মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার ৩৩টি কার্যকরী উপায়
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে আপনি যদি এখনো না জেনে থাকেন, তাহলে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে কার্যকরী ৩৩টি উপায় আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। হয়ে উঠুন আর্থিকভাবে সাবলম্বী। সাথে জানবেন, মেয়েদের আয় করার জন্য কি কি প্রয়োজন হবে সে বিষয়ে।
এখন প্রতিটি মেয়েই চায় নিজের একটি আয়ের উৎস তৈরি করে আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে। এমন কিছু কাজ করতে যা তাকে ফিনান্সিয়াল স্টেবিলিটি দিবে। এক্ষেত্রে মেয়েরা ঘরে বসে অনায়াসে নিজের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অনলাইন এবং অফলাইন দুটি উপায়ে তারা নিজেদের রোজগারের পথ তৈরি করতে পারেন।
গৃহিণী বা মহিলাদের ইনকামের পথ সহজ করে দিতে ঘরে বসে অনলাইন এবং অফলাইন থেকে আয় করার সেরা ও কার্যকরী উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে জানাবো, বিশেষ করে যারা বাইরে না গিয়ে বাড়িতে থেকে টাকা উপার্জন করতে চান। পোস্ট সূচিপত্রঃ
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার যে উপায়টি আপনার নিজের জন্য যে উপায়টি উপযুক্ত মনে হবে, সূচিপত্রে ওই নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ক্লিক করে সরাসরি টপিকটি পড়ে আসতে পারেন।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সেরা ও কার্যকরী উপায় সম্পর্কে ইদানিং প্রচুর মেয়েরা জানতে চান। বিশেষ করে গৃহিণীরা ঘরে বসে কিভাবে উপার্জন করতে পারে, মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম করার সহজ উপায় জানার জন্য অনলাইনে প্রচুর সার্চ হতে দেখা যায়।
এমনিতে মেয়েদের অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সেরা উপায়, অল্প পুঁজিতে মেয়েদের জন্য লোকাল মার্কেটে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কিত দুটি পোস্ট আমাদের ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যে রয়েছে। এখানে লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি চাইলে পড়ে আসতে পারেন, উপকৃত হবেন আশা করি।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে মোবাইলে প্যাসিভ ইনকাম করার ১২টি উপায়, প্যাসিভ ইনকাম কি
বর্তমান যুগের মেয়েরা ছেলেদের পাশাপাশি নিজেরাও ইনকাম করে পরিবারের আর্থিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের জিডিপিতেও ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের প্রায় সমান অবদান রয়েছে। যে সকল মেয়েরা বর্তমানে রোজগার করছে না, তারাও এখন আর ঘরে খালি বসে থাকতে চায়না।
বেশিরভাগ মেয়েরা এখন ঘরের কাজের পাশাপাশি উপার্জন করতে চায়। তবে খুশির খবর এই যে বর্তমানে ঘরে বসে অনলাইনে নানা ধরনের কাজ করে ভালো টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এছাড়া অফলাইন ভিত্তিক কাজগুলো তো রয়েছেই।
তাই আপনি যদি মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সঠিক ও কার্যকরী উপায় গুলো (অনলাইন এবং অফলাইন) সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমি অনলাইনে খুঁজে আপনাদের জন্য সেরা ও কার্যকরী ৩৩টি উপায় বের করেছি। তাই ধৈর্য ধরে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।
তাহলে চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় অনলাইন
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সেরা ও কার্যকরী অনলাইন উপায়গুলো প্রথমে জেনে নিন। বর্তমান যুগে প্রচুর মেয়ে আছে যারা নিজেদের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। যেমনঃ কেউ ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করছেন, কেউ আবার ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করছেন।
আপনি যদি ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে এই সময়ের সেরা এবং লাভজনক উপায় গুলো সম্পর্কে নিচে জেনে নিনঃ
ইউটিউব ও ফেসবুকে ভিডিও বানিয়ে আয়
