ঘরে বসে মোবাইলে প্যাসিভ ইনকাম করার ১২টি উপায়, প্যাসিভ ইনকাম কি

ঘরে বসে মোবাইলে প্যাসিভ ইনকাম করুন সহজ ও নিশ্চিত ১২টি উপায়ে। প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যমে উপার্জন করা যায় একজন ফুল টাইম জব হোল্ডার এর চেয়ে বেশি। কিন্তু কিভাবে, জানবেন আজকের আর্টিকেল থেকে। সাথে জানবেন, প্যাসিভ ইনকাম কি এ বিষয়ে।

ঘরে-বসে-মোবাইলে-প্যাসিভ-ইনকাম

বর্তমান ডিজিটাল যুগে টাকা ইনকাম করার পদ্ধতিতে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন আইডিয়া। নিজের অবসর সময়ে মূল কাজের ফাঁকে অনলাইন থেকে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহারকারীরা টাকা ইনকাম করে থাকেন। আবার অনলাইন ইনকামের মধ্যে বর্তমানে প্যাসিভ ইনকাম করার দিকে মানুষ বেশি ছুটছে।

ব্যবহারকারীদের কাছে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় গুলো বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। কোন কোন সেরা ও ইউনিক উপায়ে ইউজাররা প্যাসিভ ইনকাম করছেন, তার আদ্যপ্রান্ত নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। পোস্ট সূচিপত্রঃ

তাহলে চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। 

ঘরে বসে মোবাইলে প্যাসিভ ইনকাম

ঘরে বসে মোবাইলে প্যাসিভ ইনকাম এখন টাকা উপার্জন করার দুর্দান্ত উপায়। প্যাসিভ ইনকামের আইডিয়া মূলতঃ একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজ করে দীর্ঘমেয়াদী বা আজীবন টাকা উপার্জন করার প্রক্রিয়াকে বুঝিয়ে থাকে।

অনলাইন থেকে শুধুমাত্র স্মার্ট ফোন বা মোবাইল ব্যবহার করে বাড়িতে থেকে প্যাসিভ ইনকাম করা যায় বিভিন্ন উপায়ে।

আরো পড়ুনঃ ডিপোজিট ছাড়া ইনকাম করার জনপ্রিয় ২০টি সাইট

তবে আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জন্য সেরা ১২টি উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। যে উপায় গুলো ইতিমধ্যে প্যাসিভ ইনকামের পরীক্ষিত ও কার্যকরী উপায় হিসেবে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে।

নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন ঘরে বসে মোবাইলে প্যাসিভ ইনকাম করার জনপ্রিয় ১২টি উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতঃ

ডিজাইন আপলোড করে প্যাসিভ ইনকাম

ঘরে বসে মোবাইলে প্যাসিভ ইনকাম করার জনপ্রিয় একটি উপায় হল ডিজাইন আপলোড করে ইনকাম। আপনি যদি ডিজাইনের দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনার সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো ধরনের ডিজাইন বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট বা ওয়েবসাইটে আপলোড করে ইনকাম শুরু করতে পারেন।

আপনি একটি ডিজাইন একবার মাত্র আপলোড করে সারা জীবনের জন্য ইনকামের ধারাবাহিকতা পেতে থাকবেন। আপনার ডিজাইন করা পণ্য যত মানুষ কিনবে তত বেশি আপনার ইনকাম হতে থাকবে। বলা যায় একবার কাজ করে বসে বসে বা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ইনকাম করার এটি একটি বেস্ট আইডিয়া।

আপনি ডিজাইনের যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারেন, যেমনঃ টি-শার্ট ডিজাইন, ওয়ালপেপার ডিজাইন, ইনভিটেশন কার্ড ডিজাইন, নোটবুক ডিজাইন, হুডি ডিজাইন ইত্যাদি।

অনলাইনে যে সকল প্লাটফর্মে আপনার ডিজাইন আপলোড করতে পারবেনঃ

  • অ্যামাজন ( Amazon): বিশ্বের বৃহৎ ই-কমার্স সাইট। এখানে প্রিন্ট অন ডিমান্ড সেক্টরে টি-শার্ট ডিজাইন আপলোড করে প্রচুর মানুষ এখন প্যাসিভ ইনকাম করছেন।
  • রেড বাবল ( Redbubble): বিভিন্ন ধরনের টি শার্ট ডিজাইন আপলোড করার প্যাসিভ ইনকাম সাইট।
  • টি পাবলিক ( Teepublic): এখানেও রেড বাবলের মত ডিজাইন আপলোড করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগ ওয়েবসাইটে ব্লগ পাবলিশ করে প্যাসিভ ইনকাম

