১৭টি সেরা বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ

  

বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ আপনিও নিতে পারবেন যদি সঠিক অ্যাপ সম্পর্কে জানেন। আর আজকের আর্টিকেলে ১৭টি সেরা বাংলাদেশী অ্যাপ থেকে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করে পেমেন্ট বিকাশে নেওয়ার বিষয়ে জানতে পারবেন।
বাংলাদেশী-অ্যাপ-প্রতিদিন-1000-টাকা-আয়-পেমেন্ট-বিকাশ

বর্তমান সময়ে গুগল প্লে স্টোরে বাংলাদেশি প্রচুর অ্যাপ রয়েছে যেখানে নিয়মিত কাজ করে রিয়েল টাকা ইনকাম করা যায়। এই সকল অ্যাপগুলো ছোট ছোট কিছু টাস্ক সম্পূর্ণ করার জন্য টাকা উপার্জন করার সুযোগ প্রদান করে। সবচেয়ে সুবিধার কথা হল, বাংলাদেশী প্রতিটি অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করে সরাসরি বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া যায়।

আপনাদের জন্য ১৭টি সেরা বাংলাদেশী অ্যাপ নিয়ে আজকের আর্টিকেলে হাজির হয়েছে। আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা শুরু করতে পারবেন। পোস্ট সূচিপত্রঃ

তাহলে চলুন দেরি না করে আর্টিকেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ

বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ এখন সবার কাছে অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আয় করার সুযোগও। অনেকেই এখন ঘরে বসেই স্মার্টফোন ব্যবহার করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করছেন। 

বিশেষ করে যারা ছাত্র-ছাত্রী, গৃহিণী, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা ফ্রি টাইমে ইনকাম করতে চান তাদের জন্য মোবাইল ইনকাম অ্যাপ একটি দুর্দান্ত মাধ্যম হতে পারে। শুধু একটি স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আপনি সহজ কিছু কাজ যেমনঃ ভিডিও দেখা, সার্ভে ফরম পূরণ, রেফার করা, বা ছোট ছোট গেম খেলে ইনকাম শুরু করতে পারেন।

এই অ্যাপগুলোর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো অনেক অ্যাপই সরাসরি বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট প্রদান করে, ফলে টাকা তোলাও হয় সহজ ও ঝামেলামুক্ত। এছাড়া বিদেশি অনেক জনপ্রিয় অ্যাপ বিকাশে পেমেন্ট সুবিধা প্রদান করে। বাংলাদেশী অ্যাপ এর নাম জানার সাথে সাথে আমরা এই ধরনের কয়েকটি বিদেশী অ্যাপ সম্পর্কেও জানব।

আপনি যদি ঘরে বসে কোনো ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই প্রতিদিন কিছু টাকা আয় করতে চান, তাহলে এই অ্যাপগুলো হতে পারে আপনার জন্য কার্যকর একটি সুযোগ।

আপনাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ নেওয়ার ১৭টি সেরা ও কার্যকরী অ্যাপ সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ

Earn BD অ্যাপ থেকে আয়: Earn BD একটি বাংলাদেশী অ্যাপ যেখানে আপনারা ছোট ছোট সহজ কিছু কাজ করার বিনিময়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এই অ্যাপটি আপনারা গুগল প্লে স্টোরে সার্চ দিলে পেয়ে যাবেন। এই অ্যাপটি থেকে যদি আপনারা টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ফ্রিতে আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। তারপর অ্যাপ একাউন্ট ক্রিয়েট করে টাস্কগুলো সম্পন্ন করে টাকা আয় করা শুরু করতে পারে।

প্রতিটি  টাস্ক সম্পন্ন করার জন্য আলাদা আলাদা পেমেন্ট পাবেন। এবং রেফার করে আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারবেন। যত বেশি সময় দিয়ে কাজ করবেন তত বেশি আপনার ইনকাম হবে। তাই এই অ্যাপ থেকে আপনি চাইলেই সহজে দিনে অন্তত ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাপটির ইন্টারফেস মোবাইল ফ্রেন্ডলি এবং যে কেউ এই অ্যাপ দিয়ে মোবাইলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন শুধুমাত্র ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই। এই অ্যাপের কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে-
  • ফেসবুকে লাইক দেওয়া
  • ইউটিউবে ভিডিও দেখা
  • Instagram এ লাইক দেওয়া
  • অ্যাপ ডাউনলোড করা
  • এড দেখা
  • কুইজ খেলা
  • রেফার করা ইত্যাদি

