পুরো বডি ফর্সা হওয়ার কার্যকরী ১০টি ক্রিম নাম

বডি ফর্সা হওয়ার ক্রিম সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান, তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের ব্লগ পোস্টে পুরো শরীর ফর্সা হওয়ার কার্যকরী ১০টি ক্রিম সম্পর্কে জানতে পারবেন। সাথে জানবেন, মুখ ও বডি ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে।

বডি-ফর্সা-হওয়ার-ক্রিম

শরীরের রং কালো হলে স্বভাবতই সবাই চায় নিজের পুরো শরীর ফর্সা করতে। এজন্য বডি ফর্সা হওয়ার ক্রিম বাজারে খোঁজ করেন বা অনলাইনে সার্চ দিয়ে থাকেন। এরই প্রেক্ষিতে বর্তমান সময়ের বাজারের সেরা ১০টি বডি ক্রিমের নাম সম্পর্কে আজকের ব্লগ পোস্টে আলোচনা করতে চলেছি। পোস্ট সূচিপত্রঃ

বডি ফর্সা হওয়ার ক্রিম

বডি ফর্সা হওয়ার ক্রিম বা লোশন এর চাহিদা বর্তমানে প্রচুর। কিন্তু ত্বকের রং ফর্সা করার জন্য সব ক্রিম নয়, ব্যবহার করতে হবে প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি নিরাপদ ও কার্যকরী ক্রিম। যাতে ত্বকের কোনরকম ক্ষতি ছাড়াই ফর্সা করতে পারে।

মেলানিন নামক এক উপাদানের কারণে আমাদের ত্বকের রঙ কালো ও ফর্সা হয়ে থাকে। মেলানিন উপস্থিতি বেশি থাকলে শরীরের রং কালো হয় এবং কম থাকলে ফর্সা হয়। এখন যাদের শরীরের রং কালো তারা বিভিন্ন ধরনের ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ও লোশন ব্যবহার করে শরীরের রং ফর্সা করে তুলতে চান। কারণ ফর্সা মানেই সুন্দর মনে করা হয়।

আরো পড়ুনঃ কালো থেকে দ্রুত ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া ৬টি উপায়

কিন্তু কোন ক্রিম ব্যবহার করবেন অনেকেই বুঝতে পারেন না। দেখুন, ত্বক ফর্সাকারী কিছু কিছু ক্রিমে ত্বকের উপযোগী প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। এই সকল ক্রিম আমাদের ত্বকের মেলানিনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে মেলানিন কম উৎপাদনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যা ধীরে ধীরে ত্বকের রং কালো থেকে হালকা বা ফর্সা করে তুলতে সহায়তা করে। এই ধরনের ক্রিম ত্বকের জন্য নিরাপদ।

এছাড়া ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারের সাথে সাথে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে নিয়মিত ত্বকের যত্ন, সঠিক খাদ্য অভ্যাস, সুশৃংখল জীবন যাপন, পর্যাপ্ত ঘুম ও পরিমান মত পানি পান ত্বকের রং ফর্সা হওয়ার কাজটি ত্বরান্বিত করে। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরোয়া উপায়ে গায়ের রং ফর্সা হওয়ার কার্যকরী ৩টি উপায় পোস্টের পরবর্তী অংশে জানতে পারবেন।

আপনাদের সুবিধার্থে বাজারের ভেজাল ক্রিমের ভিড়ে পুরো বডি ফর্সা হওয়ার সেরা ১০টি নিরাপদ ক্রিম ও লোশন এর তালিকা তৈরি করেছি। নিচের আলোচনা থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।

Sakura permanent Body Cream ( সাকুরা পার্মানেন্ট বডি ক্রিম)

আপনি যদি আপনার পুরো বডি দ্রুত ৫ থেকে ৬ শেড ফর্সা করে তুলতে চান তাহলে এই বডি ক্রিমটি আপনার জন্য। এটি একটি বিখ্যাত ও জনপ্রিয় বডি ফর্সা হওয়ার ক্রিম। বর্তমানে বাজারে এই ক্রিমের চাহিদা আকাশচুম্বী।

