ক্ষতি ছাড়া ৩ দিনে ত্বক ফর্সা হওয়ার পরীক্ষিত উপায়

ক্ষতি ছাড়া ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় রয়েছে অনেক ধরনের। ৩ দিনে উল্লেখযোগ্য ভাবে ফর্সা হওয়া খুব একটা সহজ বিষয় নয়। তবে চেষ্টা করে কিছুটা ফর্সা হওয়া যায়। তাই এই প্রবন্ধের মাধ্যমে ক্ষতি ছাড়া ৩ দিনে কিভাবে পরীক্ষিতভাবে ফর্সা হওয়া যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ক্ষতি-ছাড়া-৩-দিনে-ফর্সা-হওয়ার-পরীক্ষিত-উপায়

আমরা সবাই আমাদের ত্বকের কোনোরকম ক্ষতি ছাড়া ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে জানতে চাই। ৩ দিনে ফর্সা হওয়া সহজ না হলেও আমাদের সহজ উপায় করে নিতে হবে। তাই ক্ষতি ছাড়া ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আমরা জানতে পারবো আজকের এই আটিকেলটি পড়লে।পোস্ট সূচিপত্রঃ

ক্ষতি ছাড়া ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায়

ক্ষতি ছাড়া ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় থাকলেও সবগুলো উপায় যে কাজে লাগাতে পারবো এমনটা নয়। তবে ৩ দিনে ফর্সা হওয়া অসম্ভব একটা ব্যাপার। বেশি চেষ্টা করতে গেলে আমাদের ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে যেতে পারে এবং বিভিন্নভাবে ক্ষতি হতে পারে। তাই আমরা সবর্দা সজাগ থাকবো যে আমাদের ত্বকের ক্ষতি না হয়।

ক্ষতি-ছাড়া-৩-দিনে-ফর্সা-হওয়ার-পরীক্ষিত-উপায়-জানুন

ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে আমরা বিভিন্ন ধরনের উপায় অবলম্বন করতে পারি। আমাদের সবার ত্বক একরকম নয়। কারো ত্বকে তৈলাক্ত ভাব বেশি,কারো হয়তো-বা মসৃণ, কারো আবার খসখসে ত্বক। এজন্য আমরা চাইলেই যেকোনো প্রোডাক্ট সহজেই ব্যবহার করতে পারবো না।

আরো পড়ুনঃ মুলতানি মাটিতে ফর্সা হওয়ার উপায়

যেকোনো কিছু ব্যবহার করার আগে ভাবতে হবে যে এটি ব্যবহার করা আমার ত্বকের জন্য ঠিক হবে কিনা এবং এর ক্ষতিকর কোনো সাইড ইফেক্ট আছে কিনা। কারন সবার ত্বকে সবকিছু শুট করে না। তাই আমরা জেনেশুনে বুঝে কাজ করব। অন্যর থেকে মতামত নিয়ে ব্যবহার করব যেটা ভালো হবে।

আমরা কমবেশি সবাই চায় ফর্সা হতে। এজন্য ফর্সা হতে হলে আমাদের যে সকল নিরাপদ পথ অবলম্বন করতে হবে তা আমাদের জানতে হবে। ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যজ্জল করতে দুধ, মধু, হলুদ, দই এ সকল উপাদান দিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্যাক তৈরি করতে হবে। বিস্তারিত জানতে নিচের অংশগুলো পড়তে থাকুন।

ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া টিপস

ক্ষতি ছাড়া তিন দিনে ফর্সা হওয়ার পরীক্ষিত উপায় এর মধ্যে ফর্সা হওয়ার অনেক ঘরোয়া টিপস রয়েছে যেগুলো আমরা ঘরে বসেই অনায়াসে চর্চা করতে পারবো। আমরা অনেকে আছি যারা রূপচর্চা করতে বেশি পছন্দ করি।

