কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে বিস্তারিত জানুন
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে এ বিষয়ে জানা থাকলে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানো সম্ভব, যা এই আর্টিকেল পড়ে জানতে পারবেন। সাথে জানবেন, কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে এ সম্পর্কে।
ওজন বৃদ্ধির জন্য বিশেষ কিছু ভিটামিন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই সকল ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার পর্যাপ্ত খাওয়ার মাধ্যমে কাঙ্খিত ওজন পাওয়া যায়। কোন কোন ভিটামিন এই তালিকায় রয়েছে এবং কিভাবে আমরা ভিটামিন গুলো পেতে পারি এ সম্পর্কিত যাবতীয় আলোচনা আজকের আর্টিকেলে পাবেন। পোস্ট সূচিপত্রঃ
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে এ সম্পর্কে আর্টিকেলের শুরুতে জেনে নিন। আপনি ওজন বাড়াতে চাচ্ছেন, কিন্তু কোনভাবে ওজন বাড়াতে পারছেন না। হয়তো নির্দিষ্ট কোন ভিটামিন আপনি পর্যাপ্ত গ্রহণ করছেন না বা খাদ্য তালিকায় বাদ পড়ে যাচ্ছে যে কারণে আপনার ওজন বাড়ছে না।
তাছাড়া ওজন বাড়ানোর জন্য আপনার দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ দ্বিগুণ করতে হবে। আপনার যদি দৈনিক ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ ১২০ হয় তাহলে তা অবশ্যই বৃদ্ধি করতে হবে।
ওজন বাড়ানোর জন্য একটি কথা মাথায় রাখতে হবে, একক কোন ভিটামিন আপনার ওজন বৃদ্ধিতে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না। সম্মিলিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজ এর সম উপস্থিতি ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিন খেলে চেহারা সুন্দর হয়
তাই কোন কোন ভিটামিন আপনার খাদ্য তালিকায় সঠিক পরিমাণ রাখলে ও নিয়মিত গ্রহণ করলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে তা জানা প্রয়োজন।
নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে এই সম্পর্কে বিস্তারিতঃ
ভিটামিন বি কমপ্লেক্স
ওজন বৃদ্ধিতে ও আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে ভিটামিন বি১ যা ভিটামিন থিয়ামিন নামে পরিচিত ও বি১২, আমাদের গ্রহণ করা খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করতে সহায়তা করে।এবং আমরা যে চর্বি, আমিষ ও কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করি তা বিপাকে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন বি এর উৎসঃ দুগ্ধজাত পণ্য, মাছ, মাংস, গোটা শস্য ও সবুজ শাকসবজি।
ভিটামিন এ
ওজন বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন এ সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন এ আমাদের শরীরের কোষ গঠনে সহায়তা করে। এটি আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে পরোক্ষভাবে ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
ভিটামিন এ উৎসঃ মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, লাল শাক, ডিমের কুসুম, দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার যেমন ঘি
ভিটামিন ই
ওজন বাড়াতে পরোক্ষভাবে সহায়তা করে ভিটামিন ই। শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভিটামিন ই আমাদের শরীরের কোষ পুনর্গঠনে ও শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়া মেটাবলিজম সঠিকভাবে কাজ করতে ভিটামিন ই এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ই গ্রহণ করলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি ও ওজন বাড়ানো সম্ভব।
ভিটামিন ই এর উৎসঃ বাদাম, সূর্যমুখীর বীজ, সবুজ শাকস সবজি, বিভিন্ন ধরনের বীজ, মাছ ইত্যাদি।
ভিটামিন সি
