বয়স অনুযায়ী শিশুর ঘুমের তালিকা কেমন হওয়া উচিত? এবং অনেক সময় শিশু ঘুমের ভিতরে চিৎকার করে উঠে। এবং রাতে অনেক কান্ন করে এই সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য যা করা প্রয়োজন সেগুলো আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন।
চলুন তাহলে শুরু করা যাক শিশুর ঘুমের সময় চমকে উঠা কিভাবে দূর করবেন। এছারাও আরো জানতে পারবেন রাতে বাচ্চা কম ঘুমালে করণীয় সেই সেই সম্পর্কে। তাই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পযন্ত মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। পোষ্ট সূচিপত্র:
বয়স অনুযায়ী শিশুর ঘুমের তালিকা
বয়স অনুযায়ী শিশুর ঘুমের তালিকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এটি মনযোগ সহকারে পড়ুন। নতুন অবস্থায় যখন কারো বাচ্চা হয় তাকে কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত সেটা হয়তো অনেকেই জানেন না। কিন্তু আপনি যদি বয়স মেনে শিশুকে পযন্ত পরিমান ঘুমাতে পারেন তাহলে শরীরে কোনো হ্মতিকর প্রভাব পড়বে না।
জন্মের প্রথম দিন থেকে থেকে ৩ মাস পযন্ত ১৮ থেকে ১৯ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
জন্মের ২ মাস পর থেকে ৪ মাস পযন্ত ১৪ থেকে ১৫ ঘন্টা ঘুমাতে হবে
৫ থেকে ১ মাস বয়সী শিশুদের ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
১ থেকে ২ বছরের শিশু ১১ থেকে ১২ ঘন্টা পযন্ত ঘুমাতে হবে।
তিন থেকে পাঁচ বছর পযন্ত ১০ থেকে ১১ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
ছয় থেকে ১২ বছর পযন্ত শিশুকে ৮ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
প্রিয় পাঠক উপরের দেওয়া তালিকাটি গড় হিসাবে বলা হয়েছে। এখানে প্রত্যকটি শিশু আলাদা আলাদা সময় ঘুমাতে পারে। যেমন একটা বাচ্চা দিতে কতবার ঘুমিয়েছে। এবং রাতে কত সময় ঘুমাচ্ছে সেই দিক খেয়াল রাখতে হবে। যদি দেখেন অতিরিক্ত কিংবা অনেক কম সময় ঘুমাই সে হ্মেএে ডাক্তরের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে শিশুর সমস্যা হতে পারে।
বাচ্চাদের ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি কিসের লহ্মন
বাচ্চাদের ঘুমের মধ্যে ঝাকুনি কিসের লহ্মন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ বাচ্চাদের সমস্যা হয় রাতে ঘুমানোর সময় চমকে উঠা।এই সমস্যার জন্য অনেক বাবা মা ভুল ডাক্তরের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তীতে সমস্যার সম্মুখীন হয়।
আবার যারা এই সমস্যা নিয়ে বসে থাকেন কোনো চিকিৎসা না করে। তাদের যে সমস্যা গুলো হয়ে থাকে। বাচ্চাদের ঘুমের ভিতর চমকে উঠা এই সমস্যাকে বলে হিপনিক জাকস। বাচ্চাদের ঘুমের ভিতর চমকে উঠার কারন হলো।
অনিয়মিত ঘুম: তারা ঠিক সময়ে ঘুমাতে পারেনা, অনেক সময় ঘুমের মধ্যে বাহিরের শব্দের কারনে ঘুম নষ্ট হয়ে যায়। বাচ্চাদের অসুস্থ সময়ে চিকিৎসা করার নিয়ম সঠিক না হলে তার হ্মতিকর দিক থাকে। যার ফলে শিশু রাতে ঘুমানোর সময় চমকে উঠে। এছারাও বাচ্চাদের শারীরিক সমস্যার কারনে রাতে ঘুম কম হয়। অনেকে ভাবতে পারেন এটা হয়তো মারাত্বক সমস্যা।
