বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ৮টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ

সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ, বর্তমান সময়ে আপনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজ শিখে খুব সহজে অধিক পরিমান টাকা উপার্জন করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

সবচেয়ে-জনপ্রিয়-ফ্রিল্যান্সিং-কাজ

আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জানতে পারবেন বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে, ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করা যায় এবং কোন কাজ করলে বেশি ইনকাম করা যাবে সেই বিষয়ে। তো চলুন আর্টিকেলটি শুরু করা যাক। পোস্ট সূচিপত্রঃ

সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো দেখে নিন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে মানুষ যে কাজ গুলো বেশি ভুল করে সেটা হলো কাজ শিখা। বর্তমান সময়ে কোন কাজ শিখলে সহজে কাজ পাওয়া যাবে এবং কিভাবে কাজ গুলো শিখতে হবে এই জায়গায়। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ সম্পর্কে ধারণা না থাকা।

আর আজকের আর্টিকেলটি গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে। আপনারা এখানে বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ সম্পর্কে ধারণা পাবেন। এর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি কাজ শিখে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। এই কাজগুলো শুধু বর্তমানেই নয় বরং ভবিষ্যতে কয়েক বছর ধরে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে রাজত্ব করবে।

প্রিয় পাঠক, ২০২৫ সালে এসে বেশির ভাগ মানুষ চাই ঘরে বসে ইনকাম করতে। কিন্তু সঠিক গাইড লাইন না পাওয়ার কারনে কিভাবে শুরু করবেন সেই সিদ্ধান্ত সঠিক ভাবে নিতে পারেন না ফলে হতাশ হয়ে যান। 

এবং পরবর্তীতে ফ্রিল্যান্সিং ছেড়ে দেন, এই কাজ মোটেও ঠিক নয়। ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি কাজ যেটা শিখতে বুঝতে অনেক সময় লাগে। আপনি শুরু করেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না।

আরো পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট দৈনিক ৪০০ - ৫০০ টাকা ২০২৫

তাই আপনাকে চেষ্টা করে থাকতেই হবে। যখন সঠিক ভাবে সঠিক কাজ করতে পারবেন বায়ারদের মনের মতো কাজ হলে আপনার কাছে অর্ডার এর কমতি থাকবে না। 

এখন নিচে দেখে নিন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ ৮টি সম্পর্কে। যে কাজগুলো করলে খুব তাড়াতাড়ি টাকা উপার্জন করতে পারবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট: ডিজিটাল যুগের মানুষ খাবার কিংবা বসবাসের জন্য সকল পূণ্য ঘরে বসে নিতে চাই। যার কারণে বেশির ভাগ মানুষ এখন অনলাইনে ব্যবসা শুরু করছে। অনলাইনে ব্যবসা শুরু করার জন্য ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়। আপনি যদি ওয়েবসাইট এর কাজ জেনে থাকেন মাসে ৫০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। 

ভিডিও এডিটিং: ব্যবসা প্রচারের জন্য কিংবা ইউটিউব থেকে ইনকাম করার জন্য অ্যাডভান্স লেভেলের এডিটিং প্রয়োজন হয়। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এর জন্য পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকে গিগ পাবলিশ করে কাজ নিয়ে করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে মার্কেটপ্লেস এর বাইরে থেকে কাজ নিতে পারবেন। 

গ্রাফিক্স ডিজাইন: বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন চাহিদা প্রচুর পরিমাণ। এর কারণ হলো অনেকেই ইউটিউবিং শুরু করছেন যার পরে আকর্ষণীয় থাম্বনেল ডিজাইন করতে হয়। আবার যারা নতুন ব্যবসা শুরু করছেন তাদের ব্যবসা প্রচারের জন্য বিভিন্ন রকম ডিজাইনের প্রয়োজন। 

আপনার শরীর অথবা আপনার যে দক্ষতা সেটা যদি সঠিক পরিমাণ মানুষের সামনে প্রচার করতে পারেন আপনার কাজ দেখে তাদের পছন্দ হলে এরপর তারা আপনাকে কাজ দিবে।