AdCash BD অ্যাপ থেকে আয়: AdCash BD একটি বাংলাদেশী মোবাইল অ্যাপ। এটি মূলতঃ একটি PTC ( Paid To Click) অ্যাপ। অর্থাৎ এই অ্যাপটি ইউজারদের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার বিনিময়ে টাকা ইনকাম করার সুযোগ প্রদান করে। এই অ্যাপটি আরও কিছু ছোট ছোট টাস্ক সম্পূর্ণ করার জন্য টাকা ইনকাম করার সুযোগ দেয়। যেমনঃ

  • ভিডিও দেখা
  • অ্যাপ ডাউনলোড করা
  • ক্লিক টাস্ক গুলো সম্পন্ন করা
  • রেফার করা ইত্যাদি
এই অ্যাপটি থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে মোবাইলে ডাউনলোড করে নিতে হবে। ডাউনলোড করার পর আপনার নাম, বয়স, আগ্রহ, কাজের সময় ইত্যাদি তথ্য দিয়ে প্রোফাইল ক্রিয়েট করতে হবে।

প্রোফাইল ক্রিয়েট করার পর অ্যাপ এ ঢুকে আপনি যত বেশি সময় কাজ করার পিছনে ব্যয় করবেন তত বেশি ইনকাম করবেন। এছাড়া রেফার করে আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারবেন। ডেইলি বোনাস এবং স্পিন বোনাস এখানে পাবেন। আপনি যদি সঠিকভাবে টাচ গুলো সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে ইজিলি দৈনিক ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে টাকা আয়: বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে দিনে ১০০০ টাকা আয় করার জন্য আপনাকে সরাসরি বিকাশ থেকে আয় করার সুযোগ নেই, তবে বিকাশ অ্যাপকে ব্যবহার করে বিভিন্ন অনলাইন ইনকামের মাধ্যম থেকে পাওয়া অর্থ সহজে তুলতে পারবেন। যেমন আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করেন , কিংবা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে রেফার ও রিওয়ার্ড প্রোগ্রামে অংশ নেন, তাহলে সেই টাকা বিকাশে তুলতে পারবেন।


আরও একটি উপায় হচ্ছে বিকাশের "Cash In, Cash Out" সুবিধা কাজে লাগিয়ে এজেন্ট হয়ে আয় করা। আপনি যদি বিকাশ এজেন্ট হন, তাহলে মানুষের কাছ থেকে টাকা গ্রহণ ও প্রেরণ করে কমিশন পেতে পারেন। প্রতিদিন ৮-১০ জন গ্রাহকের লেনদেনের মাধ্যমে দিনে ৫০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।

দারাজ অ্যাপ এর মাধ্যমে টাকা আয়: বর্তমানে দারাজ অ্যাপ ব্যবহার করে অনেকেই প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার টাকা কিংবা তারা বেশি ইনকাম করছে। যদি আপনার কাছে একটি ল্যাপটপ অথবা একটি ভালো মানের ফোন থেকে থাকে তাহলে আপনি ঘরে বসেই এর ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

দারাজ অ্যাপ ব্যবহার করে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো Daraz Affiliate Program। আপনি যদি দারাজ অ্যাফিলিয়েট হন, তাহলে দারাজে থাকা বিভিন্ন পণ্যের লিংক আপনার ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল, টিকটক বা ব্লগে শেয়ার করতে পারবেন। সেখান থেকে আপনার ইনকাম হতে পারে।

আরেকটি উপায় হলো Daraz Seller Center ব্যবহার করে নিজের পণ্য দারাজে বিক্রি করা। আপনি যদি হ্যান্ডমেড পণ্য, কসমেটিকস, পোশাক বা যেকোনো ই-কমার্স পণ্য সরবরাহ করতে পারেন, তাহলে দারাজে রেজিস্ট্রেশন করে সেলার হিসেবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

দারাজ প্রোডাক্ট ডেলিভারি, পেমেন্ট এবং কাস্টমার সার্ভিসে সহায়তা করে, তাই আপনাকে শুধু পণ্য প্রস্তুত রাখলেই হবে। একবার সেল বাড়লে দিনে ১০০০ টাকা বা তারও বেশি আয় করা সম্ভব।

ফুড পান্ডা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আয়: অনেকেই হয়তো জানে না যে ফুডপান্ডা মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে এখন ঘরে বসেই টাকা ইনকাম করা যায়। ফুডপান্ডা একটি জনপ্রিয় ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম যেখানে মানুষ রাইডার বা ডেলিভারি পার্টনার হিসেবে কাজ করে আয় করতে পারে।