এই ক্রিম ব্যবহারের সুবিধাঃ

  • এই ক্রিম একটি ব্যবহারে আপনার বডি সহজে ফর্সা করে তুলবে
  • ফর্সা করার সাথে সাথে ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃণ
  • আপনার শরীরে কোন কালো দাগ থাকলে তা সহজে দূর করবে
  • আমাদের শরীরের ঘাড় ও বগলের নিচে বেশি কালো হয়ে থাকে। শরীরের এই অংশটির সহজে ফর্সা করে তুলতে সহায়তা করবে।
  • এই ক্রিম আপনার শরীর ফর্সা ও সাথে গ্লাস স্কিন করে তুলবে
  • পুরো শরীর ফর্সা করার সাথে সাথে হাত ও পা করে তুলবে ফর্সা ও দাগ মুক্ত
ব্যবহার বিধিঃ এই ক্রিম ১টি ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়। একটি বেশি ক্রিম ব্যবহার করলে শরীর বেশি সাদা হয়ে যেতে পারে।
বাজার মূল্যঃ ৩০০ টাকা

কোলাজেন হোয়াইটেনিং বডি ক্রিম

কোনরকম ক্ষতি ছাড়া আপনার পুরো শরীর ধবধবে ফর্সা করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন কোলাজেন হোয়াইটেনিং বডি ক্রিম। কোরিয়ান এই বডি ক্রিমটি বর্তমানে বাজারে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

এই ক্রিম কেন ব্যবহার করবেনঃ

  • কোনরকম সাইড ইফেক্ট ছাড়া ২ সপ্তাহের মধ্যে পুরো শরীর ফর্সা করে তুলবে।
  • শরীরে যে কোন কালো দাগ দূর করবে এই ক্রিম।
  • আমাদের শরীরে যে অংশটি বেশি কালো থাকে যেমনঃ হাত-পা, ঘাড় ফর্সা করে তুলতে এই ক্রিমটি দারুন কার্যকরী।
  • এই ক্রিম ব্যবহারে ত্বকের বলি রাখা দূর হবে।
  • ফর্সা করে তোলার সাথে সাথে ত্বক রাখবে হাইডেটিং বা আদ্র।

ব্যবহার বিধিঃ এই ক্রিম ব্যবহারে যদি ত্বক জ্বালাপোড়া বা লাল হয়ে যায় বা অন্য কোন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে সাথে সাথে ব্যবহার বন্ধ করে একজন ত্বক বিশেষকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলা হয়।

বাজার মূল্যঃ ৪৫০ টাকা

OSUFI হোয়াইটেনিং বডি ক্রিম

পুরো বডি ফর্সা করে তোলার আরেকটি কার্যকরী ক্রিমের নাম হলো OSUFI হোয়াইটেনিং বডি ক্রিম। বর্তমানে এই ক্রিমটি অত্যন্ত জনপ্রিয়। নিরাপদ সব উপাদান দিয়ে তৈরি এই ক্রিমটি আপনার পুরো শরীর দ্রুত ফর্সা করে তোলার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।

এই ক্রিম ব্যবহারের সুবিধা গুলো দেখে নিনঃ

  • এই ক্রিমে রয়েছে ত্বকের রং ফর্সা করার কার্যকরী উপাদান গ্লুটাথিওন। যা ত্বক ধীরে ধীরে ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তুলে।
  • এই ক্রিমে রয়েছে আলফা আরবুটিন। এটি এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের কোলাজেনের মাত্রা বাড়িয়ে মেলানিন উৎপাদন কমিয়ে ত্বক ফর্সা করে তুলে।
  • হাত, পা, ঘাড় এর কালো দাগ কমিয়ে ধীরে ধীরে ফর্সা করে তুলতে বিশেষ সহায়ক।
  • শরীর ফর্সা করে তোলার সাথে সাথে ত্বক নারিশ করতে দারুন এই ক্রিম।
  • ত্বকের কোনরকম ক্ষতি ছাড়া ত্বকের রং কয়েকশেড ফর্সা করে তুলবে এই ক্রিম।
  • ত্বকের যে কোন ধরনের কালো দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে।
  • এই ক্রিমের একটি বড় সুবিধা হল ছেলে ও মেয়ে উভয়ই ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্যবহার বিধিঃ রাতে ঘুমানোর আগে পুরো শরীরে ক্রিম লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করবেন।

