দুবাই ভিসা কবে খুলবে, দুবাই ভিসা আপডেট ২০২৫

দুবাই ভিসা কবে খুলবে ২০২৫ এবং দুবাই ভিসা আপডেট, দুবাই যেতে হলে আমাদের কতটুকু যোগ্যতা লাগবে। আবার দুবাই ভিসা আবেদন করার প্রক্রিয়াগুলো কি এই সকল যাবতীয় বিষয় বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের প্রবন্ধ থেকে। দুবাই-ভিসা-কবে-খুলবে-২০২৫

দুবাই ভিসা কবে খুলবে ২০২৫ এটিতে দুবাই ভিসা জন্য আমরা কি কি করব এবং দুবাইয়ের ভিসা পাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন এবং দুবাই শহর কেমন এই সকল কিছু জানতে পারবেন আজকেরে আর্টিকেলটি পড়লে। পোস্ট সূচিপত্রঃ

দুবাই ভিসা কবে খুলবে ২০২৫

দুবাই ভিসা সবসময়ই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু মানুষের আগ্রহের বিষয়। চাকরি, ব্যবসা বা পর্যটনের জন্য প্রতিবছর অসংখ্য মানুষ সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) ভ্রমণ করে। তবে নানা সময় আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও অভিবাসন নীতির কারণে ভিসা নীতিতে পরিবর্তন আসে।

দুবাই-ভিসা-কবে-খুলবে-২০২৫

২০২৫ সালে UAE সরকার বেশ কিছু নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো “Blue Visa”, যা ১০ বছরের রেসিডেন্স ভিসা হিসেবে চালু হয়েছে। পাশাপাশি ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকে ডিজিটাল ও সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে আবেদনকারীরা দ্রুত ভিসা পেতে পারেন।

তাছাড়া কিছু দেশের জন্য ভিসা অন-অ্যারাইভাল সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। তবে নতুন নিয়মে ভিসা মেয়াদ শেষ হলে অতিরিক্ত ১০ দিনের গ্রেস পিরিয়ড বাদ দেওয়া হয়েছে, যা আগে অনেকের জন্য বাড়তি সুবিধা ছিল।

সম্প্রতি কিছু সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে যে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশসহ নয়টি দেশের জন্য UAE নতুন ভিসা বন্ধ করে দেবে। তবে এ নিয়ে এখনো কোনো সরকারি ঘোষণা পাওয়া যায়নি। এমনকি বাংলাদেশের UAE দূতাবাস জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত এসব তথ্য। 

দুবাই ভিসা কবে খুলবে ২০২৫ এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, বর্তমানে দুবাইয়ের ভিসা প্রক্রিয়া সচল আছে এবং ধাপে ধাপে নতুন নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। অর্থাৎ ভিসা পুরোপুরি বন্ধ নয়। যদি ভবিষ্যতে কোনো দেশের জন্য বিশেষ নিষেধাজ্ঞা আসে, তবে তা কার্যকর হওয়ার আগে সবাইকে জানানো হবে।

আরো পড়ুনঃ আইইএলটিএস (IELTS) ছাড়া ইউরোপের কোন কোন দেশে যাওয়া যায়।

বাংলাদেশের সাথে দুবাইয়ের সম্পর্ক

বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE), বিশেষ করে দুবাইয়ের মধ্যে সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। অর্থনীতি, বাণিজ্য, শ্রমবাজার, শিক্ষা ও সংস্কৃতি—সব দিক দিয়েই এই সম্পর্ক ক্রমে আরও গভীর হচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের কারণে দুবাই আজ বাংলাদেশের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য।

দুবাইয়ে কর্মরত বাংলাদেশির সংখ্যা কয়েক লক্ষ। তারা নির্মাণকাজ, হোটেল-রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ব্যবসা ও সেবা খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রবাসীরা নিয়মিতভাবে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে।

বাংলাদেশ ও দুবাইয়ের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কও বেশ সুদৃঢ়। বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ে গার্মেন্টস, কৃষিপণ্য, মাছ, চামড়াজাত দ্রব্য রপ্তানি হয়। অপরদিকে দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসছে যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি, স্বর্ণ ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্য। ফলে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ক্রমেই বাড়ছে।