আপনি যদি একটি সাইকেল, মোটরবাইক অথবা স্কুটার ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে ফুডপান্ডার অফিসে গিয়ে বা তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে পারেন রাইডার হিসেবে। প্রতিটি অর্ডার ডেলিভারির জন্য ৩০-৭০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। প্রতিদিন ১-২টি অর্ডার ডেলিভারি করলেও মাসে সহজেই ১০০০ টাকা বা তার বেশি আয় করা সম্ভব।

WorkedBD অ্যাপ থেকে আয়: WorkedBD একটি বাংলাদেশী মাইক্রো টাস্ক ও ফ্রিল্যান্সিং সাইট। এখানে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন সহজ এবং ছোট ছোট কাজ করার জন্য টাকা উপার্জন করতে পারবেন। মূলতঃ এই সাইটটি নানা ধরনের মাইক্রোটাস্ক সম্পূর্ণ করার জন্য ইউজারদের টাকা ইনকাম করার সুযোগ প্রদান করে।

এটি একটি ফ্রিল্যান্সিং সাইট হলেও কিছুটা অ্যাপের মত সহজ এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি কাজ করতে পারবেন। আপনার মোবাইলে গুগল ক্রোম ব্রাউজারে সার্চ দিলে সাইটটি দেখতে পাবেন। তারপর ফ্রিতে সাইন আপ করে রেজিস্ট্রেশন করার পর সাইটে থাকা মাইক্রো টাস্ক গুলো সম্পন্ন করার সুযোগ পাবেন।

এই সাইটের কাজ গুলোর মধ্যে রয়েছে-
  • ডাটা এন্ট্রি
  • টাইপিং করা
  • সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করা
  • বিভিন্ন কনটেন্ট রিভিউ করা
  • অনুবাদ করা
  • অ্যাপ ডাউনলোড করা ও ইনস্টল করা
  •  সাইনআপ করা
  • রেফার করা ইত্যাদি
প্রতিদিন এই সাইটে আপনি যদি ১ থেকে ২ ঘন্টা সময় ব্যয় করে কাজ করতে পারেন তাহলে রেফার করা ও স্পেশাল বোনাস সহ সহজে এক হাজার টাকা বা এর বেশি ইনকাম করতে পারবেন।

smallworker থেকে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম: SmallWorker হলো একটি মাইক্রো-টাস্ক প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ছোট ছোট কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায়। আপনার মোবাইলের গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটি দেখতে পাবেন। অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করে ইন্সটল করার পর সাইন আপ করলে বোনাস হিসেবে ৫ ডলার পেয়ে যাবেন।

এখানে কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে-

  • অ্যাকাউন্ট খোলা
  • রিভিউ লেখা
  • ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করা
  • লাইক দেওয়া
  • অ্যাপ ডাউনলোড
  • ওয়েবসাইট ভিজিট ইত্যাদি। 

প্রতিটি কাজের মূল্য সাধারণত ২ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত হয়। যদি আপনি প্রতিদিন নিয়মিত ৫০-৭০টি ছোট কাজ সম্পন্ন করেন, তাহলে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব। এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কাজের গতি এবং নির্ভুলতা।

প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয়ের জন্য আপনাকে সময়মতো কাজ ধরতে হবে, কারণ ভালো পেইড কাজগুলো দ্রুত শেষ হয়ে যায়। এছাড়া, SmallWorker-এ "টাস্ক লিস্ট" আপডেট হওয়া মাত্রই কাজ শুরু করা এবং রেফারেল সিস্টেম ব্যবহার করে অন্যদের জয়েন করানো আয় বাড়াতে সাহায্য করে।

আপনি যদি অভিজ্ঞ হন এবং দ্রুত কাজ করতে পারেন, তাহলে প্রতিদিন ৩–৪ ঘণ্টা কাজ করেই এই পরিমাণ আয় সম্ভব। তবে প্রথমদিকে আয় একটু কম হলেও ধৈর্য ধরে কাজ করলে ধীরে ধীরে তা বৃদ্ধি পায়। তাই বলা যায় যে বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ এটি একটি বিশেষ মাধ্যম।

বাংলাদেশী-অ্যাপ-প্রতিদিন-1000-টাকা-আয়-পেমেন্ট-বিকাশ

লুডু সার্কেল অ্যাপস এর মাধ্যম আয়: লুডু সার্কেল একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ যেখানে আপনি লুডু খেলে রিয়েল মানি জিততে পারেন। এই অ্যাপে আপনি প্রতিযোগিতামূলকভাবে অন্যদের সঙ্গে খেলে টাকা জিততে পারেন, যেটা পরে বিকাশ/নগদ/রকেটের মাধ্যমে তুলতে পারবেন। 