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি পর্যাপ্ত গ্রহণের ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে আমরা শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ করি। এছাড়া ভিটামিন সি খাদ্য থেকে পুষ্টি শোষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে আয়রন শোষণে ভিটামিন সি এর গুরুত্ব অপরিসীম। যা সঠিক উপায় ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ভিটামিন সি এর উৎসঃ বিভিন্ন ধরনের টক জাতীয় ফল যেমনঃ লেবু, মাল্টা, কমলালেবু, পেয়ারা আমলকি, কাঁচা মরিচ, টমেটো পালং শাক বিটরুট, ব্রকলি, ক্যাপসিকাম, শসা পেঁপে ইত্যাদি।
ভিটামিন ডি
ভিটামিন ডি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের পেশী ও হাড় গঠনে ভিটামিন ডি এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া মেটাবলিজম হার ঠিক রাখতেও ভিটামিন ডি প্রয়োজন।
ভিটামিন ডি শুধু আমাদের শরীর সুস্থ রাখতেই সহায়তা করে তা নয়, ভিটামিন ডি এর অভাবে ওজন বৃদ্ধি হতে বাধা দেয়। তাই ওজন বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে হবে।
ভিটামিন ডি এর উৎসঃ ভিটামিন ডি চমৎকার উৎস হলো সূর্যালোক, এছাড়া দুধ ও দুগ্ধ জাত খাবার যেমন দই, ফ্যাটি মাছ, ডিম, মাশরুম চিয়া সিড থেকে ভিটামিন ডি পাবেন।
আয়রন
ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে গুরুত্বপূর্ণ খনিজ আয়রন। শরীরে আয়রনের অভাবে দূর্বল লাগা, ক্লান্তি ভাব, ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে। আয়রনের অভাব হলে রক্তের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে এর ফলে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ বাধা প্রাপ্ত হতে পারে। হতে পারে অ্যানিমিয়ার মত মারাত্মক সমস্যা।
আয়রন এর উৎসঃ কলিজা, লাল মাংস, হাঁস মুরগি মাংস, নানা ধরনের সবজি যেমনঃ বিটরুট, পালং শাক, কচু শাক বিভিন্ন ধরনের বাদাম, কিসমিস, কাঁচা ছোলা, বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন: আনার, নাশপাতি।
উচ্চ ক্যালরি যুক্ত খাবার
ওজন বাড়ানোর জন্য দৈনিক উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেতে হবে। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার আপনাকে শরীরে শক্তি প্রদান করবে ও ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। তবে ওজন বৃদ্ধির জন্য একেবারে বেশি পরিমাণে না খেয়ে পরিমাণ সঠিক রাখতে হবে। প্রয়োজনে একজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞে পরামর্শ মোতাবেক আপনার ক্যালরি পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারেন।
ক্যালরিযুক্ত খাবারের উৎসঃ চকলেট, ক্রিম যুক্ত কেক, খেজুর, কিসমিস, মিষ্টি দই, সাদা ভাত, কলা, পিনাট বাটার, লাল মাংস, পনি্র, কোমল পানীয় ইত্যাদি।
ওজন বাড়ানোর জন্য উপরে উল্লেখিত ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণ করতে হবে। কারণ প্রতিটি ভিটামিন আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, শারীরিক কার্যাবলী সঠিক রাখতে, কোষ গঠনে, শক্তি শোষণে, পেশী গঠনে, মেটাবলিজম ঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আর আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যখন এই সকল সামগ্রিক ভিটামিনের সমপরিমাণ উপস্থিতি থাকবে, তখন তা ওজন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে
কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে এই সম্পর্কে অনেকের জানার আগ্রহ রয়েছে। অনেকে আছেন যারা পাতলা শরীর মোটা করার জন্য বিভিন্ন ওজন বৃদ্ধিকারী সিরাপ বা ওষুধ সেবন করতে চান। সত্যি কথা বলতে, বাজারের কিছু সিরাপ আছে যেগুলো আপনার ওজন দ্রুত বাড়িয়ে তুলবে।
এই সকল সিরাপের মধ্যে Aptivate Syrup, Zincovit Syrup, Vitagen Syrup, Cypro-vita syrup অন্যতম। এছাড়া পিউটন সিরাপ, সিনকারা সিরাপ, রুচিভেট সিরাপ মোটা হওয়ার জন্য জনপ্রিয় সিরাপ। এই সকল সিরাপ ক্ষুধা বাড়িয়ে আপনার খাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করবে।