দুবাইয়ে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। বাংলাদেশি স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার ও সংগঠনের মাধ্যমে প্রবাসীরা নিজেদের সংস্কৃতি ধরে রাখছে।

সবমিলিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশের সাথে দুবাইয়ের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। শ্রমবাজার, বাণিজ্য, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মতো খাতে এই সম্পর্ক প্রতিনিয়ত বিস্তৃত হচ্ছে। ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বাড়লে উভয় দেশই উপকৃত হবে।

দুবাইয়ের ভিসা পাওয়ার শর্তসমূহ

দুবাইয়ের ভিসা পাওয়ার জন্য আমাদেরকে দুবাইয়ে যে সকল নিয়মকানুন এবং শর্তসমূহ রয়েছে তা আমাদের মেনে কাজ করতে হবে। তা না হলে আমরা দুবাই যাওয়ার জন্য ভিসা পাবো না এই জন্য আমরা সর্বদা নিয়ম কানুন মেনে চলব।

দুবাইয়ের ভিসা পাওয়ার জন্য যে সকল শর্ত সমূহ হয়েছে তা নিম্নরূপঃ

  •  বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে, যার মেয়াদ কমপক্ষে ৬ মাস।
  • নির্দিষ্ট ভিসা আবেদন ফর্ম সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
  •  সাম্প্রতিক সময়ের পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দিতে হবে।
  • ভিসা ফি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধ করতে হবে।
  •  দুবাই ভ্রমণের জন্য এয়ার টিকিটের কপি দেখাতে হবে।
  • হোটেল বুকিং বা দুবাইয়ে থাকার অবাসন প্রমাণপত্র দিতে হবে।
  • যদি কাজের ভিসা হয় তবে দুবাইয়ের কোনো কোম্পানির চাকরির অফার লেটার থাকতে হবে।
  • স্পনসর থাকলে তার স্পনসরশিপ ডকুমেন্টস প্রয়োজন।
  • পর্যটন ভিসার ক্ষেত্রে ফাইনান্সিয়াল সাপোর্টের প্রমাণ দিতে হয়।
  •  ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আর্থিক সামর্থ্যের ডকুমেন্টস দেখাতে হবে।
  • দুবাই কর্তৃপক্ষ চাইলে মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দিতে হতে পারে।
  • পূর্বে দুবাই বা অন্য কোনো দেশে আইন ভঙ্গের ইতিহাস থাকা যাবে না।
  • ভিসার ধরন অনুযায়ী বীমা (Insurance) কভারেজ থাকতে হবে।
  • পরিবারের জন্য ভিসা হলে সম্পর্কের প্রমাণপত্র যেমন জন্মসনদ/বিবাহসনদ দিতে হয়।
  • স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফার লেটার প্রয়োজন।
  • ভিসা মেয়াদ শেষে নির্ধারিত সময়ে দেশ ত্যাগ করতে হবে।
  • UAE সরকারের হালনাগাদ নিয়মকানুন মেনে চলা বাধ্যতামূলক।
  • কোনো ভুয়া বা জাল ডকুমেন্ট জমা দিলে ভিসা বাতিল হবে এবং নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।

দুবাইয়ের সরকারি ঘোষণা

দুবাই ও সাধারণভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) নিয়মিতভাবে নানা সরকারি ঘোষণা ও নতুন রূপান্তরমূলক নীতি প্রকাশ করে থাকে, যা স্থানীয় জনজীবন, অর্থনীতি ও উন্নয়ন পরিকল্পনায় বিশাল প্রভাব ফেলে। ২০২৫ সালেও বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় ঘোষণা হয়েছে।

২০২৫ সালে UAE কর্তৃপক্ষ পরিদর্শক ও পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে নতুন চারটি নতুন ভিজিট ভিসা ক্যাটাগরি চালু করার ঘোষণা দিয়েছে। এসব নতুন ক্যাটাগরির মাধ্যমে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া আরও উদার ও প্রাসঙ্গিক করা হবে। সাধারণভাবে, আগত অতিথি ও বিনিয়োগকারী উভয়ের জন্য।

দুবাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ভবিষ্যতে সকল সরকারি সংস্থা ও তাদের মুল দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের কর্মদক্ষতা মাপার একটি বিশেষ সিস্টেম বাস্তবায়িত হবে। এই “Government Workforce Productivity System” ধাপে ধাপে চালু হবে এবং সরকারি কর্মীদের কার্যকারিতা থাকবে।

