ইনভেস্ট ছাড়া অ্যামাজনে টাকা ইনকামের উপায়, টাকা ইনকামের আইডিয়া
ইনভেস্ট ছাড়া অ্যামাজনে টাকা ইনকাম
বর্তমানে ইনভেস্ট ছাড়া অ্যামাজনে টাকা ইনকাম করা দারুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে লোকজন এখন অ্যামাজন থেকে প্রতিনিয়ত টাকা ইনকাম করছে। অ্যামাজনে টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো খুব সহজ, কিন্তু আপনি যদি এ বিষয়ে বিস্তারিত না জানেন তাহলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা ২০২৫
আপনি হয়তো কোন বিষয়ে দক্ষ, আবার আপনার হয়তো জনপ্রিয় ব্লগ সাইট বা ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। কিন্তু আমাজন থেকে টাকা ইনকামের উপায় সম্পর্কে হয়তো আপনার ধারণা নেই। তাহলে আর দেরি না করে এই ব্লগ পোষ্টটি পড়ে জেনে নিন অ্যামাজন থেকে টাকা ইনকামের উপায় সম্পর্কে।
বলা যায়, ডিজিটাল যুগে কোনরকম বাধা বিঘ্ন ছাড়া ঘরে বসে টাকা খরচ না করে ইনকাম করার উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম অ্যামাজন। তাছাড়া অ্যামাজন এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি কম পরিশ্রমে আপনার দক্ষতা, আগ্রহ ও বাজারের চাহিদার সমন্বয় ঘটিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমান যুগে অনলাইন থেকে সহজে ইনকাম করার জন্য আমাদের স্মার্ট উপায় এর দিকে অগ্রসর হতে হবে, যেখানে কম পরিশ্রম, বিনা ইনভেস্টমেন্ট ও কম দক্ষতার প্রয়োজন হবে কিন্তু টাকা উপার্জন করা যাবে প্রচুর। যে সুযোগটি তৈরি করে দিয়েছে অ্যামাজন।
নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন ইনভেস্ট ছাড়া অ্যামাজনে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় ও ইউনিক ৫টি আইডিয়া সম্পর্কে।
অ্যামাজন কিন্ডল ডাইরেক্ট পাবলিশিং
বর্তমান সময়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার অন্যতম কার্যকরী একটি উপায় হল KDP ( Kindle Direct Publishing). মূলতঃ কেডিপি হল জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের একটি ই-বুক প্রকাশনা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে পাবলিশাররা নিজের বই পাবলিশ করে টাকা আয় করে থাকেন।
নিচে দেখে নিন কেডিপি থেকে ইনকাম করার প্রক্রিয়াঃ
কেডিপি থেকে ইনকামের জন্য প্রথমে আপনাকে অ্যামাজন এর কিছু সহজ ফ্রি টুলস ব্যবহার করে নিজের বই পাবলিশ করতে হবে। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা গ্রাহকরা যখন আপনার ডিজিটাল বইটি ক্রয় করবে তখন আপনার ইনকাম হবে। একটি বই শুধুমাত্র একবার পাবলিশ করলে আপনার ইনকাম হতে থাকবে।
এখানে আপনি নিজেই পাবলিশার। শুধু তাই নয়, কেডিপি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনার বইয়ের কনটেন্ট থেকে শুরু করে ডিজাইন, দাম, গ্রাহক, বিজ্ঞাপন সবকিছুই আপনি নিজে কন্ট্রোল করতে পারবেন।
কেডিপি প্ল্যাটফর্মে আপনার বই প্রিন্ট এবং ডিজিটাল ফরমেট দুই ভাবে প্রকাশ করতে পারবেন। ই বুকের ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার বইয়ের মেনো স্ক্রিপ্ট আপলোড করতে হবে এবং সারা বিশ্বের কিন্ডাল স্টোরে বন্টন করে আয় করতে পারবেন। আপনি অ্যামাজনের কিন্ডেল আনলিমিটেড এর মাধ্যমে বেশি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে পারেন ও বেশি আয় করতে পারেন।
