নতুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়াবেন যেভাবে

নতুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়াবেন যেভাবে। নতুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আমাদের কিভাবে ব্লগ বানাতে হবে এবং কিভাবে ভিজিটর বেশি আনতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই প্রবন্ধে।

নতুন-ব্লগার-ওয়েবসাইটে-অর্গানিক-ভিজিটর-বাড়াবেন-যেভাবে

সাধারণত আমরা অনেকেই নতুন ব্লগার যারা আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে ওয়েব সাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়াতে হয়। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই, নতুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর কার্যকর উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন। পোস্ট সূচিপত্র:

নতুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়াবেন যেভাবে

নতুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়াবেন যেভাবে জানার জন্য আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। দেখুন, ব্লগার ওয়েবসাইটে আমরা সাধারণত বিভিন্ন নিশ নিয়ে আর্টিকেল লিখে থাকি। এই আর্টিকেলগুলো হতে হয় সমসাময়িক জনপ্রিয় বিষয়ভিত্তিক ও তথ্যসমৃদ্ধ। অর্থাৎ লোকজন যেসকল বিষয়ের উপর সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে যথাযথ তথ্য জানতে চান।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজের পোস্ট বা ভিডিও বুস্ট করার নিয়ম 

আর্টিকেলে যথাযথ সঠিক তথ্যের অভাব থাকলে ও গুগল এর নিয়ম নীতি না মেনে আর্টিকেল লিখলে এই আর্টিকেল কখনোই গুগল রেঙ্ক করাবে না। এর ফলে সম্ভাব্য ভিজিটরদের কাছে আপনার সাইট দৃশ্যমান হবে না।

তাই নতুন ব্লগে ভিজিটর আনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো নিয়মিত মানসম্মত ও ইউনিক কনটেন্ট প্রকাশ করা। গুগল সবসময় এমন কনটেন্টকে র‍্যাঙ্ক করে যা পাঠকের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়। তাই অন্য ওয়েবসাইট থেকে কপি না করে নিজের ভাষায় তথ্যপূর্ণ ও আকর্ষণীয় পোস্ট লিখুন। এতে সহজেই আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর আসবে।

নতুন-ব্লগার-ওয়েবসাইটে-অর্গানিক-ভিজিটর-বাড়াবেন-যেভাবে

অর্গানিক ট্রাফিক পেতে কীওয়ার্ড রিসার্চ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন ব্লগারদের উচিত কম প্রতিযোগিতার Low Competition ও বেশি সার্চ ভলিউমের কীওয়ার্ড বেছে নেওয়া। Google Keyword Planner, Ahrefs, বা Ubersuggest এর মতো টুল ব্যবহার করে কীওয়ার্ড খুঁজে নিতে পারেন।

SEO ( Search Engine Optimization) ছাড়া কোনো ব্লগে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানো সম্ভব নয়। অন-পেজ SEO এর মধ্যে আছে টাইটেল, মেটা ডেসক্রিপশন, হেডিং ট্যাগ, ইমেজ ALT ট্যাগ ইত্যাদি সঠিকভাবে সেট করা। অন্যদিকে, অফ-পেজ SEO এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করে ওয়েবসাইটের অথরিটি বাড়ানো যায়।

নতুন ব্লগারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া একটি শক্তিশালী মাধ্যম। ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, লিঙ্কডইন বা টেলিগ্রামে আপনার ব্লগ পোস্টের লিংক শেয়ার করুন। এতে প্রাথমিকভাবে কিছু ট্রাফিক পাবেন এবং গুগলও বুঝতে পারবে যে আপনার ওয়েবসাইটে এনগেজমেন্ট আছে।

আপনার ওয়েবসাইটের অর্গানিক ভিজিটর ট্র্যাক করতে Google Search Console ও Google Analytics ব্যবহার করুন। এগুলোতে দেখা যায় কোন কীওয়ার্ডে আপনার পোস্ট র‍্যাঙ্ক করছে, কোথা থেকে ট্রাফিক আসছে এবং কোন কনটেন্ট বেশি জনপ্রিয়। এতে করে আপনি বিশ্লেষণ করতে পারবেন কোন কিওয়ার্ডে অর্গানিক ভিজিটর আসতে পারে, ফলে পরবর্তীতে আপনি সেই রিলেটেড কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করতে পারবেন।