বর্তমান যুগে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার একটি স্মার্ট ও সহজ উপায় হলো ইউটিউব বা ফেসবুকের জন্য ভিডিও বানিয়ে ইনকাম। তবে ফেসবুক ও ইউটিউবের জন্য ভিডিও বানানোর গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে কিভাবে ইনকাম শুরু করতে পারেন সে বিষয়ে এখন জানাবো।
অনেকে মেয়ে বা গৃহিণী আছেন যারা ফেসবুক বা ইউটিউব প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ইনকাম করার ইচ্ছে থাকলেও ভিডিওতে নিজের চেহারা দেখানোর ভয়ে এই কাজটি করতে চান না। তবে এই কাজটি এখন অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। কারণ আপনি চেহারা না দেখিয়ে ভিডিও বানিয়ে ফেসবুক বা ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
এই ধরনের ভিডিও কন্টেন্ট কে বলা হয় Faceless Video Content. আজকাল অনেক মেয়ে ঘরে বসে নিজেদের চেহারা না দেখিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও বানিয়ে তা ফেসবুক বা youtube আপলোড করে টাকা ইনকাম করছেন।
যে কোন বিষয়ের উপর ফেসলেস ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে আপনিও ঘরে থেকে ইনকাম শুরু করতে পারেন। এই ধরনের ভিডিও কনটেন্ট বানানোর জন্য ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এডিটিং অ্যাপস ও ফ্রী AI টুল, যা আপনার কাজকে সহজ ও দ্রুত করতে সহায়তা করবে।
এছাড়া বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেডি বিষয়ক বা মানুষকে বিনোদন দেয়ার ভিডিও গুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। চাইলে আপনি এই ধরনের ভিডিও তৈরি করেও প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন।
সার্ভে করে আয়
বর্তমানে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার জন্য আরেকটি সেরা উপায় হতে পারে সার্ভে করে ইনকাম করা। এটাকে মূলতঃ নো স্কিল জব বলা যেতে পারে। অর্থাৎ সার্ভে করে ইনকাম করার জন্য আপনার সত্যিকার অর্থে খুব বেশি দক্ষতার প্রয়োজন নেই। মৌলিক কিছু জ্ঞান থাকলেই আপনি এই সেক্টর থেকে ভালো পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ অনলাইনে সার্ভে করে দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম অ্যাপস ২০২৫
সাধারণভাবে অনলাইনে সার্ভে করে ইনকাম বলতে মতামত প্রদান করে ইনকাম করাকে বুঝিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নতুন বা পুরাতন পণ্য ও সেবার রিভিউ, বাজার গবেষণা ও ব্যবহারকারীদের মতামত সংগ্রহ করার মাধ্যমে তথ্য জানতে চায়।
ভয়েস আর্টিস্ট হয়ে আয়
ভয়েস আর্টিস্ট হয়ে ইনকাম শুরু করার জন্য আপনি একটি ফেসবুক পেজ ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন। ফেসবুক পেজ বা youtube চ্যানেলে আপনার ভয়েস দেওয়া যে কোন গল্প বা কবিতা আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন।
এছাড়া বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে প্রোফাইল ক্রিয়েট করুন।। তারপর আপনার ভয়েস দেওয়া উন্নত মানের ২ থেকে ৩টি রেকর্ড যে কোন বিষয়ের উপর তৈরি করে প্রোফাইলে রাখুন।। অবশ্যই জনপ্রিয় গুলো বাছাই করে নিন।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো যেমন ফাইবার, আপওয়ার্ক ফ্রিল্যান্সার ডটকম, ফেসবুক, লিঙ্ক ডুইন ব্যবহার করে ক্লায়েন্ট খুঁজুন। ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলো থেকে একজন ভয়েস আর্টিস্ট হয়ে ভয়েস ওভারের কাজ করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়া বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী সংস্থা, ইউটিউব চ্যানেল, রেডিও চ্যানে্ল, ডাবিং স্টুডিওতে নিজের পোর্টফোলিও দাখিল করে ইনকাম শুরু করতে পারেন।
প্রেজেন্টেশন দিয়ে আয়
আপনি যদি ঘরে বসে আয় করতে চান এবং নিজেকে আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করার সেরা উপায়গুলো জানা থাকে তাহলে বেছে নিতে পারেন প্রেজেন্টেশনের কাজ। তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতির যুগে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এই কাজের চাহিদাও এখন অনেক বেশি।