এছাড়া আপনার বই প্রিন্ট আকারে প্রকাশ করে amazon সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিবে। এটা নির্ভর করবে আপনার বইয়ের চাহিদার উপর। আপনি এখানে আপনার বই পাবলিশ করার বাহাত্তর ঘন্টার মধ্যে সারা পৃথিবীর গ্রাহকরা দেখতে পাবে।
এখানে আপনি যে ধরনের বই পাবলিশ করতে পারবেন তা এক নজরে দেখে নিনঃ
- চিল্ড্রেন বুকস
- থ্রিলার অ্যান্ড সাসপেনশন
- সাইন্স ফিকশন
- বায়োগ্রাফি
- শর্ট স্টোরিজ
- রোমান্স
- লিটারেচার এবং ফ্রিকশন
- কমিক্স এবং গ্রাফিক্স নভেল
- টিনএজ এবং অ্যাডাল্ট এজ
- নন ফিকশন
- বিজনেস এবং ইনভেস্টমেন্ট সহ আরো বিভিন্ন ক্যাটাগরির বই।
- এখানে আপনি কিন্ডল আনলিমিটেড থেকে আপনার বইয়ের প্রতি পেজ পড়ার জন্য ইনকাম করবেন। তবে এক্ষেত্রে কিন্ডল সিলেক্টে আপনার বই এন রোল করতে হবে।
- আপনার ই বইয়ের কনটেন্টের ধরন এবং কোন দেশে বিক্রি হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে আপনি দুই ধরনের রয়েলটি পেতে পারেন, যেমনঃ ৭০% অথবা ৩৫%।
- কেডিপি এর মাধ্যমে আপনার প্রিন্ট বই বিক্রি হওয়ার ৬০% এর বেশি রয়েলটি পেতে পারেন।
বর্তমানে আমাদের দেশের অনেকেই এখন এই উপায়ে মাস শেষে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। আপনি লেখালেখিতে ভালো কিন্তু আপনার এই দক্ষতাকে কিভাবে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করবেন তা হয়তো জানেন না। আপনি যদি এখন জেনে থাকেন, তাহলে এই সুযোগ কাজে লাগে ইনকাম করা শুরু করতে পারেন এখনই।
অ্যামাজন মার্চ অন ডিমান্ড
অ্যামাজনে বর্তমান সময়ে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার আরেকটি কার্যকরী উপায় মার্চ অন ডিমান্ড (Merch on Demand) সেক্টর। অ্যামাজনে আপনি একজন প্রিন্ট অন ডিমান্ড প্ল্যাটফর্মে বিক্রেতা হয়ে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারেন।
এখানে আপনি নিজের ডিজাইন করা টি শার্ট, মগ, ক্যাপ, হুডি, বইয়ের ক্যানভাস, নোটবুক আপলোড করবেন, বিক্রয় মূল্য নিজে নির্ধারণ করে প্রফিট তুলে নিতে পারবেন।
চলুন নিচে দেখে নেওয়া যাক অ্যামাজনে মার্চ অন ডিমান্ড থেকে কিভাবে ইনকাম করবেনঃ
এমাজনে আপনি একজন মার্চ অন ডিমান্ড কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ইনকাম করার যাত্রা শুরু করতে পারেন। আপনার মধ্যে যদি সৃজনশীলতা থাকে এবং আপনি ডিজাইনের দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে এই সেক্টরে কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এই প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য প্রথমেই আপনাকে সাইন আপ করার প্রয়োজন হবে। সাইনআপ করার পর আপনার তৈরি করা শিল্পকর্ম আপলোড করতে পারবেন। আপনাকে শুধু প্রোডাক্ট আপলোড করে আপনার পন্যের টাইপ বা ধরন, রং এবং পণ্যের একটি বর্ণনা দিতে হবে। সাথে দিতে হবে আপনার পণ্যটির একটি লাভজনক দাম।
ব্যস এটুকুই শুধু আপনার কাজ। বাকি কাজ করবে অ্যামাজন মার্চ অন ডিমান্ড প্ল্যাটফর্ম।
অর্থাৎ অ্যামাজনে আপনার পণ্যের একটি পেজ তৈরি হবে। সারা বিশ্ব থেকে কোন ক্রেতা বা গ্রাহক যখন আপনার আপলোড করা পণ্যটি পছন্দ করে ক্রয় করবে, তখন অ্যামাজন তা উৎপাদন থেকে শুরু করে গ্রাহকদের নিকট বোঝানো পর্যন্ত বাকি কাজ করবে। এই উপায়ে সারা বিশ্বব্যাপী অ্যামাজন মার্চ অন ডিমান্ড আপনার পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
