কালো মেয়ে ফর্সা হওয়ার ক্রিম (কোরিয়ান) বেস্ট ১০টি, ফর্সা হওয়ার ফেসওয়াশ

কালো মেয়ে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান, এই আর্টিকেলে কোরিয়ান বেস্ট ১০টি ক্রিমের নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন। সাথে জানবেন,ফর্সা হওয়ার ফেসওয়াশ সম্পর্কে।

কালো-মেয়ে-ফর্সা-হওয়ার-ক্রিম

কালো মেয়ে ফর্সা হওয়ার ক্রিমের নাম সম্পর্কে জানার জন্য ইদানিং অনলাইনে প্রচুর সার্চ হয়ে থাকে। কালো থেকে ফর্সা হওয়ার প্রচুর ক্রিম বাজারে রয়েছে, তবে বর্তমানে কোরিয়ান ফর্সা হওয়ার ক্রিমের চাহিদা আকাশচুম্বী। মূলতঃ কোরিয়ান ক্রিমগুলোতে নিরাপদ উপাদান ব্যবহার এবং দাম হাতের নাগালে হওয়ায় সহজে ভোক্তাদের মন জয় করে নিয়েছে।

ক্রেতাদের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে কালো মেয়ে ফর্সা হওয়ার সেরা ১০টি কোরিয়ান ক্রিম নিয়ে। এই সকল ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আর্টিকেলের শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথেই থাকুন। পোস্ট সূচিপত্রঃ

কালো মেয়ে ফর্সা হওয়ার ক্রিম

কালো মেয়ে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে আর্টিকেলের শুরুতে জেনে নিন। যাদের গায়ের রং শ্যামলা বা কালো তারা ফর্সা হওয়ার জন্য নানা ধরনের প্রচেষ্টা করে থাকেন। এর মধ্যে ফর্সা হওয়ার ক্রিম এর ব্যবহার অন্যতম।

আমাদের জন্মগত যে গায়ের রং তা পুরোপুরি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে ত্বকের রং নিরাপদ ভাবে ফর্সা করে তোলার জন্য বিশেষ কতগুলো উপাদান রয়েছে। এই উপাদান সমৃদ্ধ ক্রিমগুলো ব্যবহারে ধীরে ধীরে ত্বকের রং ধবধবে ফর্সা না হলেও ৫ থেকে ৭ শেড ফর্সা করে তুলতে পারে।

যেমনঃ ভিটামিন সি, গ্লুটাথিওন, কোজিক অ্যাসিড, নিয়াসিনামাইড, আলফা আরবুটিন এর মতো উপাদান।

তাই কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য আমাদের এমন ক্রিম বেছে নিতে হবে যে ক্রিমগুলোতে উপরে উল্লেখিত উপাদান গুলো বিদ্যমান। কোরিয়ান ফর্সা হওয়ার ক্রিমগুলো ত্বকের রং ফর্সা করার জন্য এই সকল নিরাপদ উপাদান সমৃদ্ধ এবং স্টেরয়েড, প্যারাবেন এর মত ক্ষতিকর কেমিক্যাল নেই।

তাই আপনার যদি গায়ের রং কালো হয়ে থাকে এবং আপনি কালো মেয়ে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে নিচের আলোচনা থেকে কোরিয়ান সবচেয়ে ভালো মানের ১০টি সেরা ক্রিম সম্পর্কে জেনে নিন।

Melasma-x Glutathione Brightening Tone up day cream

এটি এমন একটি ক্রিম যা ফর্সা করার সাথে সাথে আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান করবে। এই ক্রিমটি ব্যবহারে আপনার ত্বক থেকে রিংকেল দূর করে ত্বকের বয়সের ছাপ কমিয়ে ত্বক করবে টানটান। ত্বকের যে কোন ধরনের ব্লেমিস, ফ্রিকেলস বা বাদামি তেল ও দাগ দূর করতেও এই ক্রিমটি বিশেষ কার্যকরী।

এছাড়া এই ক্রিমটি ব্যবহারের সাথে সাথে একটি ইনস্ট্যান্ট হোয়াইটেনিং লুক দিবে, যা ফাউন্ডেশনের কাজ করবে।

এই ক্রিমের মূল উপাদান হলো গ্লুটাথিয়ন এবং হায়ালুরেনিক অ্যাসিড।

গ্লুটাথিয়ন- যা ত্বক হোয়াইটেনিং এর কাজ করবে

হাইওনিক এসিড- এই উপাদানটি ত্বকের মশ্চারাইজার ধরে রাখবে বা ত্বকের আর্দ্র ভাব বজায় রাখবে

ব্যবহার উপযোগীঃ সব ধরনের স্কিনে ব্যবহার করা যাবে

ব্যবহার বিধিঃ মুখ ভালোভাবে ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করার পর পরিমাণ মতো ক্রিম নিয়ে সমানভাবে মুখে লাগিয়ে মিশিয়ে দিতে হবে। দিনে বা রাতে যে কোন সময় ব্যবহার করতে পারেন।

দামঃ ১২০০ টাকা

CARE-NEL Derma Alpha Arbutin Whitening Cream

এটি একটি জনপ্রিয় কোরিয়ান ব্রাইটেনিং ক্রিম। এই ক্রিমটি ক্লিনিক্যালি প্রুভেন যে এটি ত্বকের কোনরকম ক্ষতি ছাড়াই ত্বক ধীরে ধীরে ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তুলবে। এছাড়া ত্বকে যেকোনো ধরনের ডার্ক স্পট দূর করবে।