2D কার্টুন অ্যানিমেশন: বর্তমান সময়ে কার্টুন অ্যানিমেশন ভিডিও প্রচুর পরিমাণ ইউটিউব এ ভাইরাল হচ্ছে। যার ফলে বিভিন্ন ইউটিউবাররা নতুন করে কাজ শুরু করার জন্য অ্যানিমেশন ভিডিও এডিটর খুঁজে থাকেন অনলাইনের মাধ্যমে। আপনি যদি অ্যানিমেশন ভিডিও এডিটিং এ পারদর্শী হর্ন।

আপনার কাজের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শেয়ার করলে খুব শীঘ্রই কাজ পাবেন। আপনি যদি এডভান্স লেভেল এক টুডি কার্টুন এনিমেশন ভিডিও এডিট করতে পারেন প্রতি মাসে ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিংঃ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জনপ্রিয় কাজের মধ্যে অন্যতম হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। দিন দিন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বেড়ে চলেছে। এজন্য অনেকেই এখন ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ হল, ফেসবুক পেজে ফলো বৃদ্ধি করা। ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব বৃদ্ধি করা, ফেসবুকের ভিডিও শেয়ার করে ভাইরাল করে দেওয়া। এছারাও সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফ্রমের ইন্সটাগ্রাম,  টুইটার, লিংকদিন একাউন্ট এর ফলোয়ার বাড়িয়ে দেওয়া কাজ।

কনটেন্ট রাইটিং: একজন কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ হল ইউটিউব ভিডিওর জন্য আকর্ষণীয়ভাবে গল্প সাজানো। যেকোনো ব্যবসা ও চলে গেলে দাঁড় করানোর জন্য যে ভিডিওগুলো প্রচার করা হয় সেই ভিডিও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কনটেন্ট সাজানো। 

আপনি যত ভালো করে কনটেন্ট সাজিয়ে লিখতে পারবেন তত মানুষকে আকৃষ্ট করাতে পারবে আপনার ভিডিওর মাধ্যমে। তাই বলা যায় কনটেন্ট রাইটিং এর চাহিদা প্রচুর পরিমান রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): যেকোনো ব্যবসা কিংবা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যাংক করানোর জন্য seo এর প্রয়োজন বেশি হয়ে থাকে। তার কারণ হলো আপনি যত ভালো পণ্য ডিজাইন করেন কিংবা গ্রাহককে আকৃষ্ট করানোর মতো ওয়েবসাইট ডিজাইন করলে সেটি যদি সঠিকভাবে seo করতে না পারেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইট বেশি গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে না। 

সঠিকভাবে এসইও করলে খুব সহজে গ্রাহক আপনার ওয়েবসাইট খুঁজে পাবে। seo এর মূল কাজ হলো আপনার ওয়েবসাইটে গ্রাহক বৃদ্ধি করা। এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটের থেকে আপনার ওয়েবসাইট সবার আগে পরিচিত বাড়ানো। 

ফেসবুক মার্কেটিং: বর্তমান সময়ে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ ব্যবসা শুরু করছে। তাদের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য ফেসবুক মার্কেটের প্রয়োজন হয়। ফেসবুক মার্কেটিং এর কাজ হলো তাদের ভিডিও বিভিন্ন সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করে পরিচিত বাড়ানো এবং ব্যবসা প্রচারের যে ভিডিও সেগুলো গুগল অ্যাড এর মাধ্যমে বুস্ট করে সেল বৃদ্ধি করা।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ুন। দেখুন, ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি সেক্টর যেখানে নির্দিষ্ট কয়েকটি কাজকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ বলা যাবে না। অনলাইন দুনিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে যে কোনো ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করা যায় সব কাজই ফ্রিল্যান্সিংয়ে আওতার মধ্যে পড়ে।