একটি পণ্য একবার আপলোড করার পর যত বেশি বিক্রি হবে তত বেশি আপনার ইনকাম হবে। অর্থাৎ এখানে আপনার কোন উৎপাদন খরচ, শিপিং কস্ট এবং কাস্টমার সার্ভিস কস্ট কিছুই নেই। আপনি শুধু আপনার পণ্যটি আপলোড করবেন আর ইনকাম করবেন। অ্যামাজন থেকে এভাবে আপনি প্রতিটি পণ্যের জন্য মাসিক রয়েলটি ভিত্তিতে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ডিজাইনে দক্ষ হন তাহলে কেন এই সুযোগ কাজে লাগাবেন না। এখনই আমাজনে প্রিন্ট অন ডিমান্ডে সাইন আপ করে নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ঝামেলা হীন ভাবে ইনকাম করা শুরু করুন।
অ্যামাজন ইনফ্লুয়েন্সার প্রোগ্রাম
আপনি যদি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে থাকেন এবং আপনার যদি হাজার হাজার ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনি অ্যামাজন ইনফ্লুয়েন্স প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে এফিলিয়েট কমিশন অর্জন করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইনে সহজ উপায়ে টাকা আয়ের এটিও একটি জনপ্রিয় ও কার্যকরী উপায়।
আপনি একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং আপনি চাচ্ছেন অনলাইন থেকে বাড়তি ইনকাম করার, সে ক্ষেত্রে সহজে আপনি আমাজন ইনফ্লুয়েঞ্চার প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারেন এবং আপনার এক্সট্রা উপার্জন নিশ্চিত করতে পারেন।
নিচে দেখে নিন অ্যামাজন ইনফ্লুয়েন্স প্রোগ্রামে আপনি কিভাবে ইনকাম করবেনঃ
আপনি যদি একটি জনপ্রিয় ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট ও ইউটিউব চ্যানেল মালিক হয়ে থাকেন এবং আপনার চ্যানেলের হাজার ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনি অ্যামাজনে ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবেন।
অ্যামাজন ইনফ্লুয়েন্সের প্রোগ্রামে আপনার আবেদন গৃহীত হওয়ার পর আপনি অ্যামাজন এর যে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে আপনার ফলোয়ারদের রেকমেন্ড করতে পারেন। আপনার ফলোয়ারদের উদ্দেশ্যে প্রোডাক্টের লিংক প্রদান করতে পারেন।
যখন তারা আপনার রেকমেন্ড করা প্রোডাক্ট বা সার্ভিসটি লিংকে ক্লিক করে ক্রয় করবে সেখান থেকে আপনি কমিশন অর্জন করতে পারবেন।
এছাড়া আপনি অ্যামাজনে আপনার একটি ব্যক্তিগত পেজ ওপেন করে সেখানে প্রোডাক্টের ছবি সহ বর্ণনা প্রকাশ করে, ভিডিও তৈরি করে, সহজ কথায় কনটেন্ট তৈরি বানিয়ে, আপনার ফলোয়ারদের অ্যামাজনের হাজার হাজার পণ্যের মধ্য থেকে তাদের পছন্দসই পণ্যটি কেনার জন্য উৎসাহিত করতে পারেন।
এভাবে আপনি আপনার ফলোয়ারদের অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট ক্রয়ে উৎসাহিত করতে পারেন এবং আপনার অনুসারীগণ যত বেশি প্রোডাক্ট ক্রয় করবে তত বেশি আপনার ইনকাম হবে।
অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম
কোন রকম ইনভেস্ট ছাড়া অ্যামাজন থেকে টাকা ইনকামের সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হল অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম। অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বর্তমানে বহু মানুষ মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন।