আপনি যদি নিরাপদ ভাবে ফর্সা হওয়ার কোন নির্ভরযোগ্য ক্রিম খুঁজে থাকেন তাহলে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন।

এই ক্রিমের মূল উপাদানঃ

আলফা আরবুটিন- আলফার্বটি তোকে যেকোনো ধরনের দাগ দূর করতে ব্যবহার করা হয়।

গ্লুটাথিয়ন- গ্লুটাথিয়ন ত্বকের রং ফর্সা করে তোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

মেরিন কোলাজেন- ত্বকের কুঁচকানো বলে রেখা দূর করে টানটান ভাব ও তারুণ্য ধরে রাখে কোলাজেন।

ব্যবহার উপযোগীঃ সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায় এই ক্রিম।

ব্যবহার বিধিঃ ভাল কোন ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে হবে।

দামঃ ১২৯০ টাকা

NEUTRIHERBS Lighten Skin Face Cream

এই কোরিয়ান ক্রিম এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যার ফলে কিছুদিন ব্যবহারে ফর্সা হওয়ার সাথে সাথে ত্বকের অমসৃনতা দূর করে, ত্বকের যে কোন ডার্ক স্পট কমিয়ে স্কিন টেক্সচার মসৃন ও উন্নত করে। এই ক্রিম ব্যবহারকারীরা ২ সপ্তাহের মধ্যে তাদের ত্বকে ভিজিবল রেজাল্ট দেখতে পেয়েছেন।

এই ক্রিমের মূল উপাদান গুলো হলঃ

Vitamin C- ত্বককে ফ্রি রেডিকেল এর ক্ষতি থেকে বাচায় এবং স্কিনের সমানভাব উন্নত করে।

Ceramide- ত্বকের ময়েসচার ধরে রাখে, পরিবেশের ক্ষতি থেকে ত্বক রক্ষা করে এবং ত্বকের সাইন অফ এজিং কমিয়ে ত্বক রাখে তারুন্যময়।

Glabridin-ত্বকের মেলানিন নিয়িন্ত্রন করে। এর শক্তিশালি ব্রাইটেনিং প্রভাব ত্বকের হাইপারপিগমেন্টেসন দূর করে ও ত্বকের স্কিন টোন ইভেন করে।

Symwhite 377- এটি একটি নতুন হোয়াইটেনিং এজেন্ট, যা ত্বক ধীরে ধীরে ফর্সা করে তুলতে কাজ করে।

ব্যবহারবিধিঃ ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করার পর সমানভাবে সারা মুখে এপ্লাই করুন।

দামঃ ৩৪০০ টাকা

JIGOTT Permanent Whitening Activated Cream

আপনার ত্বক যদি শুষ্ক এবং সংবেদনশীল হয়ে থাকে তাহলে ফর্সা হওয়ার জন্য এই ক্রিমটি আপনার জন্য উপযুক্ত। এটি একটি বর্তমান বাজারের সেরা হোয়াইটনিং ক্রিম।

এই ক্রিমে ব্যবহার করা হয়েছে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ উপাদানের নির্যাস যা ত্বকের কোনরকম ক্ষতি ছাড়া ত্বকের ক্লান্তি ভাব দূর করবে ও আরাম দিবে। এছাড়া এই ক্রিমটি ত্বকে পানি নিয়ন্ত্রণ করে ত্বকে আদ্র ভাব ধরে রাখবে এবং অতি বেগুনের রশ্মি শোষণ করবে যা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বিশেষভাবে কেন এত সমস্যা তৈরি করা হয়েছে।

এই ক্রিমে থাকা পানি, তেল এবং ত্বকের জন্য পুষ্টিযোগ্য উপাদান ত্বক ফর্সা করার সাথে সাথে ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখে এবং ত্বক হেলদি ও গ্লোয়িং করে তোলে। এই ক্রিমটিতে নিয়াসিনামাইড থাকায় ত্বকের দাগ ও বলিরেখা দূর করতেও কাজ করবে।

মূল উপাদানঃ নিয়াসিনামাইড, গ্লিসারিন, মিনারেল তেল, ওয়াটার, গ্লাইকল।

ব্যবহারবিধিঃ ত্বক পরিষ্কার করার পর দিনেও রাতে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী।

দামঃ ৭৫০ টাকা

 Korean Beauty Skin Whitening Cream

আপনি যদি আপনার মুখ ফর্সা করে তোলার সাথে সাথে বডি এবং হাত-পা ফর্সা করে তুলতে চান তাহলে এই ক্রিমটি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিমটিও বর্তমানে বাজারে হোয়াইটনিং ক্রিম হিসেবে সেরা এবং জনপ্রিয়।

এই ক্রিমটি লাইট ওয়েট ফর্মুলায় তৈরি ফলে শরীরে দ্রুত শোষণ হয়ে যায়। এই ক্রিমটি নিয়মিত ব্যবহারে ফর্সা হওয়ার সাথে সাথে ত্বকের শুষ্কতা ও ডালনেস দূর করবে।। ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে ত্বক করে তুলবে মসৃণ ও হেলদি।