বিশেষ করে মার্কেটিং ক্ষেত্রে এবং ফিনান্সিয়াল প্রজেক্টগুলোতে প্রতিনিয়তই প্রেজেন্টেশন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এছাড়া স্কুল, কলেজ, কোচিং অফিস বা অনলাইন ক্লাস নেওয়ার জন্য প্রেজেন্টেশনের প্রয়োজন পড়ে। তাছাড়া ইউটিউব চ্যানেল গুলোতেও একজন দক্ষ প্রেজেন্টারের চাহিদা অনেক।
এই চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে আপনি নিজেকে একজন প্রেজেন্টার হিসেবে উপস্থাপন করে ঘরে বসে অনলাইন আয়ের উৎস তৈরি করতে পারেন।
তবে প্রেজেন্টেশন এর কাজ করে আয় করার জন্য আপনি অনলাইন এবং অফলাইন দুটি সেবা প্রদান করে আয় করতে পারেন। আর এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন এ আই টুল যা আপনাকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই বানিয়ে দিবে প্রফেশনাল লেভেলের প্রেজেন্টেশন।
আরো পড়ুনঃ ২০২৫ সালে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ঘরে বসে আয়
আপনার যদি মার্কেটিং বিষয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং এর যাত্রা শুরু করতে পারেন। মূলত: ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইনে থাকা বিভিন্ন প্লাটফর্মে পণ্য বা সেবার প্রচার করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।
ডিজিটাল মার্কেটিং একক কোন বিষয় নয় বরং এর সাথে আরো অন্যান্য নানা শাখা রয়েছে। যেমনঃ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, এসইও, ইমেইল মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং সহ আরো অন্যান্য বিষয়। চাইলে এর যেকোনো একটি বিষয়ে আপনি দক্ষতা অর্জন করে কাজ শুরু করতে পারেন।
ব্লগিং/কপিরাইটিং করে ঘরে বসে আয়
বর্তমান সময়ে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার চাহিদা সম্পন্ন ও সম্মানজনক একটি কাজ হল আর্টিকেল রাইটিং বা লেখালেখি করা। নিজের একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ব্লগিং করে গুগল এডসেন্সের অ্যাড দেখিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে, ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস সাইট গুলি ব্যবহার করতে পারেন।
আরেকটি উপায় হল লেখালেখি করে ইনকাম। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে বা বড় বড় ওয়েবসাইট গুলোতে আর্টিকেল রাইটার হিসেবে লেখালেখি করে ভালো টাকা আয় করা যায়। একজন দক্ষ আর্টিকেল রাইটারের চাহিদা ওয়েবসাইট ও মার্কেটপ্লেস গুলোতে প্রচুর।
এছাড়া বর্তমানে কপি রাইটারের চাহিদাও অনেক। যে কোন বিষয়ের উপর কপিরাইটিং করে ইনকাম করা যায় যেমনঃ ব্লগ লেখা, আর্টিকেল লেখা, বিজ্ঞাপন বা ভিডিও স্ক্রিপ্ট লেখা, নিউজ আর্টিকেল লেখা ইত্যাদি। তবে কপিরাইটিং করে ইনকাম করার জন্য ইংরেজি ভাষা জানা জরুরী।
গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয়
আপনি যদি ডিজাইনিং আগ্রহী হন তাহলে হয়ে উঠতে পারেন একজন গ্রাফিক ডিজাইনার। বর্তমানে একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। গ্রাফিক ডিজাইনের কাজের মধ্যে আরো নানা বিষয় রয়েছে
যেমনঃ লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, ব্যানার পোস্টার, টি শার্ট কার্ড ইত্যাদি ডিজাইন। প্রথমে যেকোনো একটি কাজে দক্ষতা অর্জন করে কাজ শুরু করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে আয়
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট মানে ক্লায়েন্ট্ট এর চাহিদা অনুযায়ী ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দেওয়া এবং পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুযায়ী আপডেট বা মেরামত করে করা। বর্তমানে এই সেক্টরের চাহিদাও অত্যন্ত বেশি।
আপনার যদি কোডিং, HTML বিষয়ে আগ্রহ থাকে তাহলে ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করেও ভালো টাকা ইনকাম করতে পারেন। তবে বর্তমানে কোডিং সম্পর্কে ভালো জ্ঞান না থাকলেও ওয়েবসাইট ডিজাইন করে ইনকাম করা যায়।
ডাটা এন্ট্রি করে আয়
