google মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার নিয়ম বিস্তারিত গাইড লাইন
Salma Mili
২০ অক্টো, ২০২৫
Google মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত এবং google মিট এর মাধ্যমে ক্লাস করলে আমাদের কতটুকু সময় সাশ্রয় হবে। সেজন্য গুগল মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব আজকের এই আর্টিকেলটিতে।
বর্তমানে অনলাইনে ক্লাস করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় একটি ব্যাপার হয়ে গেছে। এই সময়ে মানুষ যে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলেই ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাস করতে পারছেন। তাই google মিট ব্যবহার করে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা থাকা জরুরী, যা আজকের প্রবন্ধটি পড়লে বিস্তারিত জানতে পারবেন। পোস্ট সূচিপত্র:
Google মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার নিয়ম
Google মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আমরা হয়তো অনেকেই জানি কারন বর্তমানে অনলাইন সম্পর্কে জানেনা এমন খুব কম ব্যক্তি আমরা আছি। তবু যারা জানেন না তারা আর্টিকেলের নিচের অংশটি পড়ে এ বিষয়ে জেনে নিন. সবচেয়ে সুবিধার কথা হলো, গুগল মিট দিয়ে ক্লাস করার জন্য আমাদের বেশি দক্ষতার প্রয়োজন হয় না, শুধুমাত্র কিছু কিছু সিস্টেম রয়েছে যেগুলো মেনে চললেই হয়।
গুগল মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস করার জন্য প্রথমত আমাদের একটি নিজস্ব একাউন্ট থাকা লাগবে যে একাউন্ট দিয়ে আমরা যেকোনো কিছু লগইন করতে পারব। আর এটির জন্য গুগল মিট এ গিয়ে আপনার অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করতে হবে।
আবার একটি লিংক তৈরি করে রাখতে হবে যেন পরবর্তীতে অনলাইন ক্লাস করার সময় পুনরায় আবার লগইন করতে না হয় ওই লিংক দিয়ে লগইন করলেই হবে। কারণ বারবার নতুন একাউন্টে লগইন করা একটি বড় ঝামেলা সেজন্য লিংক দিয়ে একবার ঢুকলেই পরবর্তীতে সমস্যা হবে না।
আপনি যে লিংকগুলো তৈরি করে রাখবেন সেই লিংকগুলো অন্য শিক্ষার্থীর কাছে শেয়ার করতে পারবে কারণ লিংক দিয়ে ঢুকে ক্লাস করা সব থেকে বেশি সহজ এবং এতে অনেক সময় সাশ্রয় হয়। সেজন্য আমরা নিজেদের অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে লিংক তৈরি করে অন্যের কাছে সেটি শেয়ার করব।
এরপর আমরা গুগল মিট অনলাইন ক্লাসে জয়েন করব এবং সেখানে দেখতে পারব আমাদের ক্লাসের শিক্ষকরা থাকবে এবং আমাদের ক্লাসের শিক্ষার্থীরা থাকবে সেখানে আমরা ওদের সাথে বিভিন্ন উপায়ে কথা বলতে পারব এবং চ্যাট করে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারব।
নিচে সহজ তিনটি ইমেজের মাধ্যমে আপনাদের ধাপে ধাপে দেখানো হলো google মিট ব্যবহার করে কিভাবে অনলাইনে নেওয়া ক্লাস শুরু করবেন-
গুগল মিট ব্যবহার করে অনলাইনে ক্লাস নেয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে google meet ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে, ক্লিক করে প্রবেশ করার পর নিচের ছবির মত ইন্টারফেস দেখতে পাবেন-
এরপর আপনাকে New Meeting অপশনে ক্লিক করতে হবে. এখানে ক্লিক করার পর আপনি তিনটি অপশন দেখতে পাবেন.
যদি আপনি পরে কোন এক সময় ক্লাস নিতে চান তাহলে উপরের অংশটি ক্লিক করতে হবে. আপনি যদি google ক্যালেন্ডার শিডিউল তৈরি করতে চান তাহলে সর্বশেষ অপশনটি ক্লিক করতে হবে. আপনি যদি ইনস্ট্যান্ট ক্লাস নিতে চান তাহলে মাঝের অপশনটি অর্থাৎ দুই নাম্বার অংশটি ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে.
পরবর্তী ধাপে যাওয়ার পর আপনি মাইক্রোফোন এবং ক্যামেরা অপশনে ক্লিক করে ক্লাস শুরু করতে পারবেন. অর্থাৎ এই পর্যায়ে মিটিং বা ক্লাস শুরু করতে পারবেন এবং আপনি যে লিংক পাবেন তা আপনার শিক্ষার্থীদের মধ্যে শেয়ার করতে পারবেন যাতে তারা ক্লাসে অংশ নিতে পারেন.