দুবাই সরকার নেয়া একটি বড় ঘোষণায় বলা হয়েছে যে, শহরের বৃষ্টির জল নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করার জন্য ১০০ বছরের গভীর টানেল ড্রেনেজ সিস্টেম অনুমোদিত হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের সময় শহর প্লাবন ও জলাবস্থিতি কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সামগ্রিকভাবে, ২০২৫ সালে দুবাইয়ের সরকারের ঘোষণা দেখা যাচ্ছে  উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের দিকে ধাপে ধাপে। ভিসা নীতি সংস্কার, কর্মদক্ষতা মাপা, এবং শহর উন্নয়ন প্রকল্প সবকিছুই একটি সুপরিকল্পিত রাষ্ট্রনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নির্দেশ করছে। ভবিষ্যতে এই ঘোষণাগুলো বাস্তবায়িত হবে।

দুবাইয়ের নিরাপত্তার নিয়ম

দুবাই বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ শহরগুলোর একটি, এবং এ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের দিক থেকে বেশ কিছু কঠোর আইন ও নিয়ম চালু আছে। পর্যটক ও প্রবাসীদের নিরাপত্তা, নৈতিকতা ও সামাজিক শান্তি বজায় রেখে দুবাইয়ের প্রশাসন নিয়মিতভাবে এসব নীতি ও আইন রক্ষণাবেক্ষণ করে।

পাবলিক স্থানে অতিরিক্ত বা অযাচিত স্নেহ দেখানো (public display of affection) আইনত নিষিদ্ধ বা সীমাবদ্ধ। অশ্লীল ভাষা, নিকৃষ্ট হস্তগতি বা গালাগালসে যে ব্যক্তি হোক সেইসব আচরণ আইনগতভাবে গ্রেফতার ও জরিমানার কারণ হতে পারে।

বিদ্যমান ভিসার মেয়াদ শেষ হলে অবৈধভাবে থাকা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত; যদি কেউ ওভারস্টে করে, জরিমানা ও ডিপোর্টেশন হতে পারে। ভ্রমণ বা বাসাবাড়িতে পৌঁছানোর সময়, হোটেল রুম বা আতিথেয়তা প্রদানের ক্ষেত্রে স্পষ্টতা থাকতে হবে।

যেকোনো প্রকার আইন-আদালতের ক্ষেত্রে বা সরকারের নীতি বিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করলে কঠোর আইন প্রয়োগ হতে পারে। যেমন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের সমালোচনা, গুজব ছড়ানো, বা এমন কিছু যা জনসাধারণের শান্তি ও সামাজিক ঐক্য বিঘ্ন ঘটায়।

মাদকের ব্যবহার, পাচার, অবৈধ ওষুধ বা নিয়ন্ত্রণমূলক ওষুধ যথাযথ অনুমতি ছাড়া আনা-নেওয়া করার ক্ষেত্রে শাস্তি ভয়ঙ্কর হতে পারে। মূল্যবান আকাঙ্খাকারী দ্রব্য যেমন সোনা, মূল্যবান রত্ন বা বড় অঙ্কের নগদ অর্থ যদি আনতে হয়, তাহলে তা ঘোষণা করতে হবে।

দুবাই দূতাবাসের তথ্য

দুবাই বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং চাকরির জন্য প্রতিদিন হাজারো মানুষ দুবাই ভ্রমণ করে। এই ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ করতে বাংলাদেশে অবস্থিত সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) দূতাবাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ঢাকায় অবস্থিত দুবাই দূতাবাসের ঠিকানা হলো বারিধারা কূটনৈতিক জোন, যা সহজেই পৌঁছানো যায়। দূতাবাসের অফিস সময় সাধারণত সপ্তাহে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সরকারি ছুটির দিনগুলোতে দূতাবাস বন্ধ থাকে।

দুবাই দূতাবাস মূলত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রদান করে থাকে। যেমন ভিসা আবেদন গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণ, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, জন্মসনদ বা বিবাহ সনদ অ্যাটেস্টেশন, এবং কনস্যুলার সনদ প্রদান। এছাড়া দুবাইতে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য কাজ করতে হবে।