ফলে সহজে দ্রুত আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে। তবে কিছু কিছু সিরাপ স্টেরয়েড ও অন্যান্য ক্ষতিকর উপাদান থাকায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
বিশেষ করে আপনি যদি ওজন বাড়ানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদে এসব সিরাপ গ্রহণ করেন তাহলে দুর্বলতা বৃদ্ধি পেতে পারে, কিডনি ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং হরমোনের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
আরো পড়ুনঃ সবচেয়ে বেশি আঁশযুক্ত খাবারের নামগুলো জেনে নিন
তাই স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ ভাবে ওজন বাড়ানো সবচেয়ে নিরাপদ। এজন্য আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আপনার প্রতিদিনের খাবারকে ৫ থেকে ৬ ভাগে ভাগ করে নিন। প্রতিবেলায় ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখুন প্রচুর পরিমাণে। এছাড়া ক্যালোরি গ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে।
মোটকথা, পর্যাপ্ত পরিমাণে সুষম খাবার গ্রহণের মাধ্যমে আপনার ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া ওজন বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সাথে পর্যাপ্ত ঘুম ও স্ট্রেস মুক্ত থাকা ওজন বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
কোন বাদাম খেলে ওজন বাড়ে
কোন বাদাম খেলে ওজন বাড়ে জানতে চাইলে আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ুন। বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার। বাদাম খেলে বিভিন্ন পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। বিভিন্ন ধরনের বাদামে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল প্রচুর পরিমাণে। তবে ওজন বাড়ানোর জন্য কোন বাদাম খেতে হবে এই সম্পর্কে জানা জরুরি।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কাঠবাদাম খাওয়ার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
এক্ষেত্রে কিছু বাদাম ওজন বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। চলুন একে একে আমরা ওজন বাড়ানোর জন্য জনপ্রিয় কিছু বাদাম সম্পর্কে জানিঃ
কাজুবাদাম
অনেকে জানতে চান, কাজুবাদাম খেলে ওজন বাড়ে কিনা এ সম্পর্কে। ওজন বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিবিদরা কাজুবাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন। দিনের শুরুতে ৭ থেকে ৮টি কাজে বাদাম খেলে ওজন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া অনেকটাই সহজ হয়।
বলা হয়ে থাকে, আপনি যদি নিয়ম করে এক মাস সকালে কাজুবাদাম খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি শুরু হবে। কারণ কাজু বাদামে রয়েছে জিংক, ভিটামিন কে, ফাইবার, ভিটামিন বি৬, ম্যাঙ্গানিজ, কপার সহ প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান। যা শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরকারের সাথে সাথে ওজন বৃদ্ধিতেও দারুন কার্যকরী।
কাঠবাদাম
কাঠবাদাম সুপরিচিত একটি জনপ্রিয় ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। কাঠবাদাম স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসেবেও সুপরিচত। কাঠবাদাম থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণের সাথে সাথে ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক।
কাঠবাদাম একটি উচ্চ প্রোটিন ও ফ্যাট যুক্ত খাবার। এতে আরো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি। কাঠবাদামের ৭৫% প্রোটিন, ২১% ফ্যাট ও ২২% ক্যালোরি বিদ্যমান। রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও এনটিঅক্সিডেন্ট।
এই সকল পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও ওজন বৃদ্ধিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আখরোট