বাজার মুল্যঃ ৬৫০ টাকা

হোয়াইটেনিং থানাকা বডি ক্রিম

মুখের রং ফর্সা করার সাথে সাথে আপনি যদি পুরো শরীর ফর্সা করে তুলে এমন কোন ক্রিমের নাম জানতে চান তাহলে হোয়াইটেনিং থানাকা বডি ক্রিমটি আপনার জন্য। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এই ক্রিমটি একটি ব্যবহারে ত্বকের রং কয়েক শেড ফর্সা করে তুলতে বিশেষ কার্যকরী।

এই ক্রিম ব্যবহারের সুবিধাঃ

  • আপনার ত্বকের রং ফর্সা করার সাথে সাথে ত্বকের যেকোনো ধরনের কালো দাগ দূর করবে এই ক্রিম।
  • হাত পা ঘাড় ও বগলের নিচের কালো দাগ দূর করতে বিশেষ সহায়ক এ ক্রিম।
  • এই ক্রিম ব্যবহার করলে স্থায়ীভাবে আপনার ত্বকের রং ফর্সা হবে।
  • আপনার ত্বকের রং ফর্সা করে তোলার সাথে সাথে ত্বক করে তুলবে হেলদি।
  • ত্বকের যেকোনো ধরনের কুচকানো ভাব বা বলিরেখা, খসখসে ভাব দূর করবে এই ক্রিম।
  • ত্বকের ময়শ্চার ধরে রেখে ত্বক নরম ও মসৃণ করে তুলবে এই ক্রিম।
  • ফলের নির্যাস দিয়ে তৈরি, তাই কোন রকম সাইড ইফেক্ট নেই
  • ছেলে মেয়ে উভ্যেই ব্যভার করতে পারবেন
ব্যবহারবিধিঃ রাতে ঘুমানোর আগে পুরো শরীরে লাগিয়ে হালকা হাতে মাসাজ করতে হবে। বডি ফর্সা করার করে তোলার জন্য এই ক্রিমটি ১টি ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়।
বাজার মূল্যঃ ৮৫০ থেকে ১১৫০ টাকা

whitening spa white mask uv whitening lotion ( হোয়াইট মাস্ক ইউ বি হোয়াইটেনিং লোশন)

আপনি যদি আপনার পুরো শরীর ক্ষতি ছাড়াই ফর্সা করে তুলতে চান ও ত্বকের যেকোনো ধরনের দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও গ্লোয়ি করে তুলতে চান, তাহলে এই লোশনটি আপনার জন্য সেরা হতে পারে।

এই ক্রিম/লোশন ব্যবহার করার সুবিধাঃ

  • ত্বক ফর্সা করে তোলার সাথে সাথে ত্বকের যে কোনো ধরনের কালো দাগ, বাদামী তেল দূর করে ত্বক করে তুলবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল।
  • এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ই, বি৩ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জুগিয়ে ত্বকের প্রয়োজনীয় আদ্রতা ধরে রেখে ত্বক ত্বক মসৃণ করে তোলে।
  • এই উপাদান ক্ষতিকর সূর্যের ইউ ভি রশ্মি থেকে ত্বক রক্ষা করে।
  • এই ক্রিমে রয়েছে মিল্কি হোয়াইট কমপ্লেক্স যা ত্বক উজ্জ্বল করার সাথে সাথে ত্বক নরম করে তুলে।
  • এই ক্রিম নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের বলিরেখা দূর করে বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে।
  • সব ধরনের ত্বকের জন্য এই ক্রিম ব্যবহার উপযোগী।
বর্তমান বাজার মূল্যঃ ৬৩৩ টাকা

Whitening thanaka body lotion(হোয়াইটেনিং থানাকা বডি লোশন)

পুরো শরীর ধবধবে ফর্সা করে তোলার জন্য কার্যকরী একটি লোশন হলো Whitening thanaka body lotion. এই লোশনটি মায়ানমারের বিখ্যাত থানাকা দিয়ে তৈরি। বর্তমানে বাজারে পুরো বডি ফর্সা করার সেরা ১০ টি ক্রিম বা লোশন এর তালিকায় এটি জায়গা করে নিয়েছে।

