ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

ঘরে বসে আয় ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে এখন আর স্বপ্ন নয়, আপনিও পারবেন শুধু জানতে হবে কার্যকরী উপায় গুলো সম্পর্কে, যা আজকের আর্টিকেলটি পড়লে জানতে পারবেন। আরো জানবেন, প্রতিদিন ইনকাম ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট বিকাশ ও নগদ সম্পর্কে।

ঘরে-বসে-আয়-১৫০০০-২০০০০-টাকা-প্রতি-মাসে

আপনি ঘরে বসে ইনকাম করতে চান কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না, তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। ২০২৫ সালে এসে আপনার স্বপ্ন সত্যি করার সেরা ও কার্যকরী উপায় গুলো সম্পর্কে সম্পূর্ণ গাইডলাইন এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন। যে কোন একটি উপায় কাজে লাগিয়ে মাসে ইনকাম করতে পারবেন অন্তত ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। পোস্ট সূচীপত্রঃ

তাহলে চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।

ঘরে বসে আয় ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

বর্তমান যুগে অনেকেই ঘরে বসে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করতে চান। কারণ এই যুগে পড়াশোনা শেষ করার পর চাকরি পাওয়া যেন সোনার হরিণ। চাকরির বাজার দুর্মূল্য হওয়ায় ঘরে বসে ইনকাম করার আইডিয়ার দিকে প্রচুর মানুষ এখন ধাবিত হচ্ছে।

ঘরে বসে আয় বলতে গতানুগতিক সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস জব না করে, দক্ষতা অনুযায়ী এমন কিছু কাজে নিজেকে নিয়োজিত করা, যে কাজ গুলো নিজের সুবিধামতো সময়ে করা যাবে, কাজ করার ধরা বাধা কোন সময় থাকবে না কিন্তু মাস শেষে ইনকাম হবে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বা এর চেয়ে বেশি।

আর ইন্টারনেটের কল্যাণে ঘরে বসে আয় করাও এখন হয়ে গেছে অনেক সহজ। ইন্টারনেট ও অনলাইন প্লাটফর্ম গুলো টাকা আয় করার জন্য উপযুক্ত জায়গা যেখান থেকে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা কঠিন কিছু নয়।

তাই চাকরির পিছনে না ছুটে আপনি যদি নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে নজর দেন, তাহলে ঘরে থেকে আপনিও উপার্জন করতে পারবেন মাস শেষে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা থেকে লাখ লাখ টাকা। এমনকি পরবর্তীতে আপনি হয়ে উঠতে পারবেন একজন ডিজিটাল উদ্যোক্তা।

বর্তমানে দেশে প্রচুর ডিজিটাল উদ্যোক্তা রয়েছে যারা নিজেরা ইনকাম করার পাশাপাশি, বেকার তরুন তরুণীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।

তাই ঘরে বসে আয় ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করার উপায়গুলো জানতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে মোবাইলে প্যাসিভ ইনকাম করার ১২টি উপায়, প্যাসিভ ইনকাম কি

ঘরে বসে আয় করুন- ফ্রিল্যান্সিং করে

অনলাইন থেকে ঘরে বসে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সহজ উপায় হল ফ্রিল্যান্সিং। অনলাইনে দীর্ঘমেয়াদী ও স্থিতিশীল আয়ের উৎস হলো ফ্রিল্যান্সিং। আপনি যদি ঘরে বসে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার জন্য সেরা উপায় হতে পারে ফ্রিল্যান্সিং।

ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। যে কেউ অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারবেন। জনপ্রিয় কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলো হলঃ Fiverr, Upwork, Freelancer.com, people per Hour, 99 Design, Truelancer, Guru.com.

তবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে ভালো ধারণা বা জ্ঞান লাভ করতে হবে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজ না পারেন বা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকে তাহলে আপনি চাইলেও ইনকাম করতে পারবেন না।

আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখে উপার্জন করতে চান তাহলে সবচেয়ে ভালো হবে আপনার এলাকার আশেপাশের কোন ভালো ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন একটি বিষয় পুরোপুরি ভাবে শেখা। এছাড়া বাড়তি জ্ঞান লাভের জন্য ইউটিউব এবং গুগলের সার্চ দিলে অজস্র ফ্রি ম্যাটেরিয়ালস পেয়ে যাবেন। চাইলে এগুলো কাজে লাগাতে পারেন।

আপনি যদি একবার ফ্রিল্যান্সিং ভালোভাবে শিখে এই সেক্টরে প্রবেশ করেন তাহলে এটি আপনাকে দিবে আজীবন পর্যন্ত ইনকামের নিশ্চয়তা। বর্তমানে অনেকেই ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন এবং তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। আপনি চাইলে আপনার ক্যারিয়ার হিসেবেও ফ্রিল্যান্সিং বেছে নিতে পারেন।

আপনাদের জন্য বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কয়েকটি কাজ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ

ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিংঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কাজটি করে আপনি ঘরে বসে ইনকাম শুরু করতে পারেন তা হল ব্লগিং বা কনটেন্ট রাইটিং। এজন্য আপনাকে SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা শিখতে হবে। তাহলে আপনি নিজের ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে বা কনটেন্ট রাইটিং করে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যখন আর্টিকেল লেখার বিষয়ে পুরোপুরি ভাবে শিখে যাবেন তখন আপনার আর্টিকেল সহজেই গুগোল র‍্যাঙ্ক করাতে পারবেন। এর ফলে বেশি সংখ্যক ভিজিটর আপনার আর্টিকেল পড়তে আসবে।পরবর্তীতে আপনার সাইটে অর্গানিক ট্রাফিক এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে গুগল এডসেন্সের এড দেখিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনঃ ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে শাখাটি বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে তা হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক ডিজাইনের বিভিন্ন কাজ করে আপনি সহজেই প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম শুরু করতে পারেন।

তবে প্রথমে আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইনের যেকোনো একটি কাজ ভালোভাবে শিখতে হবে। এজন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এছাড়া youtube এবং google এ সার্চ দিলেও অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন।

মূলতঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি সৃজনশীল মাধ্যম। এখানে আপনাকে নানা ধরনের ডিজাইন করতে হবে। সেটা হতে পারে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি, ফেসবুক পেজ, যেকোন রেস্টুরেন্ট বা দোকান এর জন্য লোগো, ব্যানার ও পোস্টার তৈরি করা। এছাড়া ক্লায়েন্টদের জন্য আকর্ষণীয় এবং চাহিদা মতো বিজনেস কার্ড তৈরি করা।

ওয়েবসাইট ডিজাইনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর আরেকটি চাহিদা সম্পন্ন কাজ হল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বা ওয়েবসাইট ডিজাইনের কাজ। মূলতঃ একটি ওয়েবসাইট তৈরির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে সকল কাজ করতে হয় সেটাই ওয়েবসাইট ডিজাইন।

আর এই কাজ যিনি করে থাকেন তাকে ওয়েব ডেভলপার বলা হয়। একজন ওয়েব ডেভলপার ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী আকর্ষণীয় ও গুগল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করেন এবং পরবর্তীতে ওয়েবসাইটের যদি কোন মেরামত বা আপডেট করার প্রয়োজন হয় তা একজন ওয়েব ডেভেলপার করে থাকেন।

ওয়েবসাইট তৈরি সংক্রান্ত যেকোনো কাজ যেমনঃ ওয়েবসাইট ডিজাইন করা, সার্ভার তৈরি করা, সিকিউরিটটি, ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ফ্রন্ট এন্ড, ব্যাক এন্ড সবকিছু একজন ওয়েব ডেভেলপার করে থাকেন

আপনি যদি একজন ওয়েবসাইট ডিজাইনার হয়ে ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়ে যথাযথ প্রথমে শিখে নিতে হবে। এজন্য আপনাকে কোডিং, HTML সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। তবে একবার শিখে গেলে আপনি এই কাজ করে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রিঃ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের মধ্যে সহজ একটি কাজ হল ডাটা এন্ট্রি। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের সহজ কোনো কাজ করে ইনকাম শুরু করতে চান তাহলে প্রথমদিকে ডাটা এন্ট্রি কাজ করে ইনকাম শুরু করতে পারেন। এই সেক্টরটি যেহেতু তুলনামূলকভাবে সহজ, তাই এখানে প্রতিযোগী অনেক বেশি।

তবে একবার যদি আপনি ডাটা এন্ট্রি তে দক্ষ হয়ে ওঠেন, দ্রুত টাইপিং করতে পারেন এবং যথাযথভাবে ক্লায়েন্টের ডাটাবেজ ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে মাস শেষে প্রচুর টাকা এই সেক্টর থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

ঘরে বসে আয় করুন- আর্টিকেল লিখে

ঘরে বসে আয় করার জন্য আপনি আরেকটি যে কাজ করতে পারেন তা হল কন্টেন্ট বা আর্টিকেল লেখালেখি করে আয়। আর্টিকেল লিখে বাড়িতে থেকে সহজেই মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে একটু চোখ রাখলে বুঝতে পারবেন, এখানে একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটারের চাহিদা অত্যন্ত বেশি।

ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম গুলো ছাড়াও বড় বড় অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা নিয়মিত একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটার খুঁজে থাকেন। চাইলে আপনি এই সকল ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র ওই নির্দিষ্ট সাইটে চাহিদা অনুযায়ী আপনাকে আর্টিকেল লেখার কাজ করতে হবে।

এছাড়া নিউজ পেপার গুলোতে আর্টিকেল রাইটার প্রয়োজন হয়। এখানেও আপনি নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করে মাসে প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন।