ফ্রিল্যান্সিংয়ের তুলনামূলক একটু সহজ কাজের মধ্যে ডাটা এন্ট্রি অন্যতম। ডাটা এন্ট্রি কাজ সহজে শেখা যায় এবং দিনের কিছুটা সময় ব্যয় করলে ভালো টাকা ইনকাম করা যায়। বর্তমানে একজন দক্ষ ডাটা এন্ট্রি চাহিদাও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে অত্যন্ত বেশি।
আপনি যত বেশি দ্রুত টাইপিং করতে পারবেন ডাটা এন্ট্রি তে তত বেশি সফলতা পাবেন। কম্পিউটারে মাইক্রোসফট অফিস এক্সেল ও পাওয়ার পয়েন্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে এ কাজটি একটি সহজেই করতে পারবেন।
অনুবাদকের কাজ করে আয়
আজকাল ঘরে বসে মহিলাদের টাকা আয় করার আরেকটি সম্মানজনক ও জনপ্রিয় কাজ হয়ে উঠেছে অনুবাদকের কাজ করা। বর্তমান অনুবাদকের কাজ করে প্রচুর মেয়ে এখন ঘরে বসে ভালো টাকা ইনকাম করছেন।
আপনার যদি একাধিক ভাষায় দখল থাকে তাহলে সহজে হয়ে উঠতে পারেন একজন অনুবাদক।বর্তমানে একজন দক্ষ অনুবাদকের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। অনুবাদকের বিভিন্ন কাজ আপনাকে করতে হতে পারে, যেমন: ভয়েস মেল, বিদেশি বই এর অনুবাদ, যেকোনো ধরনের ডকুমেন্টারি, বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র অনুবাদ, অডিও শুনে অনুবাদ, নথিপত্র, সাবটাইটেল এর অনুবাদ ইত্যাদি।
আপনি একজন অনুবাদক হয়ে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কাজ খুঁজতে পারেন। এ সকল প্লাটফর্মে একজন ভালো অনুবাদ করতে পারে এমন মানুষের চাহিদা অনেক বেশি। এছাড়া বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ইউটিউব চ্যানেলের সাথে যোগাযোগ করে অনুবাদকের কাজ করতে পারেন।
মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে আয়
বর্তমানে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা মার্কেটপ্লেসগুলোতে অত্যন্ত বেশি। আপনি যদি বাড়িতে বসে মোবাইল অ্যাপ তৈরির কাজ শিখতে পারেন তাহলে অ্যান্ড্রয়েড এবং আই ও এস দুই ধরনের মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনার যদি একটি ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ অথবা স্মার্টফোন থাকে তাহলে বাড়িতে আপনার অবসর সময়ে ইন্টারনেটে মোবাইল অ্যাপ তৈরির ভিডিও গুলো দেখে অ্যাপ তৈরি করা শিখতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে দেওয়ার সেবা প্রদান করে টাকা আয় করতে পারবেন।
এছাড়া আপনার তৈরি মোবাইল অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে গুগল অ্যাডমব থেকেও ভালো পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ই বুক বিক্রি করে আয়
বর্তমান যুগে ই-বুক এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি নিজে কোন বিষয়ের উপর ই-বুক তৈরি করে বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। এমাজনের মত ই-কমার্স সাইটে ই-বুক তৈরি ও পাবলিশ করে প্রচুর টাকা আয় করা যায় ।
কোচিং সেবা দিয়ে আয়
আপনি যদি কোন কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে, সেই কাজের অনলাইনে কোচিং সেবা দিয়ে বা অন্যকে শেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন, যেমনঃ রান্না বিষয়ক, কেক তৈরি ও আইসিং করা, সেলাই করা, হস্ত নির্মিত যেকোনো পণ্য তৈরি শেখানো ইত্যাদি। বর্তমানে এ ধরনের কোচিং সেবা দিয়ে বাড়িতে বসে অনেকেই ভালো পরিমাণ আয় করছেন।
ফটোগ্রাফি করে আয়
আপনার যদি ফটোগ্রাফিতে আগ্রহ থাকে তাহলে বিভিন্ন সাইটে আপনার ছবি বিক্রি করে আয় করতে পারেন। অনলাইনের অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে নিজের তোলা ছবি বিক্রি করে আয় করা যায়। যেমনঃ এডোবি স্টক, এলামি ইত্যাদি।
কাউন্সেলিং করে আয়
আপনি যদি বিশেষ কোনো বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে বাড়িতে বসে অনলাইনে কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সেবা দেওয়ার জন্য ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে কাউন্সিলিং দেয়ার মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এমনকি বর্তমানে মোটিভেশনাল লেকচার প্রদান করেও অনেকে ভালো টাকা আয় করছেন।
ফিটনেস কোচিং দিয়ে আয়