এই লোশন ব্যবহারের সুবিধাঃ
  • ব্যবহারে কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই আপনার শরীরের রং করে তুলবে ফর্সা ও উজ্জ্বল।
  • শরীরে কোন কালো দাগ থাকলে তা দূর করবে এই লোশন।
  • এই লোশনে রয়েছে ভিটামিন ই, যা ত্বক কে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে তুলতে দারুন কার্যকরী।
  • এই লোশনে রয়েছে ইউ বি প্রটেকশন ( SPF 20), ত্বকে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা করবে ও সানটেন্স দূর করবে।
  • ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা দূর করবে এই লোশন।
  • লোশনটি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হওয়ায় ছেলেমেয়ে উভয়ই নিরাপদ ভাবে ব্যবহার করতে পারবে।
  • এই লোশন ব্যবহারে ফলে শরীরে কোনরকম গৃজনেস অনুভব হয় না।
ব্যবহার বিধিঃ শরীরের রং দ্রুত ফর্সা করতে দিনেও রাতে দুইবার টি ব্যবহার করতে পারবেন।
বাজার মূল্যঃ ৫০০ টাকা

Kojic Collagen body Cream ( কোজিক কোলাজেন বডি ক্রিম)

আপনার পুরো শরীর স্থায়ী ভাবে ফর্সা করে তোলার জন্য ব্যবহার করতে পারেন Kojic Collagen body Cream. এটি একটি বিশ্বমানের বডি ফর্সাকারী ক্রিম। বাজারের সেরা ১০টি বডি ফর্সাকারি ক্রীমের তালিকায় এই ক্রিমটিও রয়েছে।

এই ক্রিম ব্যবহারের সুবিধাঃ
  • আপনার পুরো শরীর ধবধবে স্থায়ীভাবে ফর্সা করে তুলবে।
  • ফর্সা করার সাথে সাথে ত্বকে দিবে বাড়তি উজ্জ্বলতা।
  • ত্বকের যেকোনো ধরনের দাগ, হাইপার পিগমেন্টেশন দূর করবে এই ক্রিম
  • তোকে যদি কোন সানট্যান বা রোদে পোড়া দাগ থাকে সেটাও দূর করবে এই ক্রিম
  • এই ক্রিম ত্বক করে তুলবে ভেতর থেকে হেলদি ও মসৃণ।
  • শরীরের সাথে সাথে ঘাড় ও বগলের কালো দাগ দূর করবে এই ক্রিম
ব্যবহার বিধিঃ এই ক্রিম রাতে পুরো শরীরে লাগাতে হবে। দিনের বেলা এই ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো।
বাজার মূল্যঃ ২৯৯ টাকা

Himalaya rich cocoa Butter Body Cream (হিমালয়া রিচ কোকোয়া বাটার বডি ক্রিম)

আপনার পুরো শরীর হেলদি ও ফর্সা করে তোলার জন্য ব্যবহার করতে পারেন Himalaya rich cocoa Butter Body Cream. এই ক্রিমটি বিখ্যাত হিমালয়া কোম্পানি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত, তাই বডি ফর্সা করার জন্য নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ক্রিম ও লোশন দুটি ফর্মেই আপনারা পেয়ে যাবেন। যেকোনো একটি ব্যবহার করলেই হবে।

এই ক্রিম/ লোশন ব্যবহারের সুবিধাঃ
  • এই ক্রিমে রয়েছে ভিটামিন ই যা কোকোয়া বাটার এর ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। এর ফলে এই ক্রিম ব্যবহারে ত্বক ভেতর থেকে হয়ে ওঠে স্বাস্থ্যজ্জল ও চকচকে।
  • ত্বকের আদ্রতা ধরে রেখে ত্বক করে তোলে মসৃণ ও রুক্ষতা মুক্ত।
  • এই ক্রিম ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যুগিয়ে ত্বক ভেতর থেকে নারিশ করে তোলে
ব্যবহারবিধিঃ ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুইবার ব্যবহার করুন। ছেলে ও মেয়ে উভয়ই ব্যবহার করতে পারবেন।
বাজার মূল্যঃ ২৯৯ টাকা

Cosmetics Body Cream No.1 ( কসমেটিকস বডি ক্রিম)

পুরো বডি ফর্সা করার আরেকটি বাজারের সেরা ও জনপ্রিয় বডি ক্রিম হল Cosmetics Body Cream No.1. আপনার পুরো শরীর যদি নিরাপদ ভাবে ফর্সা করে তুলতে চান তাহলে এই ক্রিমটি নিয়মিত ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাবেন।