মোটেও এটা নয়। ঘুমের ভিতর ঝাকুলে দিলে শরীরে কোনো সমস্যা হবেনা তবে ঘুমের ভিতর ব্যঘাত সৃষ্টি করতে পারে। ঘুমের ভিতর ঝাকুনির জন্য চিকিৎসা করলে ওষুধ এর প্রয়োজন হবেনা ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করলে ভালে হবে। তবে অতিরিক্ত সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তরের পরামর্শ নিতে হবে। শিশুর ঘুমের সময় ঝাঁকুনির সমস্যা দূর করার জন্য যে পদহ্মেপ নিবেন তা হলো।
সঠিক সময়ে সঠিক খাবার খেতে হবে।
মানসিক চাপ নেওয়া যাবেনা।
অ্যালকোহল জাতীয় কোনো খাবার খাওয়া যাবেনা।
এমন কোনো ওষুধ খাওয়া যাবেনা যে ওষুধে হ্মতিকর দিক আছে।
প্রিয় পাঠক উপরের বিস্তারিত দেখে অবশ্যই বুঝতে পারছেন ঘুমের ভিতর বাচ্চার ঝাঁকুনি দিলে কি কি সমস্যা হয় সেই সম্পর্কে এবং এই সমস্যা থেকে বিরত থাকার জন্য যে পদহ্মেপ গুলো দিয়েছি সেইগুলো মেনে চলবেন তাহলে আশা করা যায় খুব তারাতারি সমস্যা থেকে মুক্ত পাবেন।
বাচ্চা না ঘুমালে কি করণীয়
বয়স অনুযায়ী শিশুর ঘুমের তালিকা সম্পর্কে উপরে আপনারা জেনেছেন। কিন্তু অনেক সময় শিশু তার বয়স অনুযায়ী ঘুমায় না। তাই বাচ্চা বয়স হিসেবে পরিমাণ মতো না ঘুমালে কি করণীয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এটি মনযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে বুঝতে পারবেন।
বিভিন্ন কারণে বাচ্চার রাতে ঘুম হয়না এটা নিয়ে চিন্তার কোনো কারন নেই। নিচের কিছু সমস্যা গুলো বলবো সেগুলো সম্পর্কে জানলে বাচ্চার ঘুম নিয়ন্ত্রণে আসবে আশা করি।
নিদিষ্ট সময়ে ঘুৃম: শিশুকে যেকোনো সময় ঘুমালে ঘুম আসবেনা। তাদের একটা সময় থাকে যে সময় ঘুম হয়। যেমন পেটে খুদে লেগে থাকলে শিশুর ঘুম কয় হয়। প্রতিদিন যেকোনো এক টাইমে ঘুমাতে হবে তাহলে সঠিক মতো ঘুম হবে।
নিরিবিলি পরিবেশ:শিশুকে যেখানে ঘুমাবেন সেই জায়গাটা নিরিবিলি হতে হবে বাহিরের কোনো ধরনের শব্দ শিশুর কানের ভিতরে প্রবেশ করানো যাবেনা। যদি বাহিরের শব্দ শিশুর কানের ভিতর যায় শিশু চমকে উঠবে তারপর থেকে ঘুমের সমস্যা দেখা হবে। তাই এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে মেনে চলতে হবে। ৫০ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ এই ভুল করে থাকে। যেখানে সেখানে শিশুকে ঘুমিয়ে রাখে শিশুর স্বাধীন মতো ঘুম হয়না।
খাবার খাওয়ার সঠিক নিয়ম: শিশুকে ঘুমানের আগে কখনোই বেশি বেশি খাওয়ানো যাবেনা তাহলে শিশু ঘুমাতে পারবেনা। এবং তার পেটে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ঘুমানোর আগে নিদিষ্ট পরিমান পানি পান করাতে পারেন৷ এছারাে যেকোনো সময় বেশি বেশি পানি পান করলে শিশুর ঘুম বেড়ে যাবে।
বাচ্চা রাতে না ঘুমালে দোয়া