এই ক্রিম ব্যবহারে শুধু তো আপনার ত্বক ফর্সাই করবে না, আপনার ত্বকে যদি কোন ধরনের ডার্ক স্পট ও হাইপার পিগমেন্টেশন থাকে সেটাও দূর করবে। এক মাসের মধ্যেই আপনি রেজাল্ট দেখতে পারবেন।

মূল উপাদানঃ কোজিক অ্যাসিড, গ্লু টাথিওন, এলোভেরা, ভিটামিন এ সি এবং ই, আলফা আরবুটিন।

ব্যবহার বিধিঃ রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ও হাত পা সহ গলায় ব্যবহার করুন। সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার উপযোগী।

দামঃ ৩৫০ টাকা

innisfree Jeju Cherry Blossom Tone Up Cream

বর্তমান সময়ের স্কিন কেয়ার জগতে বিশ্বস্ত একটি নাম innisfree. এই ব্র্যান্ড মানেই প্রাকৃতিক উপাদান তৈরি ত্বকের জন্য নিরাপদ ও সেরা ক্রিম, হোক সেটা অতি সংবেদনশীল ত্বক।

এই ব্র্যান্ডের Jeju Cherry Blossom Tone Up Cream এমন একটি ক্রিম যা ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করার সাথে সাথে ত্বক হাইড্রেট রাখে এবং ত্বকের দাগ দূর করে। এই ক্রিমটিও বর্তমানে ত্বকের যত্নে ও ত্বকের রং ফর্সা করার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়।

মূল উপাদানঃ নিয়াসিনামাইড, বিটেইন, চেরি ব্লসম পাতার নির্যাস।

ব্যবহারবিধিঃ এই ক্রিমটি আপনারা সকালের রূপচর্চায় রাখতে পারেন। পরিষ্কার ত্বকে এই ক্রিমটি ব্যবহার করলে পাবেন ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বল ও গ্লোয়িং ত্বক।

দামঃ ১৮৮০ টাকা

সর্তকতাঃ এই ক্রিম এ কিছুটা প্রেগনেন্স বা ঘ্রাণ থাকায় যাদের ত্বক অতি সম্পদশীল তাদের জন্য কিছুটা সমস্যা তৈরি হতে পারে। এজন্য ক্রিম ব্যবহারের আগে প্যাক টেস্ট আবশ্যক।

3W Clinic Crystal white milky Cream

আপনি যদি কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য সবচেয়ে ভালো কোন ক্রিমের খোঁজ করেন, তাহলে ব্যবহার করতে পারেন বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড 3W Clinic এর Crystal white milky Cream। এটি একটি কোরিয়ান জনপ্রিয়  স্কিন কেয়ার ব্রান্ড।

এই ক্রিমে থাকা কার্যকরী এসেন্স ধীরে ধীরে ত্বকের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তোলে।

ফর্সা করে তোলার সাথে সাথে এই ক্রিমটি আপনার তক করে তুলবে স্বাস্থ্যবান ও মসৃণ। বয়সের কারণে যেকোনো ধরনের ত্বকের সমস্যা যেমন লাল তিল দূর করবে এই ক্রিম। এছাড়া ত্বকের এজিং প্রসেসকে কমিয়ে ইয়াঙ্গার লুক পেতে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন এই ক্রিম।

এই ক্রিমটি খুবই মাইল্ড, তাই মেকআপের আগে প্রাইমার হিসেবে বা বিবি ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

ব্যবহারবিধিঃ গোসলের পর পরিষ্কার ত্বকে অথবা মেকআপ এর আগে ব্যবহার করতে পারেন।

দামঃ ১০৫০ টাকা

Korean Skin Whitening Day Cream

কালো মেয়ে ফর্সা হওয়ার জন্য আরেকটি কার্যকরী কোরিয়ান এই ক্রিমটি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এই ক্রিম সব ধরনের ত্বকের জন্য ব্যবহার উপযোগী।

এই ক্রিম ব্যবহারে সাত দিনের মধ্যে আপনার ত্বকের রং ফর্সা হতে শুরু করবে। ত্বক ফর্সা করার সাথে সাথে আপনার ত্বক উজ্জ্বল ও ও দাগ হীন করে তুলবে।

মূল উপাদানঃ হারবাল উপাদান

ব্যবহার বিধিঃ দিনের বেলায় মুখ পরিষ্কার করার পর বা গোসলের পর এই তিনটি ব্যবহার করুন।

দামঃ ৩০০ টাকা

Koelcia Whitening Cream

আপনার গায়ের রং কালো হওয়ার সাথে সাথে ত্বক যদি শুষ্ক এবং সেনসিটিভ হয় তাহলে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে তবে কাল থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য সব ধরনের ত্বকে এই ক্রিম ব্যবহার উপযোগী।

এই ক্রিম ত্বক ফর্সা করার সাথে সাথে ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে উন্নত করে। এছাড়া বয়সের ছাপ দূর করতে অ্যান্টি এজিং টিম হিসেবে উপকারি।

এই ক্রিমে কোন ধরনের কৃত্রিম রঙ মেশানো নেই এবং প্যারাবেন মুক্ত। তাই এটি আপনার হোয়াইটনিং ক্রিম হিসেবে ব্যবহার শুরু করতে পারেন।