এই ক্রিম ব্যবহারের সুবিধাঃ
  • এই ক্রিমে রয়েছে গ্রিন টি এর নির্যাস, এর ফলে ত্বক ভেতর থেকে নারীশ ও কার্যকর ভাবে ফর্সা করে তোলে।
  • এই ক্রিম কোনরকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই আপনার তো ধীরে ধীরে ফর্সা করে তুলবে।
  • আপনার শরীরে যদি কোন কালো দাগ, হাইপার পিগমেন্টেশন থাকে তা দূর করবে এই ক্রিম।
  • এই ক্রিম নিয়মিত ব্যবহারে পুরো শরীরের ত্বক করে তুলবে নরম ও মসৃন।
  • এই ক্রিম SPF45 যুক্ত, এর ফলে ত্বক ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতি হাত থেকে রক্ষা করে।
  • ছেলে ও মেয়ে এই ক্রিম ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্যবহারবিধিঃ সকালে ও বিকেলে পরিষ্কার ত্বকে এই ক্রিমটি ব্যবহার করুন।
বাজার মূল্যঃ ৯৫০ টাকা
বডি-ফর্সা-হওয়ার-ক্রিম

Aichun Beauty Face & Body whitening Cream (আইচুন বিউটি ফেস এন্ড বডি হোয়াইটেনিং ক্রিম)

আপনি যদি আপনার পুরো শরীর ও মুখ একসাথে ফর্সা করতে চান, তাহলে এই ক্রিমটি আপনার জন্য। সাশ্রয়ী মূল্যের এই ক্রিমটি একই সাথে মুখ ও আপনার পুরো বডি একমাস ব্যবহারেই ফর্সা করে তুলবে।

এই ক্রিম ব্যবহারের সুবিধাঃ
  • এই ক্রিমে রয়েছে কোলাজেন ও মিল্ক হোয়াইট কমপ্লেক্স, ও শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এর ফলে ক্রিম ব্যবহারে ত্বক ফর্সা করার সাথে সাথে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
  • ত্বকের যে কোন ধরনের কালো দাগ, হাইপার পিগমেন্টেশন দূর করবে এই ক্রিম।
  • ঘাড় ও বগলের কালো দাগ দূর করবে এই ক্রিম।
  • আপনার ত্বকে যদি কোন সান ট্যান থাকে সেটাও দূর করবে এই ক্রিম।
  • এই ক্রিম ব্যবহারে আপনার ত্বকের যেকোনো ধরনের বলিরেখা ও কুচকানো ভাব দূর হবে।
  • নিয়মিত ব্যবহারে আপনার মুখের ত্বক ও শরীর করে তুলবে নরম, কোমল ও মসৃণ।
  • ছেলে মেয়ে হয়ে ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারবেন
ব্যবহার বিধিঃ পরিষ্কার ত্বকে এই ক্রিমটি ব্যবহার করুন।
বাজার মূল্যঃ ৫৫০ টাকা

মুখ ও বডি ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম

মুখ ও বডি ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে যারা জানতে চান, তারা পোস্টের এই অংশটি পড়ুন। বডি ফর্সা করার বাজারের ক্রিম ব্যবহার করতে অনেকেই ভয় পান। কারন কিছু ক্রিম ত্বক ফর্সা করলেও ত্বক আগের চেয়ে খারাপ হয়ে যায়। আবার অনেক ক্রিম রয়েছে যেগুলো ফর্সা করার কথা দাবি করলেও, ত্বকের রং যথাযথভাবে ফর্সা করে না।

আরো পড়ুনঃ ৩দিনে স্থায়ী ফর্সা হওয়ার উপায় জেনে নিন

এজন্য অনেকেই ত্বকের রং ফর্সা করার জন্য ডাক্তারি ক্রিম এর উপর ভরসা করেন। আপনিও যদি নিরাপদ ভাবে ফেস ও বডি ফর্সা করার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে জানতে চান, নিচের আলোচনা থেকে ৬টি ক্রিম ও লোশন সম্পর্কে জেনে নিন।

Doctor Whitening Cream (ডক্টর হোয়াইটেনিং ক্রিম)

আপনি যদি আপনার মুখের ও শরীরের রং ফর্সা করে তুলতে চান তাহলে এই ক্রিমটি সেরা একটি ক্রিম। এই ক্রিম প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হওয়ায় নিরাপদ ভাবে আপনার মুখ ও শরীরের রং ফর্সা করে তুলবে। কোরিয়ান এর বিখ্যাত ব্র্যান্ড প্যাক্স মলির ফর্সা হওয়ার এই ক্রিমের ভালো রিভিউ রয়েছে।