কাজুবাদাম ও কাঠ বাদামের মত আখরোট অত্যন্ত পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার। আপনার ওজন বৃদ্ধির জার্নিতে নিয়মিত আখরোট যোগ করতে পারেন। আখরোট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। আখরোটে আরো রয়েছে উচ্চ ক্যালরি যা প্রতি ১০০ গ্রামে ৬৫০ ক্যালোরি বিদ্যমান। এই উচ্চ ক্যালরি ওজন বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া আখরোট রয়েছে প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এই সকল পুষ্টি উপাদান আমাদের মস্তিষ্ক ভালো রাখে, বেশি গঠন করে সাথে ওজন বৃদ্ধিকরে।
উপরে উল্লেখিত বাদাম ছাড়াও আরো কিছু বাদাম আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। যেমনঃ চিনাবাদাম, হ্যাজেল নাট।
বাদাম খাওয়ার নিয়ম
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উপায়ে আপনারা বাদাম খেতে পারেন। তবে ওজন বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট কোন বাদাম কখনোই বেশি পরিমাণে না খেয়ে, আপনার সুষম খাবারের অংশ হিসেবে বিভিন্ন বাদাম যোগ করতে পারেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি পান করার পর কয়েকটি বাদাম খেতে পারেন। একবারে বেশি না খেয়ে সারা দিনে অল্প অল্প করে কয়েক ভাগে খাওয়া ভালো। এতে আপনার পেট ভালো থাকবে ও সারাদিন ধরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে।
দুধ,মিষ্টি দই, বিভিন্ন ফলের সালাদ অথবা যে কোন শেকে বাদাম খেতে পারেন। এতে বাদামের সাথে সাথে অন্যান্য খাবারের পুষ্টিগুলো পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে একটি কথা মনে রাখতে হবে, বাদাম খাওয়ার পর বেশি পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এছাড়া প্রক্রিয়া জাত বা যে সকল বাদামে আগে থেকেই চিনি যুক্ত রয়েছে তা এড়িয়ে সাধারণভাবে খাওয়া সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
কোন ফল খেলে ওজন বাড়ে
অনেকের জানার আগ্রহ রয়েছে কোন ফল খেলে ওজন বাড়ে। ফলে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও শর্করা। ওজন বৃদ্ধির জন্য কিছু ফল খাওয়া আপনি বাড়িয়ে দিতে পারেন। বিশেষ করে মিষ্টি ও উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত ফল আপনার ওজন স্বাস্থ্যকর ভাবে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে।
পুষ্টিবিদদের মতে, মিষ্টি জাতীয় ফলে রয়েছে ফ্রুকটস নামক উপাদান। এই ফ্রুকটস পরবর্তীতে গ্লুকোজে রূপান্তর হয়। এই গ্লুকোজ আমাদের শরীরে মেদ হিসেবে জমা হয়, ফলে ওজন বৃদ্ধি পায়।
এই তালিকায় কোন কোন ফল রয়েছে চলুন জেনে নিনঃ
কলাঃ ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রথমে যে ফলটি কথা বলব তা হলো কলা। পাকা কলা একটি উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ফল। একটি মাঝারি ধরনের পাকা কলায় প্রায় ১১০ ক্যালোরি রয়েছে, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে প্রায় ৩০ গ্রাম। তাই ওজন বৃদ্ধির জন্য পাকা কলা খেলে ভালো ফলাফল পাবেন, বিশেষ করে সাগরকলা। শুধু কলা খাওয়ার সাথে সাথে স্মুদি বানিয়ে, মিল্কশেকের সাথে, ওটস মিলের সাথে খেতে পারেন।
আমঃ আম একটি উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত ফল। ওজন বৃদ্ধির জন্য মৌসুমের এই ফলটি আপনি বেশি পরিমাণে খেতে পারেন। একটি মাঝারি আকারের পাকা আমে প্রায় ১০০ ক্যালোরি রয়েছে, কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ২৫ গ্রাম, ফাইবার ৩ গ্রাম। তাই আম আপনাকে স্বাস্থ্যকরভাবে ওজন বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
কাঁঠালঃ কাঁঠাল একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন কাঁঠাল খেতে পারেন। আপনি যদি প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিবারের বেশি কাঁঠাল ডায়েটে রাখতে পারে তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