বাচ্চা রাতে না ঘুমালে দোয়া পড়ে ঘুমানো সকল বাবা মায়ের পছন্দ। কারন শিশুকে কম বয়সে বেশি বেশি ডাক্তর দেখানো ঠিক হবেনা। তাই অনেকেই চাই বাচ্চাকে দোয়া পড়ে ঘুমানো। কিন্তু বেশিরভাগ বাবা, মা দোয়া গুলো জানেনা। তাই আজকের এই আলোচন থেকে আপনি জানতে পারবেন শিশু রাতে না ঘুমালো কোন দেয়া এবং কিভাবে পড়ে ঘুমাতে হয় সেই সম্পর্কে। চলুন তাহলে এবার শুরু করা যাক।
ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরছি পড়ে ঘুমাবেন। এই দোয়া পড়ে বাচ্চাকে ফু দিলে তার শরীরের সকল বদমেজাজি দূর হয়ে যাবে। এবং শিশুর যদি বাহির থেকে কোনো প্রাকৃতিক সমস্যা আক্রান্ত করে থাকে সেই সমস্যা গুলে দূর হবে, তারপর বাচ্চা সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়বে।
রাতে ঘুমানোর দোয়া: ঘুমানের আগে একটি দোয়া রয়েছে সেই দোয়া পড়ে ঘুমালে শরীর থেকে বদমেজাজি দূর হবে খুব সহজে এবং পর্যাপ্ত পরিমান ঘুম হবে। আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া। এর অর্থ হলো হে আল্লাহ আমি তোমার নামেই জীবিত হয় এবং তোমার নামেই মিত্যুবরন করি। প্রতিটি মানুষের জন্য এই দোয়া পড়ে ঘুমানো উচিত।
বাচ্চাদের ঘুম কম হওয়ার কারণ
বয়স অনুযায়ী শিশুর ঘুমের তালিকা জানার পর জানা উচিত বাচ্চাদের ঘুম কম হওয়ার কারণ সম্পর্কে।বয়স অনুযায়ী ঠিকঠাক মতো ঘুম বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য খুবি ভালো। সময় মত ভালো ভাবে ঘুম না হলে বাচ্চার স্বাস্থ্য হারিয়ে যায়।
অথবা শিশুর শারীরিকচাপ, শারীর দুর্বলতা (অ্যাজমা কিংবা হাঁপানি উঠা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হলে ঘুম কম হয় অনেক সময় শিশুর শরীরে অ্যালার্জি চরমো রোগ, থাইরয়েড, ,হাড় এবং শরীরের মাংস পেশিতে ব্যথা,গলা এবং হাত,পা ব্যথা,দাত ব্যথা ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হলেও ঘুম হয়না।
এরপর বাচ্চারদের ঘুম কম হয় দিনে বেশি ঘুমালে, একটা শিশু তাদের নিদিষ্ট সময় পযন্ত ঘুমাতে পারে। যদি দিনের বেলা ঘুমের পরিমান বেশি হয় তাহলে রাতে ঘুম কম হবে এতে করে শিশুর তেমন কেনো হ্মতি হবেনা। তবে চেষ্টা করবেন শিশুকে দিনে কম ঘুমিয়ে রাতে বেশি ঘুমানোর।
গুরুত্বপূর্ণ কথা হল রাতে ঘুম কম হলে শিশু দের বাবা-মায়ের চিন্তা একটু বেশিই। কারন রাতে শিশুরা জালানো শুরু করলে মা, বাবার ঘুম নষ্ট হয়। বিশেষ করে নবজাতক বাচ্চাদেরই এই একই সমস্যা টি বেশি দেখা দেই।
ঘুমের মধ্যে বোবা ধরে কেনো
প্রিয় পাঠক এই সমস্যা অনেক ভয়ংকর সমস্যা। তাই আমি বলবো এই বিষয়গুলো প্রতিটি মানুষের জানা উচিত। এর কারন হলো যেকোনো সময় যকোনো কাওকে ঘুমের ভিতর বোবা ধরে। অনেকের এই সমস্যা হয়ে থাকলেও খেয়াল করেন না। কিন্তু আপনি কি জানেন এই সমস্যা মিত্যুর কারন হয়ে দ্বারাতে পারে। আর কেনই বা ঘুমের ভিতর এই সমস্যা গুলো হয়ে থেকে।
আজকে আপনার সাথে সেই বিষয়ে আলোচনা করবো। আমরা যখন গভীর ভাবে ঘুমিয়ে পরি তখন মনে হয় বুকের ভিতর কেও একজন চেপে ধরছে। আমরা অনেক চেষ্টা করি সেই সমস্যা থেকে রহ্মা পাওয়ার জন্য কিন্তু অনেক টা লেট হয়ে যায়। এই সমস্যার মূল কারন হলো শরীর নাপাক থাকা। আপনি এমন কোনো জায়গায় গিয়ে কিছু একটা করেছেন সেখানে আপনার শরীর নাপাক ছিলো।