আপনিও চাইলে হতে পারেন একজন অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটর। তবে অ্যামাজনের এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ নিতে যোগ্য হওয়ার জন্য আপনার একটি জনপ্রিয় ব্লগ সাইট থাকতে হবে যেখানে নিয়মিত প্রচুর ভিজিটর আসে।
আরো পড়ুনঃ বিশ্বস্ত ৭টি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট ২০২৫
আপনি যদি একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া যেমনঃ ফেসবুক, টিক টক, ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট এর মালিক হয়ে থাকেন এবং আপনার নির্দিষ্ট সংখ্যক সক্রিয় অনুসারী থাকে তাহলে আপনি অ্যামাজনের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ অংশ নেওয়ার যোগ্য হবেন। এরপর আপনাকে অ্যামাজন এফিলিয়েট একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে।
তারপর আপনি অ্যামাজনের এফিলিয়েট প্রোগ্রামে অংশ নেয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন করার পর আপনার আবেদন গৃহীত হলে আপনি আমাজনের কোন পণ্য এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বিক্রি বৃদ্ধি করে দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন।
এখন জেনে নিন আপনি অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে কিভাবে ইনকাম করবেনঃ
অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ অংশ নেওয়ার যোগ্য হওয়ার পর আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইটে অথবা আপনার ইউটিউব চ্যানেলে অ্যামাজনের যে কোন পণ্যের এফিলিয়েট লিংক তৈরি করতে হবে।
আপনার তৈরি করা লিংকে ক্লিক করে যখন কোন ব্যক্তি অ্যামাজনে ওই পণ্যটি ক্রয় করবে তখন আপনি নির্দিষ্ট হারে কমিশন অর্জন করবেন।
আপনি কি পরিমাণ কমিশন অর্জন করবেন তা নির্ভর করবে পণ্যের ক্যাটাগরির উপর। এমাজনে পণ্যের ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে সর্বনিম্ন ১% থেকে সর্বোচ্চ ২০% পর্যন্ত কমিশন অর্জন করা যায়।
বর্তমানে অনলাইন থেকে টাকা ইনকামের জনপ্রিয় উপায় এর মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং অন্যতম। অনলাইনে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট গুলোতে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যে আপনি সত্যিই টাকা উপার্জন করতে পারবেন কিনা।
অ্যামাজন বিশ্বের বৃহৎ ই-কমার্স সাইট। এখানে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বিশ্বস্ততার সাথে টাকা ইনকাম করতে পারেন। কোন রকম প্রতারণা হওয়ার কোন ভয় নেই।
অ্যামাজন স্পনসর শিপের মাধ্যমে
আপনি যদি বিনা ইনভেস্টে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অ্যামাজন স্পন্সর শিপে অংশ নিতে পারেন। যদিও এটি অ্যামাজন এফিলিয়েট প্রোগ্রামের আওতাধীন, তবে আপনি চাইলে স্বতন্ত্রভাবে এই সেক্টরে কাজ করে প্রচুর টাকা ইনকাম করা নিশ্চিত করতে পারেন।
বর্তমানে প্রচুর মানুষ এখন অ্যামাজন স্পনসরশীপ এর মাধ্যমে ইনকাম করছেন।
অ্যামাজন স্পনসর শিপের মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করবেন দেখে নিনঃ