মিষ্টি লিচুঃ ওজন বাড়ানোর জন্য খেতে পারেন মিষ্টি লিচু। মিষ্টি যেহেতু আমার শরীরে ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, তাই আপনার হজমের গোলমাল না হলে, ওজন বৃদ্ধির অংশ হিসেবে মিষ্টি লিচু খেতে পারেন।
লাল আপেলঃ আপনি যদি ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে সবুজ আপেলের পরিবর্তে লাল আপেল খেতে পারেন। লাল আপেল তুলনামূলকভাবে বেশি ক্যালোরি যুক্ত ফল।
পাকা পেঁপেঃ ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে পাকা পেঁপে। পাকা পেঁপে ক্যালোরি বেশি থাকায় আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে, যেহেতু পাকা পেঁপে মিষ্টি একটি ফল।
তরমুজঃ ওজন বৃদ্ধির অংশ হিসেবে খেতে পারেন তরমুজ। তরমুজ একটি লাল ও মিষ্টি জাতীয় ফল। এই ফলে মিষ্টি পরিমাণ বেশি থাকায় আপনার ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে।
আরো পড়ুনঃ কোন ফল খেলে ত্বক ফর্সা হয়
নারিকেলঃ ওজন বৃদ্ধির জন্য খেতে পারেন নারিকেল। নারিকেল মিষ্টি হওয়ায় নিয়মিত খেলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে। ৩০ গ্রাম নারিকেলে রয়েছে প্রায় ১০০ গ্রাম ক্যালোরি, ৫ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ৩ গ্রাম ফাইবার। নারিকেল দিয়ে তৈরি যে কোনো সুস্বাদু খাবার বা স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন।
আতা ফলঃ আতা ফল একটি মিষ্টি জাতীয় ফল। এই ফলে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি। একটি মাঝারি আকারের আতায় রয়েছে প্রায় ৯৫ ক্যালরি। একটি বড় সাইজের আতা আপনার ওজন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মিষ্টি আনারসঃ ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে মিষ্টি আনারস। আপনি ওজন বৃদ্ধির সহায়তার জন্য টক আনারসের পরিবর্তে মিষ্টি আনারস বেছে নিতে পারেন। কারণ আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা।
ড্রাগন ফলঃ আপনার ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে ড্রাগন ফল। ড্রাগন ফল এখন আমাদের দেশেও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। মিষ্টি জাতীয় এই ফলটি আপনার ওজন স্বাস্থ্যকর ভাবে বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে।
অ্যাভোকাডোঃ এভোকাডো একটি উচ্চ ক্যালরিযুক্ত ফল। মিষ্টি জাতীয় মাঝারি আকারের একটি ফলে রয়েছে প্রায় ১৬৫ গ্রাম ক্যালোরি, ১৫ গ্রাম ফ্যাট, প্রায় ৯ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ৭ গ্রাম ফাইবার ২ গ্রাম প্রোটিন ও ফলেট রয়েছে ২১। আপনার ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিনই ডায়েটের অংশ হিসেবে এভোকাডো রাখতে পারেন।
যেকোনো শুকনো ফলঃ ওজন বৃদ্ধির জন্য খেতে পারেন যেকোনো শুকনো জাতীয় ফল। অর্থাৎ যে ফলগুলো শুকিয়ে পানি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কারণ এতে শুধু শ্বাস ও মিষ্টি অবশিষ্ট থাকায় আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। যেমন; বেরি, এপ্রিকট, খেজু্র, কিসমিস, শুকনো ডুমুর।
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়ানোর জন্য উপরে উল্লেখিত যে কোন এক বা একাধিক ফল আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। আপনি যদি দিনের কয়েকটা ভাগে ২-৩ টা ফল গ্রহণ করতে পারেন তাহলে আপনার ক্যালরি গ্রহণ বেশি হবে। এতে আপনার ওজনও বৃদ্ধি পাবে।
দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে
উপরে আপনারা জেনেছেন কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে, এখন জেনে নিন দ্রুত ওজন বাড়ে কি খেলে এ বিষয়ে। তাই আপনি যদি দ্রুত ওজন বাড়ানোর খাবার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আর্টিকেলের এই অংশটি আপনার জন্য। অনেকেই আছেন যারা তাদের রোগা পাতলা শরীর দ্রুত মোটা করতে চান। তাদের কোন কোন খাবার খেলে দ্রুত ওজন বাড়ানো যাবে এ সম্পর্কে জানা জরুরী।