বর্তমানে অনলাইনে আরেকটি বিষয়ে মহিলাদের ব্যাপক প্রচার দেখা যায় তা হল ফিটনেস। আপনি যদি ফিজিক্যাল এক্সারসাইজ ধরনের কাজে দক্ষ হন তাহলে ফিটনেস বিষয়ে অনলাইনে সেবা দিয়েও টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ইভেন্ট হোস্ট করে আয়
অনলাইনে প্রায়ই এখন বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম বা ইভেন্ট হতে দেখা যায়। যত দিন যাচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক এই ইভেন্ট গুলোর চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাইলে আপনি এই ধরনের ভার্চুয়াল ইভেন্টে হোস্ট বা উপস্থাপিকার ভূমিকা পালন করেও টাকা আয় করতে পারেন।
ত্বক ও চুলের যত্নের প্রসাধনী তৈরি করে আয়
ঘরে তৈরি ত্বক ও চুলের যত্নে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করে বিক্রি করে আয় করতে পারেন। এ কাজটি আপনি অনলাইন এবং অফলাইন দুইটি প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন। যেমন- ঘরে তৈরি হার্বাল হেয়ার অয়েল, ফেস মাস্ক ইত্যাদি।
ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে আয়
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে অনেকে অনলাইন থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। চাইলে আপনিও ইনফ্লুয়েন্সার হতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে সুন্দর ভাবে কথা বলা এবং লোকদেরকে মোটিভেট করার গুন থাকতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে আপনার যে বিষয়ে জ্ঞান ও ধারণা বেশি সেই নিস বা বিষয় বেছে নিতে পারেন। যেমনঃ আপনার যদি মেয়েদের ত্বকের যত্ন, প্রসাধনী এবং মেকআপ বিষয়ে যথেষ্ট প্র্যাকটিক্যাল জ্ঞান থাকে তাহলে এই বিষয়ে আপনি কাজ করতে পারেন।
এছাড়া বর্তমানে পোশাক-আশাক বা ড্রেস সম্পর্কিত ইনফ্লুয়েঞ্জ স্যারদের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। আপনার যদি ড্রেস সেন্স খুব ভালো থাকে তাহলে এই বিষয় বেছে নিতে পারেন।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় অফলাইন
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার অফলাইন উপাগুলো সম্পর্কে এই পর্যায়ে জেনে নিন। বর্তমান যুগের মেয়েরা কোন না কোন কাজে দক্ষ হয়ে থাকে। ঘর-সংসার সামলানোর পাশাপাশি তাদের এই দক্ষতাকে কাজে লাগে সহজেই টাকা উপার্জনের পথ তৈরি করতে পারেন।
মেয়েরা তাদের অবসর সময়ে যে সহজ ও লাভজনক কাজ গুলো করে আয় করতে পারেন তা নিচে দেখে নিন। এই সকল কাজ করে উপার্জন করার জন্য খুব বেশি বিনিয়োগ করার প্রয়োজন হবে না। অল্প কিছু টাকা অর্থাৎ কোন কোন কাজে কাঁচামাল কেনার জন্য যতটুকু প্রয়োজন বিনিয়োগ করলেই হবে।
টিউশন বা কোচিং করিয়ে ঘরে বসে আয়
টিউশন বা ছাত্রছাত্রী পড়িয়ে ঘরে বসে আয় করা গৃহিণী বা মহিলাদের জন্য পুরনো একটি আয়ের উৎস। একই সাথে এই কাজটি অত্যন্ত সম্মানের এবং সেইসাথে লাভ জনক একটি পেশা। আপনি চাইলে সহজেই আপনার আশেপাশের পরিচিত ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে ঘরে বসে ইনকাম করার যাত্রা শুরু করতে পারেন।
ধীরে ধীরে যখন আপনার পরিচিতি বাড়বে তখন আপনি তা কোচিংয়ে রূপান্তর করে নিতে পারেন। আপনি যে বিষয়ে দক্ষ যেমনঃ গণিত বা ইংরেজি, তাহলে সেই বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়ানো শুরু করতে পারেন। বর্তমান সময়ে বিষয় ভিত্তিক ভালো টিউটরের চাহিদা অত্যন্ত বেশি।
বেকড খাবার, স্বাস্থ্যকর স্ন্যক্সস টিফিন সার্ভিস ও আচার বিক্রি করে আয়
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার যে কাজটি বর্তমানে খুবই সহজ এবং জনপ্রিয়, তা হল হল নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু বেকড খাবার তৈরি করে বিক্রি করা। যেমনঃ কেক, কুকিজ, ব্রেড ইত্যাদি।
আপনি যদি রান্নায় দক্ষ হন তাহলে তৈরি করতে পারেন স্বাস্থ্যকর বিভিন্ন স্ন্যাক্সস জাতীয় খাবার।যেমনঃ চিকেন মোমো, চিকেন ফিঙ্গা্র, চিকেন নাগেটস, চিকেন বল, চিকেন ও ভেজিটেবল রো্ল, সিঙ্গারা, সমচার ইত্যাদি।
এছাড়া রান্না করা খাবার সার্ভিস প্রদান করে বা টিফিন সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারেন। তৈরি করতে পারেন হোমমেড বিভিন্ন ফলের আচার। হোমমেড আচার সবাই পছন্দ করে। হোমমেড আচার তৈরি করে আপনি অনলাইন এবং অফলাইন দুইটি জায়গা থেকেই ইনকাম করতে পারেন।