অ্যামাজনের হাজার হাজার প্রোডাক্ট লিস্ট থেকে আপনি কোন একটা পণ্যের রিভিউ প্রদান করে ওই পণ্যটি প্রোমোট করে দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে কাজটি খুবই সহজ, কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্যের মোবাইল দিয়ে কয়েকটি ছবি নিবেন এবং পণ্যটির গুনাগুন এবং ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করবেন।
তাছাড়া আপনি পণ্যটির ভিডিও করেও আপনার চ্যানেলে রিভিউ প্রদান করতে পারেন। আপনি পণ্যটি ব্যবহার করে কি ধরনের সুবিধা পেয়েছেন সে সম্পর্কে বলতে পারেন।
পণ্যটি রিভিউ প্রদান করার পর যদি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হন তাহলে পণ্যটি বিক্রি অটোমেটিক বৃদ্ধি পাবে। এবং আপনার ইনকাম হতে থাকবে। এভাবে আপনি অটোমেটেড ইনকামের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া অ্যামাজন ছাড়াও কোন একটি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড বা ওয়েবসাইট তাদের পণ্য প্রমোট করে দেওয়ার জন্য আপনার সাথে সরাসরি ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারে। আপনার রিভিউ যদি ভালো হয় এবং ব্রান্ড আপনার রিভিউ প্রদানের জন্য উপকৃত হয় তাহলে আপনি আবারও ওই পণ্যটি স্পনসর করার জন্য সিলেক্ট হতে পারেন।
এভাবে আপনি তাদের পণ্য প্রমোট করে দেওয়ার মাধ্যমে স্পন্সারশিপ করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ ধরে ইনকাম করতে পারেন। অনেক সময় আপনি পণ্যটি ফ্রি গিফট হিসেবে পেতে পারেন।
টাকা ইনকামের আইডিয়া বাংলাদেশ
Tiktok শপ এফিলিয়েট
টিকটক শপ এফিলিয়েট করে আপনি এখন ইনকাম করতে পারেন। এটি মূলতঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর একটি অংশ, যেখানে টিকটক একাউন্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী প্রচার করে বিক্রি করে দেওয়ার মাধ্যমে কমিশন অর্জন করা যায়।
আপনার যদি একটি টিকটক একাউন্ট থাকে তাহলে সহজে আপনি আপনার মূল উপার্জনের পাশাপাশি এক্সট্রা ইনকামের জন্য এই সুবিধাটি ব্যবহার করতে পারেন।
এখন জেনে নিন টিকটক শপ এফিলিয়েট থেকে কিভাবে ইনকাম করবেনঃ
- টিকটক সব এফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে ইনকামের জন্য আপনার একটি সক্রিয় এবং ভালো কনটেন্ট যুক্ত টিকটক একাউন্ট প্রয়োজন হবে।
- আপনার টিক টক একাউন্টে কোন পণ্যের ছোট ছোট ভিডিও ধারণ করে প্রচার করতে পারেন।ভিডিওর সাথে ওই পণ্যের এফিলিয়েট লিংক দিতে হবে যেখানে ক্লিক করে কোন ক্রেতা ওই পণ্যটি ক্রয় করে তখন আপনি বিক্রির উপর কমিশন পাবেন।
- এছাড়া আপনার টিকটক একাউন্টে পণ্যে প্রচারের জন্য বিক্রেতাদের অনুরোধ করতে পারেন এবং পণ্যের মালিকগণ এতে সম্মত হলে আপনি পণ্যের প্রচার চালানো শুরু করতে পারেন।
- পণ্যটি প্রচারের জন্য আপনার একাউন্টের ভিডিও বা স্টোরিতে পণ্যের লিংক দিতে হবে।
- অতিরিক্ত তথ্যের জন্য পণ্যের বিবরণ, দাম ইত্যাদি উল্লেখ করতে পারেন
- পণ্যের লিংক দেয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার ফলোয়ারদের পণ্যটি ক্রয়ে উৎসাহিত করবেন।
- যখন পণ্যটি আপনার লিংকে ক্লিক করে বেশি সংখ্যক লোক ক্রয় করবে তখন আপনি কমিশন অর্জন করবেন।
এভাবে আপনার টিকটক একাউন্ট থেকে এফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর আওতায় পন্য প্রচার করে টাকা আয় করা এখন অনেক সহজ।
ডিজিটাল ডাউনলোড
বর্তমান যুগে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার একটি সেরা আইডিয়া হতে পারে ডিজিটাল ডাউনলোড। ডিজিটাল ডাউনলোড কথাটি অনেকের কাছে নতুন মনে হলেও, এই উপায়ে টাকা ইনকাম করা মোটামুটি সহজ।