আপনি যদি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে প্যাসিভ ইনকাম করতে চান তাহলে নিজের একটি ব্লগ সাইট খুলে সেখানে নিয়মিত আর্টিকেল বা কনটেন্ট পাবলিশ করে প্যাসিভ ইনকামের যাত্রা শুরু করতে পারেন।

বর্তমানে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার এটি একটি জনপ্রিয় উপায়। আপনি নিজের একটি ব্লগ সাইট খুলে সেখানে সমসাময়িক নিস বা বিষয়ে নিয়ে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করতে পারেন। পর্যাপ্ত ও সঠিক তথ্য-উপাত্ত আপনার আর্টিকেলে রাখতে হবে এবং আপনাকে এ সি ও করায় দক্ষ হতে হবে।

আর্টিকেল পাবলিশ করার পর যখন আপনার সাইটে নিয়মিত ভিজিটর আসা শুরু করবে এবং আপনার সাইটে ট্রাফিক দিন দিন বৃদ্ধি পাবে তখন আপনি আপনার ব্লগে গুগল এডসেন্সের অ্যাড দেখিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারেন।

আপনার সাইটের যখন একবার মনিটাইজ এপ্রুভ হয়ে যাবে তখন আপনার ইনকাম হতে থাকবে এবং এই ইনকাম চলতে থাকবে। বলা যায় কিছুদিন কাজ করে বসে বসে টাকা উপার্জন করার এটি একটি সেরা উপায় এবং আপনি এই কাজটি আপনার মোবাইল বা স্মার্টফোন দিয়েই করতে পারবেন।

ব্লগিং করে ইনকাম শুরু করতে আপনাকে কিওয়ার্ড বাছাই করা থেকে শুরু করে আপনার ব্লগ পোস্টটি আকর্ষণীয় ভাবে লেখার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফ্রি টুল ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ

  • Ahrefs
  • Google Keyword Planner
  • Plagiarism checker
  • Schema mark up

ব্লগ ওয়েবসাইট খোলার জন্য আপনি দুটি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেনঃ

  • গুগলের ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম ব্লগার
  •  জনপ্রিয় ব্লগিং অ্যাপস ওয়ার্ডপ্রেস

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম

আপনি যদি ঘরে বসে এবং আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে চান, তাহলে বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকামের হট টপিক এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম শুরু করতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে পণ্যের প্রচার চালিয়ে ওই পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়াকে বুঝিয়ে থাকে। পণ্যের প্রচার চালানোর পর পণ্যের প্রসার ঘটবে, আর পণ্যের প্রসার যত ঘটবে তত বেশি ক্রেতার মধ্যে পণ্যটি পৌঁছে যাবে। পণ্যটি যখন ক্রেতারা ক্রয় করবে তখন আপনার ইনকাম হবে।

অর্থাৎ আপনি কোন পণ্যের এফিলিয়েট লিংক প্রচার করে ওই পণ্য বিক্রি করে দেওয়ার বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন অর্জন করবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্যাসিভ ইনকামের একটি সহজ ও জনপ্রিয় উপায়। কারণ আপনি একবার একটি পণ্যের লিংক প্রচার চালানোর উদ্দেশ্যে দেয়ার পর ওই লিংকে ক্লিক করে যত বেশি ক্রেতা পণ্যটি ক্রয় করবে তত বেশি আপনার ইনকাম হতে থাকবে এবং এই প্রক্রিয়া অবিরত চলতে থাকবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য আপনি বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটগুলোতে এফিলিয়েট একাউন্ট ক্রিয়েট করার পর ওই সাইটের কোন পণ্য বিক্রি করে দেয়ার উদ্দেশ্যে অ্যাফিলিয়েট লিংকের মাধ্যমে প্রচার চালাতে পারেন। এজন্য আপনার খুব বেশি দক্ষতা এবং সময় দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

নিচে জনপ্রিয় কয়েকটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট এর তালিকা দেয়া হলোঃ

  • দারাজ ( Daraz)
  • রকমারি ( Rokomary)
  • বিক্রয় ডটকম ( Bikroy,com)
  • অ্যামাজন ( Amazon)
  • সি জে এফিলিয়েট ( C J Affiliate)
  • রাকুটেন ( Rakuten)

ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করে প্যাসিভ ইনকাম

ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করার একটি সেরা উপায় হল ইউটিউব চ্যানেল। মোবাইল দিয়ে সহজে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন। আর এই কাজের জন্য আপনি ইউটিউব অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।

যদিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম প্যাসিফিক ইনকাম করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন, যেমনঃ ফেসবুক পেজ ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট। তবে আমার মতে ইউটিউব চ্যানেল প্যাসিভ ইনকামের জন্য সেরা একটি উপায়।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য প্রথমে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি নিশ বাছাই করতে হবে, যে বিষয়ে আপনি আপনার চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করবেন। সমসাময়িক যেকোনো জনপ্রিয় একটি বিষয় আপনি বাছাই করতে পারেন যেমনঃ লাইফ স্টাইল বিষয়ক ভিডিও, রান্নার ভিডিও,  ভ্রমণ বিষয়ক ভিডিও, আপনার স্কিন কেয়ার নিয়ে ভিডিও, মটিভেশনাল ভিডিও ইত্যাদি।

এছাড়া বর্তমানে অনেকে নিজেদের ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে এনিমেশন ভিডিও আপলোড করে  প্রতিমাসে প্রচুর টাকা প্যাসিভ ইনকাম করছেন।

এক কথায়, আপনি যে বিষয়ে আগ্রহী ওই বিষয়ে নিয়মিত ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করবেন। সহজ কথায় একে বলা হয় ভ্লগিং। ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করার জন্য মোবাইল ফ্রেন্ডলি বিভিন্ন ভিডিও এডিটিং অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। যেমনঃ canva, cap cut, In shoot.

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ ১৫টি উপায়

একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে বিভিন্ন উপায়ে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। আপনার চ্যানেলে যখন ১০০০  সাবস্ক্রাইবার ও ৪ ঘন্টা হাজার ওয়াচ টাইম হবে তখন আপনি আপনার চ্যানেল মনিটাইজ করার মাধ্যমে ইনকাম করার যাত্রা শুরু করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার চ্যানেলে আরো বিভিন্নভাবে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন, যা এখন অনেকেই করছেন।

যেমনঃ 

  • এফিলিয়েট মার্কেটিং করে
  • স্পনসরশীপ এর মাধ্যমে
  • নিজের পণ্য বিক্রি করে
  • ব্র্যান্ড কলাবরেশন এর মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম ইত্যাদি।

স্টক ইমেজ সেল করে প্যাসিভ ইনকাম

আপনি যদি ছবি তোলায় দক্ষ হয়ে থাকেন এবং কিছু অসাধারণ ছবি আপনার মোবাইলের গুগল ড্রাইভে রয়েছে। তাহলে বসে না থেকে এই ফটো বা ইমেজ বিক্রি করে আপনি প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারেন।

বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে অনলাইনে টাকা ইনকাম এত সহজ হয়ে গিয়েছে যে, শুধু আপনাকে একটু চোখ কান খোলা রেখে ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করলেই পেয়ে যাবেন আপনার জন্য প্যাসিভ ইনকাম করার দুর্দান্ত এই উপায়।

অনলাইনে জনপ্রিয় কিছু স্টক ইমেজ সেল ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি আপনার তোলা দুর্দান্ত ছবি গুলো আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন। খুবই সহজ কোনো রকম ঝামেলা হীন ভাবে আপনি শুধু আপনার ছবিগুলো নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের শর্ত মোতাবেক আপলোড করবেন এবং ইনকাম করবেন।

এক্ষেত্রে আপনার আপলোড করা ছবি সারা বিশ্বে গ্রাহকগণ দেখতে পাবে। বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান তাদের ক্যাম্পেইন পরিচালনা করার জন্য বা অনেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অনলাইনে প্রতিনিয়তই তাদের প্রয়োজন মোতাবেক ছবি সার্চ দিয়ে থাকে।

তাদের এই ছবির তালিকায় যদি আপনার ছবির বিষয়বস্তু মিলে যায় তাহলে গ্রাহকগণ আপনার ছবিটি পছন্দ করে ডাউনলোড করবেন বা কিনে নিবেন। যত বেশি ডাউনলোড হবে আপনার তত বেশি ইনকাম হতে থাকবে।

শুধু ফটো বা ইমেজ নয় আপনার ধারণ করা যেকোনো ধরনের আকর্ষণীয় ও স্বল্প সময়ের ভিডিও আপলোড করেও ইনকাম করতে পারেন।

আপনি যদি স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন বা বেকার বসে থাকেন অথবা গৃহিণী এবং ফুলটাইম জবের পাশাপাশি পার্টটাইম কোন প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় খুঁজছেন তাহলে এই উপায়টি হতে পারে আপনার জন্য সেরা একটি প্যাসিভ ইনকামের উপায়।