ব্লগার ওয়েবসাইটে ফ্রি ট্রাফিক আনার নিয়ম

নতুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়াবেন যেভাবে এই বিষয়ে আজকের প্রবন্ধে আলোচনা করছি। এরই প্রেক্ষিতে এখন জেনে নিন ব্লগার ওয়েবসাইটে ফ্রি ট্রাফিক আনার নিয়ম সম্পর্কে।ওয়েবসাইটে ফ্রি ট্রাফিক আনতে হলে প্রথম কাজ হলো নিয়মিত মানসম্মত ও তথ্যবহুল কনটেন্ট তৈরি করা। গুগল সবসময় এমন ওয়েবসাইটকেই বেশি ট্রাফিক দেয় যেগুলোর কনটেন্ট ইউনিক, ব্যবহারকারীর কাজে লাগে এবং সহজ ভাষায় লেখা হয়।

অর্গানিক বা ফ্রি ট্রাফিক পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো সঠিক কীওয়ার্ড রিসার্চ করা। কম প্রতিযোগিতার Low Competition কিন্তু বেশি সার্চ হওয়া কীওয়ার্ড বেছে নিয়ে পোস্ট লিখলে গুগলে সহজে র‍্যাঙ্ক করা যায়। প্রতিটি পোস্টে অন-পেজ SEO ঠিকভাবে করতে হবে।

ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন বা টেলিগ্রাম গ্রুপে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করুন। এতে দ্রুত কিছু ফ্রি ট্রাফিক পাওয়া যায় এবং ওয়েবসাইটের পরিচিতিও বাড়ে। বিশেষ করে আপনার ওয়েবসাইটের বিষয় অনুযায়ী গ্রুপে শেয়ার করলে সেই নির্দিষ্ট দর্শকরা আপনার ব্লগে আসবে।

অন্য ওয়েবসাইট থেকে লিংক পাওয়া মানে গুগলের কাছে আপনার ওয়েবসাইটের মান বৃদ্ধি পাওয়া। এটি ফ্রি ট্রাফিক পাওয়ার একটি ভালো উপায়। গেস্ট পোস্টিং, ব্লগ কমেন্টিং, ডিরেক্টরি সাবমিশন বা ফোরাম পোস্টিং এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরি করুন।

ওয়েবসাইটের পুরনো কনটেন্ট নিয়মিত আপডেট করুন এবং নিউজলেটার বা ইমেল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে পুরনো ভিজিটরদের নতুন পোস্টের খবর দিন। এতে তারা আবার আপনার ওয়েবসাইটে ফিরে আসবে এবং ধীরে ধীরে নিয়মিত ট্রাফিক বাড়বে। 

গুগল থেকে অর্গানিক ট্রাফিক

অর্গানিক ট্রাফিক হলো সেই ভিজিটর বা ব্যবহারকারী যারা কোনো ওয়েবসাইটে সরাসরি গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসে। এটি মূলত পেইড বা বিজ্ঞাপন নয়, বরং প্রাকৃতিক বা ন্যাচারাল ফলাফল থেকে আসে। অর্থাৎ, আপনার কনটেন্টের মান ও সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের আসবে। 

অর্গানিক ট্রাফিক ওয়েবসাইটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধুমাত্র বিনামূল্যে আসে, বরং ট্রাফিকের মানও অনেক বেশি, কারণ ব্যবহারকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আপনার বিষয়বস্তু অনুসন্ধান করে। ফলে, কনভার্শন রেট বা বিক্রয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য SEO খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে রয়েছে সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার, মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি, ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বৃদ্ধি, মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন এবং ব্যাকলিংক অর্জন। এছাড়া, নিয়মিত ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল আপডেট করাও ট্রাফিক বৃদ্ধিতে সহায়ক।