মোটামুটি এই হল Google মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা. আশা করি বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি.
গুগল( Google) মিট কি
গুগল মিট হল গুগল দ্বারা তৈরি একটি অডিও ও ভিডিও কনফারেন্স প্লাটফর্ম যেখানে ভার্চুয়াল মিটিং দ্বারা অনলাইন ক্লাস সম্পন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া অনলাইন ক্লাস ওয়েবিনার এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্যও আমরা গুগল মিট ব্যবহার করে থাকি।
শুধুমাত্র এই যে আমরা অনলাইন ক্লাস করার জন্য এটি ব্যবহার করি তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে এবং বিভিন্ন ব্যবসার কাজে আমরা একে অপরের সাথে মতামত বিনিময় করার যোগাযোগ রাখার জন্য কখনো কখনো এর গুগল মিট দিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে থাকি।
এটি মূলত: গুগল হ্যাংআউটস এর দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এবং এটি সাধারণত গুগল ওয়ার্ক স্পেসের একটি অংশ বলে বিবেচিত। এই গুগল আমাদের বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। আমরা যেকোনো সময় যে কোন কাজে যে কোন কিছু সার্চ করতে মিনিটের মধ্যে এটি ব্যবহার করে থাকে।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এই গুগল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ সাধারণত আমরা আমাদের ব্যস্ততার কারণে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারি না কিন্তু অনলাইনের যুগ হওয়ার কারণে ঘরে বসে নিজেদের মতামত এই গুগল এর মাধ্যমে করতে পারি।
google মিট দিয়ে ক্লাস করার সুবিধা
গুগল মিট ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। গুগল মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার নিয়ম যেমন অনেক সহজ ঠিক তেমনি যারা এটি ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রেও এটি অনেক সুবিধা নিয়ে আসে। সেজন্য অনলাইন ক্লাস করার জন্য এটি একটি সবথেকে ভালো উপায়।
গুগল মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস করার সুবিধা গুলো নিম্নরূপঃ
যেকোনো জায়গা থেকে অনায়াসে ক্লাসে যোগ দেওয়া যায় ভৌগোলিক বাধা নেই।
যাতায়াত ও সময় বাঁচে, ফলে অর্থ ও শ্রমের সাশ্রয় হয়।
শিক্ষক সহজেই ক্লাস লিংক শেয়ার করে দ্রুত শুরু করতে পারেন।
ভিডিও অডিও নিয়ন্ত্রণ করে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বজায় রাখা যায়।
স্ক্রিন শেয়ার করে স্লাইড, ডকুমেন্ট বা লাইভ ডেমো দেখানো যায়।
চ্যাটে প্রশ্ন উত্তর দ্রুত হয়, কথাবার্তা বেশি ব্যাহত করে না।
ক্লাস রেকর্ড করে পরে দেখা যায় যা রেকর্ডিং অনুমতির ওপর নির্ভর করে।
লাইভ ক্যাপশন থাকলে শ্রবণ সমস্যাযুক্ত শিক্ষার্থীর জন্য সুবিধা হয়।
একসাথে অনেক শিক্ষার্থীকে দেখিয়ে বড় ক্লাসও পরিচালনা করা যায়।
ক্যালেন্ডার ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে ক্লাস সহজে শিডিউল করা যায়।
মোবাইল, ট্যাব বা কম্পিউটারে অল্প পানি-বিদ্যুৎেও যোগ দেওয়া যায়।
স্ক্রিনে অ্যানোটেশন করে গুরুত্বপূর্ণ অংশ লাইভ হাইলাইট করা যায়।
গ্রুপ ডিসকাশন ও ব্রেকে-আউট রুমে ছোট দলীয় কাজ করানো যায়।
ফাইল শেয়ার করে নোট, হোমওয়ার্ক বা রিসোর্স তৎক্ষণাত পাঠানো যায়।
উপস্থিতি চেক করে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের ধারণা নেয়া যায়।
পোল ও কুইজ দিয়ে সরাসরি শিক্ষার্থীদের এনগেজ করা সম্ভব।
অনুপস্থিত শিক্ষার্থীরা রেকর্ডিং দেখে ক্লাসের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারে।
লিংক ও অনুমতি দিয়ে ক্লাসে নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ অংশ দ্রুত নোট করে পরবর্তীতে রেফারেন্স করা যায়।