তবে বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় কতগুলো ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ রয়েছে। অর্থাৎ দক্ষতা ও কাজের চাহিদার উপর ভিত্তি করে ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকে। যেগুলো আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর ভিতর কয়েকটি জনপ্রিয় কাজ যা করে আপনি সহজে ইনকাম করতে পারবেন তা হলো:

ডাটা এন্ট্রি: ডাটা এন্ট্রির কাজ হল বিভিন্ন রকম ওয়েবসাইট আপডেট করা। এবং প্রতিষ্ঠানের তথ্য বের করার জন্য ইমেইল লিস্ট তৈরি করা। এই কাজটি আপনি ঘরে বসে কম্পিউটারে সাহায্য করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় ও সহজ একটি কাজ বলা হয় ডাটা এন্ট্রি বা ডাটা এন্ট্রি জব কে।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট: ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের মধ্যে বর্তমান সময়ে ট্রেন্ডি একটি কাজ হল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে একজন অ্যাপ ডেভেলপারের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট হলো বিভিন্ন ধরনের টাকা ইনকাম করা অ্যাপ, অথবা গেম খেলা অ্যাপ তৈরি করা।

ভিডিও এডিটিং: অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে আপনার ভিডিও এডিটিং এর দক্ষতা অর্থাৎ পোর্টফোলিও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কিংবা বড় বড় মার্কেট পেয়েছে যেমন ফাইবার এবং আপওয়ার্ক এর মাধ্যমে গিগ পাবলিশ করে কাজের অর্ডার নিয়ে কাজ করা।

আর্টিকেল রাইটিং: প্রতিষ্ঠানের প্রচারের ভিডিওর জন্য আর্টিকেল তৈরি করা কিংবা ইউটিউব ভিডিওর জন্য আর্টিকেল তৈরি করা। এই কাজ গুলো ঘরে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের মধ্যে বর্তমানে আর্টিকেল রাইটিং অন্যতম জনপ্রিয় একটি কাজ।

গ্রাফিক্স ডিজাইন: ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের মধ্যে যে কাজটির কথা সবার প্রথমে না বললেই নয় তা হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোগো ডিজাইন করে দেওয়া, ব্যানার ডিজাইন করা, ইউটিউব ভিডিওর থাম্বেল তৈরি করা, পণ্যর পোস্ট ডিজাইন করা ইত্যাদি কাজ করতে হবে।

অনুবাদঃ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলোর মধ্যে ট্রান্সলেটটিং এবং ট্রান্সক্রিপশন অন্যতম। অনুবাদ সাধারণত এক ভাষা থেকে আরেক ভাষায় করা হয়ে থাকে। বর্তমানে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে একজন দক্ষ অনুবাদকের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। এবং অনুবাদ করে বর্তমানে একজন ফ্রিল্যান্সার ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।

ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্টঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় ও সহজ কাজ হল ভার্চুয়াল এ্যাসিস্ট্যান্ট। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজ সমূহ পরিচালনা করা ও প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করা। 

এই কাজটির একটি সুবিধা হল আপনি ঘরে বসে একই সাথে কয়েকজনের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতে পারবেন। রিমোট জব হিসেবেও এই কাজটি অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

প্রোগ্রামিংঃ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ গুলোর মধ্যে আরেকটি দক্ষতা সম্পন্ন ও উচ্চ চাহিদা সম্পন্ন কাজ হলো প্রোগ্রামিং। কোন ডাটা বা তথ্যকে যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফলাফল তৈরি করা হয় সেটাই প্রোগ্রামিং। অর্থাৎ যে প্রক্রিয়ায় তথ্যকে ফলাফলে রূপান্তর করা হয় তাই প্রোগ্রামিং। 

প্রোগ্রামিং এর কাজগুলোর মধ্যে রয়েছে সফটওয়্যার তৈরি, গেম তৈরি, ওয়েবসাইট তৈরি, বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ইত্যাদি। সাধারণভাবে আমরা সবাই প্রোগ্রামিংকে কোডিং নামে চিনি।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম পরিচালনার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ দিয়ে থাকেন। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলোর মধ্যে এই কাজটি অন্যতম জনপ্রিয় একটি কাজের একটি।