বিভিন্ন বিষয়ের উপর আপনাকে আর্টিকেল লিখতে হতে পারে। যেমনঃ ব্লগিং, কন্টেন্ট লেখা, টেক্সট কনটেন্ট লেখা, স্ক্রিপ্ট লেখা, ফেসবুক পেজ বা youtube এর জন্য কোন লেখা, গল্প, কবিতা ইত্যাদি।

আর্টিকেল লেখালেখি করে আয় করার জন্য আপনাকে আর্টিকেল লেখার বিষয়ে যথাযথ জ্ঞান রাখতে হবে। ইউটিউব বা গুগল থেকে ফ্রিতে আর্টিকেল লেখার উপর বিভিন্ন ভিডিও দেখতে পারেন ও কনটেন্ট পড়তে পারেন। এছাড়া আপনার নিকটবর্তী কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে আর্টিকেল লেখার বিষয়ে কোনো কোর্স কমপ্লিট করতে পারেন।

ঘরে বসে আয় করুন- অনলাইন কোর্স তৈরি করে

ঘরে বসে আয় করার এখন যে কাজটির কথা বলব তা হলো অনলাইন কোর্স তৈরি করে ইনকাম। আপনার যদি একাডেমিক কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর জ্ঞান থাকে ও পারদর্শী হন, যেমনঃ বিজ্ঞান, গণিত, বাংলা, ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান অর্থনীতি ইত্যাদি তাহলে ওই নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর কোর্স তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।

অথবা আপনার যদি বিশেষ কোন কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে সেই বিষয়ের উপর অনলাইন কোর্স তৈরি করে বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। যেমনঃ আপনি যদি রান্না ভালো পারেন তাহলে এই বিষয়ের উপর অনলাইন কোর্স তৈরি করে আয় করতে পারেন। এছাড়া সেলাই, কেক তৈরি ও আইসিং করা এই সকল বিষয়ের উপর অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন।

বর্তমানে অনেক তরুণ তরুণী, গৃহিণী যার যার দক্ষতা অনুযায়ী অনলাইনে কোর্স তৈরি করে এবং তা বিক্রি করার মাধ্যমে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন।

অনলাইনে কোর্স তৈরির জন্য আপনার সিলেক্টেড বিষয়ের উপর আলাদা আলাদা ছোট ছোট অংশে ভাগ করে বিস্তারিত বর্ণনা সহ কোর্স কমপ্লিট করে তা আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পেজে তালিকা করে সাজিয়ে রাখতে পারেন। ইউটিউব চ্যানেল খুলেও আপনার অনলাইন কোর্স বিক্রি করতে পারেন। 

এছাড়া আপনার যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেখানেও আপনি আপনার অনলাইন কোর্স সাজিয়ে রেখে বিক্রি করার মাধ্যমে বাড়তি ইনকাম করতে পারেন।

যাতে যে কেউ আপনার অনলাইন কোর্সগুলো দেখে সহজেই তার প্রয়োজন অনুযায়ী কিনে নিতে পারেন। অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে ঘরে বসে থেকেই কোনরকম বাড়তি ঝামেলা ও খরচ ছাড়া সহজে প্রতিমাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বা এর বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

ঘরে বসে আয় করুন- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে

ঘরে বসে আয় করার আরেকটি সহজ উপায় হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম। এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সহজেই ঘরে বসে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা যায়। বর্তমান যুগে এটি একটি টাকা ইনকাম করার ডিমান্ডটেবল সেক্টর। বহু মানুষ এই উপায়ে মাসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে কোন পণ্যের প্রচার করে বিক্রি করাকে বুঝিয়ে থাকে। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য প্রথমে কোন একটি পণ্যের এফিলিয়েট লিংক তৈরি করতে হয়, যে লিঙ্কে ক্লিক করিয়ে পণ্য বিক্রি করে টাকা ইনকাম করা যায়।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন ই-কমার্স সাইটে এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হবে। যেমনঃ অ্যামাজন, দারাজ, রকমারি ইত্যাদি। তারপর ই-কমার্স সাইটের কোন পণ্যের লিংক আপনার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেলে ক্রিয়েট করতে হবে। 

কোন ক্রেতা যখন ওই লিংকে ক্লিক করে পণ্যটি ক্রয় করবে তখন আপনি পণ্যটি বিক্রয়ের উপর একটি কমিশন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার লিংকে যত বেশি ক্রেতা ক্লিক করে পণ্যটি ক্রয় করবে তত বেশি আপনার ইনকাম হবে। তাই আপনার ফেসবুক পেজ বা youtube চ্যানেলে প্রচুর সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার থাকা জরুরী।

ঘরে বসে আয় করুন- ওয়েবসাইট বানিয়ে

ঘরে বসে আয় করার বর্তমান সময়ের আরেকটি জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন কাজ হলো ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রি করা। ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রি করে ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে ওয়েবসাইট বানানো শিখতে হবে।