এখানে বিভিন্ন টাইপের ম্যাচ বা টুর্নামেন্ট থাকে কিছু ফ্রি এবং কিছু পেইড এন্ট্রি ফি সহ। আপনি যদি ভালো খেলে নিয়মিত ম্যাচ জেতেন, তাহলে প্রতিদিনই আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। ছোট ম্যাচে ১০–৫০ টাকা এবং বড় টুর্নামেন্টে ১০০–৫০০ টাকা পর্যন্ত জেতার সুযোগ থাকে।

লুডু সার্কেলে আয় বাড়াতে হলে আপনাকে ভালো খেলার পাশাপাশি “রেফার ও আর্ন” প্রোগ্রামে অংশ নিতে হবে। আপনি যখন কাউকে অ্যাপে রেফার করেন এবং সে খেলতে শুরু করে, তখন আপনি বোনাস আয় পান। প্রতিদিন ৩–৪ ঘণ্টা খেলে এবং কয়েকটি ম্যাচ জিতলে সহজেই ৩০০–১০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। 

পিকো ওয়ার্কার্স অ্যাপ থেকে আয়: পিকো ওয়ার্কার্স একটি মাইক্রো-জব মার্কেটপ্লেস, যেখানে আপনি ছোট ছোট কাজ করে আয় করতে পারেন। যেমনঃ

  • ইউটিউবে সাবস্ক্রাইব করা
  • ফেসবুকে লাইক দেওয়া
  • অ্যাপ ডাউনলোড
  • গুগলে রিভিউ দেওয়া
  • ওয়েবসাইট ভিজিট ইত্যাদি
প্রতিটি কাজের জন্য ০.০৫ থেকে ১ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট দেওয়া হয়। আপনি মোবাইল থেকে ব্রাউজারে বা অ্যাপে লগইন করে এই কাজগুলো করতে পারেন।

প্রতিদিন যদি আপনি ২০–৩০টি কাজ করেন, তাহলে ৩–৫ ডলার পর্যন্ত আয় সম্ভব, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৫০–৫০০ টাকা বা তার বেশি। যারা অভিজ্ঞ ও দ্রুত কাজ করতে পারেন, তারা দিনে ১০–১৫ ডলার পর্যন্ত আয় করেন। 

Picoworkers-এ রেফারেল ইনকাম সিস্টেমও আছে । যে কেউ আপনার লিংকে জয়েন করে কাজ করলে আপনি কমিশন পান। তাই বলা যায় যে এই অ্যাপ থেকে আপনি প্রতি মাসে ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

Shikho অ্যাপ থেকে টাকা আয়: Shikho শিখো বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় অনলাইন টিচিং প্লাটফর্ম। আপনি চাইলে এই প্লাটফর্মটি ব্যবহার করে দিনে ১ হাজার কেন এর বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এই প্লাটফর্মে আপনি চাইলে একজন টিচার হিসেবে যোগ দিয়ে চিটিং সেবা প্রদান করে দৈনিক পেমেন্ট গ্রহণ করার ভিত্তিতে দিনে ১০০০ টাকা আয় করতে পারেন।

এছাড়া আপনার যদি কোন বিষয়ের উপর জ্ঞান ও দক্ষতা বেশি থাকে তাহলে সেই সাবজেক্ট বা বিষয়ের উপর অনলাইন কোর্স তৈরি করে এই অ্যাপে আপলোড রেখে টাকা আয় করতে পারেন। অনলাইন কোর্সগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারবেন।

এই অ্যাপ থেকে অর্জিত টাকা আপনি বাংলাদেশী মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ বা নগদের মাধ্যমে নিতে পারবেন।

Rozee Pay থেকে টাকা আয়: অনলাইনে ছোট ছোট সহজ কিছু কাজ করে আপনি যদি টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে Rozee Pay অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করে নিন। এটি একটি জনপ্রিয় ও উপযুক্ত অ্যাপ দৈনিক ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ইনকাম করার।

এই অ্যাপে আপনি নানা ধরনের মাইক্রো টাস্কগুলো সম্পন্ন করে ইনকাম করতে পারবেন। যেমন:
  • সার্ভে করে
  • ভিডিও দেখে
  • ইউটিউব ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করে
  • ওয়েবসাইট ভিজিট করে
এছাড়া লোগো ডিজাইনের মত কাজ করেও এই অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে. এই অ্যাপ থেকে নিশ্চিন্তে আপনি টাকা আয় করা শুরু করতে পারবেন. এই অ্যাপ থেকে অর্জিত টাকা আপনি সরাসরি বিকাশে না দিতে পারলেও, প্রথমে ডলারে পেমেন্ট গ্রহণ করে পরবর্তীতে বিকাশে উত্তোলন করতে পারবেন।

