বর্তমান যুগে তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন আয়ের পথও অনেক প্রসারিত হয়েছে। এখন অনলাইনে একটু ঘাঁটাঘাটি করলেই এমন অনেক প্ল্যাটফর্ম ও অ্যাপ পাবেন, যেখানে ফেসবুক লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার করে অর্থ উপার্জন করা যায়।
কোন প্রকার দক্ষতা ছাড়া শুধুমাত্র ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে টাকা ইনকাম করা বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। পোস্ট সূচিপত্রঃ
আপনি যদি এখনো না জেনে থাকেন ফেসবুকে লাইক দিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় তাহলে ধৈর্য ধরে পুরো আর্টিকেলটি পড়ে বিস্তারিত জেনে নিন।
ফেসবুকে লাইক দিয়ে সত্যিই কি টাকা ইনকাম করা যায়? উত্তর, হ্যাঁ আপনি চাইলে এখন ফেসবুকে লাইক দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তবে খুব বেশি পরিমাণ টাকা আপনি ইনকাম করতে পারবেন না।
বর্তমান যুগে অনলাইন আয়ের হাজারো উপায়ে রয়েছে। কিন্তু আপনি যদি অনলাইন ইনকামের সহজ কোনো রাস্তা খোঁজেন এবং অল্প আয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন তাহলে এই বিকল্প উপায়টি বেছে নিতে পারেন।
মনে করুন, আপনি আপনার অবসর সময় ফেসবুকে স্ক্রল করে কাটাচ্ছেন। আপনি চাইলে খুব সহজে এই সময়টুকু টাকা উপার্জনে কনভার্ট করে নিতে পারেন। অর্থাৎ আপনার যদি টাকা ইনকাম করার আগ্রহ এবং ইচ্ছা থাকে তাহলে ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট করার কাজ করে হাত খরচের মত টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।
ইন্টারনেটে ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা উপার্জন করার কিছু অ্যাপস ও ওয়েবসাইট রয়েছে। এই সকল অ্যাপ্স ও সাইটে ছোট ছোট কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। আবার ফ্রিল্যান্সিং কিছু প্লাটফর্ম রয়েছে সেখানেও আপনি ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে ইনকাম করার কাজ পেয়ে যাবেন।
ফেসবুকে লাইক করে টাকা ইনকাম করার জন্য বর্তমান সময়ে কয়েকটি জনপ্রিয় সাইট ও অ্যাপ সম্পর্কে এখন আপনাদের জানাবো। তবে এর আগে জেনে নিন ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা ইনকাম বলতে আসলে কি বুঝায়?
মূলতঃ বিভিন্ন কোম্পানি, অনলাইন মার্কেটিং এজেন্সি ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের তাদের পেজ, পোস্ট কিংবা ভিডিওকে ভাইরাল করার জন্য বাস্তব ব্যবহারকারীদের লাইক বা রিঅ্যাকশনের প্রয়োজন হয়। আর এই কাজের জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু সাইট বা অ্যাপ, যেখানে ব্যবহারকারীরা ঢুকে ফেসবুকে লাইক দিয়ে, কমেন্ট ও শেয়ার করে টাকা আয় করতে পারেন।
কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেমনঃ ফাইবার, আপ ওয়ার্ক বা Microworkers থেকে ছোট ছোট সোশ্যাল মিডিয়ার টাস্কের বিনিময়ে আয় করা সম্ভব। ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা আয় করা এর মধ্যে অন্যতম।
আপনি ফেসবুকে লাইক শেয়ার ও ফলো করে কয়েন অর্জন করতে পারবেন। ফেসবুক ছাড়াও আপনি অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার কাজ করেও এখান থেকে আয় করতে পারবেন। এই সাইটে রয়েছে হাই পেইং মাইক্রো টাস্কিং জব করে ইনকাম করার সুবিধা। এছাড়া এই সাইটে রেফারেল প্রোগ্রামের অংশ নিয়েও আপনি বাড়তি কয়েন অর্জন করতে পারবেন।