ছবি, ভিডিও ও লাইভ ডেমো একসাথে ব্যবহার করে পাঠ আরো ইন্টারঅ্যাকটিভ হয়।
গুগল মিটের মূল বৈশিষ্ট্য
Google মিটের অবশ্যই কিছু মূল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার কারণে আমরা এটি ব্যবহার করি কারণ আমরা আমাদের নিজেদের সুযোগ-সুবিধা ছাড়া কিংবা যেটি আমাদের জন্য উপকার নিয়ে আসবে না সেটি ছাড়া আমরা কোন কিছুই ব্যবহার করি না।
এটির কিছু বৈশিষ্ট্য হলো ভিডিও কনফারেন্সিং সহজে মিটিং তৈরি করা বা যে কোনো কাজের যোগদান করা স্কিন শেয়ার করার মাধ্যম লাইভ ক্যাপশন রেকর্ডিং এবং বিভিন্ন ডিভাইস থেকে এক্সেস যোগ্যতা রাখার মত এর সকল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
এটির সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি একটি ভিডিও কনফারেন্সিং। কারণ এটির মাধ্যমে একে অপরকে আমরা দেখতে পারি এবং মনে হয় যে আমরা সামনাসামনি কথা বলছি। একাধিক অংশগ্রহণকারী একই সাথে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে কথা বলতে পারে।
চাইলে যে কেউ সহজে একটি মিটিং তৈরি করতে পারে যা অন্যদের তৈরি করা মিটিংয়ে যোগদান করে অন্যর মাধ্যমে স্ক্রিন শেয়ার করে নিজেদের মতামত শেয়ার করতে পারবে। এটি সবথেকে বড় সুবিধা হল এটি একটি লাইভ ক্যাপশন থাকে।
কিছু কিছু সময় এমন হয় যে লাইভে কোন কিছু চলছে কিন্তু আমরা সেটিতে অংশগ্রহণ করতে পারছি না সে ক্ষেত্রে অল্প কিছু সময়ের জন্য আমরা এটিতে জয়েন করব এবং রেকর্ড অপশন চালু করে রাখবো যেন সেটি রেকর্ড হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা সেটি দেখতে পারবো।
google মিট ডাউনলোড করার উপায়
বর্তমান যুগে অনলাইন ক্লাস, অফিস মিটিং কিংবা ভিডিও কনফারেন্সের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোর একটি হলো গুগল মিট। এটি গুগলের একটি ফ্রি ভিডিও কলিং অ্যাপ, যার মাধ্যমে সহজে একসাথে বহুজনের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করা যায়।
যদি আপনি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করেন, তাহলে প্রথমে আপনার ফোনে Google Play Store খুলুন। এরপর সার্চ বারে লিখুন Google Meet। তারপর অফিসিয়াল অ্যাপটি দেখতে পাবেন ডেভেলপার হিসেবে থাকবে Google LLC। এখন Install বাটনে ক্লিক করে অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
কম্পিউটার বা ল্যাপটপে আলাদা করে অ্যাপ ডাউনলোডের প্রয়োজন হয় না। কেবলমাত্র আপনার ব্রাউজার খুলে গুগল মিট ডটকম এ যান। এরপর আপনার ইমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করুন। চাইলে আপনি ডেস্কটপে শর্টকাট আইকনও তৈরি করতে পারেন।
গুগল মিট দিয়ে সহজে অনলাইন ক্লাস, মিটিং, অফিসিয়াল আলোচনা বা প্রেজেন্টেশন করা যায়। আপনি এটি তৈরি করে অন্যদের আমন্ত্রণ পাঠাতে পারেন অথবা কারো পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করেও মিটিংয়ে যোগ দিতে পারেন। এছাড়া স্ক্রিন শেয়ার চ্যাট অপশনসহ নানা সুবিধা পাওয়া যায়।
গুগল মিট এমন একটি টুল যা শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মজীবী সব শ্রেণির মানুষের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মোবাইল বা কম্পিউটার যেখানেই ব্যবহার করুন না কেন, এটি নিরাপদ ও দ্রুত সংযোগের সুযোগ দেয়। তাই অনলাইন যোগাযোগে সফল হতে আজই গুগল মিট ডাউনলোড করে ব্যবহার শুরু করুন।
google মিট দিয়ে ক্লাস করার অসুবিধা
গুগল মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস করার নিয়ম প্রথমত আমাদের জানতে হবে কারণ শুধুমাত্র এই যে ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে তা কিন্তু নয় এর অনেকগুলো অসুবিধা থাকতে পারে যেগুলো আমাদের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনবে এবং সময় নষ্ট করবে তাই এটি আমরা আগে বিবেচনা করব।