বর্তমান যুগে বেশিরভাগ মানুষ যেখানে নিজের মোটা শরীর ওজন কমাতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, সেখানে কিছু লোক আছেন যারা কোনভাবেই নিজের ওজন বাড়াতে পারেন না। তাদের জন্য দৈনিক খাদ্য তালিকা এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যা পুষ্টির চাহিদা পূরণের সাথে সাথে বাড়তি ক্যালোরি যোগ করবে। অর্থাৎ স্বাস্থ্যকর খাদ্য অভ্যাস ও পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ খাবারের সমন্বয় থাকা প্রয়োজন।
আপনি যখন নিয়মিত প্রতিদিন উচ্চ ক্যালরিযুক্ত, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট সহ বিভিন্ন ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার ইনটেক করবেন, তখন তা আপনার শরীরে দ্রুত ওজন বৃদ্ধির কাজ করবে।
নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন দ্রুত ওজন বাড়ানোর জন্য কি কি খাবার আপনাকে গ্রহন করতে হবেঃ
উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ
যারা শরীরে ওজন দ্রুত বাড়াতে চান তাদের উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার সঠিক পরিমাণে ও নিয়মে গ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই অর্গানিক বা প্রাকৃতিক খাবার থেকে এই ক্যালোরি গ্রহণ করা স্বাস্থ্যকর ভাবে ওজন বৃদ্ধির উপায়। দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য অস্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া জাত ক্যালোরি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ আপনার ওজন বৃদ্ধি পেলেও শারীরিক অন্যান্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।
তাই নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর ভাবে দ্রুত শারীরিক ওজন বৃদ্ধির জন্য অবশ্যই উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার গ্রহণের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। উচ্চ ক্যালরিযুক্ত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন কিছু খাবারের তালিকা নিচে দেওয়া হলঃ
- বিভিন্ন ধরনের বাদাম
- পিনাট বাটার
- দুধ
- পনির
- ঘি
- মাখন
- মিষ্টি দই
- কলা
- আম
- খেজুর
- কিসমিস
- আঙ্গুর ডার্ক চকলেট
পর্যাপ্ত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ
- ডিম
- মুরগির মাংস
- গরু ও খাসির মাংস
- মাছ
- ডাল
- মটরশুঁটি
- কাঁচা ছোলা
- টক দই
কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার গ্রহণ
- সাদা ভাত
- সাদা রুটি
- ব্রেড
- সিরিয়াল জাতীয় খাবার
- আলু
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যুক্ত খাবার গ্রহণ
- বাদাম
- অলিভ অয়েল
- বাদাম থেকে তৈরি তেল
- বাটার
- বিভিন্ন বীজ জাতীয় খাবার যেমনঃ সূর্যমুখীর বীজ, মিষ্টি কুমড়ার বীজ
দ্রুত ওজন বৃদ্ধির আরও কিছু টিপস
- বিভিন্ন ফ্রুটস দিয়ে তৈরি সালাত খেতে পারেন। বাড়তি ক্যালোরির জন্য যোগ করতে পারেন কিসমিস ও বাদাম। এটি আপনার শরীরে প্রাকৃতিকভাবে উচ্চক্য ক্যালরি সরবরাহ করবে। যা দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এর অংশ।
- বিভিন্ন ফল ও দুধ দিয়ে তৈরি করতে পারেন পুষ্টিকর স্মুদি। বিশেষ করে কলা ও আমের স্মুদি আপনার ওজন বাড়াতে সহায়তা করবে।
- স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করার অভ্যাস তৈরি করুন। শারীরিক কার্যকলাপ বা ব্যায়াম আপনার ওজন দ্রুত বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হবে।
- পর্যাপ্ত ঘুম ও স্ট্রেস মুক্ত জীবন দ্রুত ওজন বৃদ্ধির জন্য বিশেষ সহায়ক। আপনার পরিমিত ঘুম বিশ্রাম শরীরের মেটাবলিজম রেট ঠিক রাখতে সহায়তা করবে। ফলে ওজন বৃদ্ধি প্রক্রিয়া দ্রুত হবে।
- পর্যাপ্ত পানি পান আপনার দ্রুত ওজন বৃদ্ধির কাজকে সহজ করবে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার শরীর ও কোষগুলো কার্যক্রম থাকবে।
কিসমিস খেলে কি ওজন বাড়ে