এই ক্রিম ব্যবহারের সুবিধাঃ

  • এই ক্রিম ব্যবহারে ত্বকের রং ধীরে ধীরে ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
  • এই ক্রিমে রয়েছে গ্লিসারিন ও হাই আলো রনিক এসিড, এর ফলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বক হেলদি বিশেষ কার্যকরী এই ক্রিম।
  • ত্বকের যে কোন ধরনের কালো দাগ ও হাইপারফিকেন্ট্রেশন দূর করে এই ক্রিম
  • ঘাড় ও বগলের কালো দাগ দূর করে ফর্সা করে তুলে এই ক্রিম।
  • ত্বকের ফর্সা করে তোলার সাথে সাথে বয়সের ছাপ কমাতেও বিশেষ কার্যকরী এই ক্রিম
  • এই ক্রিম ব্যবহারে কোনরকম চিটচিটে ফিল হবে না।
  • এই ক্রিমটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর প্যারাবেন ও সালফার মুক্ত। তাই নিরাপদ ভাবে ত্বকের রং ফর্সা করতে এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন।

ব্যবহার বিধিঃ পরিষ্কার ত্বকে এই ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় মুখে ব্যবহার করার আগে মুখটি ভালোভাবে ফেসওয়াশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিলে। ক্রিমটি রাতে ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাজার মূল্যঃ ৮৫০ টাকা

Demelan Light Cream (ডেমেলান লাইট ক্রিম)

মুখ ও পুরো শরীর ফর্সা করার ডাক্তার দ্বারা প্রেসক্রাইব করা আরেকটি ক্রিম হল Demelan Light Cream. এই ক্রিমটি কোন ক্ষতি ছাড়াই মুখ ও সরাসরি ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তুলবে। মুখ ও শরীরের রং ফর্সা করার সাথে সাথে ত্বকের যেকোনো ধরনের কালো দাগ ও ব্রণের দাগ দূর করবে এ ক্রিম।

ব্যবহার বিধিঃ এই ক্রিমটি দিনে ও রাতে ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়। প্রতিবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে তারপর ব্যবহার করা ভালো। তবে দিনের বেলায় অবশ্যই সানস্ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

বাজার মূল্যঃ ৩০০ টাকা

Valarie End white body cream (ভ্যালোরি ইন্ড হোয়াইট বডি ক্রিম)

পুরো শরীর ফর্সা করার আরেকটি বাজারের সেরা ও জনপ্রিয় ক্রিম হলো Valarie End white body cream. এটি ত্বকের কোনরকম ক্ষতি ছাড়াই নিরাপদ ভাবে আপনার পুরো শরীর ফর্সা করে তুলবে। এই ক্রিমে রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ও নতুন কোষ তৈরি করে। এছাড়া ত্বকের যে কোন ধরনের কালো দাগ দূর করতেও ভিটামিন সি কাজ করে।

এই ক্রিমে আরও আছে গ্লুটাথিয়ন ন ও কোলাজেন। এর ফলে ত্ব ক ধীরে ধীরে ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে নিশ্চিতভাবে। এই ক্রিমে থাকা ভিটামিন ই ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে ও মিল্ক প্রোটিন ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে। ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ এই ক্রিম নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।

বাজার মূল্যঃ ১১৫০ টাকা

Nivea Whitening Body Lotion (নিভিয়া হোয়াইটেনিং বডি লোশন)

পুরো বডি ফর্সা ও উজ্জ্বল করার আরেকটি ডার্মাটোলজিস্ট টেস্টেড লোশন হলো Nivea Whitening Body Lotion. এই লোশনটি সব ধরনের ত্বকে ব্যবহার উপযুক্ত। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রং ফর্সা করে তুলবে।

এই লোশন রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও কালো দাগ দূর করে। এছাড়া এই লোশনে এসপিএফ ১৫ থাকায় সূর্যের প্রতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এই ক্রিম নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের আদ্রতা বজায় রেখে ত্বক করে তুলে কোমল ও মসৃণ।

ব্যবহারবিধিঃ প্রতিবার গোসলের পর পুরো শরীরে লাগাতে হবে।

বাজার মূল্যঃ ৫৫০ থেকে ৬৯০ টাকা

LAIKOU Niacinamide Whitening Cream (লাইকো নিয়াসিনামাইড হোয়াইটেনিং ক্রিম)