রূপচর্চা করা একটি গুণ। দোকান থেকে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী কিনে নিয়ে এসে যে রূপচর্চা করতে হয় এমনটা নয় ঘরে বসেও ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে ছোট ছোট জিনিস দিয়ে রূপচর্চা করা যায় কারণ এক একটা জিনিসের মধ্যে একেক রকমের গুণ থাকে যা আমরা জানি না।

ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে যেমন আলুর খোসা বা আলু এটি আমরা কেটে শুরু করে টুকরা করে বা আলুকে মিহি করে এগুলো আমরা মুখে লাগাতে পারি। কারণ এটি আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল এবং মসৃণ হতে সাহায্য করে।

এছাড়া ত্বককে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য মধু হলুদ ও লেবুর প্যাক, হলুদ ও দই এর প্যাক কলা দুধের প্যাক এগুলো আমরা নিজেরাই তৈরি করতে পারি আমাদের চেহারাকে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া অন্যান্য উপায়ও আমাদের অবলম্বন করতে হবে।

পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং যে সকল খাবার অনেক ভিটামিন রয়েছে সে সকল খাবার গ্রহণ করতে হবে। কারণ অনেকগুলো খাবার রয়েছে যেগুলো আমাদের ত্বকের জন্য প্রয়োজন। এমন সময় অনেক হয় যে ভিটামিনের অভাবে আমাদের ত্বক খারাপ হয়ে যায়।

মেয়েদের ফর্সা হওয়ার উপায়

ক্ষতি ছাড়া তিনদিনে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে মেয়েদের ফর্সা হওয়ার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। তবে সকল সাবধানতা অবলম্বন করে কাজগুলো করতে হবে। কারণ তো আমাদের ত্বক এমন একটা জিনিস যে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেলে তা ঠিক করা অনেক কষ্টকর।

মেয়েদের ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের নাইট ক্রিম পাওয়া যায় যেমন পন্ডস, ফেসপ্যাক, লরিয়েল রেডিয়েন্স, বায়োডার্মা পিগমেন্ট বায়ো ও ল্যাকমে অ্যাপসলীউড পারফেক্ট রেডিয়েন্স। এছাড়াও বাজার বা অনলাইনে নানারকম ফর্সা হওয়ার ক্রিম পাওয়া যায়।

তবে যেকোনো ক্রিম ব্যবহার করার আগে একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ কিছু ক্রিম এর ব্যবহার ত্বকের জন্য সমস্যা হতে পারে এবং সাইড ইফেক্ট করতে পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যদি কোন কিছু ব্যবহার করতে দেয় তবে তাই করা উচিত।

পন্ডস ফেয়ারলেস ক্রিমটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও ফর্সা হতে সাহায্য করে যা ত্বকের স্বাভাবিক রং কে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। আবার ল্যাকমে পারফেক্ট রেডিয়েন্স ক্রিমটি ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে থাকে। তবে এগুলোর গুনাগুন আগে ভালো করে পড়ে দেখতে হবে।

একটি ব্রাইটেনিং নাইট রিনেমার ক্রিম ত্বকের দাগ ও মেলানিন কমাতে সাহায্য করে। ত্বকে অনেক ধরনের দাগ থাকে ও কালো দাগ থাকে যেগুলো আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে এগুলো থেকে বিরত থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্রিম রয়েছে যেগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারব।

ছেলেদের ফর্সা হওয়ার উপায় 

ছেলেদের ফর্সা হওয়ার জন্য বেশ কিছু ক্রিম রয়েছে। তবে মেয়েদের যে সকল ক্রিম রয়েছে সেগুলো ছেলেরাও ব্যবহার করতে পারবে কিন্তু মেয়েদের মত এত বেশি ক্রিম পাওয়া যায় না। এর মধ্যে সাধারণ কিছু ক্রিম রয়েছে যেগুলো ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।

ছেলেরা মেয়েদের মত ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করতে পারে তবে তাদেরকে ত্বকের ঘনত্ব এবং তৈলাক্ততা বিবেচনা করে ফর্মুলেশনগুলো বাছাই করা উচিত এবং ব্যবহার করা দরকার যা তাদেরকে দ্রুত ফলাফল এনে দিতে সহায়তা করে।