আপনার অর্জিত কয়েন আপনি সহজেই ইউএসডি ডলারে রূপান্তর করে উত্তোলন করতে পারবেন। এজন্য পেপেল, াসহ নগদ ও বিকাশ পেমেন্ট মেথড আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। এই সাইটের সর্বনিম্ন পেমেন্ট ১০০০ কয়েন যা আপনি বর্তমানে এক ডলারে রূপান্তর করে উত্তোলন করতে পারবেন।
ফেসবুকে লাইক করে টাকা ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় বাংলাদেশী সাইট Earnadora.com. এই সাইটে প্রবেশ করে আপনার একটি অ্যাক্টিভ জিমেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। সম্পূর্ণ ফ্রিতে আপনি রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।
রেজিস্টেশন করার পর সাইটে লগইন করলেই আপনি ১০ টাকা বোনাস হিসেবে পাবেন। এই সাইটে আপনি ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট করে টাকা আয় করতে পারবেন। আপনি বিকাশ ও নগদ পেমেন্ট মেথডে নগদ টাকায় রূপান্তরের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারেন। সর্বনিম্ন ১ ডলার হলেই আপনি টাকা উত্তোলন করার জন্য রিকোয়েস্ট সেন্ড করতে পারবেন।
এই সাইটের রেফার প্রগ্রামে অংশ নিয়েও আপনি টাকা ইনকাম বৃদ্ধি করতে পারেন। প্রতিটি রেফারের জন্য আপনি ১০ সেন্ট অর্জন করবেন। এই হিসেবে আপনি ১০০ টি রেফার করলে এক ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
ফেসবুকে লাইক করে টাকা ইনকাম করার আরেকটি জনপ্রিয় অ্যাপ হলো এটি। আপনার মোবাইলের গুগল প্লে স্টোরে সার্চ দিলে অ্যাপটি পেয়ে যাবেন। অ্যাপ টি ইন্সটল করার পর অ্যাপে ঢুকে আপনার অ্যাক্টিভ একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে।
সম্পূর্ণ ফ্রিতে রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনি বিভিন্নভাবে এখানে আয় করার সুযোগ পাবেন।
যেমনঃ ফেসবুকের পোস্টে লাইক দিয়ে ইনকাম, ভিডিও দেখে ইনকাম গেম খেলে ইনকাম ও রেফার করে ইনকাম। এখানে প্রতিটি তাপ সম্পন্ন করার জন্য আপনি পয়েন্ট অর্জন করতে পারবেন। যত বেশি কাজ করবেন তত বেশি পয়েন্ট অর্জন হবে।
১০ হাজার পয়েন্টের জন্য আপনি এখানে ১ সেনট ইউএসডি ডলার পাবেন। এই অ্যাপ থেকে অর্জিত পয়েন্ট আপনি পেয়ার, পে টিম বা কয়েন বেস এ পেমেন্ট মেথডে উত্তোলন করতে পারবেন।
ফেসবুকে লাইক দিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন
ফেসবুকে লাইক দিয়ে আয় করতে হলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ অনুসরণ করতে হবে। সঠিক নিয়মে ধাপ গুলো অনুসরণ করলে ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা ইনকাম করার কোন ব্যাপার না। নিচে কাজ করার জন্য ধাপগুলো দেখে নিনঃ
প্রথমে আপনাকে একটি নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট বা অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, যেমন- Like4Like, AddMeFast, FollowLike ইত্যাদি।
এইসব সাইটে সাইন আপ করে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করতে হবে এবং এরপর বিভিন্ন কাজ বা টাস্ক দেখা যাবে, যেমন: কোনো পোস্টে লাইক দেওয়া, পেজে লাইক দেওয়া, ভিডিওতে রিঅ্যাক্ট করা ইত্যাদি।
প্রতিটি টাস্ক সম্পন্ন করার পর আপনি নির্দিষ্ট পয়েন্ট বা অর্থ পাবেন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় কাজ করে আপনি নিয়মিতভাবে পয়েন্ট জমাতে পারেন, যা পরে ডলার বা টাকায় রূপান্তরযোগ্য। যারা কিছুটা সময় ধারাবাহিকভাবে ব্যয় করতে পারবেন, তারা দিনে ১-২ ঘন্টা কাজ করে একটি ছোট কিন্তু নিশ্চিত আয় গড়ে তুলতে পারবেন।