দূতাবাস থেকে সেবা পেতে হলে আবেদনকারীদের অবশ্যই নির্ধারিত কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে বৈধ পাসপোর্ট, আবেদন ফর্ম, ছবি, ভিসা ফি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত ডকুমেন্টস। কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময় কোনো ভুল থাকলে আবেদন বাতিল হতে পারে।

দুবাই দূতাবাস বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য সেবা কেন্দ্র। ভ্রমণ বা চাকরির উদ্দেশ্যে যারা দুবাই যেতে চান, তাদের জন্য দূতাবাসের সঠিক তথ্য জানা এবং নিয়ম মেনে আবেদন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে ভ্রমণ প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়।

দুবাই ভিসা আপডেট ২০২৫

২০২৫ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) বেশ কিছু নতুন ভিসা নীতি ও পরিবর্তন ঘোষণা করেছে, যা দুবাইসহ পুরো UAE-এর ভিসা প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলছে। এই আপডেটগুলো মূলত ভ্রমণ চেষ্টা সহজ করা, বৈধতা বৃদ্ধির সুযোগ ও নিয়ন্ত্রণ ধ tightened করার দিকেই কেন্দ্রিত।

UAE প্রশাসন চারটি নতুন স্পেশাল ভিজিট ভিসা ক্যাটাগরি চালু করেছে AI (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা), ক্রুজ শিল্প, ইভেন্ট ও বিনোদন সংক্রান্ত ভিসা। এছাড়া Humanitarian Residency Permit এবং Business Exploration Visa, ট্রাক চালকদের জন্য।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি পরিবার বা বন্ধুকে স্পনসর করতে চান, তাহলে তাদের আয়ের একটি নির্ধারিত ন্যূনতম স্তর থাকতে হবে। এছাড়া ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত ডকুমেন্টস যুক্ত হয়েছে  যেমন পাসপোর্টের কভারের পাতা (outer cover page) জমা দিতে হবে।

২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে UAE-তে ৩২,০০০+ জনকে ভিসা বিধি লঙ্ঘনের কারণে চিহ্নিত করা হয়েছে।সেই সঙ্গে একটি বড় রেসিডেন্স ভিসা জালিয়াতির কেসে ১৬১ জনকে জরিমানা আর উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি কিছু সংবাদমাধ্যম বলেছে যে ২০২৬ সাল থেকে বাংলাদেশসহ কিছু দেশের জন্য নতুন ভিসা বন্ধ হতে পারে; তবে বাংলাদেশের UAE দূতাবাস ওই সব তথ্য ভুয়া বলে নতুন করে ঘোষণা করেছে। 
যদিও ভবিষ্যতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে, আপাতত ভিসা প্রক্রিয়া বন্ধ নয়।

আরো পড়ুনঃ সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন, বেতন কত 2025

দুবাইয়ে আগমনের নিয়ম

দুবাইতে প্রবেশের জন্য সর্বপ্রথম শর্ত হলো ভিসা পাওয়া। আপনাদের যাদের মনে দুবাই ভিসা কবে খুলবে ২০২৫ এই নিয়ে দ্বিধা আছে তারা চাইলে সবার অপরের হেডিং দুবাই ভিসা কবে খুলবে ২০২৫ পড়ে আসতে পারেন।

অনেক দেশের নাগরিকদের জন্য ট্যুরিস্ট ভিসা ওয়ার্ক ভিসা কিংবা রেসিডেন্স ভিসা প্রয়োজন। কিছু ক্ষেত্রে ভিসা আগেই অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ভিসা হতে পারে অন-অ্যারাইভাল সুবিধা অনুযায়ী আগেই অনুমোদিত ভিসার মাধ্যমেও।

দুবাই-ভিসা-কবে-খুলবে-২০২৫

ভ্রমণকারীর পাসপোর্ট কমপক্ষে ছয় মাস মেয়াদী থাকতে হবে। আগমনের সময় ফ্লাইটের রিটার্ন টিকেট বা onward ticket দেখাতে হতে পারে। থাকতে হবে হোটেল বুকিং বা থাকার ঠিকানা প্রমাণ। এছাড়া প্রয়োজনীয় আর্থিক সামর্থ্য দেখানো জরুরি হতে পারে যেমন ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট বা অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণ।