উন্নত মানের ভালো ক্রিম ব্যবহার করার আগে ক্রিমের উপাদানগুলো পরীক্ষা করে নিতে হবে ক্রিমটি ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে কিনা এবং এটি ত্বকের জন্য কতটুকু উপকারী তার গুণাগুণ গুলো বাছাই করে নিতে হবে।

ত্বকের ধরন বুঝতে হবে। সাধারণত ছেলেদের ত্বক অনেক ঘন হয় এবং তাদের ত্বকে প্রচুর পরিমাণে তৈলাক্ত ভাব থাকে। এমন কোন ক্রিম নির্বাচন করতে হবে যেটা তাদের এই সমস্যাকে দূর করতে পারে। প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিতে হবে।

ভালো মানের এবং পরিচিত ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করতে হবে। দিনের বেলাতে এমন কোন ক্রিম ব্যবহার করতে হবে যা ত্বককে পরিবেশের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করতে পারে। রাতের বেলাতে এমন একটি মস্তেরাইজার ব্যবহার করতে হবে যার ত্বককে সুন্দর করে।

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় 

ক্ষতি ছাড়া ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় হচ্ছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও নিরাপদ একটি উপায়। যেকোনো ধরনের ক্রিম ব্যবহার করা থেকে এর প্রাকৃতিক গুনাগুন গুলো আমাদের বেশি কাজে লাগে।

প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার জন্য যে উপায়গুলো আপনাকে নিয়মিত মেনে চলতে হবে তা নিচে এক নজরে দেখে নিনঃ
  • নিয়মিত ত্বকে ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন।
  • নিয়মিত ত্বকের পরিচর্যা করতে হবে।
  • ফেসওয়াশ দিয়ে মুখে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
  • ত্বকে মোশারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।
  • রোদে যাওয়ার আগে সানস্ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
  • ভিটামিন ও পুষ্টিকর শাকসবজি ও টমেটো খেতে হবে।
  • লেবু ও মধুর রস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে হবে।
  • লেবু ও মধু ত্বকের পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
  • টক দই ও মধু দিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করতে হবে।
  • এটি ব্যবহার করলে ত্বকের মৃত কোষগুলো দূর হয়।
  • বেসন হলুদ ও দুধ মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে।
  • এটি ব্যবহার করলে ত্বকের কালো দাগ দূর হয়।
  • একটি পাকা কলা কে চটকে তার সাথে কিছু পরিমাণ দুধ মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল হয়।
  • সরাসরি সূর্যের আলো থেকে ত্বককে রক্ষা করতে হবে।
  • ত্বকে যে কোন জিনিসের গরম ভাপ নেয়া যাবে না।
  • গরম ভাব ত্বকে ছিদ্রগুলোকে খুলে দেয় এবং ময়লা ঢুকে যায়।
  •  প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
  • ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখার জন্য চিয়া সিড ব্যবহার করতে হবে।

দ্রুত ফর্সা হওয়ার উপায় 

দ্রুত ফর্সা হওয়ার জন্য তেমন কোন ম্যাজিক ক্রিম নেই। যা আমাদেরকে তিন দিনের মধ্যেই ফর্সা করে তুলবে এমন কোন ক্রিম নেই। তবে বাজারে অনেক জনপ্রিয় কিছু ক্রিম রয়েছে যেগুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি। তবে এর ক্ষতি করা অনেক দিক রয়েছে।

ক্ষতিকর দিকগুলো আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে। কিছু জনপ্রিয় নাইট ক্রিম রয়েছে যেগুলো অনেক কার্যকর এবং এগুলো ব্যবহারের পর ফলাফল পাওয়া যায়। আবার অনেক ডে ক্রিম রয়েছে যেগুলো ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও গুনাগুন গুলোকে সমৃদ্ধ করে।