গুগল মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস করার সুবিধার পাশাপাশি অসুবিধা গুলো হলোঃ
ইন্টারনেট সংযোগের দুর্বলতা বা অনিয়মিত কনেকশন
মোবাইল বা ল্যাপটপের ব্যাটারি বা ডিভাইস সমস্যা।
ভিডিও বা অডিও ল্যাগে আলোচনা বুঝতে সমস্যা।
শিক্ষার্থীর মনোযোগ ছিটকে যাওয়া ও সহজে Distract হওয়া।
হাতেকলমে বা প্র্যাকটিক্যাল কাজ করানো কঠিন।
মতামত জানাতে বা প্রশ্ন করতে টাইমিং মিস হওয়া।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সরাসরি সম্পর্ক কমে যাওয়া।
মূল্যায়ন ও উত্তরাধিকার cheating চেক করা কঠিন।
ক্লাস রেকর্ডিং থাকলে গোপনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ।
অডিও ভয়েস কুয়ালিটি খারাপ হলে বারবার রিভাইন্ড করতে হয়।
গ্রুপ ওয়ার্ক বা পারস্পরিক কাজ করা ঝটপট হয় না।
স্লো বা পুরনো ডিভাইসে অ্যাপ হ্যাং হওয়া।
ক্লাস টাইমিং ও সময় অঞ্চল মেলাতে অসুবিধা হয়।
ইন্টারনেট ডেটা খরচ বেশি হওয়ায় দাম বাড়ে।
শিক্ষার্থীর প্রযুক্তিগত দক্ষতার অভাব বাধা হতে পারে।
চোখে চাপ ও স্ক্রিন ফ্যাটিগিউর কারণে নিয়মিত ক্লাস চালানো কষ্টকর।
ব্যাকগ্রাউন্ড পরিষ্কার না থাকলে সমগ্র ক্লাসে বিঘ্ন লাগবে।
অনুপস্থিতি বা দেরিতে সংযোগ করলে নিরবচ্ছিন্ন পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গুগল মিট ব্যবহারের পদ্ধতি
গুগল মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস করার নিয়ম এর ব্যবহার পদ্ধতি অনেকগুলো রয়েছে। আমরা যে কোন উপায়ে এটি ব্যবহার করতে পারব সেটি হতে পারে মোবাইল ল্যাপটপ কম্পিউটার ডেস্কটপ ট্যাব। যে ওপায়ে আমরা এটি ব্যবহার করব সে উপায়ে করা সম্ভব হবে।
বহু ডিভাইস এক্সেস রয়েছে যেমন ডেস্কটপ এন্ড্রয়েড আই ও এস এর মত বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে গুগল মিট ব্যবহার করা যায়। শুধুমাত্র ব্যবহারের পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে যে কিভাবে গুগল মিট ব্যবহার করতে হয় তবেই এটি সহজ উপায় হয়ে যাবে।
এটিতে গৃহ নিরাপত্তা এবং মিটিং পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের হোস্টিং টুল রয়েছে যেগুলো দিয়ে আমরা কাজ করতে পারবো। যখন আমরা অনলাইনে ক্লাস করি তখন টিচাররা ইংলিশে কথা বলতে পারেন তাই এটি অনুবাদ করার জন্য আমরা এ আই রিয়েল টাইম ভাষা অনুবাদ ব্যবহার করব।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ব্রেক আউট রুম পুল এবং উপস্থিতি ট্রাকিং এর মতো অতিরিক্ত সুবিধা আছে যেগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। এক কথায় যে কোন উপায়ে ব্যবহার করার জন্য গুগল মিনিট অনেক কার্যকর একটি সিস্টেম।
যখন আমরা এটি ব্যবহার করব তখন যে লিংক এর মাধ্যমে এটি ব্যবহার করব তখন এটি মোবাইলে ট্যাগ করে দিব যেন অন্য কেউ এটি কপি করে সহজে গুগল মিটে ঢুকতে পারেন। আবার এটি ইমেল বা মেসেজ এর মাধ্যমেও ব্যবহার করতে পারব।
মোবাইল দিয়ে গুগল মিট ব্যবহার
মোবাইল দিয়ে গুগল মিট ব্যবহার করা খুবই সহজ। প্রথমে আপনার মোবাইলে Google Meet অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে। যদি এটি ইনস্টল করা না থাকে, তবে গুগল প্লে স্টোর থেকে সহজে ডাউনলোড করা যায়। অ্যাপ ইনস্টল করার পর, গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগইন করতে হবে।
গুগল মিটের মাধ্যমে আপনি সরাসরি মোবাইল থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হতে পারেন, মেসেজ পাঠাতে পারেন এবং প্রেজেন্টেশন শেয়ার করতে পারেন। মোবাইল ইন্টারফেসটি ব্যবহারকারী বান্ধব, তাই নতুন ব্যবহারকারীর জন্যও এটি বোঝা সহজ।