স্টক ইমেজ সেল করে টাকা ইনকাম করার কিছু সেরা ওয়েবসাইটের তালিকা দেখে নিনঃ

  • শাটার স্টক কন্ট্রিবিউটর ( Shutterstock Contributor)
  • এডোবি স্টক ( Adobe stock)
  • এলামি ( Alamy)
  • ফোয়াপ ( Foap)

ই বুক পাবলিশ করে প্যাসিভ ইনকাম

আপনি ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে প্যাসিভ ইনকাম করতে চাচ্ছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না কিভাবে করবেন। তাহলে ই-বুক পাবলিশ করার আইডিয়া ব্যবহার করতে পারেন।

একটি ই-বুক হল ইলেকট্রনিক্স বুক যেখানে লেখা, ছবি ও উভয়ই ব্যবহার করে ডিজিটাল ফরমেটে পাবলিশ করা হয়। এই কাজের জন্য আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন হলেই চলবে।

আপনি যদি ভেবে থাকেন, ই বুক পাবলিশ করার জন্য আপনার লেখালেখিতে দক্ষ হতে হবে আসলে এমনটা নয়। আপনি সহজ কোন বিষয়ের উপর ই-বুক লিখতে পারেন যেগুলো বাজারে চাহিদা রয়েছে। যেমনঃ শিশুদের নতুন শব্দ তৈরি করার পাজল বুক, শিশুদের কালারিং বুক, দৈনন্দিন শরীরচর্চার হিসাব রাখার লগ বুক, যে কোন ধরনের নোট লেখার খাতা।

আরো পড়ুনঃ ইনভেস্ট ছাড়া এমাজনে টাকা ইনকাম করার উপায়

এই ধরনের বই লিখতে আপনার খুব বেশি দক্ষতার এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই।

এছাড়া আপনি চাইলে কিডসদের জন্য বিভিন্ন ধরনের মজার, কমিকস, স্টোরি, রাই্ম বই লিখে পাবলিশ করতে পারেন ও ইনকাম করতে পারেন যা এখন অনেকেই করছেন।

জনপ্রিয় দুটি ই-বুক পাবলিশ করার সাইট হলঃ

  •  অ্যামাজন কিন্ডেল ডাইরেক্ট পাবলিশার ( Amajon Kindle Direct Publisher)
  • Smashwords
অ্যামাজনের কিন্ডেল পাবলিশারে বই পাবলিশ করার পর আপনার বইটি যতবার বিক্রি হবে তত বেশি আপনার ইনকাম হবে। অর্থাৎ ক্রেতারা বই কিনবে আর আপনি কমিশন পাবেন। এভাবে প্যাসিভ ইনকাম হতে থাকবে।

এছাড়া Smashwords একটি ই-বুক পাবলিশিং প্ল্যাটফর্ম। এখানেও আপনি ই বুক পাবলিশ করে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারেন।

ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম

বর্তমান সময়ে ঘরে বসে মোবাইলে প্যাসিভ ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় উপায় হলো ডিজিটাল পণ্য বিক্রি। ডিজিটাল পণ্য হল সেই পণ্য যে পণ্যের ফিজিক্যাল কোন অস্তিত্ব নেই। অর্থাৎ আপনার ক্রিয়েটিভ চিন্তা ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে যে পণ্যটি তৈরি করে বারবার বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।

ডিজিটাল ডাউনলোড পণ্যের উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে কোন ধরনের ডিজাইন যেমনঃ আয় ও ব্যয় লিখে রাখার জন্য একটি বাজেট শিট, একটি আকর্ষণীয় টু ডু লিস্ট সিট, একটি নোটবুক ডিজাইন, ইত্যাদি।

এই কাজটি করার জন্য আপনার শুধুমাত্র মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এবং মাইক্রোসফট এক্সেল জ্ঞান থাকলে যথেষ্ট। আপনি সহজে microsoft excel এর সাহায্যে এ ধরনের আকর্ষণীয় শীট তৈরি করে ই-কমার্স সাইটগুলোতে আপলোড করে বিক্রি করতে পারেন।

এছাড়া ফোনের কভার, ওয়েডিং ইনভাইটেশন কার্ড সহ এই ধরনের ডিজাইন তৈরি করার জন্য আপনারা Canva আর মত জনপ্রিয় ডিজাইন টেমপ্লেট অ্যাপ ব্যবহার করে বিভিন্ন পণ্যের ডিজাইন তৈরি করতে পারেন।