পাঠাও অ্যাপে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় আয়: পাঠাও হলো একটি বাংলাদেশি অন-ডিমান্ড রাইড শেয়ারিং এবং ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি বাইক রাইডার কিংবা বিক্রেতা হিসেবে কাজ করে আয় করতে পারেন। আপনি পাঠাও অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে বাইক বা গাড়ি চালিয়ে রাইড নিতে পারেন, এবং প্রতি রাইডে নির্দিষ্ট টাকা আয় হয়।

 সাধারণত প্রতি রাইডে ৩০–১০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়, যা এলাকার দূরত্ব ও সময় অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। যদি আপনি দিনে ১৫–২০টি রাইড দেন, তাহলে সহজেই ৮০০–১২০০ টাকা আয় করা সম্ভব।পাঠাও-তে আয় বাড়াতে হলে ব্যস্ত সময়ে যেমন সকাল ৮টা–১০টা এবং সন্ধ্যা ৫টা–৮টা বেশি রাইড নিলে "টাইম বোনাস" পাওয়া যায়। 

এছাড়া যারা ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করেন, তারা বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার বা পণ্য পৌঁছে দিয়ে অর্ডারপ্রতি কমিশন পান। পাশাপাশি, “রেফার এন্ড আর্ন” প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি অন্যদের পাঠাও-তে যুক্ত করলে অতিরিক্ত ইনকাম করতে পারেন। প্রতিদিন ৮–১০ ঘণ্টা সময় দিলে পাঠাও দিয়ে স্থায়ীভাবে ১০০০ টাকা বা তার বেশি আয় করা খুবই সম্ভব।

কায়দা অ্যাপ এর মাধ্যমে ইনকাম: কায়দা অ্যাপ মূলত একটি শিক্ষামূলক ও সৃজনশীল কনটেন্ট তৈরির প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি নিজের দক্ষতা শেয়ার করে আয় করতে পারেন। এই অ্যাপটিতে আপনি ভিডিও বানিয়ে, ছোট ছোট অনলাইন কোর্স তৈরি করে কিংবা গাইডলাইন লিখে প্রকাশ করতে পারেন, যা অন্য ব্যবহারকারীরা ক্রয় বা সাবস্ক্রিপশন-এর মাধ্যমে ব্যবহার করে।

বাংলাদেশী-অ্যাপ-প্রতিদিন-1000-টাকা-আয়-পেমেন্ট-বিকাশ

এছাড়াও কায়দা অ্যাপে রয়েছে রেফারেল সিস্টেম, যার মাধ্যমে আপনি অন্যদের অ্যাপটি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করলে নির্দিষ্ট পরিমাণ বোনাস ইনকাম পেতে পারেন। অনেক সময় অ্যাপে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ বা কনটেস্ট চলে, যেখানে অংশগ্রহণ করে নগদ অর্থ বা পুরস্কার জেতার সুযোগ থাকে। 

প্রতিদিন কিছু সময় দিয়ে কায়দা অ্যাপে কনটেন্ট তৈরি বা রেফারেল প্রোগ্রামে যুক্ত থাকলে ঘরে বসেই আয় করা সম্ভব।

Toffee অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয়: Toffee অ্যাপ এর ইনকামের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে কনটেন্ট তৈরি করা। আপনি যদি গেম খেলা, ব্লগিং, রিভিউ, বা কোনো ধরণের বিনোদনমূলক ভিডিও তৈরি করতে পারেন, তাহলে Toffee Studio তে অ্যাকাউন্ট খুলে সেগুলো আপলোড করে আয় শুরু করতে পারেন।


আপনার ভিডিও যত বেশি ভিউ পাবে, তত বেশি রেভিনিউ আসবে বিজ্ঞাপন এবং লাইভ গিফটের মাধ্যমে। অনেক সময় Toffee বিভিন্ন গেমিং বা কুইজ প্রতিযোগিতাও চালায় যেখানে বিজয়ীরা নগদ অর্থ পুরস্কার পায়। বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ বর্তমানে এটি সবার জন্য সহজলভ্য হয়ে গিয়েছে।

10 minute school app ব্যবহার করে আয়: ১০ মিনিট স্কুল একটি অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্ম, যা মূলত শিক্ষার্থীদের জন্য ভিডিও ক্লাস, কুইজ, মডেল টেস্ট ও অনুশীলনমূলক কনটেন্ট সরবরাহ করে। এটি শিক্ষামূলক অ্যাপ হলেও, বর্তমানে এখানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, রেফারেল প্রোগ্রাম ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্সের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আপনি এই অ্যাপ থেকে নতুন কিছু শিখে ফ্রিল্যান্সিং বা কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