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ওজন বাড়াতে খেতে পারেন উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার কিসমিস। কিসমিস বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি খাবার। নিয়মিত কিসমিস খেলে শরীরের বিভিন্ন চাহিদা পূরণের সাথে সাথে হজম প্রক্রিয়া সহজ হয়, আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয় সাথে ওজনও বৃদ্ধি পায়।
কিসমিসে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, কপার, জিংক, মেঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৬, ফলেট সহ আরো অতি প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেলস।
৩০ গ্রাম কিসমিসে পাবেন প্রায় ৯০ ক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ২৫ গ্রাম, আয়রন পাবেন ৪ গ্রাম, ২ গ্রাম প্রোটিন ও ২ গ্রাম ফাইবার। তাই নিয়মিত আপনি যদি ৩০ থেকে ৪০ গ্রাম কিসমিস খেতে পারেন তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধির প্রক্রিয়া প্রক্রিয়া দ্রুত হবে। যদিও এই পরিমাণ নির্ভর করবে আপনার স্বাস্থ্য, বয়স, ওজন, লিঙ্গ সহ দৈনিক পুষ্টিকর খাবার ও ক্যালোরি গ্রহণের উপর।
কিসমিস কিভাবে খাবেনঃ প্রতিদিন রাতে এক মুঠো পরিমাণ ( ২০-২২টি) কিসমিস পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে কিসমিস সহ খেতে পারেন। এতে আপনার শক্তি বৃদ্ধি পাবে, হজমে সহায়তা করবে ও কিসমিসে থাকা পুষ্টি শোষণ ত্বরান্বিত করবে।
এছাড়া বিভিন্ন ফলের সাথে ও মিষ্টি জাতীয় খাবারের সাথে মিশে কিসমিস খেতে পারেন। এতে আপনি বাড়তি ক্যালরি গ্রহণ করবেন যা আপনার ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ কি খেলে দ্রুত মোটা হওয়া যায়?
উত্তরঃ দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার সহ সঠিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, পর্যাপ্ত প্রোটিন সহ অন্যান্য ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার। যেমনঃ কলা, আম, সাদা ভাত, সাদা রুটি, লাল মাংস, মাছ, পিনাট বাটা্র, চিজ, মাখন, দুধ, ডিম, কাজুবাদা্ম, কাঠবাদাম, চকলেট, কিসমিস।
প্রশ্নঃ ওজন বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে কার্যকর খাবার কোনটি?
উত্তরঃ ওজন বাড়ানোর জন্য বিশেষ কিছু খাবার দারুন কার্যকরী। এই সকল খাবার দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমনঃ পিনাট বাটার, ব্রেড কিসমিস, গোটা শস্য জাতীয় খাবা্র, কলা, ো এভোকাডো, ফ্যাট যুক্ত মাছ ও মাংস।
প্রশ্নঃ রাতে কি খেলে ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ রাতে হাই ক্যালরিযুক্ত খাবার ওজন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে রাতের ডায়েটে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার যোগ করতে পারেন। যেমনঃ মিষ্টি দই, রসগোল্লা বা চমচম, পায়েস বা ফিরনি, কিসমিস ও বাদাম।
প্রশ্নঃ কোন ডাল খেলে ওজন বাড়ে?
উত্তরঃ ওজন বাড়ানোর জন্য মুগ ডাল ও ছোলার ডাল আপনার ডায়েটে অংশ করতে পারেন। বেশি ক্যালরি যোগ করার জন্য ভাতের সাথে ডাল যোগ করতে পারেন। এতে ওজন বৃদ্ধি প্রক্রিয়া সহজ করবে।
লেখকের মতামত
কোন ভিটামিন খেলে ওজন বাড়ে এই বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন সব ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার নিয়ে গঠিত একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস ও সঠিক জীবন যাপন। কারন একক কোন ভিটামিন আপনার ওজন বাড়াতে পারবেনা। এছাড়া খেতে হবে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার, যা এই আর্টিকেলে জেনেছেন।
জেনেছেন কোন সিরাপ খেলে ওজন বাড়ে, কোন ফল খেলে ওজন বাড়ে, কোন বাদাম খেলে ওজন বাড়ে, কি খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে সহ আরো অন্যান্য বিষয়। ওজন বৃদ্ধির জন্য খাদ্যাভ্যাস নিয়ে আপনার সঠিক পরিকল্পনা, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url