UI/UX ডিজাইনঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজের মধ্যে UI/UX ডিজাইন অন্যতম।  UI মানে হল User Interface. একজন UI ডিজাইনারকে যেকোনো ধরনের ডিজাইন করতে হতে পারে, যেমন: ওয়েবসাইট, অ্যাপ্লিকেশন বা যেকোনো ডিভাইসের ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস ডিজাইন তৈরি করা।

UX মানে হল User Experience. অর্থাৎ কোন প্রোডাক্ট ব্যবহারে গ্রাহকরা যে ধরনের অভিজ্ঞতা প্রদান করে তার সামগ্রিক চিত্রকে বিবেচনা করা হয়।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে পাব 

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে পাবেন এবং কিভাবে করে জমা দিবেন তা জেনে নিন। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে জনপ্রিয় কয়েকটি মার্কেট প্লেসে কাজ করতে হবে। জনপ্রিয় কয়েকটি মার্কেট এর নাম হলো-

  • আপওয়ার্ক
  • ফাইভার
  • ফ্রিল্যান্সার ডট কম
  • পিপল পার আওয়ার
  • গুরু ডট কম
  • ৯৯ ডিজাইন

আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য কাজ করা সহজ হবে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে। এখন আপনি হয়তো ভাবতে পারেন কিভাবে ফাইভার মার্কেটপ্লেতে কাজ করতে হয়। ফাইভার মার্কেট প্লেসে কাজ করতে হলে প্রথমে আপনাকে অ্যাকাউন্ট করতে হবে। 

একাউন্ট করার জন্য গুগলে গিয়ে সার্চ করতে হবে fivere.com লিখে এরপর প্রথমে যে ওয়েবসাইট আসবে সেখানে ক্লিক করে ভিতরে প্রবেশ করে সাইনআপে ক্লিক করতে হবে। সেখানে আপনার মোবাইল নাম্বার অথবা ইমেইল, এবং ফাইভার একাউন্টে প্রবেশ করার পাসওয়ার্ড, এগুলো দেওয়ার পর সঠিকভাবে আপনার অ্যাকাউন্ট খুলে নিবেন। 

আপনি কি ধরনের কাজ জানেন। যদি আপনি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ জেনে থাকেন। তাহলে ফাইবার ডিসক্রিপশন বক্সে। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজগুলো কিভাবে আপনি করেন এবং আপনার থেকে কাজ করে নিলে বায়ার দের কতটুকু উপকার হবে সেই সম্পর্কে। 

এছাড়াও ফাইভার অ্যাকাউন্টের প্রোফাইলে প্রবেশ করলে বিভিন্ন রকম তথ্য দেখতে পাবেন সেগুলো সঠিকভাবে পূরণ করে একাউন্ট সাজিয়ে রাখবেন। 

এর পরের কাজ হল ফাইভার অ্যাকাউন্টে কাজের জন্য গিগ সঠিকভাবে পাবলিশ করা। ফাইভার একাউন্টের গিগ পাবলিশ করার জন্য ইউটিউবে ভিডিও দেখতে হবে তাহলে আপনি খুব সহজে বুঝতে পারবেন। অনেক সময় ইউটিউব ভিডিওতে ইংলিশ টেস্ট দেওয়া থাকে না। কিন্তু আপনি যখন গিগ পাবলিশ করবেন তখন ইংলিশে দিতে হবে ১০০%।

সঠিক ভাবে ইংলিশ দেওয়া হলে। গিগের জন্য আকর্ষণীয় ব্যানার তৈরি করতে হবে যাতে আপনার বায়ারদের সামনে আসলে তারা আপনাকে কাজ দিতে বাধ্য হয়। ফাইভার গিগের সাইজ হতে হবে ১২৮০/ ৭৬৯। এরপর প্রথম অর্ডার পেলে আপনি সময় মতো এবং ভালোভাবে কাজ জমা দিবেন তাহলে পরবর্তী কাজ খুব তাড়াতাড়ি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। 