হাতে তৈরি সৌখিন জিনিসপত্র বানিয়ে আয়
বর্তমান যুগের গৃহিণী ও মেয়েরা নানা ধরনের সৌখিন জিনিসপত্র তৈরিতে দক্ষ হয়ে থাকেন। আপনারাও যদি হাতে তৈরি করা যায় এরকম কোন কাজের দক্ষতা থাকে তাহলে সহজে আপনি ঘরে বসে থেকে আপনার ইনকাম করা যাত্রা শুরু করতে পারেন।
ওয়াল ম্যাট, সেন্টেট মোমবাতি, টেবিল ম্যাট, ফুলদানির নকশা, কুশিকাটার পণ্য তৈরি সহ বিভিন্ন ধরনের ঘর সাজানোর জিনিসপত্র তৈরি করে তা অনলাইন বা অফলাইনে বিক্রি করতে পারেন।
গৃহস্থালি সরঞ্জাম বিক্রি করে আয়
মহিলারা এখন ঘরে বসে আয় করার জন্য নানা ধরনের উৎস তৈরি করছেন। তারা তাদের সহজাত কাজ করার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সংসার ও কাজ নিপুন হাতে সামলাচ্ছেন। অনেক মহিলা আছেন যারা গৃহস্থালিতে ব্যবহার্য নানা ধরনের পণ্য তৈরি করে থাকেন। যেমনঃ বেতের তৈরি ঝুড়ি, বসার টুল, দোলনা, কুলা, পট, মাদুর ইত্যাদি।
অনেকে আবার রঙিন সুই সুতা দিয়ে কাঁথায় ফুটে তুলে নানা ধরনের নকশা, যা নকশি কাঁথা নামে পরিচিত। নকশী কাঁথার চাহিদা প্রচুর হওয়ায় এক একটি নকশি কাঁথা বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করা যায়। আপনার যদি এই ধরনের কোন দক্ষতা থাকে তাহলে আপনিও ঘরে বসে এই ধরনের সামগ্রী তৈরি করে বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
পেইন্টিং এবং আর্টওয়ার্ক করে আয়
আমাদের মধ্যে অনেক মেয়েরা আছেন যারা পেইন্টিং বা আর্টে বিশেষ দক্ষ হয়ে থাকেন। আপনার যদি পেইন্টিং আর্ট করার বিষয়ে দক্ষতা থাকে তাহলে ঘরে বসে পেইন্টিং বা আর্টওয়ার্ক করে সেগুলো বিভিন্ন ই-কমার্স সাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারেন।
গিফট আইটেম তৈরি ও বিক্রি করে আয়
বর্তমানে অনলাইন এবং অফলাইন দুইটি জায়গাতেই ঘরে তৈরি বিভিন্ন ধরনের গিফট আইটেমের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। যেমনঃ কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী টি-শার্ট বা মগের ডিজাইন করে দেওয়া, চাবির রিং তৈরি করা, লকেট,
ব্রেসলেট, কানের দুল হাতের রিং তৈরি করা, ছবি রাখার ফ্রেম নিজের মতো করে ডিজাইন করে বিক্রি করা। গিফট আইটেম বানিয়ে সেল করে আপনিও ইনকাম শুরু করতে পারেন।
সেলাই বা দর্জির কাজ করে আয়
আপনার যদি সেলাই বা দর্জির কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে ঘরে বসে আপনি জামা কাপড় সেলাই করে দেয়ার বিনিময়ে টাকা আয় করতে পারেন। এ কাজটি আপনি অনলাইন এবং অফলাইন দুটি মাধ্যমেই করতে পারবেন।
কাস্টমাইজ পোশাক ডিজাইন করে আয়
আপনার যদি পোশাকে ডিজাইন করার কাজ ভালো জানা থাকে, জামা কাপড়ের উপর নকশা তোলার অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে কাস্টমাইজ ডিজাইন করা পোশাক তৈরি করে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারেন।
বিশেষ করে অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্ম বা WE ( Woman and E Commerce Trust) এর মত প্লাটফর্মেআপনার কাস্টমার ডিজাইন করা পোশাকের ছবি দিয়ে আপলোড করতে পারেন। এতে আপনার পরিচিতি বাড়বে এবং বিক্রি ভালো হবে।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হয়ে আয়
আপনি যদি ইন্টেরিয়র ডিজাইনের কাজ ভালো পারেন, তাহলে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট খুঁজে আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো কাজে লাগাতে পারেন। অথবা বিভিন্ন ই-কমার্স গ্রুপ বা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হয়েও ক্লায়েন্ট পেতে পারেন।
বাগান বা নার্সারি করে আয়
আপনার যদি বাগান করার শখ থাকে, গাছের পরিচর্যা ও যত্ন নেওয়ার বিষয় পারদর্শী হন, তাহলে নিজে বাগান বা নার্সারি করে ঘরে বসে আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার বাড়ির আশেপাশে যে কোন খোলা জায়গা বা বর্তমানে ছাদ বাগান করেও অনেকে ভালো টাকা উপার্জন করছেন।