আপনার ডিজাইনকৃত আপলোড করা যেকোনো পণ্য যখন কোন ক্রেতা ক্রয় করবে তখন আপনার ইনকাম হবে। এবং এই প্রক্রিয়া সারা জীবন চলতে থাকবে।

সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এই কাজের জন্য আপনার কোন রকম উৎপাদন খরচ, শিপিং কস্ট, প্যাকেজিং কোন ধরনের ব্যয় বহন করতে হবে না। এই কাজটি আপনি যে সাইটে আপনার ডিজিটাল পণ্য আপলোড করবেন তারা করবে। অর্থাৎ কোন ক্রেতা আপনার পণ্যটি পছন্দ করার পর পণ্যটি উৎপাদন করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছানো পর্যন্ত যাবতীয় কাজ করবে সাইট।

আপনি শুধুমাত্র কোনো রকম ঝামেলা ছাড়া টাকা ইনকাম করতে থাকবেন।

ডিজিটাল পণ্য বিক্রি করার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মঃ

  • ইটসসি ( Etsy): এই ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে আপনি আপনার ডিজাইন করা পণ্য ডিজাইন আপলোড করে ইনকাম শুরু করতে পারেন।
  • গামরোড ( Gumroad): ইটসসি মত এই প্লাটফর্মেও বিভিন্ন ডিজাইন আপলোড করে ইনকাম করা যায়।

ঘরে-বসে-মোবাইলে-প্যাসিভ-ইনকাম

অনলাইনে অ্যাপ তৈরি করে ইনকাম

অনলাইনে অ্যাপ তৈরি করে আপনি শুরু করতে পারেন আপনার প্যাসিভ ইনকাম করার যাত্রা। এবং এই কাজটি আপনি ঘরে বসে আপনার স্মার্টফোন দিয়ে শুরু করতে পারেন।

বর্তমানে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ আমাদের সামনে চলে আসে। সাধারণত এই ধরনের অ্যাপ দৈনন্দিন কোন কাজে ব্যবহারের জন্য অথবা টাকা ইনকামের জন্য তৈরি করা হয়।

দৈনন্দিন কাজকে সহজ করার জন্য লোকেরা প্রায়ই বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ অনলাইনে সার্চ দিয়ে থাকেন। আপনি চাইলে লোকেদের অফিস, বাসা অথবা তথ্য প্রদান কাজে উপকার হয় এরকম কিছু অ্যাপ বানিয়ে অনলাইনে আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ সহ তথ্য সম্পর্কিত যেকোনো অ্যাপ আপনি বানাতে পারেন। কারণ বর্তমানে এই ধরনের অ্যাপের চাহিদা এখন আকাশচুম্বি। মানুষ এখন এক সেকেন্ডে একটি মাত্র ক্লিকে যেকোনো ধরনের ইনফরমেশন জানতে চায়। আর এই কাজটি সহজে করতে পারে যেকোনো ধরনের অ্যাপ।

আপনার যদি কোডিং সম্পর্কে ধারণা নাও থাকে তাহলেও সহজে আপনি এই কাজটি করতে পারেন। বর্তমানে অনলাইন ঘাটলে নানা ধরনের ফ্রি জেনেটিভ এ আই টুল ও ফ্রি নো কোড টুল পেয়ে যাবেন। এই ধরনের ফ্রি অ্যাপ টুল ব্যবহার করে আপনি যেকোনো ধরনের অ্যাপ কোনরকম কোডিং এর ঝামেলা ছাড়াই তৈরি করতে পারেন।

একবার একটি অ্যাপ তৈরি করে আপনি আপলোড করবেন, লোকেরা যখন এই অ্যাপটি ডাউনলোড করবে তখন আপনার ইনকাম হতে থাকবে।

অর্থাৎ এখানে আপনার শুধু একটি তৈরি করে আপনার স্মার্টফোনের সাহায্যে আপলোড করা, আপনার কাজ এটুকু। কিন্তু এই একটিবার কাজ করে আপনি আজীবন ইনকাম চালিয়ে যেতে পারবেন।

নিচে কয়েকটি ফ্রি নো কোড অ্যাপ টু্ল এর তালিকা দেয়া হলো, যেগুলো কাজে লাগিয়ে আপনি একদম প্রফেশনাল লেভেলে অ্যাপ তৈরি করতে পারবেন।

  • Appgyver
  • flutterflow.io
  • Adalo.com
  • appsheet.com
  • mendix.com
  • thunkable
  • kodular.io