যার ফলে রাতে ঘুমানের সময় বাঁধা দেয়। এই সমস্যা থেকে রহ্মা পেতে হলে আপনার শরীর সবসময় পরিপাক করে রাখতে হবে। শরীরের ভিতর কোনো বাজে চিন্তা ভাবনা বা নাপাক কিছু রাখা যাবেনা। এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে সঠিক সময়ে। এরপর যখন আপনি ঘুমাতে যাবেন তখন ঘুমানোর দেয়া পড়ে ঘুমাবেন তাহলে এই সমস্যা বেশি দেখা যাবেনা আশা করি।
আরেকটা পদ্ধতি হলো এক রুমে এক সাথে ২ জন যখন ঘুমাবেন এবং পাশাপাশি ঘুমাবেন তখন বোবা ধরতে পারবেনা। আর ঘুমানোর সময় অবশ্যই বুকে হাত বা কোনো কাপর দিয়ে রাখবেন যাতে করে বোবা বুকে চাপ দিতে না পারে।
বাচ্চা ঘুমের মধ্যে কান্না করে কেন
বাচ্চা ঘুমের মধ্যে কান্না করে কেন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। বাচ্চার ঘুমের ভিতর কান্না করে বিভিন্ন কারনে। তবে এই সমস্যা গুলো কেনো হয়ে থাকে সেটা সবাই বুঝতে পারেনা। তাই আপনার বাসায় যদি শিশু থাকে তাহলে এই বিষয়টি জানা অনেক জরুরী। যেসব কারনে বাচ্চা রাতে কান্না করে তা হলো।
হ্মুধা: রাতে অনেক শিশুর হ্মুধা লাগে যা হয়তো আপনি বুঝতে পারেন না। তবে আপনার এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে যে কখন বাচ্চাকে হ্মুধা লাগতে পারে কিংলা কেনোই বা কান্না করছে।
দুর্বলতা অনুভব: ঘুম থেকে উঠা মাএই শিশুরা অসুস্থ বোধ করে। মন মানসিকতা ভালে থাকেনা। সব কিছু বিরক্ত বিরক্ত লাগে। যার ঘুলে শিশু ঘুমের মধ্যে কান্না করতে পারে।
পেট ব্যথা: কম বয়সী শিশুদের পেট ব্যথা হলে তারা সহজে বলতে পারেন না। তাই শিশুকে খেয়াল রাখতে হবে কেনো কান্না করছে। অতিরিক্ত কান্না করলে পানি পান করাবেন। তাহলে আস্তে আস্তে পেট ব্যথা কমে যাবে।
নবজাতকের ঘুম বেশি হওয়ার কারণ
নবজাতকের ঘুম বেশি হওয়ার কারণ কি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। স্বভাবিক ভাবে বাচ্চারা ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা ঘুমাতে পারে তবে বয়স যত বাড়বে ঘুমের পরিমান তত কমে যাবে। আপনি হয়তো ভাবতে পারেন অতিরিক্ত ঘুমালে শরীর ভালো থাকে। এটা মোটেও নয় এই ভুল কাজ গুলো কখনো ধরে রাখবেন না।
বাচ্চা অতিরিক্ত ঘুমালে শরীরে দুর্বলতা অনুভব করতে পারে। এবং একটা শিশু যে পরিমান খেলা ইচ্ছে থাকে সেই ইচ্ছে গুলো কমে যাবে। নবজাতকরা বেশি বেশি ঘুমালে তাদের উচিত ডাক্তরের পরামর্শ নেওয়া। কারন অতিরিক্ত ঘুম শিশুর শরীরের উপকার না হয়ে হ্মতি হতে পারে।
কিন্তু যখন দেখবেন বাচ্চা সারাদিন খেলা করছে এবং সারারাত ঘুমাই তাদের কোনো সমস্যা হবেনা। শিশুকে সব সময় পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমানোর চেষ্টা করবেন তাহলে শিশু সব সময় সুস্থ থাকবে। এবং তাূের মাথাই কোনো টেনশন থাকবেনা।
বয়স অনুযায়ী শিশুর ঘুমের তালিকা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ ১ মাসের বাচ্চা দিনে কত ঘন্টা ঘুমায়?