এই অ্যাপ থেকে সরাসরি টাকা আয় হয় না, তবে এটি ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন দক্ষতা যেমন: গ্রাফিক ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি শিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। এছাড়াও, কিছু নির্দিষ্ট কোর্সের শেষে সার্টিফিকেট পাওয়া যায়, যা ব্যবহার করে কাজ পাওয়ার সুযোগ বাড়ে। 

আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হন, তাহলে অন্যদের এই অ্যাপের কোর্স বা সাবস্ক্রিপশন কিনতে উৎসাহ দিলে আপনি কমিশন পাবেন। প্রতিদিন ১–২ ঘন্টা সময় দিয়ে দক্ষতা বাড়ালে এবং সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে দিনে ৩০০–৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ এটি একটি আরেকটি মাধ্যমের কাজ করে।

likee apps ব্যবহার করে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয়: Likee একটি শর্ট ভিডিও তৈরি ও শেয়ার করার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ব্যবহারকারীরা মজাদার, শিক্ষামূলক, ট্রেন্ডিং বা অভিনয়ভিত্তিক ভিডিও তৈরি করে আপলোড করতে পারেন। এটি TikTok-এর মতোই একটি অ্যাপ, যেখানে ভিডিওতে লাইক, ফলোয়ার ও শেয়ার বাড়ানোর মাধ্যমে জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায়।

জনপ্রিয় ক্রিয়েটরদের জন্য Likee স্পনসরশিপ, লাইভ স্ট্রিম গিফট,  বোনাসের সুযোগ দেয়।

Likee অ্যাপ থেকে কীভাবে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করবেনঃ

  1. কনটেন্ট তৈরি করুনঃ প্রতিদিন ট্রেন্ডিং বিষয় নিয়ে ২–৩টি ইউনিক ও আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করুন। ভালো এডিটিং ও সাউন্ড ব্যবহার করুন।

  2. ফলোয়ার বাড়ানঃ কনসিস্টেন্ট ভিডিও দিলে ধীরে ধীরে ফলোয়ার বাড়বে। ফলোয়ার ও ভিউ বেশি হলে আপনাকে "অফিশিয়াল ক্রিয়েটর" হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

  3. লাইভ স্ট্রিমিং করুনঃ Likee-তে লাইভে গিয়ে গিফট রিসিভ করার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। আপনার ফ্যানরা আপনাকে ভার্চুয়াল গিফট পাঠালে, সেটি ডলারে রূপান্তর হয়ে টাকা হিসেবে তুলে নিতে পারবেন।

  4. স্পনসরশিপ ও ব্র্যান্ড ডিলঃ একসময় যদি আপনার ফলোয়ার অনেক হয় ১০,০০০, তাহলে বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে তাদের পণ্যের প্রচারের জন্য টাকা দেবে।

নিয়মিত ভিডিও বানালে ও লাইভ স্ট্রিমে সক্রিয় থাকলে দিনে ৫০০–১০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। তবে শুরুতে সময় দিতে হবে এবং কনটেন্টের মান ভালো রাখতে হবে।

মিশু অনলাইন শপিং অ্যাপ থেকে প্রতিদিন টাকা ইনকাম: মিশু একটি রিসেলিং বা পণ্য পুনরায় বিক্রির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। এখানে আপনি কোনো পণ্য নিজের স্টক না রাখেই বিক্রি করতে পারেন। অ্যাপে হাজার হাজার প্রোডাক্টের ক্যাটালগ থাকে, যেগুলো আপনি আপনার WhatsApp, Facebook বা অন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন।

প্রতিদিন ৩–৫টি জনপ্রিয় ও দরকারি পণ্য যেমন জামাকাপড়, কিচেন আইটেম, সৌন্দর্য পণ্য বেছে নিয়ে সেগুলো Facebook, WhatsApp বা Instagram-এ শেয়ার করুন। যেই কেউ আপনার লিংক বা ছবির মাধ্যমে অর্ডার করবে, আপনি প্রতিটি পণ্যের উপর ৫০–১৫০ টাকা পর্যন্ত লাভ পেতে পারেন। 

দিনে ৫–১০টি অর্ডার পেলেই আপনার আয় হতে পারে ৫০০–১০০০ টাকা। এছাড়া মিশো-র রেফারেল প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্যদের অ্যাপে যুক্ত করলে অতিরিক্ত বোনাস ইনকামও সম্ভব।