গুগল অর্গানিক ট্রাফিক দিতে প্রধানত কনটেন্টের মান ও ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেয়। ভালো লেখা, তথ্যবহুল আর সহজে বোঝার মতো কনটেন্ট ওয়েবসাইটে ভিজিটরদের সময় বেশি ধরে রাখে। এটি র‍্যাংকিং উন্নত করে এবং পুনরায় ভিজিট করার সম্ভাবনা বাড়ায়।

অর্গানিক ট্রাফিক দ্রুত আসে না, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদে সবচেয়ে কার্যকর এবং স্থায়ী। একবার সঠিকভাবে SEO ও কনটেন্ট স্ট্রাটেজি প্রয়োগ করলে, নিয়মিত ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়। এটি শুধু বিক্রয় বা বিজ্ঞাপন রাজস্ব বাড়ায় না, বরং ব্র্যান্ড ভ্যালু ও ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতাও বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

গুগল ওয়েবসাইটে ইনডেক্স করানোর নিয়ম

নতুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর জন্য প্রথমে আপনার ব্লগ পোষ্ট গুগলে ইনডেক্স করাতে হবে। গুগল ইনডেক্সিং হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে গুগল আপনার ওয়েবসাইটের পেজগুলোকে তার সার্চ ইঞ্জিন ডাটাবেসে সংরক্ষণ করে। এর ফলে, ব্যবহারকারীরা যখন গুগলে সংশ্লিষ্ট কীওয়ার্ড সার্চ করে, তখন আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শিত হয়।

ওয়েবসাইট ইনডেক্স করানোর প্রথম ধাপ হলো গুগল সার্চ কনসোলে সাইটটি সাবমিট করা। এখানে আপনার সাইটের মালিকানা যাচাই করতে হয়। একবার যাচাই হয়ে গেলে, আপনি Sitemap ফাইল সাবমিট করতে পারেন, যা গুগলকে আপনার পেজের স্ট্রাকচার এবং নতুন কনটেন্ট সম্পর্কে জানায়।

Sitemap হলো একটি XML ফাইল যা ওয়েবসাইটের সকল পেজের লিঙ্ক ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধারণ করে। এটি গুগল বটকে আপনার সাইটের সব পেজ সহজে খুঁজে বের করতে সাহায্য করে।

নতুন কনটেন্ট ইনডেক্সিং নিশ্চিত করতে, গুগল সার্চ কনসোলে “URL Inspection” টুল ব্যবহার করা যায়। পেজটি সাবমিট করলে গুগল দ্রুত তা ক্রল করে ইনডেক্স করে। এছাড়া, নিয়মিত নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা, প্রয়োজনীয় ব্যাকলিংক অর্জন ও সাইটের পারফরম্যান্স উন্নয়নও ইনডেক্সিং প্রক্রিয়াকে সহায়তা করে।

ব্লগ পোস্ট শেয়ার করার টিপস

আপনার নতুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ট্রাফিক বৃদ্ধির জন্য আপনার সাইটের ব্লগ পোস্ট শেয়ার করা জানতে হবে। ব্লগ পোস্ট শেয়ার করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা। ফেসবুক, টুইটার, লিংকডইন, পিন্টারেস্ট এবং ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টের লিঙ্ক শেয়ার করা যেতে পারে। পোস্টের আকর্ষণীয় ক্যাপশন ও হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করলে রিচ এবং এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি পায়।

আপনার সাবস্ক্রাইবারদের কাছে ব্লগ পোস্ট পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইমেইল নিউজলেটার অত্যন্ত কার্যকর। নতুন ব্লগ পোস্ট প্রকাশের সাথে সাথে সাবস্ক্রাইবারদের ইমেইল পাঠানো হলে তারা সরাসরি পোস্টটি পড়তে পারে। ইমেইল শিরোনাম সংক্ষিপ্ত ও কৌতূহল জাগানো হলে ওপেন রেট বাড়ে।