মূল উপাদানঃ কোলাজে্ন, গ্রিন টি নির্যাস, মেকাডামিয়া সিড অয়েল, প্যান্থেনল।

ব্যবহারবিধিঃ পরিষ্কার ত্বকে দিনে ও রাতে ব্যবহার করুন। ছেলে মেয়ে উভয়ই ব্যবহার করতে পারবেন।

দামঃ ১৩৫০ টাকা

LAIKOU Pro Niacinamide Brightening Cream

আপনি যদি নিরাপদে কালো থেকে ফর্সা হতে চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন LAIKOU ব্র্যান্ডের এই ক্রিমটি। ত্বকের রং ফর্সা করার জন্য এটি একটি কোরিয়ান জনপ্রিয় ও সেরা ক্রিম। সংবেদনশীল ত্বক সহ সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার উপযোগী জনপ্রিয় এই ক্রিম।

এই ক্রিম নিয়মিত ব্যবহারে আপনি কালো থেকে ফর্সা হতে শুরু করবেন। এছাড়া আপনার ত্বকে যদি বয়সের কারণে কোন বলিরেখা ও ডার্ক স্পট থাকে সেটাও দূর করবে এই ক্রিম। ফর্সা ও হেলদি ত্বকের জন্য এটি একটি উপযুক্ত ক্রিম। বাড়তি সুবিধা হিসেবে পাবেন সান প্রটেকশন, কারণ এই ক্রিমে রয়েছে এসপিএফ 50.

এই ক্রিমের মূল উপাদান এডভান্স নিয়ে সিনেমাইড এবং ডাবল ব্রাইটেনিং উপাদান। যা দ্রুত ত্বক ফর্সা করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

দামঃ ১৬৮৭ টাকা

বিশেষ নোটঃ এখানে প্রতিটি ক্রিমের বর্তমান বাজার মূল্য দেওয়া হয়েছে। তবে স্থান ও সময় বেঁধে পণ্যের দামের পার্থক্য হতে পারে।

কালো মেয়ে ফর্সা হওয়ার আরো কিছু জনপ্রিয় ক্রিম ও লোশন

  • Korean Beauty Skin Whitening Lotion
  • AUDALA Lady Face Whitening Cream
  • Skin Whitening Brightening Treatment Cream
  • KOREAN BEAUTY Skin Whitening And Brightening Face Cream
  • Korean Whitening Cream
  • Korean Permanent Skin Whitening Cream
  • Nella Tone-up Cream: Whitening And Brightening
  • CHITTAAKS KOREAN Milk Whitening Cream
  • All Whitening Cream
  • Korean Anti Aging Cream
  • Kimuse Whitening Cream
  • Novaclear Whitening Body Lotion
কালো-মেয়ে-ফর্সা-হওয়ার-ক্রিম

ফর্সা হওয়ার কোরিয়ান বেস্ট ১২টি ফেসওয়াস

কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য ক্রিম ব্যবহারের সাথে সাথে প্রয়োজন ত্বকের জন্য উপযোগী ভালো মানের একটি ফেসওয়াশ। ফেসওয়াশ ত্বক থেকে তেল-ময়লা ও জীবাণু দূর করে ত্বক ক্রিম ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত করে তুলে।

বর্তমান মুখ পরিষ্কারক ফেসওয়াশগুলোতে ত্বকের রং ফর্সা ও উজ্জ্বল করার জন্য নানা ধরনের সক্রিয় উপাদান ব্যবহার করা হয়। এই ধরনের ফেসওয়াশগুলো আপনার মুখ পরিষ্কার করার সাথে সাথে ইনস্ট্যান্ট একটি গ্লো দিবে এবং নিয়মিত ব্যবহারে ধীরে ধীরে তা আপনার ত্বকে স্থায়ী হবে এবং আপনার ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তুলবে।

নিচে আপনাদের জন্য ফর্সা হওয়ার কোরিয়ান সেরা ১২টি ফেসওয়াস এর তালিকা দেয়া হলো। এর মধ্য থেকে আপনার বাজেট ও ত্বকের ধরেন অনুযায়ী যে কোনটি বাছাই করতে পারেন।
  • Some By MI AHA-BAHA-PHA Facewash

  • Cosrx Salicylic Acid Daily Gentle Cleanser
  • Anua Heartleaf Quercetinol Pore Deep Cleansing Foam
  • Mary & May Low PH Hyluronic Acid
  • innisfree Jeju Pomegranate Revitalizing Foam Cleanser
  • Cosrx Low PH Good Morning gel Cleanser
  • Happ Bath TeaTree Acne Cleaning Foam
  • Whipping Cleansing Foam
  • innisfree Brightening Facial Cleanser
  • I'm YuJa C Cleaning Foam
  • Charcoal Cleaning Foam 
  • RICE Nature Collection whitening Foam Cleanser

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ডে ও নাইট ক্রিম

আপনারা অনেকেই কালো থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ডে ও নাইট ক্রিম সম্পর্কে জানতে চান। ডাক্তারি ক্রিমগুলো ডার্মাটোলজিস্ট টেস্টেড হওয়ায় আপনারা এই ধরনের ক্রিম ব্যবহারে নিরাপদ বোধ করেন।