উত্তরঃ এক মাসের বাচ্চা সাধারণত দিন এবং রাতে সমান হারে ঘুমিয়ে থাকে। এই সময় শিশুর ঘুমের পরিমাণ ১৬ থেকে ১৮ ঘন্টা হয়ে থাকে।
প্রশ্নঃ ১ মাসের বাচ্চা না খেয়ে কত ঘন্টা ঘুমায়?
উত্তরঃ সাধারণত এক মাস বয়সী বাচ্চাদের দিনে ৮ থেকে ১২ বার খাওয়ানো উচিত। এই হিসেবে প্রতি ২ থেকে ৩ ঘন্টা পর পর বাচ্চাকে খাওয়ানোর প্রয়োজন পড়ে। বয়স অনুযায়ী বাচ্চার খাবার পরিমাণ কম হলে শিশুর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
প্রশ্নঃ নবজাতক দিনে কতবার পায়খানা করে?
উত্তরঃ নবজাতক দিনে কতবার পায়খানা করতে পারে তা নির্ভর করবে বাচ্চার মা বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন নাকি বাজারের ফর্মুলা দুধ খাওয়াচ্ছেন তার উপর। সাধারণত দেখা যায় মায়ের দুধ খেলে বাচ্চারা দিনে ৫ থেকে ১০ বার পায়খানা করতে পারে। আবার ফর্মুলা দুধ খাওয়ালে দুই থেকে পাঁচবার পায়খানা করার রেকর্ড দেখা যায়। এই পরিমাণে সামান্য হেরফের হতে পারে। যদি বাচ্চা বেশি পায়খানা করে এবং একেবারেই না করে এবং পায়খানার রং পরিবর্তন হতে দেখেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
উত্তরঃ নবজাতককে দিনে কতবার বুকের দুধ খাওয়াতে হবে এই পরিমাণ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। কারণ বাচ্চার যতবার ক্ষুদা লাগবে ততবার বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। অর্থাৎ একজন নবজাতকের চাহিদা ও প্রয়োজনমতো মায়ের বুকের দুধ বাচ্চাকে পান করাতে হবে।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক ইতিমধ্যে আপনি জানতে পারছেন বয়স অনুযায়ী শিশুর ঘুমের তালিকা এবং ঘুমের ভিতর শিশু চমকে উঠে কেনো সেই সম্পর্কে সকল বিস্তারিত। এখানে সবচেয়ে বেশু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কম বয়সী শিশুর পেট ব্যথার কারনে কান্না করতে পারে কিংবা ঘুমানের পরিবেশ ভালো না হলে তারা ঠিক থাকতে পারেনা। তাই আপনি চেষ্টা করবেন শিশুকে নিরিবিলি পরিবেশে ঘুমানোর এবং পযন্ত পরিমান পানি পান করাবেন।
নিয়মিত পানি পান করতে ঘুমের পরিমান বৃদ্ধি পায়। পানি পান করার ৩০ মিনিট বা ১ ঘন্টা পর ঘুমানে উচিত। যদি এর আগে ঘুমিয়ে রাখেন সেহ্মেএে পেট ব্যথা করতে পারে। শিশুর শারীরিক কোনো সমস্যা না থাকলে বেশির ভাগ শিশুরা হ্মুধা লাগার কারনে কান্না করতে তবে এটি বড় ধরনের কোনো হ্মতিকর দিক নেই। একটু অপেক্ষা করলে আস্তে আসতে নিয়ন্ত্রণ চলে আসবে।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url