নিশ্চিত করুন যে আপনার ব্লগ পোস্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলো অনলাইন কমিউনিটি, ফোরাম বা কোওরা প্ল্যাটফর্মে শেয়ার হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, রেডডিট, কোরা বা ফেসবুক গ্রুপে প্রাসঙ্গিক থ্রেডে লিঙ্ক দেওয়া যেতে পারে। তবে সরাসরি প্রমোশন নয়, মানসম্পন্ন তথ্য যোগ করে শেয়ার করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ ২০২৫ সালে ঘরে বসে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়

অন্যান্য ব্লগার বা ওয়েবসাইটের সাথে গেস্ট পোস্ট বা কোলাবোরেশন করা একটি কার্যকর কৌশল। আপনার পোস্টের লিঙ্ক তাদের ব্লগ বা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করলে নতুন ভিজিটর আসে এবং ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়। এটি ব্র্যান্ড রিচ ও বিশ্বাসযোগ্যতাও বাড়ায়।

ব্লগ পোস্টের শেয়ারযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য SEO ও কনটেন্ট অপ্টিমাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কনটেন্টে মূল কীওয়ার্ড ব্যবহার, আকর্ষণীয় টাইটেল ও মেটা ডিসক্রিপশন তৈরি করলে গুগল ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে অর্গানিক ট্রাফিক পাওয়া সহজ হয়।

ওয়েবসাইটে লোড স্পিড বাড়ানো

আজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় ওয়েবসাইটের লোড স্পিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারকারীরা সাধারণত ৩-৪ সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে কোনো ওয়েবসাইটের লোডের জন্য অপেক্ষা করে না। যদি ওয়েবসাইট ধীর গতিতে লোড হয়, তাহলে ব্যবহারকারীরা সহজেই অন্য ওয়েবসাইটে চলে যায়।

ওয়েবসাইটে বড় ফাইল সাইজের ছবি ও ভিডিও থাকলে লোড স্পিড কমে যায়। এজন্য ছবি ও ভিডিও ফাইলগুলোকে ওয়েব ফ্রেন্ডলি ফরম্যাটে কম্প্রেস করা উচিত। যেমন: JPEG বা WebP ফরম্যাটে ছবি রাখা এবং ভিডিওর রেজোলিউশন প্রয়োজন অনুযায়ী কমানো।

ওয়েবসাইটের HTML, CSS, ও JavaScript কোডগুলো মিনিফাই করলে অনাবশ্যক স্পেস ও কমেন্ট সরানো হয়, ফলে ফাইলের সাইজ কমে যায়। পাশাপাশি ব্রাউজার ক্যাশিং ব্যবহার করলে পুনরায় ভিজিট করার সময় পেজ দ্রুত লোড বারে।

ওয়েবসাইটে অতিরিক্ত প্লাগইন বা থার্ড-পার্টি স্ক্রিপ্ট থাকলে লোড স্পিড কমে যায়। প্রয়োজনীয় এবং হালকা প্লাগইন ব্যবহার করা উচিত। অপ্রয়োজনীয় স্ক্রিপ্টগুলো ডিঅ্যাক্টিভ বা রিমুভ করা, এবং সাইটের মূল ফাংশনগুলোকে অপ্রতিরোধ্য রাখা লোড স্পিড বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ওয়েবসাইটের লোড স্পিডের জন্য হোস্টিং সার্ভারের গুণগত মানও গুরুত্বপূর্ণ। শেয়ার্ড হোস্টিং তুলনামূলকভাবে ধীর হতে পারে, তাই VPS বা Dedicated Server ব্যবহার করলে লোড স্পিড বৃদ্ধি পায়। সার্ভারের Response Time কমানো এবং PHP, MySQL এর অপ্টিমাইজেশন করা ওয়েবসাইটের কার্যকারিতা আরও উন্নত করে।

ব্লগ পোস্ট ‍ র‍্যাঙ্ক করার কৌশল জানুন

ব্লগার ওয়েবসাইটের জন্য ব্লগ পোস্ট লিখার সর্বপ্রথম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সঠিক নিশ নির্বাচন করা। পাঠক কোন ধরণের তথ্য জানতে চায় বা কোন সমস্যার সমাধান খুঁজছে তা বোঝা প্রয়োজন। বিষয়টি নির্ধারণ করার পর লক্ষ্য নির্ধারণ করুন—আপনি কি শিক্ষামূলক তথ্য দেবেন, বিনোদন দেবেন, নাকি কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচার করবেন।