কাজের সময় ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন থাকা এবং টাস্কগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করা জরুরি। ভুল কাজ করলে পয়েন্ট না পাওয়ার ঝুঁকি থাকে। কাজটি নিয়মিত করলে এবং নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করলে, এটি একটি সঠিক ও নিরাপদ সাইট ইনকাম হতে পারে।
যেভাবে প্রতিদিন ফেসবুকে লাইক দিয়ে আয় করবেন তার key points গুলো নিচে দেখে নিনঃ
- নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট বা অ্যাপে সাইন আপ করুন (যেমন: Like4Like, AddMeFast)
- ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লিঙ্ক করুন (ওয়েবসাইট বা অ্যাপে)
- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় কাজ করুন (১-২ ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করুন)
- পোস্ট, পেজ বা ভিডিওতে লাইক দিন (প্রতিটি টাস্ক অনুযায়ী)
- সঠিকভাবে টাস্ক সম্পন্ন করুন (ভুল করলে পয়েন্ট পাবেন না)
- পয়েন্ট জমতে দিন এবং সেটি ডলারে রূপান্তর করুন
- পেমেন্ট মেথড সেট করুন (PayPal, Payoneer, বিকাশ ইত্যাদি)
- ফেক লাইক বা বট ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
- প্রতারণামূলক সাইট এড়িয়ে চলুন
- প্রতিদিনের কাজ ট্র্যাক করার জন্য নোট নিন বা এক্সেল ব্যবহার করুন
লাইক, কমেন্ট করে ইনকাম সাইট
বর্তমানে অনলাইনে ইনকাম করার অনেক উপায় রয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো লাইক, কমেন্ট, শেয়ার ইত্যাদি করে অর্থ উপার্জন করা। আপনারা অনেকেই হয়তো এ বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে অবগত নন। তাই আপনি ওই বিষয়ে জেনে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারেন।
লাইক কমেন্ট করে ইনকাম সাইট বা অ্যাপ সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে এনগেজমেন্ট বাড়ানোর কাজ করে থাকে। ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট ফেসবুক পোস্ট, ইউটিউব ভিডিও, ইনস্টাগ্রাম কনটেন্টে লাইক বা কমেন্ট করলেই প্রতিটি অ্যাকশনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়।
নিচে লাইক কমেন্ট করে ইনকাম করার জনপ্রিয় কয়েকটি সাইটের নাম দেয়া হলোঃ
Workup job: অনলাইন দুনিয়ায় এটি একটি জনপ্রিয় মাইক্রো জব সাইট। এই সাইট নানা ধরনের ছোট ছোট কাজ করে টাকা ইনকাম করার সুযোগ প্রদান করে। যেমন: ফেসবুকে লাইক কমেন্ট শেয়ার করা, ইউটিউব ভিডিও দেখা ও লাইক করা, ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করা, ওয়েবসাইট ভিজিট করা ইত্যাদি।
Sproutgigs: এটিও একটি মাইক্রো টাস্কিং সাইট। এখানে আপনি ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করে, ভিডিও বা ছবিতে লাইক করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ছোট ছোট কাজ করে টাকা ইনকাম করার জন্য এটিও একটি জনপ্রিয় সাইট।
Microworkers.com: এটি মূলতঃ ছোট ছোট কাজ করে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় একটি সাইট। এই সাইটে ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করা, youtube এ সাবস্ক্রাইব করার মত ছোট ছোট কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়।
Workupplace.com: ফেসবুকে লাইক কমেন্ট করে ইনকাম করার এটিও একটি নির্ভরযোগ্য সাইট। এই সাইটে নিয়ম অনুযায়ী কাজ করে টাকা ইনকাম করে আপনি বিকাশ বা নগদে উত্তোলন করতে পারবেন।