বাংলাদেশী গেমিং অ্যাপ থেকে টাকা আয় বিকাশ পেমেন্ট

বাংলাদেশের গেমিং অ্যাপস গুলো থেকে টাকা আয় করে সহজে বিকাশে পেমেন্ট নেয়া যায়। আপনি যদি গেম খেলতে ভালবাসেন তাহলে বাংলাদেশী এই সকল গেমিং অ্যাপসগুলো হতে পারে আপনার অনলাইন থেকে টাকা আয়ের অন্যতম উৎস। প্রতিটি অ্যাপে গেম খেলে টাকা ইনকাম করার পাশাপাশি অন্যান্য ছোট ছোট কাজ করেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি সময় ও ধৈর্য নিয়ে গেম খেলে ও কাজগুলো সম্পন্ন করলে সহজেই দিনে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপসগুলো পাবেন। আপনার মোবাইলে ডাটা সংযোগ করে আপনার সুবিধা মত যে কোন একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে নিবেন।

গেমিং অ্যাপস গুলো থেকে টাকা আয় করার জন্য আপনাকে গেম খেলার নিয়ম-কানুন ভালোভাবে জেনে এবং বুঝে খেলতে হবে এবং প্রতিটি অ্যাপস এর শর্তাবলী মেনে চলতে হবে।

নিচে আপনাদের জন্য ১২টি জনপ্রিয় বাংলাদেশি গেমিং অ্যাপের নাম দেয়া হলোঃ
  • Daily Taka
  • Taka Income
  • Taka Income Pro
  • Spin To Win- Cash & Recharge
  • Spin To Win  Real Cash
  • Spin To Win Cash
  • Spin To Win Earn Money
  • BD Cash Rewards
  • Jeeto.Online
  • Clixbox
  • BD Earning Quiz Game
  • Pocket Money
উপরে উল্লেখিত যেকোনো গেমিং অ্যাপ থেকে ইনকাম করার জন্য প্রথমে আপনার মোবাইলে ডাউনলোড করে নিন। ডাউনলোড করার পর সাধারণ কিছু মৌলিক তথ্য দিয়ে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে।

একাউন্ট ক্রিয়েট করার পর অ্যাপ এ থাকা গেম খেলে এবং অ্যাপের অন্যান্য অফার টাস্ক গুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করে টাকা আয় শুরু করতে পারেন।

অনলাইনে বাংলাদেশ গেমিং অ্যাপ গুলো থেকে গেম খেলে টাকা আয় করার সাথে সাথে আরো কিছু কার্যকরী উপায়ে আপনার ইনকাম বৃদ্ধি করতে পারেন। যেমনঃ
  • লাইভ স্ট্রিমিং করে
  • গেম টেস্ট করে
  • গেম কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করে
  • গেম খেলা নিয়ে ব্লগ তৈরি করে
  • গেম বিষয়ক পডকাস্ট তৈরি করে
  • আপনার গেম খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে youtube চ্যানেল তৈরি করে
প্রতিটি গেমিং অ্যাপ যেহেতু বাংলাদেশী তাই অ্যাপ থেকে উপার্জনকৃত টাকা আপনারা সরাসরি বিকাশ বা নগদে উত্তোলন করতে পারবেন। প্রিয় পাঠক, আশা করি বাংলাদেশী গেমিং অ্যাপ গুলো থেকে আপনারা কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন এ বিষয়ে বুঝতে পেরেছেন।

বাংলাদেশি অ্যাপস ও ওয়েবসাইট প্রতিদিন 1000 টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশ

বাংলাদেশী অ্যাপ থেকে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আপনি চাইলেই ইনকাম করতে পারেন। বাংলাদেশী অ্যাপ ছাড়াও কিছু বিদেশি অ্যাপ ও সাইট রয়েছে যেখানে নিয়মিত কাজ করে টাকা রোজগার করে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যেমনঃ Swagbucks, Pico Workers, Cointiplay ইত্যাদি।

এছাড়া বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত কিছু অ্যাপ ও সাইট থেকেও আপনি টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। যেমনঃ Facebook, Youtube, Microworkers. এই সকল অ্যাপস ও সাইটে নিয়ম মেনে নিয়মিত কাজ করলে সহজেই দিনে ১০০০ টাকা ইনকাম করা যায়।

নিচে আপনাদের জন্য আরও জনপ্রিয় ২০টি অ্যাপ ও সাইটের তালিকা দেয়া হলো যেখান থেকে টাকা আয় করে আপনারা বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
  • Fiverr.com
  • Upwork.com
  • People per Hour
  • Freelancer,com
  • Rokomary.com
  • Takagor app
  • Binance.com
  • Earn BD app
  • Workupdeal.com
  • Nogod app
  • Micro Tasker BD
  • Cashview App
  • Bangla Tasker
  • Quiz star BD
  • Typing BD
  • AppCash BD
  • BD Click & Earn
  • BD Task.com
  • Chaldal.com
  • Shikhbe Shobai
উপরে উল্লেখিত কিছু সাইটে আপনার ফ্রিল্যান্সিং জব করে টাকা আয় করতে পারবেন এবং বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। এই সাইটগুলো টাকা আয় করে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার বাংলাদেশি বিশ্বস্ত সাইট হিসেবে জনপ্রিয়। 