এই কাজটি না শিখে আপনি কোনভাবেই ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন না। তাই যে কোন বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথমে আপনাকে ওয়েবসাইট বানানো কাজ শিখতে হবে। একবার যখন আপনি ওয়েবসাইট বানানো শিখে যাবেন তখন এই সেক্টর থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কারণ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সারা বিশ্ব থেকে ক্লায়েন্টরা নিয়মিত ওয়েবসাইট অর্ডার দিতে আসে বা ক্রয় করতে আসে। আপনি ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী ওয়েবসাইট তৈরির সেবা বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।

এছাড়া আরেকটি উপায়ে আপনি ওয়েবসাইট বানিয়ে ইনকাম করতে পারবেন তা হল, প্রথমে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ওই সাইটে নিয়মিত কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে। আপনি যখন নিয়মিত গুণগত মানসম্মত কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন এবং আপনার কন্টেন্টের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ টি হবে, তখন আপনার সাইটে বেশি সংখ্যক ভিজিটর আসা শুরু করবে।

এই পর্যায়ে আপনি গুগলে আপনার সাইটে অ্যাড দেখানোর জন্য এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আপনার সাইটে যখন গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে যাবে তখন সাইটে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে এবং এই বিজ্ঞাপনের জন্য আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এখন আপনি এই সাইটটি অন্তত ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা অথবা এর চেয়েও বেশি টাকায় বিক্রি করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট বানিয়ে বিক্রি করে অনেকে মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন। তাই আপনিও যদি এই কাজটি শিখতে পারেন তাহলে সহজে প্রতি মাসে ইনকাম করতে পারবেন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বা এর চেয়ে বেশি।

ঘরে বসে আয় করুন- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে

ঘরে বসে আয় করার এখন যে কাজটির কথা বলব তা হল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে ইনকাম। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে বর্তমানে অনেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। চাইলে আপনিও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সেবা দিয়ে মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম শুরু করতে পারেন।

বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের অথবা কোন ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট পরিচালনা করাকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলে। আর আপনি যখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ করবেন তখন আপনি হয়ে উঠবেন একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটের। এই কাজের একটি বিশেষ সুবিধা হল একসাথে অনেকগুলো ক্লায়েন্টের কাজ করে আপনি ঘরে বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

একটু খুঁজলেই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের কাজ পেয়ে যাবেন। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সেবা বিক্রি করে ইনকাম করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কি এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কিভাবে করে এ বিষয়ে যথাযথ ধারণা থাকতে হবে। এই বিষয়ে আপনি ইউটিউব বা গুগল থেকে ধারণা নিতে পারেন অথবা একটি কোর্স কমপ্লিট করতে পারেন।

ঘরে বসে আয় করুন- ভিডিও এডিটিং করে

ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য আপনি এমন একটি উপায় খুঁজছেন যা একই সাথে শেখা সহজ এবং টাইম সেভিং। তাহলে আজকে থেকে আপনি যে স্কিল শেখা শুরু করতে পারেন সেটা হল ভিডিও এডিটিং। ২০২৫ সালের সবচেয়ে সহজ, জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন একটি স্কিল হলো ভিডিও এডিটিং।

ভিডিও এডিটিং করে বর্তমানে অনেকেই মাসে ১৫০০০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা বা এর বেশি টাকা ইনকাম করছেন।

ইউটিউবে আমরা প্রতিদিন হাজার হাজার ভিডিও দেখতে পাই। এই ধরনের ভিডিও ইউটিউবাররা তৈরি করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন। এজন্য একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর ইউটিউবরা সব সময় খুঁজে থাকেন।

শুধু ইউটিউব নয় বর্তমান সময়ে ফেসবুক পেজ এর ভিডিও, রিলস, ইনস্টাগ্রাম রিলস, টিক টক ভিডিওর জন্য একজন ভালো ভিডিও এডিটর প্রয়োজন হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় বা অফিসের প্রেজেন্টেশান, যে কোন বিষয়ের অনলাইন কোর্স অথবা কোন পণ্য বা সেবার উপর প্রোমো ভিডিও তৈরি করার জন্য দরকার একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর।

তাহলে বুঝতেই পারছেন বর্তমান সময়ে একজন দক্ষ ভিডিও এডিটর এর চাহিদা কেন এত বেশি এবং কেন এই স্কিলটি আপনি শিখতে পারেন।

ভিডিও এডিটিং কাজ শিখে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলো, যেমনঃ ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, guru.com এ ভিডিও এডিটিং এর কাজ করতে পারবেন। এছাড়া বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ, ইনস্টাগ্রাম গ্রুপ, ভিডিও এডিটরস অফ বাংলাদেশ, বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সার্স সহ ব্যক্তিগতভাবে ইউটিউব বা টিক টক চ্যানেল মালিকদের সাথে যোগাযোগ করেও ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।

ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি স্মার্ট ফোন বা ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট সংযোগ। ইউটিউবে সার্চ দিলে হাজার হাজার ভিডিও পাবেন ভিডিও এডিটিং বিষয়ে। ইউটিউবের এই সকল ভিডিও এডিটিং টিউটোরিয়াল ভিডিও দেখে আপনি সহজেই ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন। 

সবচেয়ে সুবিধার কথা হলো এই সকল ভিডিওর বেশিরভাগই ফ্রি অর্থাৎ আপনার কোন রকম টাকা পয়সা খরচ করতে হবে না। চাইলে করতে পারেন একটি স্বল্পমেয়াদি ভিডিও এডিটিং কোর্স।
ঘরে-বসে-আয়-১৫০০০-২০০০০-টাকা-প্রতি-মাসে

ঘরে বসে আয় করুন- গ্রাফিক্স ডিজাইন করে

আপনি যদি ঘরে বসে আয় ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে করতে চান তাহলে বর্তমানে আরেকটি জনপ্রিয় উপায় আপনার তালিকায় রাখতে পারেন, আর সেটি হলো ডিজাইন তৈরি করে তা সেল করা। অর্থাৎ গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ শিখে ইনকাম করা।

এক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনের বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে যে কোনো একটি বা দুটি স্কিল একসাথে শিখতে পারেন। গ্রাফিক ডিজাইন যেহেতু একটি সৃজনশীল কাজ, তাই এ কাজটি অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে শিখতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় যে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে একটি গ্রাফিক ডিজাইনের উপর কোর্স করা।

আরো পড়ুন: বিশ্বস্ত সাতটি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট 2025

মোটকথা, আপনার যদি ডিজাইন করতে ভালো লাগে এবং এই সেক্টরে আপনার আগ্রহ থাকে তাহলে সহজেই হয়ে উঠতে পারেন একজন গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস প্রোভাইডার। এবং মাস শেষে ইনকাম করুন ১৫০০০ ২০০০০ থেকে লাখ লাখ টাকা।

একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন সেবা প্রদান করে ইনকাম শুরু করতে পারেন। যেমনঃ

  • লোগো ডিজাইন
  • ব্যানার
  • পোস্টার
  • টি শার্ট ডিজাইন
  • ফেসবুক বিজনেস পেজ ডিজাইন
  • বইয়ের কাভার, মগ ইত্যাদি ডিজাইন

গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ঘরে বসে ইনকাম করার জন্য প্রথমে যে সহজ প্ল্যাটফর্ম গুলোর কথা বলব তা হল বিভিন্ন ফিলাসিং মার্কেটপ্লেস। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে এই ধরনের ডিজাইনের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। বিশেষ করে লোগো, বিজনেস কার্ড, পোস্টার ও ব্যানার এই ধরনের ডিজাইনগুলোর জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলো হলো বেস্ট। যেমনঃ Fiverr, Upwork, Freelancer.com, 99 Design.

এছাড়া বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটগুলোতে টি শার্ট, মগ বা বইয়ের ও ফোনের কাভার ডিজাইন আপলোড করেও আপনি মাস শেষে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট গুলোর মধ্যে রয়েছে, যেমন: Amazon, Red Bubble, Etsy, Gumroad ইত্যাদি।

ঘরে বসে আয় করুন- কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে

ঘরে বসে প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার জন্য বর্তমান সময়ের আরেকটি সেরা এবং জনপ্রিয় উপায় হলো কন্টেন্ট ক্রিয়েশন। অর্থাৎ ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে ইনকাম। কন্টেন্ট ক্রিয়েশন করে বর্তমানে অনেকেই মাস শেষে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। কারন এখন ভিডিও কনটেন্ট এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।

আপনার যদি কন্টেন্ট ক্রিয়েশনে আগ্রহ থাকে তাহলে ইউটিউবে সার্চ দিলে হাজার হাজার ভিডিও পাবেন এই বিষয়ে। এই ভিডিওগুলো দেখে আপনি ভিডিও বানানোর প্রাথমিক ধারণা নিতে পারেন।

তাছাড়া বর্তমান যুগে কন্টেন্ট ক্রিয়েশন গত কয়েক বছর তুলনায় অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে আপনি সহজে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন।

ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করার স্কিল শিখে আপনার নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল বা ফেসবুকে ভিডিও, রিলস, শর্টস ভিডিও আপলোড করতে পারেন। ট্রেন্ডিং যেকোনো বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করে মনিটাইজেশন এপ্রুভ করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

এছাড়া আরেকটি কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম হল বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। মার্কেটপ্লেসগুলোতে একটু খুঁজলেই আপনি ভিডিও তৈরির কাজ বিভিন্ন ক্লায়েন্টের নিকট থেকে পেতে পারেন।