Anylancer: মূলতঃ এটি একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে ফ্রিল্যান্সিং ছোট বড় বিভিন্ন কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কাজের দক্ষ হন তাহলে বড়বড় কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে নতুন হিসেবে আপনি ছোট ছোট কাজ যেমন: ফেসবুকে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এইসব ইনকাম সাইটগুলো অনেক সময় রেফার প্রোগ্রামও অফার করে, যেখানে আপনি নতুন ইউজার যুক্ত করলে বোনাস ইনকাম পেতে পারেন।
উপরে উল্লেখিত সাইট গুলো ছাড়াও লাইক কমেন্ট করে ইনকাম করার আরো অনেক সাইট অনলাইনে পাবেন। তবে এই ধরনের ইনকাম সাইট ব্যবহারের আগে সাইটটি ভেরিফাই করা এবং তার রিভিউ দেখে নেওয়া খুবই জরুরি, কারণ অনেক স্ক্যাম সাইটও এই ধরণের সুযোগ দেখিয়ে ব্যবহারকারীদের ঠকায়।
ভিডিও বা ছবিতে লাইক দিয়ে টাকা ইনকাম
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং ও সোশ্যাল মিডিয়া প্রোমোশনের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান ও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের ছবি বা ভিডিওতে লাইক বাড়ানোর জন্য অর্থ প্রদান করে থাকে। এই চাহিদার সুযোগ নিয়ে কিছু ইনকাম সাইট ও অ্যাপ তৈরি হয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র ভিডিও বা ছবিতে লাইক দিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
সাধারণত ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টিকটকের কনটেন্টে লাইক দেওয়া হয় এবং প্রতিটি লাইক বা রিঅ্যাকশনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বা পয়েন্ট প্রদান করা হয়। কিছু সাইট এই কাজের পাশাপাশি রেফার প্রোগ্রামও অফার করে, যেখানে আপনি নতুন ব্যবহারকারী যুক্ত করেও ইনকাম করতে পারেন। তবে এ ধরনের ইনকামের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী।
ভিডিও বা ছবিতে লাইক দিয়ে টাকা ইনকাম করার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো হলঃ
কাজের ধরনঃ ভিডিও বা ছবিতে লাইক/রিঅ্যাকশন দিতে হয়।
প্রতি লাইক ইনকামঃ সাধারণত ০.৫ টাকা থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত হতে পারে (সাইট অনুযায়ী)।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মঃ ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ইত্যাদি।
অ্যাকাউন্ট ব্যবহারঃ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট দিয়ে কাজ করতে হয়।
টার্গেট পূরণঃ প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক লাইক দিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হয়।
পেমেন্ট পদ্ধতিঃ বিকাশ, নগদ, রকেট অথবা PayPal এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যায়।
রেজিস্ট্রেশন ও প্রোফাইল ভেরিফিকেশনঃ অনেক সাইটে কাজ শুরুর আগে সাইনআপ ও প্রোফাইল ভেরিফাই করতে হয়।
ঝুঁকিঃ অনেক সাইট শুধু লাইক নিয়ে ব্যবহারকারীদের অর্থ না দিয়ে ব্লক করে দেয়।
বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইঃ রিভিউ, ইউজার ফিডব্যাক ও পেমেন্ট প্রমাণ দেখে সাইট বাছাই করা উচিত।
রেফার বোনাসঃ অন্যকে রেফার করেও বাড়তি ইনকাম করা সম্ভব।
ফেসবুক লাইক দিয়ে আয় করার ধারণা কী
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের যুগে ফেসবুক একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি, ব্র্যান্ড, কনটেন্ট ক্রিয়েটর এবং উদ্যোক্তারা তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচারের জন্য ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছাতে চায়।