অনলাইনে কোর্স তৈরি করে প্যাসিভ ইনকাম

আপনি চাইলে ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে কোর্স তৈরি করে বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারেন। আপনি যদি একাডেমিক কোন বিষয়ে পারদর্শী হয়ে থাকেন এবং আপনার যথেষ্ট নলেজ থাকে তাহলে সেই বিষয়ে অনলাইন কোর্স তৈরি করতে পারেন।

আপনি যে সাবজেক্টে অনলাইন কোর্স তৈরি করবেন সেই সাবজেক্ট এর প্রতিটি চ্যাপ্টারের আলাদা আলাদা সহজে বোধগম্য হয় এবং শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে এভাবে তৈরি করতে পারেন।

একবার যখন আপনার অনলাইনে জন্য তৈরি করা কোর্স ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলবে এবং তারা ক্রয় করবে তখন আপনার ইনকাম শুরু হবে।

আপনার একাডেমিক অনলাইন কোর্স জনপ্রিয় করে তোলার জন্য আপনার সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টে শেয়ার করতে পারেন। যেমন আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ইনস্টাগ্রাম।

শুধু একাডেমিক বিষয় নয় আপনার যদি অন্য কোন বিষয়ে স্কিল থাকে যেমনঃ রান্না বা সেলাই বিষয়ক। তাহলে এই বিষয়ে অনলাইন কোর্স তৈরি করে একইভাবে বিক্রি করে ইনকাম শুরু করতে পারেন।

এভাবে আপনি আপনার অনলাইন কোর্স একবার তৈরি করে বারবার বিক্রি হওয়ার মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারেন। এই কাজটি আপনি শুধু একবার করবেন, তারপর কাজ না করলেও আপনার ইনকাম হতে থাকবে।

এছাড়া আপনার অনলাইন কোর্সটি আপনি বিভিন্ন প্লাটফর্মে শেয়ার করে রাখতে পারেন। এই ধরনের কিছু প্লাটফর্ম হলঃ
  • ইউডেমি
  • স্কিল শেয়ার
  • শিক্ষণীয়
  • কোর্সেরা

প্যাসিভ ( Passive Income) ইনকাম কি

প্যাসিভ ইনকাম হলো সেই ইনকাম যা একবার আয়ের উৎস তৈরি করে দীর্ঘদিন বা লাইফ টাইম পর্যন্ত চলতে থাকবে। অর্থাৎ একবার কাজ করে দীর্ঘদিন যাবত নিয়মিতভাবে ইনকাম হতে থাকবে। সহজ ভাবে বলতে গেলে, প্যাসিভ ইনকাম হল এমন এক ধরনের ইনকাম আইডিয়া যেখানে প্রতিদিন বা প্রতিনিয়ত কাজ না করেও নিয়মিতভাবে ইনকাম হতে থাকে।

প্যাসিভ ইনকামের ধারণায় আপনাকে একটি আয়ের উৎস বা ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে যেখানে প্রতিদিন কাজ না করে কিছুদিন পর পর কাজ করবেন কিন্তু ইনকাম হবে সব সময়। আপনি যে অবস্থায় থাকুন না কেন আপনার ইনকাম চলতে থাকবে। আপনি ঘুমিয়ে থাকুন, বেড়াতে যান বা অন্য কাজে মনোনিবেশ করুন, তাহলেও আপনার ওই সেক্টর থেকে ইনকাম হতে থাকবে।

সহজ একটি উদাহরণের মাধ্যমে বলা যায়, আপনি যদি কোন চাকরি বা জব করেন তাহলে মাস শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন বা স্যালারি পান। এক্ষেত্রে আপনি যতদিন কাজ করবেন ততদিন আপনার ইনকাম হবে। আপনি যদি কাজটি ছেড়ে দেন তাহলে আপনার ইনকাম বন্ধ হয়ে যাবে। এটা হল একটিভ ইনকাম।

আরো পড়ুনঃ মোবাইলে টাকা ইনকাম করার সেরা ১৫টি অ্যাপস

আবার আপনি কোন চাকরি বা ব্যবসা করার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য এমন কোন ইনকাম উৎস তৈরি করলেন যেখানে আপনি একটি নির্দিষ্ট সময় নিজের শ্রম ও মেধা বিনিয়োগ করে ইনকাম শুরু করলেন। এরপর সে কাজটি আপনাকে নিয়মিতভাবে করতে হবে না। মাঝে মাঝে আপনার সুবিধামতো সময়ে করলেই হবে। কিন্তু ইনকাম সব সময় হতে থাকবে। এটাই প্যাসিভ ইনকাম।