মোবাইল দিয়ে গুগল মিট ব্যবহার করার সুবিধার মধ্যে রয়েছে যে কোনো জায়গা থেকে মিটিং করা। আপনাকে অফিসে বা স্কুলে উপস্থিত হওয়ার দরকার নেই। কেবল ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই আপনি অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এটি বিশেষভাবে ফ্রিল্যান্সার, শিক্ষার্থী ও দূরবর্তী কর্মীদের জন্য অমূল্য।
গুগল মিট মোবাইলে ব্যবহার করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত। যেমন, ব্যাটারির সঠিক চার্জ, স্টেবল ইন্টারনেট কানেকশন এবং প্রয়োজনমতো হেডফোন ব্যবহার করা। এছাড়া, মিটিং চলাকালীন নোট নেওয়া বা স্ক্রিন শেয়ার করার সুবিধাও মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ।
মোবাইল দিয়ে গুগল মিট ব্যবহার প্রযুক্তি ও সময়ের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য লার্নিং সহজ করে, কর্মক্ষেত্রে অফিসিয়াল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে সাহায্য করে এবং দূরবর্তী কাজের নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত করে। সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে এটি জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
গুগল মিটে ক্লাস রেকর্ড করবো কিভাবে
গুগল মিট হলো এক জনপ্রিয় ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্ম, যা শিক্ষার্থী ও শিক্ষক উভয়ের জন্য সহজে অনলাইন ক্লাস পরিচালনার সুযোগ দেয়। কখনও কখনও ক্লাস মিস হয়ে গেলে বা পরবর্তীতে রিভিউ করার জন্য ক্লাস রেকর্ড করা প্রয়োজন হয়।
গুগল মিটে ক্লাস রেকর্ড করার জন্য প্রথমে আপনাকে অবশ্যই গুগল ওয়ার্ক প্লেস থাকতে হবে। ফ্রি ইমেইল অ্যাকাউন্টে সরাসরি রেকর্ডিং করার সুবিধা নেই। এছাড়াও, রেকর্ডিং চালু করার জন্য আপনাকে মিটের হোস্ট হতে হবে বা হোস্ট থেকে রেকর্ডিং অনুমতি পেতে হবে।
রেকর্ডিং শুরু করতে, ক্লাস শুরু হওয়ার পর স্ক্রিনের নীচের ডান দিকে থাকা তিনটি ডট More Options এ ক্লিক করুন। সেখানে রেকর্ড মিটিং অপশনটি সিলেক্ট করুন। এরপর গুগল আপনাকে রেকর্ডিং শুরুর অনুমতি জিজ্ঞেস করবে। অনুমতি দিলে রেকর্ডিং স্বয়ংক্রিয়ভাবে শুরু হবে।
ক্লাস শেষ হলে পুনরায় তিনটি ডটের অপশনে গিয়ে স্টপ রেকর্ডিং এ ক্লিক করতে হবে। রেকর্ডিং সম্পন্ন হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুগল ড্রাইভে সংরক্ষিত হবে। ড্রাইভের মিটিং রেকর্ডিং ফোল্ডারে এটি রাখা হয়। এরপর শিক্ষার্থী বা শিক্ষক চাইলে এটি ডাউনলোড করে নিজের কম্পিউটারেও রাখতে পারে।
গুগল মিটে ক্লাস রেকর্ড করার সুবিধা গুরুত্বপূর্ণ। যারা ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারেননি বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ অংশ পুনরায় দেখতে চান, তারা সহজে রেকর্ডিং থেকে তথ্য নিতে পারেন। তাই অনলাইন শিক্ষার কার্যকারিতা বাড়াতে এই রেকর্ডিং অপশনটি ব্যবহার করা অত্যন্ত সহায়ক।
মতামত
Google মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার নিয়ম এবং গুগল মিট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য কতটুকু কার্যকর তা আমরা জানতে পেরেছি। বর্তমান সময়ে অনলাইনে শিক্ষার কার্যকারতার জন্য গুগল মিট সিস্টেমটি অত্যন্ত সহায়ক একটি মাধ্যম।
google মিট দিয়ে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার নিয়ম এর সুবিধা অসুবিধা গুলো কি কি এবং এটি ব্যবহারের নিয়ম এর কোনগুলো মূল বৈশিষ্ট্য রয়েছে এ সকল কিছু আমরা জানতে পেরেছি আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক এরকম আরো পোস্ট পেতে passiondrivefiona.com ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url