বিষয় নির্ধারণের পর বিস্তারিত রিসার্চ করা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য ব্লগ, প্রবন্ধ, গবেষণা, এবং রেফারেন্স থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন। এটি আপনার ব্লগকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলে এবং পাঠকের জন্য মূল্যবান তথ্য প্রদান করে। রিসার্চ করার সময় তথ্যের সত্যতা যাচাই করাও অপরিহার্য।

শিরোনামই প্রথম যা পাঠককে আকর্ষণ করে। তাই এমন শিরোনাম লিখুন যা সংক্ষিপ্ত, আকর্ষণীয় হবে সেই সাথে বিষয়ভিত্তিক হতে হবে। পাশাপাশি ভূমিকা বা ইন্ট্রো অংশে সংক্ষেপে বিষয়টি উপস্থাপন করুন, যাতে পাঠক বুঝতে পারে পোস্টে তার কী কী তথ্য পাওয়া যাবে। একদম প্রথম প্যারা পাঠক ধরে রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ব্লগ পোস্টে লেখার ধরন সহজ ও স্পষ্ট হওয়া উচিত। দীর্ঘ প্যারা, জটিল বাক্য বা অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহার করলে পাঠকের মনোযোগ হারাতে পারে। পয়েন্ট আকারে বা সাবহেডিং ব্যবহার করে বিষয়গুলো ভাগ করা পাঠককে পড়তে সুবিধা দেয়।

ব্লগের শেষ অংশে মূল বিষয়গুলোর সারসংক্ষেপ দিন এবং পাঠককে কোনো অ্যাকশন নিতে উৎসাহিত করুন। যেমন কমেন্ট করা, শেয়ার করা, বা কোনো প্রোডাক্ট সার্ভিস ব্যবহার করা। নিয়মিত ব্লগ পোস্ট আপডেট রাখুনএবং SEO টেকনিক প্রয়োগ করলে ব্লগের র‍্যাঙ্কিংও বৃদ্ধি পায়।

কিওয়ার্ড রিসার্চ টিপস সম্পর্কে জানুন

নতুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়াবেন যেভাবে এর জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ টিপস জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কিওয়ার্ড রিসার্চ হলো SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মূল চাবিকাঠি। সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করলে ওয়েবসাইট বা ব্লগ পোস্ট সার্চ ইঞ্জিনে সহজে র‍্যাঙ্ক করতে পারে। এটি শুধু ট্রাফিক বাড়ায় না, বরং লক্ষ্যভিত্তিক দর্শকও আনে। কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে লেখা কনটেন্ট প্রাসঙ্গিক ও মানসম্পন্ন হয়।


নতুন-ব্লগার-ওয়েবসাইটে-অর্গানিক-ভিজিটর-বাড়াবেন-যেভাবে

শুধু জনপ্রিয় কিওয়ার্ড নয়, লং-টেল কিওয়ার্ড ব্যবহার করাও গুরুত্বপূর্ণ। লং-টেল কিওয়ার্ডগুলো কম প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয় এবং নির্দিষ্ট দর্শক টার্গেট করতে সাহায্য করে। যেমন, আপনার নতুন ব্লগার ওয়েবসাইট এর লোড স্পিড কিভাবে বাড়াবেন এই ধরনের লং টেল কিওয়ার্ড কার্যকর।

কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করা যায়। যেমন: Google Keyword Planner, Ubersuggest, Ahrefs, SEMrush ইত্যাদি। এই টুলস কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম, কম্পিটিশন এবং ট্রেন্ডের তথ্য দিয়ে সহায়তা করে। ফলে এই টুলগুলোর সাহায্যে প্রতিযোগিতামূলক কিওয়ার্ড এবং নতুন সম্ভাব্য কিওয়ার্ড খুঁজে পাওয়া যায়।