এজন্য তারা পোস্ট, ছবি বা ভিডিওর উপর অধিক সংখ্যক লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার পেতে আগ্রহী থাকে, যেন তা আরও বেশি মানুষের নিউজফিডে পৌঁছে। এই চাহিদা থেকেই গড়ে উঠেছে ফেসবুক লাইক ভিত্তিক ইনকামের ধারণা।
বর্তমানে এমন কিছু ওয়েবসাইট ও অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো নির্দিষ্ট পরিমাণ লাইক, কমেন্ট বা ফলো দেওয়ার জন্য ব্যবহারকারীকে টাকা বা পয়েন্ট প্রদান করে। ব্যবহারকারী নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এসব কাজ করে ইনকাম করতে পারে। পরে সেই পয়েন্ট নির্দিষ্ট পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে অর্থে রূপান্তর করা যায়।
এটি মূলতঃ মাইক্রো-টাস্ক ভিত্তিক একটি আয়ের পদ্ধতি, যেখানে দিনে কয়েকটি লাইক দিয়েই অল্প পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব হয়।
যদিও এই উপার্জন খুব বেশি নয়, তবুও এটি ছাত্রছাত্রী, গৃহিণী কিংবা অবসর সময়কে কাজে লাগাতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের জন্য একটি ছোটখাটো ইনকামের সুযোগ হিসেবে কাজ করতে পারে। তবে এই কাজ করার সময় ভুয়া সাইট থেকে সতর্ক থাকতে হয় এবং বিশ্বস্ত মাধ্যম বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
ফেসবুকে লাইক দিয়ে আয় করার ধারণা সহজ তবে সঠিক জ্ঞান ও নিরাপদ পদ্ধতির প্রয়োগই এখানে টাকা ইনকামের মূল চাবিকাঠি।
কেন কোম্পানিগুলো লাইক কেনে বা চায়?
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি বড় ভূমিকা রাখছে ব্যবসায়িক সফলতায়। ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রকাশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পোস্ট বা পেজের লাইক সংখ্যা। অধিক লাইক একটি পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও আস্থা তৈরি করে, যার ফলে বিক্রি বাড়ে ও ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি হয়।
নতুন কোম্পানিগুলো বাজারে দ্রুত পরিচিতি লাভের জন্য লাইক কিনে তাদের পেজ বা কনটেন্টে আস্থা তৈরি করতে চায়। অন্যদিকে, বড় কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটিংয়ে এগিয়ে থাকতে এবং প্রোডাক্ট প্রচারণার ক্ষেত্রে তাদের উপস্থিতি জোরদার করতেই লাইক কেনার কৌশল নেয়।
ফেসবুক অ্যালগরিদম অনেক সময় বেশি লাইক বা এনগেজমেন্ট পাওয়া পোস্টগুলোকে বেশি ব্যবহারকারীর টাইমলাইনে দেখায়, যা প্রচারণা আরও বাড়িয়ে দেয়। ফলে, লাইক শুধু একটি সংখ্যা নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং টুলে পরিণত হয়েছে।
নিচে সংক্ষেপে দেখে নিন কোম্পানিগুলোর লাইক কেনা বা চাওয়ার কারণ সমূহঃ
- ব্র্যান্ডের বিশ্বাসযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা বাড়াতে
- নতুন কোম্পানির দ্রুত পরিচিতি গড়তে সহায়তা করে
- গ্রাহকের মনে আস্থা তৈরি করে ও সাড়া বাড়ায়
- সোশ্যাল প্রুফ (social proof) হিসেবে কাজ করে
- ফেসবুক অ্যালগরিদমে পোস্টের রিচ বাড়াতে সাহায্য করে
- প্রতিযোগীদের চেয়ে এগিয়ে থাকতে সহায়ক
- মার্কেটিং প্রচারণা জোরদার করতে সহায়ক হয়
- পণ্যের বিক্রি বা সেবার চাহিদা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে
- ভবিষ্যৎ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে লাইক কাজে লাগে
- সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ডিং হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে
ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা ইনকামের জন্য কি প্রয়োজন
ফেসবুক লাইক দিয়ে আয় শুরু করতে হলে খুব বেশি কিছু প্রয়োজন হয় না, তবে কিছু মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস অবশ্যই লাগবে। প্রথমত, একটি সক্রিয় ও আসল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে, যেটিতে পর্যাপ্ত বন্ধু বা অ্যাক্টিভিটি থাকে। এরপর প্রয়োজন ইন্টারনেট সংযোগসহ একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার-কারণ লাইক, শেয়ার বা অন্যান্য টাস্ক করার জন্য এগুলো অপরিহার্য।
অনেক সাইট পাবেন যেখানে সাইন আপ করার জন্য একটি বৈধ ইমেইল অ্যাড্রেস প্রয়োজন। এছাড়া অর্জিত পয়েন্ট বা টাকা উত্তোলনের জন্য PayPal, Payoneer, বিকাশ সহ অন্য যে কোনো পেমেন্ট মেথড সংযুক্ত সংযুক্ত করতে হয়। আবার কিছু কিছু ওয়েবসাইট বা অ্যাপে কাজ করতে হলে বেসিক ইংরেজি বোঝার ক্ষমতা থাকলে ভালো হয়, কারণ টাস্কের নির্দেশনাগুলো সাধারণত ইংরেজিতে থাকে।
পাশাপাশি একটু ধৈর্য, মনোযোগ এবং নিয়মিত সময় দেওয়ার অভ্যাস থাকলে এ ধরনের কাজে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা সহজ হয়। সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করলে ফেসবুক লাইক দিয়ে অনলাইনে আয় করা সত্যিই সম্ভব।
নিচে দেখে নিন এই কাজ করার জন্য যা যা দরকার তার তালিকাঃ
- একটি অ্যাক্টিভ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (আসল ও পুরাতন অ্যাকাউন্ট হলে ভালো)
- স্মার্টফোন বা কম্পিউটার (কাজের সুবিধার জন্য)
- ইন্টারনেট সংযোগ (নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে)
- একটি ইমেইল অ্যাড্রেস (সাইটে রেজিস্ট্রেশনের জন্য)
- পেমেন্ট মেথড (যেমন: PayPal, Payoneer, বিকাশ, রকেট)
- বেসিক ইংরেজি বোঝার ক্ষমতা (টাস্ক বুঝতে)
- নিয়মিত সময় দেওয়ার মানসিকতা (প্রতিদিন কিছু সময় দিতে হবে)
- ধৈর্য ও মনোযোগ (বিশেষ করে নতুনদের জন্য জরুরি)
- একটি নোটপ্যাড বা এক্সেল ফাইল (কাজ ও পেমেন্ট ট্র্যাক রাখতে চাইলে)
- বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সাইট নির্বাচন করার জ্ঞান
অর্জিত পয়েন্ট থেকে টাকা তোলার প্রক্রিয়া
অনলাইনে ফেসবুক লাইক দিয়ে আয় করার পর আপনি যে পয়েন্টগুলো জমা করেন, সেগুলোকে বাস্তব অর্থে রূপান্তর করার জন্য নির্দিষ্ট পেমেন্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। সাধারণত, লাইক ভিত্তিক ওয়েবসাইট বা অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীদের পয়েন্ট হিসেবে ইনকাম দেয়, যেগুলো নির্দিষ্ট লিমিটে পৌঁছালে টাকা উত্তোলন সম্ভব হয়।
টাকা তোলার জন্য আপনাকে প্রথমে ওয়েবসাইট বা অ্যাপের উইথড্রয়াল (Withdrawal) অপশনে যেতে হয়, যেখানে বিভিন্ন পেমেন্ট গেটওয়ের অপশন দেওয়া থাকে।
পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে PayPal, Payoneer, বিকাশ, রকেট অথবা ব্যাংক ট্রান্সফার ব্যবহৃত হয়। আপনাকে পেমেন্ট গেটওয়ে নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় তথ্য (যেমন ইমেইল, মোবাইল নম্বর বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট) প্রদান করতে হয়। এরপর নির্দিষ্ট পরিমাণ পয়েন্ট বা টাকা উত্তোলনের জন্য রিকুয়েস্ট দিতে হয়।