মুখ ও শরীর ফর্সা করার জন্য ডাক্তার দ্বারা প্রেসক্রাইব করা আরেকটি জনপ্রিয় ক্রিম LAIKOU Niacinamide Whitening Cream. এই ক্রিমে রয়েছে নিয়াসেনামাইট ও আলফা আর রুটিন, যা ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও ফর্সা করে তুলে। এছাড়া ত্বকে যেকোনো ধরনের দাগ ছোপ দূর করতেও সহায়তা করে।

এই ক্রিমে থাকা হায়ালরনিক এসিড ত্বকের আদ্র ভাব ধরে রেখে টক করে তোলে কোমল ও মসৃণ।

ব্যবহারবিধি: পরিষ্কার ত্বকে এই ক্রিম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাজার মূল্য: ৪৮০ টাকা

Lotus Herbals Whiteglow skin whitening Cream (লোটাস হারবালস হোয়াইট গ্লো স্কিন হোয়াইটেনিং ক্রিম)

মুখ ও পুরো বডি ফর্সা করে তোলার আরেকটি কার্যকরী ক্রিম হলো এটি। এই ক্রিমে রয়েছে মালবেরি ও আঙ্গুরের নির্যাস। এর ফলে ত্বক ভেতর থেকে পুনরুজ্জীবিত ও উজ্জল করে তোলে। ত্বক কালো হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

এই ক্রিমে রয়েছে মিল্ক এনজাইম নামক প্রাকৃতিক ফর্সাকারি উপাদান, যা ত্বকের রং হালকা ও ফর্সা করে তোলে। এই ক্রিমে থাকা এসপিএফ ২৫ ত্বককে ক্ষতিকর সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করে।

ব্যবহারবিধিঃ প্রতিবার ব্যবহারের আগে ত্বক পরিষ্কার করে নিন।
বাজার মূল্যঃ ৪২০ টাকা

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ পোস্টে উল্লেখিত প্রতিটি ক্রিম ও লোশনের বর্তমান দাম দেওয়া হয়েছে। তবে পণ্যের দাম সময় ও জায়গা ভেদে কিছুটা পার্থক্য হতে পারে।
বডি-ফর্সা-হওয়ার-ক্রিম

ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহারে সতর্কতা

প্রিয় পাঠক, মুখ ও বডি ফর্সা হওয়ার ক্রিম ব্যবহারের আগে অবশ্যই কিছু ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক। আমাদের একেকজনের ত্বকের ধরন এক এক রকম। তাই একটি ক্রিম সবার ত্বকে একই রকম ফলাফল নাও দিতে পারে।

এছাড়া ফর্সা হওয়ার কোন ক্রিম ভালো ব্যবহারের ফলে যদি ত্বকে চুলকানি, র‍্যাশ, লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সাথে সাথে ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে। এবং একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রতিটি ক্রিম ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া ভালো। এতে আপনি বুঝতে পারবেন ক্রিমটি আপনার ত্বকে উপযোগী কিনা। এজন্য হাতের আঙ্গুলে অল্প কিছু ক্রিম নিয়ে কানের পিছনে লাগিয়ে পাঁচ থেকে দশ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এই সময় ত্বকে কোন প্রতিক্রিয়া না হলে ক্রিমটি আপনার ত্বকের জন্য ব্যবহার উপযোগী বুঝতে হবে।

বিশেষ করে যাদের ত্বক সংবেদনশীল তাদের যে কোন ক্রিম ব্যবহারে প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই ত্বক ফর্সা করার যে কোন ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করার আগে অবশ্যই নিজের ত্বকের ধরন বুঝে তারপর ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়োজনে এসব ক্রিম ব্যবহার করার আগে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

শরীরের রং রাতারাতি ফর্সা করে তোলার লোভনীয় বিজ্ঞাপনের ক্রিম ব্যবহার না করাই ভালো। ত্বকের রং ফর্সা করা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ধৈর্য ও সময় নিয়ে ত্বকের উপযোগী ক্রিম ও প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে ত্বক উজ্জ্বল ও ফর্সা হয়ে উঠতে পারে।

বডি বা শরীরের রং ফর্সা করার ঘরোয়া উপায়

বডি বা শরীরের রং ফর্সা করার ঘরোয়া কার্যকরী ৩টি উপায় সম্পর্কে এখন আপনাদের জানাবো। আপনারা অনেকেই আছেন যারা বডি ফর্সা হওয়ার ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে ঘরোয়া উপায়ে গায়ের রং ফর্সা করার চেষ্টা করেন।