আপনার প্রতিযোগীদের কিওয়ার্ড ব্যবহার বিশ্লেষণ করুন। কোন কিওয়ার্ডে তারা ভালো র‍্যাঙ্ক করছে তা দেখে আপনার কনটেন্টে সেই ধরনের কিওয়ার্ড যুক্ত করা যায়। এটি কিওয়ার্ডের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটকে প্রতিযোগিতামূলকভাবে এগিয়ে রাখে।

কিওয়ার্ড ঠিকভাবে ব্যবহার করা জরুরি, কিন্তু কনটেন্টের সাথে তার সামঞ্জস্য না থাকলে SEO প্রভাব কমে যায়। কিওয়ার্ডগুলো প্রাকৃতিকভাবে হেডলাইন, সাবহেডিং এবং মূল লেখায় যুক্ত করুন। অতিরিক্ত বা জোরপূর্বক কিওয়ার্ড ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।

নিয়মিত ব্লগ পোস্ট আপডেট

আপনার নতুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর জন্য ব্লগ পোস্ট নিয়মিত আপডেট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেখা যায় সময়ের সাথে তথ্য, ট্রেন্ড এবং সার্চ ইঞ্জিনের অ্যালগরিদম পরিবর্তিত হয়। পুরনো কনটেন্ট যদি আপডেট করা না হয়, তা পাঠকের জন্য অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায় এবং সার্চ র‍্যাঙ্কিংও কমে যায়। নিয়মিত আপডেট ব্লগকে তাজা ও মানসম্পন্ন রাখে।

আপডেটের প্রথম ধাপ হলো আপনার সাইটের পুরনো পোস্টগুলো রিভিউ করা। দেখুন কোন তথ্য পুরনো হয়েছে, কোন লিংক কাজ করছে না বা কোন কিওয়ার্ডে র‍্যাঙ্ক কমে গেছে। রিভিউ করার সময় নতুন তথ্য যোগ করা, ছবি বা উদাহরণ পরিবর্তন করা এবং গ্রামাটিক্যাল ভুল ঠিক করা উচিত।

আপডেটের সময় SEO বিবেচনা করা জরুরি। নতুন ট্রেন্ডিং কিওয়ার্ড যুক্ত করুন এবং মেটা ট্যাগ, টাইটেল, সাবহেডিং ও ইমেজ অ্যাল্ট টেক্সট আপডেট করুন। এটি সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাঙ্কিং বাড়াতে সাহায্য করে এবং নতুন দর্শককে আকৃষ্ট করে।

পুরনো পোস্টে থাকা লিঙ্কগুলো নিয়মিত চেক করুন। ভাঙা লিংক মুছে দিন বা নতুন লিংক সংযুক্ত করুন। এছাড়া, প্রাসঙ্গিক নতুন আর্টিকেল বা রিসোর্স যুক্ত করলে পাঠক আরও তথ্য পেতে পারে এবং ব্লগের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে।

এক্ষেত্রে সাইট নিয়মিত আপডেটের জন্য একটি শিডিউল তৈরি করে নিতে পারেন। যেমন, প্রতি মাসে বা ১৫ দিন পর পর পুরনো ব্লগ রিভিউ ও আপডেট করা। এই অভ্যাস আপনার কনটেন্টকে সমসাময়িক রাখে ফলে SEO ফলাফল উন্নত করে এবং পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখে। বলা যায়, নিয়মিত ব্লগ পোস্ট আপডেটের অভ্যাস ব্লগারকে দীর্ঘমেয়াদে সফল করে তোলে।

লেখকের মতামত

নতুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়াবেন যেভাবে এই বিষয়ে আমরা অনেক কিছু জানলাম। কিভাবে নতুন ব্লগার ওয়েবসাইট বানাতে হয় এবং কিভাবে নতুন ভিজিটর বাড়াতে হয় সকল কিছু আমরা জেনেছি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।

নতুন ব্লগার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আমরা যে সকল ক্রিয়া কৌশল গুলো অবলম্বন করব এই সকল কিছু আজকের এই আর্টিকেলটির মধ্যে রয়েছে। তাই নিয়মিত এরকম আরো পোস্ট পেতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url