প্যাসিভ ইনকামের জনপ্রিয় কিছু ধারণার মধ্যে রয়েছেঃ

  • ব্লগিং থেকে ইনকাম
  • বিনিয়োগ করে প্রফিট পাওয়া
  • কনটেন্ট তৈরি করে অ্যাড দেখিয়ে আয় করা
  • মাইক্রো স্টক সাইটে গ্রাফিক ডিজাইনের বিভিন্ন কাজ আপলোড করে ইনকাম
  • অ্যাফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে কমিশন অর্জন করা।

প্যাসিভ ইনকাম শুরু করার জন্য আপনি বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। আর এই কাজটি ঘরে বসে আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে শুরু করতে পারবেন।

প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় অফলাইন

প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় অফলাইন সম্পর্কে আর্টিকেলের এই অংশে জেনে নিন। প্যাসিভ ইনকাম শুধু অনলাইনে করা যায় এরকমটা নয়। আপনি চাইলে অফলাইনে বিভিন্ন উপায়ে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

প্যাসিভ ইনকাম করার বাস্তবসম্মত বা অফলাইন বিভিন্ন উপায়ে মানুষজন এখন টাকা ইনকাম করছেন। বর্তমান যুগে জীবনযাত্রার ব্যয়, সন্তানদের পড়াশোনার খরচ পছন্দের জায়গায় ঘুরে বেড়ানো বা শখের জিনিসটি কেনার জন্য একটি মাত্র ইনকাম দিয়ে কুলিয়ে ওঠা সম্ভব হয় না।

এজন্য আমাদের আশেপাশে অনেকেই আছেন যারা একটি মাত্র ইনকাম নিয়ে বসে থাকে না। তারা চায় আরো বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করতে। আর বর্তমান সময়ে রিয়েল লাইফে প্যাসিভ ইনকাম করার যে উপায়গুলো সবচেয়ে জনপ্রিয় অবস্থায় রয়েছে এ বিষয়ে জেনে আপনি শুরু করতে পারেন আপনার প্যাসিভ ইনকাম করার যাত্রা।

নিচে অফ্লাইনে অফলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করার সেরা ৩টি উপায়ের কথা আলোচনা করা হলোঃ সেরা কয়েকটি

বিনিয়োগ করা

ইনকাম প্যাসিভ ইনকাম শুরু করার জন্য একটি সহজ ও জনপ্রিয় উপায় হল বিনিয়োগ বা ইনভেস্টমেন্ট। আপনার একটিভ ইনকামের পাশাপাশি আপনি যদি বাড়তি আয়ের মাধ্যমে আপনার ইনকাম বাড়াতে চান তাহলে বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় ইনভেস্ট করার মাধ্যমে পেসিভ ইনকাম শুরু করতে পারেন।

এক্ষেত্রে বিনিয়োগ করার জন্য আপনি বেছে নিতে পারেন আপনার বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয় স্বজনের মধ্যে যারা ব্যবসায় করছে সেখানে বিনিয়োগ করা, শেয়ার মার্কেট বা স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ কর্‌ রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় বিনিয়োগ করা। এছাড়া আপনি অনলাইনেও কিছু ব্যবসায় বিনিয়োগ করে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারেন।

বই লিখা ও প্রকাশ করা

আপনি যদি কোন সাবজেক্ট বা বিষয়ে দক্ষ হন এবং আপনার যথেষ্ট নলেজ থাকে তাহলে ওই বিষয়ের উপর বই লিখে এবং তা পাবলিশ করার মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারেন।

এটি এমন একটি আয়ের উৎস যেখানে আপনি কোন বিষয়ে এক বা একাধিক বই লিখে পাবলিশ করে রাখবেন, আপনার লেখা বই ক্রেতারা কিনতে থাকবে আর আপনার ইনকাম হতে থাকবে। এভাবে আপনি ইনকাম করা যাত্রা শুরু করতে পারেন।

বাসার খালি রুম ভাড়া দেওয়া

আপনার একটিভ ইনকাম করার পাশাপাশি প্যাসিভ ইনকাম শুরু করার আরেকটি সহজ ও জনপ্রিয় উপায় হতে পারে আপনার বাসার খালি ভাড়া দেওয়া। এটি এমন একটি উপায় যেখানে আপনার কোন রকম বিনিয়োগ বা শ্রম দিতে হবে না।

আপনার বাসায় খালি পড়ে থাকা যেকোনো একটি রুম ভাড়া দিয়ে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