ফাইভার মার্কেট থেকে কাজ করে চর্চা হলে এবং আপনারা যদি লেভেল ওয়ান কিংবা লেভেল টু ফাইবার একাউন্ট থাকে। এরপর চাইলে আপনি আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট করে কাজ করতে পারেন। আপওয়ার্ক এ কাজ করতে হলে গিগের ব্যানার সাইজ অবশ্যই  ১০০০ / ৭৫০ হতে হবে। তাহলে সঠিক ভাবে সেট হবে।

সবচেয়ে-জনপ্রিয়-ফ্রিল্যান্সিং-কাজ

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় 

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ কিভাবে করতে হয় জেনে নিন। এ কাজ করার জন্য আপনার যেকোনো একটি বিষয় শিখতে হবে। ধরেন আপনি প্রথম অবস্থায় গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ শিখলেন।  গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ভিতর লোগো ডিজাইন ব্যানার ডিজাইন থাম্নেল ডিজাইন অথবা সোশাল মিডিয়ার পোস্ট ডিজাইন করতে পারেন।

আপনি কিভাবে ডিজাইন করে দিবেন এবং কোন কোন ডিজাইনের পারদর্শী আছেন সেই বিষয়ে একটি পোষ্টের মাধ্যমে পোর্টফোলিও তৈরি করবেন। এরপর আপনার কাজ হল ফ্রিল্যান্সিং ডট কম অথবা ফাইবার ডট কম মার্কেটে একাউন্ট করা। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস একাউন্ট করতে চান তাহলে। google chrome ব্রাউজার গিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ডট কম লিখবেন।

আরো পড়ুনঃ সেরা ২০টি টাকা ইনকাম করার অ্যাপ 2025

এরপর প্রথমে যে ওয়েবসাইট আসবে সেখানে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন বাটনে ক্লিক করার পর যে তথ্যগুলো দিতে হবে সেগুলো সঠিকভাবে দিয়ে নিবেন যাতে কোন ভুল না হয়। এরপর আপনার একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে। তখন ডিজাইন করা যে পোর্টফোলিও তৈরি করছিলেন সেটা পোস্ট করবেন ফ্রিল্যান্সিং একাউন্টে।

আপনার কাছে যদি পছন্দ হয়ে থাকে তাহলে ভাই আর আপনাকে ইনবক্সের মাধ্যমে কথা বলে অর্ডার করবে। তারপর আপনাকে বুঝিয়ে দিবে কিভাবে তার কাজগুলো করতে হবে। আপনি বুঝে নিয়ে সেই কাজগুলো সঠিকভাবে করে জমা দিলে বায়ার আপনার কাজ দেখে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কমপ্লিট রিকুয়েস্ট কনফার্ম করে দেবে। তারপরে আপনার একাউন্টে ডলার যোগ হয়ে যাবে।

আপনি যদি নতুন অবস্থায় কাজ শিখে মার্কেট প্লেসে কাজ করতে চান তাহলে আপনার জন্য সুবিধা হবে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করা। ফাইবারে কাজ করার জন্য গুগল ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে ফাইভার ডট কম লিখবেন। তারপর প্রথমে যে ওয়েবসাইট আসবে সেখানে ক্লিক করে ভিতরে প্রবেশ করে রেজিস্ট্রেশন করে একাউন্ট তৈরি করবেন। 

তারপর আপনার পোর্টফলিও অর্থাৎ যে পোস্ট ডিজাইন করেছিলেন আপনার কাজের দক্ষতা প্রমাণ করার জন্য সেটা ফাইবার মার্কেটপ্লেসে পোস্ট করতে হবে। এবং বেশি বেশি অনলাইনে থাকতে হবে তাহলে ফাইভার মার্কেটপ্লেস থেকে খুব তাড়াতাড়ি কাজ পাবেন। 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি

আপনি কি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর সব থেকে ডিমান্ডেবল সেক্টর কোনটি সে বিষয়ে জানতে চান? তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রায় সব সেক্টর ডিমান্ডডে বলা যায়, কারণ সব সেক্টর থেকেই আপনি দক্ষতা অনুযায়ী প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তবে নানা ধরনের মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। তাহলে চলুন এই দুটি সেক্টর সম্পর্কে জেনে নিনঃ

ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টঃ বর্তমান সময়ে অনলাইনে কেনাবেচা করা, অথবা অনলাইনে বিভিন্ন রকম তথ্য জানার জন্য ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হয়। ডিজিটাল যুগে মানুষ চায় ঘরে বসে বাহিরের কাজগুলো কমপ্লিট করতে। 

যার ফলে হাজার হাজার মানুষ এখন ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য ওয়েব ডেভেলপার খুঁজে থাকেন। যত ভালো ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারবেন তত কাজ পাবেন। 

ওয়েবসাইট ডিজাইন করার পাশাপাশি ওয়েবসাইট পরিচালনা করা এবং মানুষের চোখ আকৃষ্ট করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন। বর্তমান সময়ে একজন প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট মাসে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে ঘরে বসে।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ ১৫টি উপায়

অ্যাপ ডেভেলপমেন্টঃ অন্যদিকে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা বাড়ছে কেনো জেনে নিন। ২০২৫ সালে মানুষ টাকা ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ ইন্সটল করে থাকেন। আবার অনেকে আছেন গেম খেলতে পছন্দ করেন। এ কারনে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টরা বেশি বেশি অ্যাপ তৈরি করে প্লে স্টোরে আপলোড করে ইনকাম করছে। 

আপনি যদি অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে মার্কট প্লেস থেকে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আরেকটি জনপ্রিয় কাজ হলো ভিডিও এডিটিং। একটা ভিডিওর মাধ্যমে অ্যাপ পরিচালনা করা হয়। প্রতিষ্ঠানের পণ্য পরিচালনা করা হয়। আবার ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করা হয়। 

এজন্য যত সুন্দর এবং এডভান্স লেভেলের ভিডিও এডিট করতে পারবেন তত বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং শিখার জন্য অবশ্যই এডোবি প্রিমিয়ার প্রো এবং আফটার ইফেক্ট ব্যবহার করতে হবে।

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজের চাহিদা বেশি

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই সম্পর্কে সকল বিস্তারিত জানুন। বাংলাদেশি অনেক ফ্রিল্যান্সাররা কাজ শিখে বসে আছেন কিন্তু কোন কাজ পাচ্ছেন না। এর কারণ হলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন না কিংবা যে কাজের চাহিদা বেশি সেই করতে পারছেন না তাই।

যারা বাংলাদেশে থাকেন তারা ফ্রিল্যান্সিং শেখার আগে কোন কাজের চাহিদা বেশি সে সকল তথ্য জানার পর ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের চাহিদা সম্পন্ন কাজগুলো হলো।

  • ডিজিটাল মার্কেটিং।
  • ভিডিও এডিটিং।
  • ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট। 
  • 2D কার্টন এনিমেশন।
  • মোবাইল অ্যাপ ডিজাইন।
  • ডাটা এন্ট্রি। 
  • কনটেন্ট রাইটিং।
  • SEO এক্সপার্ট। 

প্রিয় পাঠক উপরে যে কয়েকটি কাজের নাম বলা হয়েছে সেইগুলো কাজ শিখলে বাংলাদেশ থেকে অনলাইমে কাজ করে খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কারণ এই কাজগুলের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক পরিমান। 

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে করে আমরা জেনেছি। ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এখন জেনে নেয়া যাক। নতুন অবস্থায় অনলাইন সম্পর্কে কোন কিছু ধারণা নেই তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলব ইউটিউবে ভিডিও দেখে ধারণা নিবেন। তারপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জেনে নিবেন কোন প্রতিষ্ঠানে কিভাবে কাজ শিখানো হয় সেই বিষয়ে ধারণা নিতে হবে। 