ক্রিম ব্যবহারের পূর্বে দেখে নিতে হবে যে ক্রিমটি রাসায়নিক মুক্ত কিনা। রাসায়নিক যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করা যাবে না কারণ এটি ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আমাদের ত্বকে কালো দাগ ব্রণের দাগ মেছতার দাগ এগুলো সাধারণত থাকে।

আমাদের ত্বকে অনেক ধরনের ছিদ্র থাকে যেগুলো দেয় একবার ময়লা বসে গেলে সহজে দূর হতে চায় না। এগুলোর জন্য ডে ও নাইট ক্রিম আছে যেগুলো আমাদেরকে এগুলোতে থেকে বের করে নিয়ে আসবে আমরা এগুলো ব্যবহার করব।

তবে ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করব। ক্রিম ব্যবহারের পূর্বে দেখে নিতে হবে ক্রিমটি কিভাবে ব্যবহার করতে হবে। নিয়ম ছাড়া ব্যবহার করলে অবশ্যই ক্ষতি হবে। তাই আমরা দ্রুত ফর্সা হওয়ার জন্য সকল সাবধানতা অবলম্বন করব।

হারবাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় 

সাধারণত আমরা স্বাস্থ্যজ্জল ত্বক সবাই কমবেশি পছন্দ করি এবং আমরা তার জন্য রূপচর্চা করে থাকি।কিন্তু আমাদের সবার চেহারা একরকম নয় এবং সবার চেহারার সমস্যাও একরকম নয়। এজন্য আমাদেরকে বিভিন্ন উপায় দেখতে হয়।

রূপচর্চার জন্য খাঁটি দুধ, শিশির ঝরা ফুলের রেনু, কাঁচা হলুদের নির্যাস, নিম পাতার রস, মেহেদি পাতার রং, গোলাপের নির্যাস, চন্দন কাঠের গুড়া, কচি ডাবের শাঁস, বিভিন্ন ফুল ফলের নিচের গাছে ছাল বা কোলে নির্যাস মধু ঘৃতকুমারী এ সকল জিনিস সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

সাধারণত ল্যাবরেটরীজনিত জায়গাগুলোতে হারবালের চর্চা করা হয়। ল্যাবরেটরীতে রিসার্চ করা হয় যে হারবাল দিয়ে যে প্রোডাক্টগুলো তৈরি করা হয় সেগুলো কতটুকু কার্যকরী। হারবাল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় থাকলেও খুব একটা কার্যকর নয়।

মানবদেহে সবথেকে সংবেদন অংশ হচ্ছে ত্বক। এটি সাধারণত শুষ্ক, তৈলাক্ত মিশ্র স্বাভাবিক এবং সেনসিটিভ ধরনের হয়ে থাকে। আমাদের দেহের অন্যান্য উপাদান গুলোকে সুরক্ষা দেয় হচ্ছে ত্বক। এজন্য ত্বকের গুরুত্ব আমাদের কাছে সব থেকে বেশি।

আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যদি হারবালের উপাদানের প্রয়োজন হয় তবে আমরা ব্যবহার করব কিন্তু সতর্কতার সাথে। আমরা যাই ব্যবহার করি না কেন সাবধানতার সাথে কাজ করব। কারণ ত্বক আমাদের অনেক মূল্যবান জিনিস।

ত্বক উজ্জ্বল করার উপায় 

ক্ষতি ছাড়া ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় এর মধ্যে ত্বক উজ্জ্বল করার উপায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ত্বকে অতি পরিচিত রোগ ঘামাচি, ব্রণ, ফোড়া, দাদ, ত্বকের বিবর্ণতা, বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ ছাড়া আরও অনেক সমস্যা রয়েছে।

ত্বক-উজ্জ্বল-করার-উপায়
এগুলো আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য ও উজ্জ্বলতাকে হারিয়ে ফেলে। তখন উজ্জ্বল না থাকা একটি বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তখন আমরা এই সমস্যাগুলো থেকে বের হওয়ার জন্য বিভিন্ন ক্রিম এর ব্যবহার প্রাকৃতিক জিনিসের উপহার ব্যবহার করে থাকি।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য অ্যালজেবরা নীম ও জাফরানের কার্যকারিতা অপরিসীম। এলোভেরা জেল আমাদের ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। শুধু এটিই নয় নিম পাতার রস মুখে লাগাতে হবে। নিম পাতা বেটে মুখে লাগিয়ে শুকাতে হবে।