শুধু বাসা বা বাড়ি নয় আপনার যদি বাজার বা মার্কেট এলাকায় কোন খালি জমি বা ঘর পড়ে থাকে সেখানেও আপনি দোকান ভাড়া দিয়ে প্যাসিভ ইনকাম করা যাত্রা শুরু করতে পারেন।

ঘরে-বসে-মোবাইলে-প্যাসিভ-ইনকাম

প্যাসিভ ইনকাম কিভাবে শুরু করবেন

প্যাসিভ ইনকাম শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি কি ধরনের কাজ করতে পারদর্শী এবং আগ্রহী। কারণ আপনার যদি কাজ করার আগ্রহ না থাকে এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে কাজ না করেন তাহলে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারবেন না।

প্যাসিভ ইনকাম শুরু করার জন্য প্রথমে অবশ্যই আপনাকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে আপনার বাছাই করা নিশ বা বিষয়ে কাজ করে যেতে হবে। একটা সময় পর যখন আপনার ইনকাম উৎস তৈরি হয়ে যাবে তখন আপনার নিয়মিত কাজ না করলেও ইনকাম হতে থাকবে।

অনেকেই ভেবে থাকেন ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ছাড়া প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব না। এটি একেবারে ভুল ধারণা। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করা্র যাত্রা শুরু করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে নানা ধরনের মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট। অর্থাৎ যে কাজগুলো আপনি আপনার মোবাইল দিয়ে ইজিলি করতে পারবেন।

এখন নিচে দেখে নিন ঘরে বসে মোবাইলে প্যাসিভ ইনকাম কিভাবে বৃদ্ধি করতে পারেনঃ

  • আপনার কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর নিয়মিতভাবে কাজ করুন।
  • আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ে ধীরে ধীরে আরো দক্ষ ও পারদর্শী হয়ে উঠুন। যেমনঃ আপনি যদি ডিজাইন করে ইনকাম করতে চান। তাহলে ডিজাইন করার বিষয়ে প্রো হয়ে ওঠার চেষ্টা করুন।
  • লোকজনের চাহিদার উপর ফোকাস করুন এবং সেই ভিত্তিতে আপনার পরবর্তী কাজ নির্ধারণ করুন। অর্থাৎ সবসময় আপনাকে আপনার কাজে আপ টু ডেট থাকতে হবে।
  • আপনার কাজের জন্য একটি প্লাটফর্ম নয় বরং আপনার কাজটি বিভিন্ন প্লাটফর্ম ব্যবহার করার মাধ্যমে বেশি সংখ্যক ক্রেতাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিন। যেমনঃ আপনার ডিজাইন একটি বা দুটি প্লাটফর্মে নয় বরং বহু প্লাটফর্মে আপলোড করুন।
  • আপনার কাজের সাথে সামঞ্জস্য বিভিন্ন ধরনের ফ্রি টুল ও অ্যাপ ব্যবহার করুন। এগুলো আপনার কাজটি দ্রুত ও সহজে সম্পাদন করতে সহায়তা করবে।
  • ওয়ার্ক স্মার্ট অর্থাৎ নিজের কাজটি স্মার্টভাবে করার চেষ্টা করুন। আপনার কাজে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করুন। এতে আপনি কাজে এডভান্স হবেন এবং অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন।
  • কাজের প্রতি আপনার আগ্রহ, ধৈর্য্য ও ভালোবাসা তৈরি করুন। এতে আপনার কাজে একাগ্রতা তৈরি হবে এবং আপনি ভাল একটি কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
  • আবার আপনি যদি অফলাইনে বিনিয়োগ করে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে চান তাহলে ব্যবসায়ের খুঁটিনাটি বিষয়ে জানা শুরু করুন। এতে আপনি বাজার বিশ্লেষণ করতে পারবেন এবং সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারবেন।

মোটকথা, প্যাসিভ ইনকাম করার যাত্রা শুরু করার পর কাজের প্রতি আপনার একাগ্রতা বজায় রাখুন। তাহলে আপনার একটিভ ইনকামের পাশাপাশি এক সময় প্যাসিভ ইনকাম বড় একটি আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়াবে।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক, ঘরে বসে মোবাইলে প্যাসিভ ইনকাম করার সহজ ১২টি উপায় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনারা যারা আপনাদের এক্টিভ ইনকাম করার পাশাপাশি এক্সট্রা আয়ের জন্য প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে চান তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি উপকারে আসবে আশা করি।

এছাড়া অফলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। জেনেছেন প্যাসিভ ইনকাম কি এবং কিভাবে মোবাইল দিয়ে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করবেন। আজকের আর্টিকেলটি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে প্যাসিভ ইনকাম সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url