যে প্রতিষ্ঠান থেকে আপনি সময়মতো গাইডলাইন পাবেন এবং সঠিক কাজগুলো নিজ হাতে ধরে শিখিয়ে দিয়ে ইনকাম শুরু করে দিবে সেই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন। এরপর প্রথম দুই থেকে তিন মাস মনোযোগ সহকারে কাজ শিখবেন। আপনি যখন কাজ শিখে পারদর্শী হবেন তখন অবশ্যই আপনার সঠিক গাইড লাইন আপনাকে কাজের ব্যবস্থা করে দিবে।  

এছাড়াও কোথায় থেকে কিভাবে কাজ নিয়ে কাজ করবেন বিস্তারিত আপনাকে বুঝিয়ে দিবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাংলাদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে শিখার জন্য, যারা ফ্রিল্যান্সিং এর নামে প্রতারণা করেছে কোন কাজ ভালোভাবে শিখায় না। তাই আপনাকে আবারো বলছি বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিষ্ঠানের খোঁজ নিয়ে তারপর ভালো প্রতিষ্ঠান দেখে ভর্তি হবে। 

ফ্রিল্যান্সিং শিখে দ্রুত ইনকামের উপায় 

আপনি কি সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো সম্পর্কে জানার পর ফ্রিল্যান্সিং শিখে দ্রুত ইনকাম করতে চান? তাহলে ফ্রিল্যান্সিং শিখে দ্রুত ইনকামের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত এখন জেনে নিন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে খুব তাড়াতাড়ি ইনকাম করতে চান তাহলে যেকোনো একটি কাজ শিখতে হবে।

এমন একটি কাজ শিখতে হবে যেটার চাহিদা রয়েছে প্রচুর পরিমান। বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা রয়েছে বেশি। 

আপনি যদি এডভান্স লেভেলের ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন তাহলে ঘরে বসে রিমোটলি বিভিন্ন কোম্পানিতে জব করতে পারবেন। এর পাশাপাশি মার্কেটপ্লেসে কি পাবলিশ করে অনলাইনে থাকবেন। তাহলে মার্কেটপ্লেস থেকেও আপনি ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। 

আপনি যদি একজন ভিডিও এডিটিং হয়ে থাকেন কিন্তু কাজ পাচ্ছেন না তাহলে আপনি যে কাজ করবেন তাহলে। এডভান্স লেভেলের একটি ভিডিও এডিট করে পোর্টফোলিও হিসাবে রাখবেন। এরপর ফেসবুকে গিয়ে ভিডিও এডিটিং গ্রুপ লিখে সার্চ করবে। কয়েকটি গ্রুপে জয়েন হয়ে আপনার শেয়ার করলে খুব সহজে গ্রুপ থেকে কাজ পাবেন।

সবচেয়ে-জনপ্রিয়-ফ্রিল্যান্সিং-কাজ

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে ইনকাম

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখে ইনকাম, যাদের কাছে কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ নেই তারা মোবাইলের মাধ্যমে কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন জেনে নিন। মোবাইল দিয়ে সব রকম কাজ করা যায় না। তবে কিছু কাজ আছে যেগুলো মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করে ইনকাম করা যায়।

যেমন লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, সোশাল পোস্ট ডিজাইন, ফেসবুক মার্কেটিং, এই কাজগুলো আপনি খুব সহজেই ইউটিউবে ভিডিও দেখে শিখতে পারবেন।এর জন্য কোন কোর্স করার প্রয়োজন নেই। তবে যারা ইউটিউব ভিডিও দেখে কাজ শিখতে পারবেন না কিংবা সবসময় সাপোর্টের প্রয়োজন হবে।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সেরা ১৫টি অ্যাপস

তাদের জন্য আমি বলব মোবাইল ফ্রিল্যান্সিং করছে ভর্তি হতে। তাহলে কাজ করার সময় কিংবা মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নেওয়ার সময় যদি কোন সমস্যা হয় সেই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে গাইডলাইন নিতে পারবেন। 