ডিজিটাল ডাউনলোড হল সেই সকল ডিজিটাল পণ্য যা আপনি আপনার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে একবার তৈরি করে অনেকবার বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
বিভিন্ন সৃজনশীল পণ্য আপনি তৈরি করতে পারেন যেমনঃ কোন টেমপ্লেট, যে কোন ডিজাইন, কোন ই বুক, ওয়েডিং ইনভাইটেশন কার্ড, ওয়ালপেপার ডিজাইন, এক্সেল এক্সপেন্স শীট ইত্যাদি।
এই ধরনের ডিজাইন তৈরি করে আপনি আপনার ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে ফাইল তৈরি করে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে আপলোড করতে পারেন। যে কোন ক্রেতা আপনার আপলোড করা ফাইলটি পছন্দ করার পর ডাউনলোড করে নিজেরাই প্রিন্ট করে নিবে।
যেহেতু এর কোন ফিজিক্যাল অস্তিত্ব নেই। তাই আপনার কোন উৎপাদন খরচ, শিপিং খরচ কোন কিছু বহন করতে হবে না।
এভাবে আপনি যেকোন একটি পণ্য একবার তৈরি করে বহুবার বিক্রি করে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন। শুধুমাত্র প্ল্যাটফর্মে আপনার ডিজাইনগুলো আপলোড করবেন এবং সেগুলো যত বেশি বিক্রি হবে আপনার ইনকাম হতে থাকবে। এই ধরনের কিছু জনপ্রিয় সাইটের মধ্যে রয়েছে Etsy, Gumroad ইত্যাদি।
ইন্সুরেন্স পিওএসপি ( POSP)
বিনিয়োগ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে টাকা ইনকামের একটি ভালো উপায় হতে পারে ইন্সুরেন্স পিওএসপি( point of sales person) এর কাজ। এই কাজটি করে ইনকাম করার জন্য আপনার এক টাকাও খরচ করতে হবে না এবং আপনি ঘরে বসে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
আপনি যদি একজন ইন্সুরেন্স পিওএসপি হয়ে কাজ করতে চান তাহলে প্রথমে আপনাকে একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দিতে হবে। ইন্সুরেন্স কোম্পানির এজেন্ট হয়ে আপনি ওই কোম্পানির বিভিন্ন ইন্সুরেন্স সুবিধা বিক্রয় করে দিয়ে ইনকাম করবেন।
ইন্সুরেন্স পিওএসপি হয়ে ইনকাম করার উপায়ঃ
- আপনি একজন ইন্সুরেন্স পিওএসপি হয়ে আপনার গ্রাহক বা কাস্টমারদের তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী ইন্সুরেন্স পলিসি বেছে নিতে সহায়তা করবেন।
- আপনি ওই কোম্পানির হয়ে বিভিন্ন ধরনের পলিসি বিক্রি করার সুযোগ পাবেন। আপনি কত টাকা ইনকাম করবেন তা নির্ভর করবে আপনার পলিসি বিক্রির উপর। অর্থাৎ আপনি যত বেশি পলিসি বিক্রি করতে পারবেন তত বেশি আপনার ইনকাম হবে।
- আপনি একজন দক্ষ ইন্সুরেন্স পি ও এস পি হয়ে মোটামুটি ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- আপনার যদি কমিউনিকেশন স্কিল ভালো থাকে তাহলে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন অথবা ল্যাপটপের সাহায্য সহজে এই কাজ শুরু করতে পারেন।
- এই কাজটি করার জন্য আপনার খুব বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। এসএসসি পাস হলেই আপনি এই ইন্সুরেন্সি হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন।
অ্যাপ ও ওয়েবসাইট পরীক্ষা
ডলার ক্রয় বিক্রয় করে ইনকাম
বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে টাকা ইনকামের একটি উপযুক্ত আইডিয়া হতে পারে ডলার ক্রয় বিক্রয় করে ইনকাম। বর্তমানে বহু মানুষ এই প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করে ভালো টাকা ইনকাম করছেন। শুধু আপনাকে এই প্রক্রিয়ার সেরা সুযোগ ও সময় বাছাই করার দক্ষতা ও দূরদর্শিতা থাকতে হবে।