আরো পড়ুনঃ ৩ দিনে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিন

কারণ এই ধরনের ক্রিমে ত্বকের জন্য ক্ষতিকর কোন ধরনের কেমিক্যাল নেই। বরং ত্বকের জন্য উপযোগী ও নিরাপদ উপাদান ব্যবহার করা হয়। ফলে কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতি ছাড়াই ত্বকের রং স্থায়ীভাবে ফর্সা করে তুলে এবং ত্বকের যেকোনো ধরনের সমস্যা মোকাবেলায় কাজ করে।

আপনাদের সুবিধার্থে নিচে কয়েকটি স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ডে ও নাইট ক্রিম সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

Biotique coconut skin Brightening day cream

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন নিরাপদে এই ক্রিমটি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এই ক্রিম ব্যবহারে আপনার ত্বকের ডার্ক স্পট ও ব্লেমিস দূর করবে, ত্বকের হাইড্রেশন বজায় রাখবে এবং ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল করে তুলবে।

এই ক্রিমে রয়েছেঃ

দুধ,বাদাম,লেবু যা ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে

কোকোনাট ভেতর থেকে ত্বক হাইড্রেট রাখে

ব্যবহার বিধিঃ সব ধরনের ত্বকে উপযোগী এই ক্রিম। প্রতিদিন পরিষ্কার ত্বকে ডে ক্রিম হিসেবে নিয়মিত ব্যবহার করুন। এই ক্রিম ব্যবহারের পর সানস্ক্রিম ব্যবহার করুন।

Lakme Perfect Radiance Day Cream

কালো থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য আরেকটি জনপ্রিয় ক্রিম এটি। ল্যাকমি ব্র্যান্ডের এই ক্রিমটি আপনার ত্বকের রং ফর্সা করে তোলার জন্য প্রতিদিন নিয়ম করে দিনে ব্যবহার করুন। এই ক্রিমে রয়েছে ত্বকের রং ফর্সা করে তোলার জন্য উপযোগী উপাদান। যেমনঃ

নিয়াসিনামাইড - আপনার ত্বকে যদি কোন ডার্ক স্পট ও পিগমেন্টেশন থাকে তা দূর করতে সরাসরি লড়াই করবে এই নিয়ে নিয়াসিনেমাইড।

মাইক্রো ক্রিস্টাল - এই উপাদানটি আপনার ত্বক ইনস্ট্যান্ট সাইনি করে তুলবে।

আপনি যদি গরমে ত্বকে ব্যবহারের জন্য লাইট ওয়েট ও ননস্টিকি টেকচার যুক্ত কোন ডে ক্রিম খুঁজে থাকেন তাহলে এই ক্রিমটি বাছাই করতে পারেন। সবচেয়ে সুবিধা হল সব ধরনের ত্বকের জন্য এই ক্রিমটি ব্যবহার উপযোগী।

L'REAL glycolic-Bright Glowing Day Cream

আপনি যদি ত্বকে ডালনেস, রাফনেস ও আনইভেন স্কিন সমস্যায় ভুগেন তাহলে এই ক্রিমটি আপনার জন্য। সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার করার সাথে সাথে বিশেষ করে সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারীরা এই তিনটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি তৈরি হয়েছে লাইট ওয়েট ও নন গ্রিজি ফর্মুলায় যা আপনার ত্বক কোনরকম চিটচিটে অনুভূতি করা ছাড়াই উজ্জ্বল করে তুলবে।

এই ক্রিমে রয়েছে glycolic Acid যা ত্বকের ভেতরে গিয়ে মেলানিন প্রোডাকশন নিয়ন্ত্রণ করে ডার্ক স্পট ও পিগমেন্টেশন কমাতে সহায়তা করে। সাথে আছে নায়া সিনেমাইড উপাদান যা খোলা ছিদ্রগুলো কম দৃশ্যমান করতে, অনুজ্জ্বল ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে ও ত্বকের দাগ দূর করতে সহায়তা করে।

Glutathione মূলতঃ একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদন হয়। তিনটি অ্যামিনো এসিডের সমন্বয়ে Glutathione গঠিত, যেমন: glycine, cysteine, glutamic acid.

ক্ষতিকর মলিকিউলস যাকে ফ্রী রেডিকেল বলে দ্বারা সৃষ্ট আমাদের কোষ ড্যামেজ হতে রক্ষা করতে Glutathione গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Crystal Glow Anti Pigment Radiance Cream

স্থায়ীভাবে ত্বকের ফর্সা করে তোলার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ডাক্তারদের প্রেসক্রাইকৃত আরেকটি সেরা ক্রিম Crystal Glow Cream. এই ক্রিম নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রং উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তোলার সাথে সাথে ত্বকের যেকোনো ধরনের দাগ ছোপ দূর করবে।

শুধু তাই নয় এই ক্রিমটি নিয়মিত কয়েকদিন ব্যবহারে আপনার ত্বকে কুঁচকানো বলি রেখা দূর করবে এবং আপনার ত্বকে যদি কোন ধরনের ব্রণ থাকে সেটাও দূর করবে।

কারণ এই ক্রিমে ব্যবহার করা হয়েছে ত্বকে এই সকল কাজ করার জন্য উপযোগী উপাদান। যেমনঃ

