন্তু যারা একটু দূরের মানুষ বা পর হয় তাদেরকে আমরা আমাদের মনের কথাগুলো না বলি।

সব সময় আমরা চিন্তা করব আমাদের কিসে ভালো হবে আর কিসে খারাপ হবে। কাকে কোন কথা বললে সে মানুষটা আমার ভালো চাইবে আর কোন কথা বললে সে আমার ভালো চাইবে না সে অনুযায়ী তার সাথে আমরা কথা শেয়ার করে থাকবো।

প্রতিটি মানুষের মন মানসিকতা যে একরকম তা কিন্তু নয় কারো মন হয়তো নরম কারো হয়তো হিংসুটে আবার কারো হয়তো অনেক দয়াল। এই ক্ষেত্রে আমরা কেউই বুঝতে পারবো না কে কেমন তাই বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য সবকিছু হিসাব করে চলবো।

বদ নজরের কুফল ও সমাধান 

বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য অনেক কুফল ও সমাধান রয়েছে। কিন্তু এগুলো আমাদের নিয়ম অনুসারে মেনে চলতে হবে তা না হলে আমরা বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া পড়ে বদ নজর থেকে আমরা নিজেদেরকে রক্ষা করব।

বদ-নজর-থেকে-বাঁচার-দোয়া-আরবি

সর্বোপরি অন্যর ভালো চাইবে এমন অনেক মানুষ খুব কমই আছে তবে বর্তমান সমাজে নাই বললেই চলে। এর মধ্যে অনেকে আছে যারা অন্যের জন্য দোয়া করে এবং মঙ্গল কামনা করে। আবার কেউ হয়তো অন্যের জন্য মঙ্গল কামনা করেই না।

আমরা আমাদের নিজেদের ভালো বুঝবো নিজেদেরকে কিভাবে রক্ষা করতে হয় তা শিখব। কারণ বিপদ কখন বলে আসে তা কেউ জানে না। কিন্তু আল্লাহ তায়ালা সব সময় আমাদের হেফাজত করছেন। আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে আমরা সামনে এগিয়ে যাব।

একমাত্র আল্লাহ তায়ালা উত্তম পরিকল্পনাকারী তিনি চাইলে এসব কিছু করতে পারেন এজন্য তিনি আমাদের সবসময় রক্ষা করেন সব বিপদ থেকে। তাই আমরা বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া গুলো পড়ে এর সমাধান বের করব।

নিজের প্রতি খেয়াল রাখব এবং নিজের সুরক্ষার কথা চিন্তা করব। কারো সাথে কখনোই খারাপ ব্যবহার করব না কারো ক্ষতি চাইবো না বরং সর্বদা সকলের মঙ্গল কামনা করে আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া চাইবো। এতে করে বদ নজর থেকে বাঁচার কুফল ও সমাধান পাব।

বদ নজর থেকে বাঁচার হাদিস 

ইসলামে বদ নজরের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ বলেছেন, “বদ নজর সত্য” (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)। এর অর্থ হলো, মানুষের দৃষ্টির মাধ্যমে ক্ষতি হতে পারে এবং তা বাস্তব সত্য। এ কারণে ইসলাম আমাদেরকে বদ নজর থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা শিখিয়েছে।

একটি হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ বলেছেন: “যখন তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের (সম্পদ, সৌন্দর্য বা সাফল্যে) কিছু দেখে বিস্মিত হয়, তখন যেন সে তার জন্য দোয়া করে বরকত কামনা করে।” (সহিহ ইবনে মাজাহ)। এর মাধ্যমে বোঝা যায় তার জন্য মঙ্গল কামনা করতে হবে।

আরেকটি হাদিসে রাসূল সাহাবীদের বদ নজরের প্রভাব সম্পর্কে সাবধান করেছেন। তিনি বলেছেন, “বদ নজর মানুষকে কবর পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।” (সহিহ জামে)। অর্থাৎ, এর প্রভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে বড় ক্ষতি হতে পারে। এজন্য নবীজী নিজে নিয়মিত কোরআনের দোয়া পড়তেন।

সবশেষে বলা যায়, বদ নজর থেকে বাঁচতে হলে আমাদের উচিত নিয়মিত আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা, কোরআনের আমল করা, অন্যের প্রতি হিংসা না করা এবং দোয়া করে বরকত কামনা করা। হাদিসে বর্ণিত এ নির্দেশনা অনুসরণ করলে বদ নজরের ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।

তাই বদনজর থেকে বাঁচার জন্য যে সকল হাদিস রয়েছে সেগুলো আমরা পড়বো। নবীজি করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম যে সকল হাদিস আমাদের জন্য বর্ণনা করেছেন সে অনুযায়ী আমরা আমল করব তবে আমরা বদ নজর থেকে রক্ষা পাব।

আরো পড়ুনঃ চাশতের নামাজের আরবি নিয়ত, নিয়ম ও সময়।

পরিশেষে 

প্রিয় পাঠক, বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়া আরবি সহ আরো অন্যান্য দোয়া কি কি এবং বদ নজর থেকে বেঁচে থাকার জন্য আমরা কি কি উপায় অবলম্বন করতে পারি এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন। আবার বদনজর থেকে বাঁচার দোয়া এবং বদ নজর থেকে বাঁচার হাদিস সমূহ। জানতে পারলাম আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।

এছাড়া রাসূল (সাঃ) আমাদের জন্য কোনগুলো হাদিস রেখে গেছেন এবং কি কি নিয়ম মানতে বলেছেন এগুলো সব কিছুই জানতে পেরেছি। তাই নিয়মিত এরকম আরো পোস্ট পেতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url