শুকিয়ে গেলে এটি ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে ঠান্ডা পানি দিয়ে। এরপর কিছুক্ষন পর ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। ত্বক উজ্জলের জন্য অল্প একটু বেসন নিয়ে তার মধ্যে একটু দুধ ও হলুদের গুঁড়া মিক্সড করে মুখে লাগাতে হবে। 

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য সবথেকে উপকারী প্রদান হচ্ছে দুধ ও হলুদ। এটির জন্য আমরা ছোট্ট আইস বাটিতে জমিয়ে ছোট ছোট টুকরা করে রাখতে পারি। পরবর্তীতে এগুলো আমরা মুখে নিয়ে ব্যবহার করব। প্রয়োজনে কাঁচা হলুদ বেটে মুখে লাগাবো। এতে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হবে। 

রাসায়নিক ছাড়া ফর্সা হওয়ার উপায় 

রাসায়নিক উপাদান ছাড়া ফর্সা হওয়ার অনেক উপায় রয়েছে। শুধুমাত্র যে রাসায়নিক উপাদান দিয়ে ফর্সা হতে হবে এমনটা নয়। যে উপায়ে ফর্সা হওয়ার উপায় অবলম্বন করি না কেন সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে যেন ক্ষতি না হয়।

ত্বক ফর্সা করার জন্য সবথেকে বেশি ভূমিকা রাখে প্রাকৃতিক যে উপাদানগুলো রয়েছে সেগুলো। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য আমরা প্রাকৃতিক সমৃদ্ধ উপাদান ব্যবহার করব এবং যে সকল নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো মেনে চলবো।

প্রয়োজনে আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিব। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য খাটি দুধ ব্যবহার করব। শীতের সকালে শিশির জমা ঘাসের উপর যে ফুলগুলো পড়ে থাকে সেগুলোর রেনু ব্যবহার করব। এতে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল হবে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে।

কাঁচা হলুদ বেটে আমরা মুখে লাগাবো। দেখা যায় কাঁচা হলুদ মাখার পরে আমাদের ত্বক হলুদ হলুদ হয়ে থাকে এতে দেখতেও ভালো লাগে আবার সৌন্দর্য বেড়ে যায়। নিমপাতা বেটে এর যে রসগুলো বের হয় সেগুলো মুখে লাগাবো।

ডাবের পানি ত্বকের জন্য অনেক উপকার শুধু শরীরের জন্য নয়। কখনো কখনো ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিব দরকার হলে ডাবের ভিতরে যে শ্বাস গুলো থাকে এগুলো মুখে লাগিয়ে নিব। এভাবেই আমরা রাসায়নিক উপাদান ছাড়া রূপচর্চা করব।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক, ক্ষতি ছাড়া ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আপনারা জেনেছেন। ত্বক স্বাস্থ্যজ্জল হোক এটা সবাই পছন্দ করে। যুগ যুগ ধরে বদলেছে সবকিছু কিন্তু মেটেনি সৌন্দর্যের পিপাসা। রূপচর্চায় প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ পদ্ধতি সমাদ্রিত রূপচর্চার ইতিহাসে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমরা কিভাবে রূপচর্চা করব তা আজকেরে আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানতে পারলাম।

কিভাবে ক্ষতি ছাড়া ৩ দিনে ফর্সা হওয়ার পরীক্ষিত উপায় রয়েছে তা সবকিছু আমরা জানতে পেরেছি। কিভাবে সতর্কতার সাথে রূপচর্চা করব তা সবকিছুই একটু একটু করে জানলাম। তাই নিয়মিত এরকম আরো পোস্ট পেতে এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url