ঘরে বসে আয় করুন- ডিজিটাল মার্কেটিং করে

২০২৫ সালে ঘরে বসে আয় ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে অর্থ উপার্জন করার জন্য আরেকটি সহজ উপায় হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। বলা যায় বর্তমান যুগ ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগ। এখন  প্রতিটি ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং প্রয়োজন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল ডেভেলপ করে আপনিও হতে পারেন ভবিষ্যতের একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটর। 

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে কোন কোম্পানির পণ্য বা সেবার প্রচার করাকে বুঝিয়ে থাকে। অর্থাৎ পণ্য বা সেবা সম্পর্কে মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছনোকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। আর এই কাজের জন্য কোম্পানিগুলোর একজন ডিজিটাল মার্কেটের প্রয়োজন হয়। এবং যিনি এই কাজটি করে থাকেন তাকে ডিজিটাল মার্কেটর বলা হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, এস ই ও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন), ওয়েবসাইট মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি।

বর্তমান যুগে বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল মার্কেটিং ছাড়া প্রায় অচল বলা চলে। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং করে কোম্পানিগুলো তাদের প্রচার চালিয়ে থাকে। তাই এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিনিয়তই একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটের চাহিদা থাকে। আপনি এসব প্রতিষ্ঠানে আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং জ্ঞান বিক্রি করতে পারেন।

এছাড়া অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি বা গ্রুপ খুলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অন্যদের মতো মাস শেষে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট খুলে এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখে google এডসেন্সের এড দেখিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারেন।

বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো হতে পারে আপনার আদর্শ জায়গা। কারণ এখানে আপনি ডিজিটাল মার্কেটে মার্কেটিং এর যে কোন শাখার সেবা বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। এখানে আপনি একজন এসইও এক্সপার্ট, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং করার মত কাজগুলো সহজেই পেয়ে যাবেন।

বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম গুগল ইত্যাদি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা প্রদান করে ইনকাম করতে পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে এই বিষয়ের উপর একটি কোর্স কমপ্লিট করলে সম্যক জ্ঞান অর্জন করবেন। আপনার এলাকার কাছাকাছি কোন ইনস্টিটিউট বা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে স্বল্পমেয়াদি বা দীর্ঘমেয়াদি কোন কোর্স করতে পারেন। এছাড়া ইউটিউবে সার্চ দিলে হাজার হাজার ভিডিও পাবেন ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে। এই ভিডিও গুলো দেখতে পারেন।

ঘরে-বসে-আয়-১৫০০০-২০০০০-টাকা-প্রতি-মাসে

প্রতিদিন ইনকাম ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট বিকাশ ও নগদ

আপনি যদি প্রতিদিন ১০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করে বাংলাদেশী পেমেন্ট মেথড বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ুন। এমনিতে অনলাইনে অনেক কার্যকর ও সহজ উপায় রয়েছে যেখানে সময় দিয়ে আপনি সহজেই দিনে অন্তত ১০০ থেকে ৫০০ টাকা মত ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার যদি টাকা ইনকামের শক্তি ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকে তাহলে দিনে ১০০ টাকা ইনকাম করা কোন কঠিন কিছু নয়। তবে দৈনিক ১০০ টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে সময় ও পরিশ্রম দিতে হবে।

এমন অনেক উপায় রয়েছে যেখানে যথাযথ মেধা ও শ্রম বিনিয়োগ করলে ১০০ টাকা কেন, ডেইলি ৫০০ বা এর বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন, শুধু আপনাকে সঠিক উপায় সম্পর্কে জানতে হবে।

আপনাদের মধ্যে অনেকের দিনে ১০০ টাকা ইনকাম করার ইচ্ছা থাকলেও সঠিক উপায় ও সঠিক গাইডলাইনের অভাবে ইনকাম করতে পারেন না। তবে এখন আর চিন্তার কিছু নেই, আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ে জেনে নিন অনলাইন থেকে কিভাবে আপনি সহজেই প্রতিদিন ১০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করে বিকাশ বা নগদে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

আর্টিকেল লিখে আয়ঃ দিনে ১০০ টাকা ইনকাম করার সহজ ও জনপ্রিয় একটি উপায় হল বাংলা ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে আয় করা। অনলাইনে খুঁজলে এমন কিছু ওয়েবসাইট পাবেন যেখানে প্রতিদিন আর্টিকেল লিখে দৈনিক ১০০ টাকা আয় করতে পারবেন। এরকম দুটি ওয়েবসাইট হলোঃ Hotovaga.com, Passiondrivefiona.com. এই সাইট দুটিতে আর্টিকেল লিখে দিনে ১০০ টাকা আয় করে বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে আয়ঃ অনলাইনে প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে সহজে আপনি ডেইলি ১০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করতে পারেন। ডিজিটাল পণ্য তৈরি করে বিক্রি করার জন্য আপনার কোন রকম স্টক রাখতে হবে না কোনো রকম অন্যান্য cost বহন করতে হবে না। আপনি শুধু আপনার ডিজিটাল পণ্য গুলো বিভিন্ন প্লাটফর্মে আপলোড করবেন এবং বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