মোবাইল দিয়ে কাজ করে খুব সহজে ইনকাম করা যায় কার্টুন এনিমেশন ভিডিও এডিট করে। কার্টুন অ্যানিমেশন ভিডিও এডিটিং শিখার জন্য কোর্স করতে হবে। ফেসবুকে গিয়ে সার্চ করলে বিভিন্ন কোর্স এর ভিডিও আপনার সামনে আসবে।

সে সবগুলো ভিডিও যাচাই-বাছাই করে আপনার কাছে যার শিখানো ভালো মনে হবে তার কোর্স কিনবেন। কার্টুন অ্যানিমেশন ভিডিও এডিটিং এ পারদর্শী হলে ফাইবার মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিতে পারবেন এর পাশাপাশি ফেসবুক পাবলিক গ্রুপে পোস্ট করে বাংলাদেশের কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ঘরে বসে।

সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্নঃ একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক ইনকাম কত?

উত্তরঃ একজন ফ্রিল্যান্সারের মাসিক ইনকাম কোনভাবে নির্দিষ্ট করা সম্ভব নয়। কারণ একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে কত টাকা ইনকাম করবে তা নির্ভর করবে কাজের চাহিদা, কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, কাজের ধরন, কত সময় কাজ করছে্ন, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, ফ্রিল্যান্সারের অবস্থান (দেশ কোন কোন ক্ষেত্রে) ইত্যাদির উপর। এই হিসেবে একজন ফ্রিল্যান্সার মাসে হাজার টাকা থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার ভিত্তিতে সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কোনটি?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যার দিক থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হলো আপওয়ার্ক। এছাড়া এই মার্কেটপ্লেসটি বিশ্বের বৃহত্তম মার্কেটপ্লেসের স্থান দখল করে আছে। এই ফ্রিল্যান্সিং সাইটটিতে বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে ১ মিলিয়নের বেশি ক্লায়েন্ট ও কয়েক লাখের বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার কাজ করছেন।

Upwork ছাড়াও ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার ডটকম পিপল পার আওয়ার গুরু এই মার্কেটপ্লেসগুলো বর্তমানে বড় ও জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হিসেবে ফ্রিল্যান্সারদের কাছে পরিচিত।

প্রশ্নঃ ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত সময় লাগে?

উত্তরঃ ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত সময় লাগবে তা একজন ব্যক্তির ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজটি শিখতে চাচ্ছেন এবং কতটুকু সময় ব্যয় করছেন তার উপর নির্ভর করবে। তবে একজন ব্যক্তি যদি নিয়মিত কোন একটি দক্ষতা শিখতে সময় দেন তাহলে তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে তিনি কাজটি শিখতে সফল হবেন এবং টাকা উপার্জন শুরু করতে পারবেন।

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ফ্রিল্যান্সার কে?

উত্তরঃ বর্তমানে বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ফ্রিল্যান্সারকে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। অনেকেই বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে অনেক জনপ্রিয় এবং ভালো কাজ করছেন। তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের কয়েকজন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সেদের মধ্যে রয়েছেন- খালিদ ফারহান, আলী আজগর, আব্দুল কাওসার।

লেখকের মতামত

প্রিয় পাঠক, বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ, এবং বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজের চাহিদা বেশি রয়েছে সেই সম্পর্কে। সম্পূর্ণ আর্টিকেল এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখে ইনকাম করতে চান তাহলে ধৈর্য এবং শিখার মনমানসিকতা নিয়ে আসতে হবে।

আপনি যদি মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং শিখে অনলাইনে ঘরে বসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করবেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য না। যাদের হাতে সময় আছে জরুরী টাকার প্রয়োজন নেই তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর অনেক ভালো। কারণ এখানে ধৈর্য নিয়ে শিখতে পারলে এক সময় ঘরে বসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;

comment url