  • Vitamin C
  • Kojic Acid
  • Almond oil
  • Coconut oil
  • Vitamin B3, B5
ব্যবহারবিধিঃ মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেয়ার পর সমান ভাবে সারা মুখে লাগিয়ে মিশিয়ে নিন। দ্রুত ও ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন রাতে নিয়মিত ব্যবহার করুন। ছেলে ও মেয়ে উভয়ে এই ক্রিম ব্যবহার করতে পারবেন।

দামঃ ১৫০০ টাকা

Depiwhite Cream

আপনি যদি ত্বক ফর্সা হওয়ার সাথে সাথে ত্বকে থাকা যেকোনো ধরনের দাগ, মেলাজমা হাইপারপিগমেন্টেশন দূর করতে চান তাহলে ব্যবহার করতে পারেন জনপ্রিয় এই নাইট ক্রিম।

এই নাইট ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করলে দুই থেকে ছয় মাসের মধ্যে আপনার তক হবে উজ্জ্বল। এছাড়া ত্বকের বাদামি তেল, ছোপ ছোপ দাগ মেছতার মতো সমস্যা দূর করবে।

ব্যবহারবিধিঃ প্রতিদিন রাতে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করার পর সমানভাবে এপ্লাই করুন।Depiwhite Cream ডে ক্রিম ব্যবহারের পর অবশ্যই সানস্ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

ডার্মাটোলজি টেস্টেড এবং স্টেরয়েড হাইড্রোকুইনান ও ট্রেটিনোইন মুক্ত এই ক্রিমটি আপনার ত্বকে নিরাপদ ব্যবহারের জন্য উপযোগী।

দামঃ ৬,৫০০ টাকা

Sirona Vitamin C Face Cream

স্থায়ীভাবে ত্বকের রং উজ্জ্বল ও ফর্সা হওয়ার জন্য ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। এজন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহার করলে ত্বকের রং দ্রুতই ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। আর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি সেরা ও জনপ্রিয় ক্রিম হলো Sirona Vitamin C Face Cream.

নিয়মিত এই ক্রিম ব্যবহারে মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে ত্বকের রং উজ্জ্বল ও ফর্সা হয়ে উঠবে। ত্বকের যেকোনো ধরনের দাগ দূর করবে। ত্বককে মশ্চারাইজ রাখবে এবং ত্বকের রং সমান করবে।

এই ক্রিমে ব্যবহার করা হয়েছে ত্বকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উপাদান:
  • ভিটামিন সি
  • হায়ালরনিক এসিড
  • তাসমেনিয়ান গোলমরিচের ফলের গুণমান
ভিটামিন সি এবং হাইলোরনিক এসিডের সমন্বয় থাকায় এই ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বকের কোলাজেন বুস্ট করবে, এর ফলে ত্বক উজ্জ্বল হবে সাথে হাইড্রেট রাখবে। এই ক্রিমে ক্ষতিকর প্যারাবেন, কালার, মিনারেল অয়েল ব্যবহার করা হয়নি। তাই কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই, ত্বকের জন্য অত্যন্ত নিরাপদ এই ক্রিম।

ব্যবহারবিধিঃ সংবেদনশীল ত্বক সহ যেকোনো ধরনের ত্বকে ব্যবহার উপযোগী এই ক্রিম। ছেলে ও মেয়ে এই ক্রিম ব্যবহার করতে পারবেন।

দামঃ ৩৭৫ টাকা

Kozivit Plus Cream

স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য ব্যবহার করতে পারেন ডাক্তারদের সাজেস্ট করা আরেকটি সেরা ক্রিম Kozivit Plus ক্রিম। এই ক্রিম নিয়মিত ব্যবহারে নিরাপদ ভাবে আপনার ত্বকের কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা ক্ষতি ছাড়াই ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তুলবে। ত্বকের যেকোনো ধরনের সমস্যা দূর করতেও এই ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন.

এই ক্রিমে ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। যেমনঃ
  • kojic Acid
  • Glycolic Acid
  • Octinoxate
  • Alpha Arbutin
ব্যবহারবিধিঃ প্রতিদিন রাতে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করার পর সারা মুখে এই ক্রিম সমানভাবে এপ্লাই করুন। অথবা শুধুমাত্র আপনার দাগের জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। ছেলে ও মেয়ে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে দিনের বেলায় অবশ্যই সানস্ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

দামঃ ৩৫০ টাকা

উজ্জ্বল ও ফর্সা ত্বকের জন্য সিম্পল স্কিন কেয়ার রুটিন

আমরা সবাই চাই ফর্সা, উজ্জ্বল ও গ্লোয়িং ত্বক। কিন্তু প্রতিদিনের স্ট্রেস, পরিবেশ দূষণের কারণে ফ্রি রেডিকেল এর প্রভাব, অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন এবং নিয়মিত স্কিন কেয়ার না করার কারণে ত্বক হয়ে যায় রুক্ষ শুষ্ক এবং নিষ্প্রাণ। মুখে দেখা যায় কালো দাগ, বাদামী তিল ও বলিরেখার মত সমস্যা। বয়সের আগেই যেন বয়সের ছাপ পরতে শুরু করে।

কিন্তু আমরা প্রতিদিন সহজ একটি স্কিন কেয়ার রুটিন ফলো করে আমাদের ত্বককে এই ধরনের ড্যামেজ থেকে রক্ষা করতে পারি। আপনি যদি নিয়মিত সারা বছর স্কিন কেয়ার করার জন্য সিম্পল এই রুটিনটি ফলো করেন তাহলে শীত, গ্রীষ্ম বর্ষা যেকোনো ঋতুতে আপনার ত্বক থাকবে স্বাস্থ্যজ্জল।

ত্বক পরিচর্যার জন্য আজকের যে রুটিনের কথা বলব তা হয়তো আমরা মোটামুটি সবাই জানি, কিন্তু আপনারা যারা জানেন না তাদের জন্য, আর সেটি হল CTM রুটিন।

C= Cleansing,
T= Toning
 M= Moisturizing.