ডিজিটাল পণ্যের মধ্যে রয়েছেঃ টি-শার্ট ডিজাইন, ফোন ও বইয়ের কাভার, ওয়েডিং কার্ড ডিজাইন, বিভিন্ন টেমপ্লেট, ইনকাম এন্ড এক্সপেন্স সিট ইত্যাদি। Shopify store, Etsy, Gumroad এর মত প্লাটফর্মে আপনার ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করতে পারেন।

সার্ভে করে আয়ঃ দিনে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা আয় করার আরেকটি জনপ্রিয় ও সহজ উপায় অনলাইনে সাইট ও এপস গুলোতে সার্ভে করে আয় করা। Swagbucks, Toluna, Inboxdollar এর মত সাইটে সার্ভেতে অংশগ্রহণ করে দিনে অন্তত ১০০ টাকা নিশ্চিত ইনকাম করতে পারবেন এবং বিকাশ বা নগদে আপনার পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারবেন।

রেফার করে আয়ঃ অনলাইনে বেশিরভাগ সাইট ও অ্যাপসগুলো রেফার কোড শেয়ার করার মাধ্যমে ইনকাম করার সুযোগ প্রদান করে। এই সকল সাইট ও অ্যাপ গুলোতে নানা ধরনের মাইক্রো টাস্ক সম্পূর্ণ করে ইনকাম করা যায়। আর রেফার করে আয় করার সুযোগ দিয়ে ব্যবহারকারীদের বাড়তি ইনকামের পথ তৈরি করে দেয় এই সকল সাইট ও অ্যাপস। 

আপনি যদি অন্যান্য টাস্ক নাও করেন শুধুমাত্র আপনার বন্ধুবান্ধব ও পরিচিত জনদের মধ্যে রেফার করেও দিনে অন্তত ১০০ টাকা আয় করতে পারেন। এবং বিকাশে বা নগদে পেমেন্ট নিতে পারেন।

ছবি বিক্রি করে আয়ঃ দিনে অনলাইন থেকে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা টাকা আয় করে বিকাশ বা নগদে পেমেন্ট নেওয়ার আরেকটি সহজ ও কার্যকরী উপায় হল ছবি বিক্রি করে ইনকাম করা। অনলাইনে বিভিন্ন টপ ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনার তোলা ছবি ও ভিডিও বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন। এই সকল সাইটে শুধু ছবি ও ভিডিও নয়, আপনার যে কোন ডিজাইন বিক্রি করেও ইনকাম করতে পারবেন।

গেম খেলে আয়ঃ দিনে অন্তত ১০০ থেকে ৫০০ টাকা আপনি সহজেই ইনকাম করতে পারেন অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপস এ গেম খেলে। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম বেশিরভাগ সময় মোবাইলে গেম খেলে কাটায়। এই সময়টা অনায়াসে বিভিন্ন গেমিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ফ্রি গেম খেলে নিজের হাত খরচের মত টাকা ইনকাম করতে পারেন। Taka Income Pro, Daily Income, Taka Income অ্যাপে গেম খেলে টাকা আয় করে বিকাশ বা নগদে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

ভিডিও আপলোড করে আয়ঃ আপনার যদি ভিডিও ধারণ ও ভিডিও এডিটিং এ আগ্রহ থাকে তাহলে আপনার প্রতিদিনের কার্যাবলী ডেইলি ভ্লগ হিসেবে ইউটিউব ও ফেসবুকে আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন। এই উপায়ে লং ভিডিও থেকে শুরু করে, রিলস তৈরি করে ও শর্টস ফরমেটে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে দিনের সহজেই ১০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

ই কমার্স ব্যবসা করে আয়ঃ ই-কমার্স ব্যবসা করে অনলাইন থেকে আয় করা এখন জনপ্রিয় একটি ইনকাম করার পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করবেন এবং আয় করবেন। কিন্তু আপনার কোনরকম উৎপাদন খরচ ও রেডি স্টক লাগবেনা। 

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা ফেসবুক পেজে পণ্যের তালিকা সাজিয়ে রাখবেন, কোন ক্রেতা পণ্য ক্রয় করলে আপনি সরাসরি ই-কমার্স সাইটগুলো থেকে ওই পণ্যটি ক্রয় করে ক্রেতার নিকট পাঠিয়ে দিবেন। এই উপায়ে আপনি সহজেই দিনে ৫০০ থেকে ১০০০ বা এর চেয়ে বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে টিচিং করে আয়ঃ আপনি যদি দিনে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করে বিকাশ বা নগদে পেমেন্ট নিতে চান, তাহলে অনলাইন টিউটোরিং হতে পারে আরেকটি সেরা উপায়। এই উপায়ে তরুণ প্রজন্ম বর্তমানে দিনে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ইনকাম করছেন। আপনি নিজে ফেসবুক পেজ খুলে অনলাইনে টিচিং সেবা দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