ডলার বিক্রয় করে ইনকাম বলতে মূলতঃ কম টাকায় ডলার ক্রয় করে বেশি টাকায় বিক্রি করে লাভ করাকে বোঝায়। মনে করুন, প্রথম অবস্থায় আপনার কাছে ১০০ ডলার ছিল, এই ১০০ ডলার দিয়ে আপনি ১০০ ডলারের সমপরিমাণ ইউরো মুদ্রা কিনলেন।
পরবর্তীতে যখন ইউরো মুদ্রার দাম বাড়বে তখন আপনি তা বিক্রি করে দিলেন। এতে যে লাভ হবে এটাই আপনার ইনকাম।
এছাড়া প্রথম দিকে আপনি কিছু টাকা ইনভেস্ট করে ১০০ বা ২০০ ডলার ক্রয় করে পরবর্তীতে যখন ডলারের দাম বৃদ্ধি পাবে তখন বিক্রি করে দিলেন। এতে আপনার ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার সংখ্যাটির উপর আপনার ইনকাম হবে। যেমনঃ আপনি ১ ডলার কিনলেন ১০০ টাকা দিয়ে,
পরবর্তীতে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর আপনি ১ ডলার বিক্রি করলেন ১২০ টাকা দিয়ে। তাহলে আপনার লাভ হবে ২০ টাকা। এভাবে আপনি যত বেশি কেনাবেচা করবেন তত বেশি আপনার লাভ হবে।
তবে অনলাইনে ডলার ক্রয় বিক্রয় করে ইনকাম করার জন্য আপনার চোখ কান খোলা রাখা অপরিহার্য। কারণ এই সেক্টরে স্ক্যাম ও ফ্রড এর কোন অভাব নেই। তাই বিশ্বস্ত কোন অনলাইন প্লাটফর্মে আপনাদের ডলার ক্রয় বিক্রয় করা সুনিশ্চিত করতে হবে।
নিচে কিছু বিশ্বস্ত অনলাইন প্লাটফর্মের নাম দেয়া হলোঃ
- বিকাশ
- নগদ
- পেপেল
- রকেট
- scrill
- ট্রান্সপার ওয়াইজ
- পায়োনিয়ার
- বিভিন্ন অনলাইন ব্যাংক
এছাড়া বাংলাদেশে জনপ্রিয় কিছু লোকাল ডলার ক্রয়-বিক্রয় এক্সচেঞ্জার রয়েছে, যেমনঃ বিভিন্ন fb গ্রুপ, নির্ভরযোগ্য অনলাইন মার্কেটপ্লেস, যাদের সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের ভালো রিভিউ রয়েছে এরকম কোন পেজ বা গ্রুপ বেছে নিন।
ইনভেস্ট ছাড়া অ্যামাজনে টাকা ইনকামে সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ কোন রকম ইনভেস্ট ছাড়া কিভাবে টাকা আয় করা যায়?
উত্তরঃ আপনি মোবাইল দিয়ে কোনরকম ইনভেস্ট ছাড়া অনলাইন থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। জনপ্রিয় উপায় গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
- ফ্রিল্যান্সিং
- এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ব্লগিং
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ইউটিউব চ্যানেল
- ফেসবুক পেজ
- অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপস
- অনলাইনে টিউটরিং
- অনলাইনে কোর্স সমূহ বিক্রি
- ওয়েবসাইট পরীক্ষা
- মোবাইল অ্যাপসে গেম খেলে, কুইজ খেলে, রেফার করে ইনকাম ইত্যাদি।
- ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ফ্রিল্যান্স কাজ করে ইনকাম
- ডিজিটাল মার্কেটিং করে ইনকাম
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে ইনকাম
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটর হিসেবে ইনকাম
- আর্টিকেল লিখে ইনকাম
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
- গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রুভ করে ইনকাম
- ইউটিউব চ্যানেল খুলে ইনকাম
- নিজের ব্লগ সাইটে ব্লগ পাবলিশ করে ইনকাম
- ড্রপ শিপিং করে ইনকাম
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url