আপনিও যদি ঘরোয়া উপায়ে আপনার গায়ের রং ফর্সা করে তুলতে চান, তাহলে নিচে উল্লেখিত যেকোনো একটি উপায় ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহার করলে আশা করি ভালো ফলাফল পাবেন।

প্রথম পদ্ধতিঃ ৪ টেবিল চামচ বেসন, ১ চা চামচ হলুদের গুড়া, ২ চা চামচ চালের গুড়া, পরিমাণ মতো মধু ও লেবু দিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে গোসলের আগে সারা শরীরে লাগাতে হবে। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহারে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ত্বকের রং ফর্সা হয়ে উঠবে। প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়ে ত্বক ফর্সা করার এটি একটি পরীক্ষিত পদ্ধতি।

দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ মসুর ডালের পেস্ট ৫ চা চামচ, এক চা চামচ হলুদের গুড়া, ১ টেবিল চামচ মধু ও হাফ চা চামচ লেবুর রস দিয়ে পেস্ট বানিয়ে সারা শরীরে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনার গায়ের রং ফর্সা হতে শুরু করবে। এটিও একটি গায়ের রং ফর্সা করার ঘরোয়া কার্যকরী পদ্ধতি।

তৃতীয় পদ্ধতিঃ পরিমাণ মতো টক দই, ৪ থেকে ৫ টেবিল চামচ বেসন, ১ চা চামচ হলুদের গুড়া ও ১ চা চামচ মধু দিয়ে তৈরি পেস্ট বানিয়ে গোসলের আগে সারা শরীরে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন দিন এই রেমিডিটি ব্যবহার করতে পারেন। এক সপ্তাহ পরেই আপনার ত্বকের রং ফর্সা হতে শুরু করবে।

FAQ:

প্রশ্নঃ বডি ক্রিম না লোশন কোনটা ভালো?
উত্তরঃ এটা নির্ভর করবে পুরোপুরি আপনার ত্বকের ধরনের উপর। কারণ ক্রিম লোশনের তুলনায় তৈলাক্ত যুক্ত ও ঘন হওয়ায় ত্বকে বেশি সময় ধরে আদ্রতা বজায় রাখে। এজন্য যারা শুষ্ক ত্বকের অধিকারী তাদের জন্য ক্রিম ব্যবহার করা ভালো। আবার লোশন ক্রিমের তুলনায় হালকা হওয়ায় নরমাল থেকে তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা লোশন ব্যবহার করলে ভালো হবে।

প্রশ্নঃ বডি ক্রিম কিসের জন্য?
উত্তরঃ বডি ক্রিম ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা দূর করতে ও ত্বক ফাটা প্রতিরোধে ব্যবহার করা হয়। এই বডি ক্রিম ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে। তাই শুষ্ক ও অধিকতার শুষ্ক ত্বকের জন্য বিশেষ করে শীতে লোশনের চেয়ে বডি ক্রিম ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল দিবে।

প্রশ্নঃ বডি ক্রিম কখন ব্যবহার করা ভালো?
উত্তরঃ তোকে ধরন অনুযায়ী আপনার ত্বক যদি বেশি শুষ্ক ও রুক্ষ থাকে তাহলে বডি লোশনের তুলনায় ক্রিম ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বডি ক্রিম আপনার ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা দূর করে ও ত্বক আদ্র রেখে ত্বকের কোমলতা বজায় রাখে।

লেখকের মতামত

বডি ফর্সা হওয়ার ক্রিম কার্যকরী ১০টি সম্পর্কে আজকের পোস্টে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আপনি যদি আপনার পুরো শরীর ফর্সা করে তুলতে চান তাহলে আজকের পোস্টে উল্লেখিত যেকোনো একটি ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করে সুফল পাবেন আশা করি।

এছাড়া মুখ ও বডি ফর্সা করার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কেও আপনারা জেনেছেন। ত্বকের রং ফর্সাকারী যে কোন ক্রিম বা লোশন তখনই যথাযথ আপনার ত্বকে কাজে দিবে, যখন আপনার ত্বকের ধরন বুঝে যথাযথ প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করবেন। আজকের পোস্টে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার পরিচিতজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন যাতে তারা উপকৃত হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url