২০২৫-এ দুবাই বেশিরভাগ COVID-১৯ সম্পর্কিত প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। সাধারণভাবে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট  PCR টেস্ট প্রদর্শনের প্রয়োজন নেই অধিকাংশ পর্যটকের জন্য। তবে কিছু দেশ থেকে আগত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতে পারে যেমন ঘনঘন পরিবর্তনশীল হয়।

ভিসা আবেদন বা এয়ারলাইনে চেক-ইন এর সময় কিছু অতিরিক্ত ডকুমেন্টস জমা দিতে হতে পারে, যেমন পাসপোর্টের কভার পৃষ্ঠা (outer cover page), ফ্লাইটের টিকেট, হোটেল বুকিং, ছবি, ভ্রমণের উদ্দেশ্য ইত্যাদি। এছাড়া প্রবেশপথে অভ্যাগতদের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেক থাকতে পারে।

দুবাইয়ে আগমনের পর স্থানীয় আইন ও সামাজিক রীতি রক্ষা করা জরুরি। প্রচলিতভাবে শুভ আচরণ, ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্মান, উপযুক্ত পোশাক ইত্যাদি বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়। আগমনের পূর্বে ভ্রমণ বিমা বা মেডিকেল ইন্সুরেন্স থাকলে ভালো হয়, জরুরি চিকিৎসা বা দুর্ঘটনায় খরচ শোধন করতে সহায়ক হবে।

দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা

দুবাই বিশ্বব্যাপী শিক্ষার, ব্যবসার ও চাকরির ক্ষেত্রে অন্যতম আকর্ষণীয় দেশ। এখানে চাকরি, higher studies বা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে গেলে শিক্ষাগত যোগ্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (UAE) চাকরি ও ভিসা নীতি অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়।

দুবাইয়ে কাজ করার জন্য সাধারণত ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (Bachelor’s degree) বা সংশ্লিষ্ট পেশায় যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন। কিছু ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল চাকরিতে ডিপ্লোমা বা সার্টিফিকেট যথেষ্ট হতে পারে। চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে কাজের অভিজ্ঞতাও যাচাই করে।

যারা দুবাইতে higher education বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান, তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রমাণিত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আগের শিক্ষাগত রেকর্ড দেখতে চায়। সাধারণত উচ্চ মাধ্যমিক পাশ  থাকা আবশ্যক এবং কিছু ক্ষেত্রে IELTS/TOEFL বা ইংরেজি দক্ষতার সার্টিফিকেট জমা দিতে হতে পারে।

দুবাইয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণভিত্তিক চাকরি যেমন স্বাস্থ্যসেবা, প্রযুক্তি বা নির্মাণ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এখানে ডিপ্লোমা, সার্টিফিকেট কোর্স বা বিশেষ প্রশিক্ষণ থাকা অনেক ক্ষেত্রে চাকরির অনুমোদনে সহায়ক হয়। সংশ্লিষ্ট পেশার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট দেখাতে হয়।

সারসংক্ষেপে বলা যায়, দুবাইতে যাওয়ার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা অবশ্যক। চাকরি বা higher educationউভয়ের ক্ষেত্রেই শিক্ষাগত রেকর্ড, সার্টিফিকেট ও অভিজ্ঞতা যাচাই করা হয়। বাংলাদেশি প্রার্থীদের উচিত আগে থেকে শিক্ষাগত নথি প্রস্তুত রাখা।

পরিশেষে

দুবাই ভিসা কবে খুলবে ২০২৫ সম্পর্কে আজকে আর্টিকেলে আপনারা জানতে পেরেছেন। দুবাই যাওয়ার জন্য কিভাবে আমাদের ভিসা করতে হবে এবং ভিসা আবেদন করা প্রক্রিয়া গুলো কি কি এই সকল কিছু আমরা জানতে পেরেছি আজকের আর্টিকেলটির মাধ্যমে।

দুবাই ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এবং দুবাই যাওয়ার জন্য আমরা দেখি কি যোগ্যতা লাগবে। আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন থাকা দরকার তাও আমরা জেনেছি। তাই নিয়মিত এরকম পোস্ট পেতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এবং আপনি যদি আরো জানতে চান দুবাই ভিসা কবে খুলবে ২০২৫ এবং দুবাই ভিসা নিয়ে, তাহলে সজাগ থাকুন আমাদের পোস্টের আপডেটের জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url