নানা ধরনের ফুলের চারা সহ, ঔষধি গাছের চারা বর্তমানে অনেক চাহিদা। আপনি নার্সারি করার মাধ্যমে চারা বিক্রি করে রোজগার শুরু করতে পারেন।
গবাদি পশু বা হাঁস মুরগি পালন করে আয়
আপনি যদি গৃহিণী হয়ে থাকেন এবং একই সাথে গ্রামে বাস করেন তাহলে ঘরে থেকে সহজে যে কাজটি করে আয় রোজগার করতে পারেন তা হল আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী গবাদি পশু বা হাঁস-মুরগি পালন করা। এক্ষেত্রে আপনি হাঁস মুরগির ডিম এবং গরু ছাগলের দুধ বিক্রি করে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সাথে শাক সবজির বাগান করেও আয় করতে পারেন।
বর্তমানে গ্রামের টাটকা দুধ, ডিম, শাক সবজির চাহিদা অত্যন্ত বেশি। আপনি সহজে আপনার অবসর সময়ে এই কাজগুলো করে টাকা উপার্জনের রাস্তা তৈরি করতে পারেন।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় ই-কমার্স ব্যবসা
প্রিয় পাঠক, উপরে আমরা মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার সেরা এবং কার্যকরী উপায়গুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি। অনলাইন এবং অফলাইন দুটি মাধ্যমকে আমরা পৃথকভাবে ভাগ করে আলোচনা করেছি।
এই পর্যায়ে আপনাদের জন্য মহিলাদের ঘরে বসে আয় করার বর্তমান যুগের আরেকটি চাহিদা সম্পন্ন, জনপ্রিয় এবং প্রফিটেবল উপায় এর কথা আলোচনা করব। আর সেটি হলো ই-কমার্স ব্যবসা করে আয়। ই কমার্স ব্যবসা করে আয় করার ধারণাটি মূলতঃ ই-কমার্স সাইট গুলো ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করার নানা ধরনের উপায়কে বুঝিয়ে থাকে।
বর্তমানে ই-কমার্স ব্যবসা করে মেয়েরা ঘরে বসে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন। আপনার যদি মার্কেটিং কৌশল সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহলে এই সেক্টরটি আপনি বেছে নিতে পারেন।
নিচে ই-কমার্স ব্যবসা থেকে আয় করার কয়েকটি উপায় আলোচনা করা হলোঃ
ড্রপ শিপিং করে আয়
বর্তমানে ই-কমার্স ব্যবসার মধ্যে ড্রপ শিপিং করে ইনকাম অন্যতম। ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে ইনকাম করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন ই কমার্স সাইটগুলোর মধ্য থেকে জনপ্রিয় পণ্য গুলো আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পেজ, ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল থাকলে, সেখানে বিজ্ঞাপন দিতে হবে বা সাজিয়ে রাখতে হবে।
যখন কোন ক্রেতা কোন পণ্য পছন্দ করে ক্রয় করবে, তখন আপনি ওই পণ্য টি ই-কমার্স সাইট থেকে অর্ডার করে সরাসরি ক্রেতার কাছে বিক্রি করবেন। এভাবেই আপনি ঘরে বসে থেকে বিনিয়োগ ছাড়া ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এফিলিয়েট লিংক এর মাধ্যমে আয়
আপনি যদি ঘরে বসে ইনকাম করতে চান এবং আপনার একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থাকে যেমন; ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল অথবা ব্লগ ওয়েবসাইট। তাহলে এফিলিয়েট লিঙ্ক ক্রিয়েট করার মাধ্যমে কমিশন অর্জন করে ইনকাম করতে পারেন।
এক্ষেত্রে অ্যামাজন, দারাজ বা রকমারি এর মত ই-কমার্স সাইট গুলোর কোন পণ্যের লিংক প্রমোট করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে ওই নির্দিষ্ট ই-কমার্স সাইটে এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হবে।
অনলাইন শপ তৈরি করে আয়
আপনি অনলাইনে বিভিন্ন পণ্যের দোকান বা শপ তৈরি করেও ঘরে বসে ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি নিজের তৈরি করা পণ্য রাখতে পারেন বা জনপ্রিয় কিছু পণ্য বাইরে থেকে কিনে এনেও শপ সাজাতে পারেন।
আপনার যদি একটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল থাকে অথবা ব্লগ ওয়েবসাইট তাহলে সেখানে একটি অনলাইন দোকান তৈরি করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করে মাসে লাখ টাকার মতো আয় করতে পারেন। যেমনঃ ফেসবুক এবং ইউটিউব চ্যানেলে আপনার তৈরি নানা ধরনের ঘরে তৈরি পণ্যের দোকান তৈরি করতে পারেন।