প্রক্রিয়াটি সফল হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ আপনার নির্বাচিত পেমেন্ট মাধ্যমের অ্যাকাউন্টে জমা হবে। তবে কিছু সাইটে নূন্যতম উত্তোলন সীমা থাকতে পারে এবং কখনো কখনো প্রক্রিয়াটি কয়েকদিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে। তাই সঠিক তথ্য প্রদান এবং বিশ্বস্ত সাইট ব্যবহার করাই গুরুত্বপূর্ণ।
নিচে দেখে নিন ফেসবুক থেকে অর্জিত পয়েন্ট থেকে টাকা তোলার প্রক্রিয়া সমূহঃ
- পয়েন্ট জমা করার পর উইথড্রয়াল অপশনে যান
- উপলব্ধ পেমেন্ট গেটওয়ে থেকে পছন্দ করুন (PayPal, Payoneer, বিকাশ, রকেট, ব্যাংক ইত্যাদি)
- প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন (ইমেইল, মোবাইল নম্বর, ব্যাংক একাউন্ট)
- উত্তোলনের জন্য নির্দিষ্ট পয়েন্ট বা টাকা লিমিট পূরণ করুন
- উইথড্রয়াল রিকুয়েস্ট সাবমিট করুন
- টাকা প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষা করুন (কিছু ক্ষেত্রে ১-৭ দিন সময় লাগে)
- পেমেন্ট পেতে নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য সাইট বেছে নিন
- কোনো ফি বা চার্জ থাকলে তা বুঝে নিন
- পেমেন্ট তথ্য ভুল না দেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন
- নিয়মিত পেমেন্ট স্টেটাস চেক করুন এবং সমস্যা হলে সাপোর্ট টিমের সাথে যোগাযোগ করুন।
ভুয়া সাইট চেনার উপায়
অনলাইনে ফেসবুকে লাইক দিয়ে আয় করার সুযোগ অনেক হলেও, সেখানে প্রতারণামূলক বা ভুয়া সাইটও প্রচুর রয়েছে। এই ধরনের সাইট ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, টাকা না দিয়ে প্রতারনা করতে পারে অথবা ম্যালওয়্যার ছড়াতে পারে। তাই ভুয়া সাইট চিনতে পারা খুবই জরুরি।
সাধারণত, ভুয়া সাইটগুলো দেখতেও প্রফেশনাল হলেও তাদের পেমেন্ট গ্যারান্টি থাকে না বা পেমেন্ট প্রসেস দীর্ঘ সময় নেয়।
তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য অপ্রতুল বা অসঙ্গতিপূর্ণ থাকে, রিভিউগুলো ফেক বা খুবই নেতিবাচক হয়। অনেক সময় তারা অত্যন্ত আকর্ষণীয় অফার দেয় যা বাস্তবে সম্ভব নয়। এছাড়া, সাইটে যোগাযোগের ঠিকানা, ফোন নম্বর বা সাপোর্ট সুবিধা অনুপস্থিত বা অস্পষ্ট থাকে। সঠিক জ্ঞান ও সতর্কতা থাকলে ভুয়া সাইট থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব এবং অনলাইনে নিরাপদে আয় করা যায়।
কিভাবে আপনি একটি ভুয়া সাইট কিনবেন তা উপায় গুলো দেখে নিনঃ
- সাইটে পেমেন্ট প্রসেসিং স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য কিনা যাচাই করুন
- অত্যন্ত আকর্ষণীয় বা অবাস্তব অফার দেখে সতর্ক থাকুন
- ব্যবহারকারীদের রিভিউ ও ফিডব্যাক খতিয়ে দেখুন (বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে)
- সাইটে যোগাযোগের পূর্ণাঙ্গ তথ্য (ঠিকানা, ফোন, ইমেইল) আছে কি না দেখুন
- ওয়েবসাইটের ডিজাইন প্রফেশনাল হলেও লিঙ্ক ও কন্টেন্ট চেক করুন
- সাইটে লগইন বা রেজিস্ট্রেশন করার আগে SSL সিকিউরিটি (https) আছে কিনা নিশ্চিত করুন
- পেমেন্ট নেওয়ার পূর্বে ছোট পরিমাণ টেস্ট উইথড্রয়াল করুন
- ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার আগে সতর্ক থাকুন
- স্প্যাম বা অপ্রয়োজনীয় মেইল, ম্যাসেজ আসলে সাবধান হোন
- সন্দেহ হলে ফোরাম, গ্রুপ বা কমিউনিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করুন
FAQ/সাধারণ প্রশ্নোত্তর
প্রশ্নঃফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা আয় করবেন কিভাবে?