Cleansing: এই স্কিন কেয়ারে প্রতিদিন সকাল এবং রাতে প্রথমে মুখ ভালোভাবে ভালো মানের কোন ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ক্লিন করতে হবে। যাকে এখানে ক্লিনজিং বলা হয়েছে। তবে আপনি যদি মেকআপ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ডাবল ক্লিনজিং মাস্ট।

অর্থাৎ প্রথমে আপনাকে কোন অয়েল সেটা হতে পারে, জলপাই তেল বা নারিকেল তেল দিয়ে মেকআপ রিমুভ করতে পারেন বা মাইসেলার ওয়াটার ব্যবহার করতে পারেন। মাইসেলার ওয়াটার এমন একটি প্রসাধনী যা আপনার ত্বক থেকে মেকআপ, তেল, ধুলা-ময়লা জীবাণু পরিষ্কার করবে কোনরকম মুখ ধোয়া ছাড়াই। তারপর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।

Toning,: দ্বিতীয় ধাপে মুখ ক্লিন করার পর ব্যবহার করতে হবে টোনার। হোমমেড কোন টোনার ব্যবহার করতে পারেন যেমন গোলাপ জল বা চাল ধোঁয়া পানি। এছাড়া বাজার থেকে ভালো কোন টোনার কিনেও ব্যবহার করতে পারেন।

Moisturizing.: শেষ ধাপে ব্যবহার করুন আর্টিকেলে উল্লেখিত যেকোনো একটি ফর্সা হওয়ার মশ্চারাইজিং ক্রিম, রাতে ব্যবহার করুন ফর্সা হওয়ার নাইট ক্রিম। তবে দিনের বেলায় অবশ্যই সানস্ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। আপনি বাইরে থাকুন বা বাড়িতে প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর সানস্ক্রিম রি এপ্লাই করুন।

প্রতিদিন সহজ এই তিনটি কাজ করে আপনি পেতে পারেন ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক। অর্থাৎ এটি এমন একটি সিম্পল স্কিন কেয়ার রুটিন যেখানে আপনাকে খুব বেশি সময় ব্যয় করতে হবে না, কোনরকম ঝামেলা ছাড়া শুধুমাত্র এই তিনটি ধাপ অনুসরণ করলেই হবে।

৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায়

৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটা আপনার জন্য। সত্যি কথা বলতে, মাত্র ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। ত্বক ফর্সা হওয়া একটি দীর্ঘ এবং অবিরত প্রক্রিয়া।

তবে আপনি যদি বিশেষ কোন প্রয়োজনে মাত্র ৫ মিনিটে উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান তাহলে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান ব্যবহার করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে পারেন। কিছু কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি ও ফর্সা করে তোলার জন্য সত্যিই কার্যকর।

মাত্র ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার জন্য সহজ কিছু প্রক্রিয়ায় নিচে দেখে নিনঃ

ত্বক এক্সফোলিয়েট করুন

পাঁচ মিনিটে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলার জন্য প্রথমে আপনার ত্বক থেকে ডেড স্কিন বা মরা কোষগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। কারণ আমাদের ত্বকে যখন মরাকোষ জমে তখন আমাদের ত্বক নিষ্প্রাণ ও কালো দেখায়।

ত্বক থেকে এই মরা চামড়া তুলে ফেলার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে এক্সফোলিয়েট মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এজন্য আপনারা ব্যবহার করতে পারেন টক দই এবং চালের গুড়া। টক দই আছে ল্যাকটিক এসিড যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে এবং চালের গুড়া মরা কোষ দূর করে সাথে ত্বক ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে।

চালের গুড়া এবং টক দই দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে আলতো ভাবে ঘষতে থাকুন। দুই মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

ত্বক উজ্জ্বল করার ফেসপ্যাক

এরপরের ধাপে মুখে লাগান একটি ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তোলার ফেসপ্যাক। এজন্য আপনারা ব্যবহার করতে পারেন এক চা চামচ কফি, পরিমাণ মত টক দই, এক চা চামচ মধু, ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস, এক চিমটি কাঁচা হলুদ এবং দুই চামচ বেসন।

সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। হালকা শুকিয়ে আসলে মুখটি ভালোভাবে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক থেকে যেকোনো ধরনের দাগ দূর করার জন্য ও ফর্সা করে তোলার জন্য এই ফেসপ্যাকটি দারুন কার্যকরী।

টোনার

ফেসপ্যাক লাগানোর পর ব্যবহার করতে পারেন ঘরে তৈরি কোন টোনার। টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন গোলাপজল। গোলাপ জলে আছে ভিটামিন এ, ই ও বি, যা ত্বকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম

 শেষ ধাপে ব্যবহার করুন ত্বক ফর্সা হওয়ার কোন একটি ক্রিম, যা উপরে আলোচনা করেছি।

মাত্র ৫ মিনিটে ফর্সা হওয়ার জন্য উপরে ধাপগুলো অনুসরণ করে সহজেই পেতে পারেন উজ্জ্বল ও গ্লোয়িং ত্বক।

কালো-মেয়ে-ফর্সা-হওয়ার-ক্রিম

১ রাতে ফর্সা হওয়ার উপায়

১ রাতে কি ফর্সা হওয়া সম্ভব? আপনারা অনেকেই এ বিষয়ে জানতে চান। আসলে এক রাতে ফর্সা হওয়া একটি অকল্পনীয় আশা। তবে হ্যাঁ, রাতে কিছু ত্বক পরিচর্যা অনুসরণ করলে পরবর্তী দিনের সকালে আপনি পেতে পারেন উজ্জ্বল ও মসৃণ ত্বক।

এজন্য যে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে পারে তা নিচে দেখে নিনঃ

ত্বক পরিষ্কার করুনঃ প্রথম ধাপে আপনার ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক কোনো ক্লিনজার। যেমনঃ টক দই ভালোভাবে ফেটিয়ে তোকে কিছুক্ষণ মেসেজ করে ধুয়ে ফেলুন। অথবা গরুর কাঁচা দুধ কটন প্যাডে নিয়ে সারা মুখে রাব করলে ত্বক পরিষ্কার হয়ে যাবে।

ফেসমাস্ক ব্যবহার করুনঃ এই ধাপে ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করার কোন একটি ফেসমাস্ক। ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এক চামচ টমেটোর রস, এক চামচ আলুর রস, হাফ চামচ মধু ৩ ৪ ফোটা লেবুর রস এবং দুই তিন চামচ মুলতানি মাটি।

সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিক্স করার পর পরিষ্কার ত্বকে সমানভাবে এপ্লাই করুন। ফেসমাস্কটি ত্বকে ২০ মিনিট রাখার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা হবে এবং ত্বক থেকে দাগ ছোপ দূর হবে।

টোনার লাগানঃ এই ধাপে লাগান টোনার। প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন চাল ধোয়া পানি। চাল ধোয়া পানি ত্বক ফর্সা করে তোলার জন্য বিশেষ কার্যকরী। চাল ধোয়া পানিতে আছে ভিটামিন বি, অ্যালান টয়েন ও ফেরোলিক এসিড

নাইট ক্রিম ব্যবহার করুনঃ শেষ ধাপে ব্যবহার করুন ত্বক ফর্সা হওয়ার ভালো কোন নাইট ক্রিম।

১ রাতে যদিও ফর্সা হওয়া সম্ভব নয় তবে উপরে উল্লেখিত ধাপ গুলো অনুসরণ করলে ভালো ফলাফল পাবেন আশা করি।

কালো মেয়ে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ কালো ত্বক থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় কি?

উত্তরঃ কালো ত্বক ফর্সা হওয়ার জন্য ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহারের সাথে সাথে ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপাদান। যেমনঃ লেবুর রসের সাথে শসার রস, অ্যালোভেরা জেল ও মধুর মিশ্রণ ত্বকে নিয়মিত লাগালে ত্বক কালো থেকে ফর্সা হবে।

প্রশ্নঃ কালো ত্বক সাদা করা কি সম্ভব?

উত্তরঃ সত্যি কথা বলতে, কালো ত্বক ক কোনোভাবেই একেবারে সাদা করা সম্ভব নয়। তবে আপনার ত্বক কালো থেকে ফর্সা করার জন্য মেলানিন উৎপাদন কমানোর কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কয়েক শেড পর্যন্ত ফর্সা হতে পারেন। এজন্য ব্যবহার করতে পারেন ভিটামিন সি, গ্লু টাথিয়ন, কোজিক অ্যাসিড ও নিয়াসিনেমাইড যুক্ত ক্রিম। এই উপাদানগুলো কালো ত্বকের জন্য দায়ী মেলানিন উৎপাদন কমাতে কার্যকর ভাবে সহায়তা করে। সাথে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিম।

প্রশ্নঃ কি দিলে মুখ ফর্সা হয়?

উত্তরঃ মুখ ফর্সা করার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি বিভিন্ন প্যাক বা মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বকের কোনরকম ক্ষতি ছাড়াই ফর্সা হতে সহায়তা করবে। বেসন, লেবু, মধু ও শসার প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া পাকা কলার সাথে টমেটো ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করলে মুখ রাতারাতি ফর্সা হয়ে যাবে। ব্যবহার করতে পারেন পাকা পেঁপে, মধু ও লেবু রস দিয়ে তৈরি মাস্ক।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক, কালো মেয়ে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আজকের আর্টিকেলে কোরিয়ান ১০টি ভালো মানের কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে আপনাদের জানিয়েছি। প্রতিটি ক্রিম নিরাপদ উপাদানে তৈরি তাই কোন রকম সাইড ইফেক্ট ছাড়া আপনি যদি আপনার ত্বকের ফর্সা করতে চান তাহলে যেকোনো একটি ক্রিম বাছাই করতে পারেন।

এছাড়া ফর্সা হওয়ার কোরিয়ান ফেসওয়াশ, স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ডে ও নাইট ক্রিম সহ কালো থেকে ফর্সা হওয়ার আরো অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url