আবার আপনার যদি একটি ব্লক ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেখানে কোন বিষয় ভিত্তিক অনলাইন কোর্স তৈরি করে সাজিয়ে রেখে অথবা টি শার্ট ডিজাইন করে সাইটে একটি অনলাইন শপ তৈরি করে বিক্রি করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারেন।
ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম গ্রুপ থেকে আয়
আপনার যদি একটি জনপ্রিয় ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থাকে, তাহলে সহজে ফেসবুক বা instagram গ্রুপ তৈরি করে সেখান থেকে আয় করতে পারেন।
মোটামুটি এক্ষেত্রে আপনাকে কয়েক হাজার গ্রুপ মেম্বারের একটি কমিউনিটি থাকতে হবে। যত বেশি মেম্বার যোগ হবে তত বড় আপনার কমিউনিটি তৈরি হবে। আর এই বিশাল কমিউনিটিতে সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।
এছাড়া এই কমিউনিটিকে আপনি ব্যবহার করতে পারেন যেকোনো ধরনের রিসেলার ব্যবসার প্রাথমিক কাস্টোমার হিসেবে। রিসেলার ব্যবসা বলতে সেই ব্যবসাকে বুঝায় যেখানে অন্য কোন উৎস থেকে কম মূল্য পণ্য ক্রয় করে আপনার ফেসবুক গ্রুপ বা ইনস্টাগ্রাম গ্রুপে বেশি দামে বিক্রি করা।
এবং ধীরে ধীরে আপনি আপনার এই ব্যবসাকে অনলাইন ব্যবসায় পরিণত করতে পারেন। তবে প্রথম দিকে অবশ্যই আপনাকে গ্রুপে মেম্বার বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে এবং যথাযথ কাস্টমার সার্ভিস প্রদান করতে হবে।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার জন্য কি কি প্রয়োজন
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার কার্যকরী উপায় গুলো নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করছি। এ বিষয়ে উপরে আপনারা জেনেছেন। মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম শুরু করার জন্য কি কি প্রয়োজন হতে পারে এ বিষয়ে এখন জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট সাইট/অ্যাপস সম্পর্কে জানুন
গৃহিণী বা মহিলাদের জন্য ঘরে বসে উপার্জন করার জন্য কিছু কিছু মৌলিক বা সাধারণ জিনিস এক্ষেত্রে প্রয়োজন হবে। যেমনঃ
- আপনি যদি গৃহিণী হয়ে ঘরে থেকে ইনকাম শুরু করতে চান তাহলে প্রথমেই আপনাকে একটি নিশ বা বিষয় বাছাই করতে হবে। সে বিষয়ের উপর আপনার স্কিল্ড ডেভেলপমেন্ট এর উপর জোর দিতে হবে। বর্তমান যুগে আপনি যে কাজই করতে চান না কেন, আপনি যদি স্কিলড না হন তাহলে ইনকাম করতে পারবেন না। কারণ স্কিল্ড হলো বর্তমান সময়ের প্রথম এবং প্রধান সাফল্যের চাবিকাঠি।
- আপনি যে কাজ করে ইনকাম করতে চান না কেন সে কাজে আপনাকে সময় এবং পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে। এবং ধৈর্য আপনাকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ কাজ শুরু করার প্রথমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন বা সফল হবেন এমন কোন নিশ্চয়তা নেই, ধৈর্য ধরে কাজ করলে সফলতা আপনার আসবেই।
- মোবাইল বা স্মার্টফোন এর পাশাপাশি কোন কোন কাজের ক্ষেত্রে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ প্রয়োজন হতে পারে। যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো করার জন্য আপনার ল্যাপটপ প্রয়োজন হবে।
- দ্রুতগতির ইন্টারনেট বা ডাটা কানেকশন
- সময়ের সাথে নিজেকে আপডেট রাখা, কারণ অনলাইন দুনিয়ায় প্রতিনিয়ত আপডেট চলতেই থাকে। এ বিষয়ে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে।
- বর্তমান যুগে যেকোনো কাজে AI ব্যবহার আপনাকে প্রফেশনাল লেভেলের করার নিশ্চয়তা দিবে। তাই কাজ অনুযায়ী AI টুল এর ব্যবহার শিখুন এবং আপনার কাজে এপ্লাই করুন।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
- ব্লগ লেখা বা কনটেন্ট লেখা
- ফেসবুক পেজ বা ইউটিউব চ্যানেল
- অনলাইন টিউটোরিং
- বেকিং (কেক কুকিজ পাউরুটি ইত্যাদি)
- রান্না( হোমমেড খাবার)
- ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
- হাতে তৈরি জিনিসপত্র
- ব্লগ শুরু করা
- আর্টিকেল রাইটার হয়ে
- একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে
- ফেসবুক পেজ খুলে
- ইনসুরেন্স পি ও এস পি ( POSP) হয়ে
- বাড়ির তৈরি জিনিস বিক্রি করে
- অনুবাদ করে
- ট্রাভেল এজেন্ট এর কাজ করে
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url