অথবা অনলাইনে বিভিন্ন টিউটরিং সাইটে টিচার হিসেবে যোগ দিয়ে অনায়াসে দিনে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ACS Future School, 10 Minute School বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইনে টিচিং সেবা প্রতিষ্ঠান।

মোবাইল অ্যাপে মাইক্রো টাস্ক করে আয়ঃ আপনার মোবাইলে সার্চ দিলে প্রচুর মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন পেয়ে যাবেন যেখানে নানা ধরনের মাইক্রো টাস্ক গুলো সম্পন্ন করে দিনে অন্তত ১০০ থেকে ৫০০ ইজিলি ইনকাম করতে পারবেন। বলা যায় বিনা দক্ষতায় শুধুমাত্র সময় ব্যয় করে টাকা ইনকাম করার সেরা উপায় হল মোবাইল অ্যাপ। 

এই মোবাইল অ্যাপ গুলোতে আপনি নানা ধরনের ছোট ছোট কাজগুলো করতে পারবেন, যেমনঃ ভিডিও দেখে আয় করা, অ্যাড দেখে আয় করা, অ্যাপ টেস্ট করে আয় করা, শেয়ার করে আয় করা, ক্যাপচা পূরণ করে আয় করা, অ্যাপ ইন্সটল করে আয় করা, ওয়েবসাইট ভিজিট করে আয় করা ইত্যাদি। Taskbucks, Swagbucks, Adwallet, Givvy Videos ইত্যাদি।

FAQ: ঘরে বসে আয় ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে

প্রশ্নঃ ঘরে বসে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?
উত্তরঃ ঘরে বসে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে আপনি টাকা আয় করতে পারেন। জনপ্রিয় কয়েকটি টাকা আয় করার ধারণার নিচে দেয়া হলঃ
  • মার্কেটপ্লেসে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
  • ব্লক ওয়েবসাইটে ব্লগিং করে আয়
  • আর্টিকেল লিখে বা লেখালেখি করে আয়
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং করে
  • Youtube চ্যানেল খুলে
  • ফেসবুক পেজ খুলে
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে
প্রশ্নঃ মাসে ২০ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায় কি কি?

উত্তরঃ মাসে বিশ হাজার টাকা ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন স্কিল্ড ভিত্তিক কাজ বাছাই করতে হবে। এই ধরনের কাজের মধ্যে রয়েছেঃ
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
  • অনলাইন কোর্স বিক্রি
  • অনলাইনে টিউটোরিং
  • একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ড্রপ শিপিং
প্রশ্নঃ মেয়েদের কিভাবে ঘরে বসে ইনকাম করার উপায়?
উত্তরঃ বর্তমানে মেয়েরা ঘরে বসে বিভিন্ন উপায়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করছেন। জনপ্রিয় কিছু টাকা আয় করার উপায় নিচে দেয়া হলোঃ
  • হাতের জিনিসপত্র তৈরি ও বিক্রি করা
  • ফেসবুক পেজ খুলে ভিডিও আপলোড করা
  • অনুবাদকের কাজ করা
  • ইন্সুরেন্স পি ও এস পি কাজ করা
  • একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে
  • ব্লগিং করে
  • ভয়েস ওভারের কাজ করে
  • ট্রাভেল প্ল্যানার হয়ে

প্রশ্নঃ ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার পদ্ধতিকে কি বলে
উত্তরঃ ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করার জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি হল ফ্রিল্যান্সিং। দক্ষতা অনুযায়ী নিজের স্বাধীনভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন একটি বা দুটি কাজ করে টাকা আয় করা যায়। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই ওই কাজে বিশেষ দক্ষ হতে হবে।

লেখকের মতামত

প্রিয় বন্ধুরা, ঘরে বসে আয় ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে ইনকাম করার বর্তমান সময়ের সবচেয়ে ডিমান্ডেবল ১০টি স্কিল সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানিয়েছি। আপনি যদি ২০২৫ সালে এসে কোন একটি স্কিল শিখে নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে চান তাহলে আজকে্র আর্টিকেলে উল্লেখিত যেকোন একটি স্কিল শেখা শুরু করতে পারেন।

এই স্কিলগুলো শুধু 2025 সাল নয় বরং ২০২৬, ২০২৭ থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করবে। এবং আপনি যদি পুরো একটি স্কিল দক্ষতার সাথে শিখতে পারেন তাহলে এটি হতে পারে আপনার দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীল ইনকামের উৎস।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url