এছাড়া বাংলাদেশি কিছু অ্যাপ এর নাম দেওয়া হয়েছে যেখানে আপনারা নিয়মিত ধৈর্য সহকারে ও অ্যাপের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করে দিনে অন্তত ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

তাই আপনার যদি ইচ্ছা থাকে দিনে ১ হাজার টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার তাহলে উপরে উল্লিখিত সাইট বা অ্যাপসে কাজ করে এখনই ইনকাম শুরু করে দিন।

বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় নিয়ে কিছু কথা

বাংলাদেশি অ্যাপ থেকে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট নেয়ার ইচ্ছা অনেকের মধ্যে রয়েছে। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না কিভাবে কাজ শুরু করলে সহজে টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

দেখুন, আপনার যদি টাকা ইনকাম করার ইচ্ছা ও ধৈর্য থাকে এবং পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকে তাহলে আজকের আর্টিকেলে উল্লেখিত যেকোন অ্যাপ ও সাইট থেকে চাইলেই ডেইলি ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অনেকেই এই সকল অ্যাপ ও সাইট থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করছেন।

আপনি যদি বাংলাদেশী কোন অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে প্রথমে সেই অ্যাপ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিতে হবে। এজন্য ওই অ্যাপ সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের রিভিউ দেখে নিতে পারেন। এছাড়া ইউটিউবে সার্চ দিলে অ্যাপ সম্পর্কিত ভিডিও পেয়ে যাবেন। এই ভিডিও দেখেও আপনি ধারণা নিতে পারেন। গুগল ক্রোম ব্রাউজারে সার্চ দিয়ে অ্যাপ সম্পর্কে জানতে পারেন।

আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট অ্যাপ থেকে টাকা ইনকাম করার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে ওই অ্যাপের ফিচার বা বৈশিষ্ট্য গুলো প্রথমে ভালোভাবে জেনে নিন। কারণ অনলাইনে এক একটি অ্যাপের ক্রাইটেরিয়া এক এক রকম হতে পারে। তাই প্রতিটি অ্যাপের ফিচারগুলো ভালোভাবে পড়ে নেওয়া ভালো।

তারপর আপনি আপনার মোবাইলে গুগল ক্রোম ব্রাউজারের প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে পারেন। ইন্সটল করার পর সহজ কিছু সাধারণ তথ্য দিয়ে একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই সঠিক ও নির্ভুল তথ্য দিবেন। একাউন্ট করার পর অ্যাপ এ প্রবেশ করে অ্যাপে থাকা কাজগুলো নিয়ম মেনে সম্পন্ন করে টাকা আয় করা শুরু করতে পারেন।

এক্ষেত্রে একটি কথা মনে রাখতে হবে, আপনি যত বেশি সময় ও ধৈর্য নিয়ে কাজ করবেন তত বেশি আপনি ইনকাম করবেন। এবং এই টাকা বাংলাদেশী মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন। আশা করি বিষয়টি আপনাদের বুঝাতে পেরেছি।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক, বাংলাদেশী অ্যাপ প্রতিদিন 1000 টাকা আয় পেমেন্ট বিকাশ সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আর্টিকেলে উল্লেখিত জনপ্রিয় ১৭টি বাংলাদেশি অ্যাপ থেকে প্রতিদিন ৫০০–১০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। এবং বিকাশে পেমেন্ট তুলতে পারবেন।

বর্তমানে বাংলাদেশি সকল ইনকাম-অ্যাপ এখন বিকাশ পেমেন্ট সাপোর্ট করে। অ্যাপের “Withdraw” বা “Cash Out” অপশনে গিয়ে বিকাশ নাম্বার ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিলে টাকা তোলা যায়। কিছু অ্যাপে ন্যূনতম ২০০–৫০০ টাকা হলে ক্যাশআউট করা যায়। পেমেন্ট সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিকাশে পৌঁছে যায়। প্রিয় পাঠক, আশা করি আজকের আর্টিকেল থেকে বাংলাদেশী অ্যাপ দিয়ে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করে বিকাশে পেমেন্ট নেয়ার বিষয়ে পুরোপুরিভাবে বুঝতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url