উত্তরঃকিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা অ্যাপ লাইক, শেয়ার বা কমেন্টের মাধ্যমে অর্থ দিয়ে থাকে। তবে প্রতারণামূলক সাইট থেকেও সাবধান থাকতে হবে।
প্রশ্নঃকোন কোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট এই কাজের সুযোগ দেয়?
উত্তরঃLike4Like, AddMeFast, EarnKaro, এবং কিছু ফ্রিল্যান্স সাইটে এ ধরণের কাজ পাওয়া যায়।
প্রশ্নঃএই ধরনের কাজ করতে কি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লাগবে?
উত্তরঃহ্যাঁ, একটি সক্রিয় ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক, যেখানে নিয়মিত কার্যক্রম থাকে।
প্রশ্নঃপ্রতিদিন কত লাইক দিলে কত টাকা আয় করা সম্ভব?
উত্তরঃএটা নির্ভর করে প্ল্যাটফর্ম এবং টাস্কের উপর; অনেক সময় ১০০ লাইকেও আয় হয় ২০–৫০ টাকা।
প্রশ্নঃফেসবুক লাইক দেওয়ার জন্য কীভাবে টাস্ক পাওয়া যায়?
উত্তরঃঅ্যাপে বা সাইটে সাইন আপ করে নির্ধারিত টাস্ক লিস্ট থেকে কাজ নিতে হয়।
প্রশ্নঃলাইক দেওয়ার পর টাকা কিভাবে পাওয়া যায়?
উত্তরঃপয়েন্ট বা ব্যালেন্স হিসেবে জমা হয়, পরে বিকাশ, রকেট বা পেপালের মাধ্যমে উত্তোলন করা যায়।
প্রশ্নঃএই কাজ কি নিরাপদ?
উত্তরঃনির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হলে নিরাপদ, তবে অনেক স্ক্যাম সাইটও রয়েছে-সতর্ক থাকতে হবে।
প্রশ্নঃফেক লাইক দিলে কি কোনো সমস্যা হয়?
উত্তরঃহ্যাঁ, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্লক হতে পারে এবং সাইট থেকেও ব্যান করা হতে পারে।
প্রশ্নঃকাজ করতে কি মোবাইল ব্যবহার করা যাবে?
উত্তরঃহ্যাঁ, মোবাইল দিয়েই সহজে এই কাজগুলো করা যায়, শুধু ইন্টারনেট সংযোগ লাগবে।
লেখকের মন্তব্য
ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা ইনকাম করবেন কিভাবে আজকাল তরুণদের মধ্যে একটি আলোচিত বিষয়। অনেকেই সহজে অনলাইনে আয় করার আশায় এই ধরনের কাজের প্রতি আকৃষ্ট হন। যদিও কিছু নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম রয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলো অস্থায়ী বা প্রতারণামূলক হয়ে থাকে।
কিছু সাইট ব্যবহারকারীর তথ্য নিয়ে অপব্যবহার করতে পারে, তাই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। লেখকের মতে, এই ধরনের ইনকামের চেয়ে দক্ষতা ভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা অধিক নিরাপদ ও টেকসই উপায়। তা না হলে সময় ও শ্রম দুই-ই নষ্ট হতে পারে।
প্রিয় পাঠক, আশা করি এই কন্টেনটি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং এই কনটেন্ট এ দ্বারা আপনারা উপকৃত হতে পারবেন। যদি এ কনটেন্টের দ্বারা আপনারা উপকৃত হতে পারেন তবে এই কনটেন্টটি আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনের নিকট শেয়ার করতে পারেন যাতে তারা এই কনটেন্টি পড়ে উপকৃত হতে পারে।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url