মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
Salma Mili
৭ নভে, ২০২৫
মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য প্রথমে একটি ভালো এফিলিয়েট প্রোগ্রাম বেছে নিতে হবে। তারপর মোবাইলের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া, ব্লগ, ভিডিও বা মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে প্রোডাক্টের লিঙ্ক প্রচার করতে হবে।
এফিলিয়েট লিংক প্রচারের জন্য আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করা জরুরি, যেমনঃ রিভিউ ভিডিও, ব্লগ আর্টিকেল বা ছবি গ্রাফিক্স, এবং লিঙ্কের ক্লিক ও বিক্রি ট্র্যাক করে নিয়মিত আপডেট ও নতুন প্রোডাক্ট শেয়ার করার মাধ্যমে আয় বাড়ানো সম্ভব। এই সকল যাবতীয় মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের আর্টিকেলে। পোস্ট সূচিপত্র:
মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় গুলো এখন প্রচুর মানুষের আগ্রহের বিষয়।এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন এক ধরনের অনলাইন আয়ের পদ্ধতি যেখানে আপনি অন্য কোম্পানির পণ্য বা সেবা প্রমোট করেন, আর সেই লিংকের মাধ্যমে কেউ ক্রয় করলে আপনি কমিশন পান। এটি এমন একটি আয় পদ্ধতি যেখানে নিজে কোনো পণ্য তৈরি করতে হয় না এবং স্টক রাখার ঝামেলাও নেই। আর এ কারণেই এই পদ্ধতিটি এখন জনপ্রিয় অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জনের উপায়।
যারা ঘরে বসে বা মোবাইল দিয়ে আয় করতে চান তাদের জন্য এটি বেশ কার্যকর একটি উপায়। মাত্র একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেই আপনি যেকোনো জায়গা থেকে এ কাজটি করতে পারেন। প্রথমে কোন পণ্য বা কোম্পানির এফিলিয়েট প্রোগ্রাম করবেন তা ঠিক করতে হবে।
অনেক জনপ্রিয় কোম্পানি যেমনঃ Amazon Associates, Daraz Affiliate এফিলিয়েট প্রোগ্রাম অফার করে। সবচেয়ে সুবিধার কথা হলো, মোবাইল দিয়ে সহজেই এসব প্ল্যাটফর্মে সাইন আপ করা যায়। যেকোনো প্লাটফর্মে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার পর আপনি একটি ইউনিক এফিলিয়েট লিংক পাবেন। এই লিংক ব্যবহার করে যখন কেউ পণ্য কিনে বা সেবা গ্রহণ করবে তখন আপনি কমিশন পাবেন। এক্ষেত্রে পণ্যটির বিক্রয় মূল্যের উপর নির্দিষ্ট হারে কমিশন পেয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
মোবাইল ব্যবহার করে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে এফিলিয়েট লিংক প্রচার করে পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধির মাধ্যমে আপনার আয় বৃদ্ধি করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি পণ্যটির ব্যবহার বিষয়ক রিভিউ ভিডিও তৈরি করতে পারেন, বিভিন্নভাবে প্রোডাক্টের ছবি শেয়ার করতে পারেন যা ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে। এছাড়া পণ্যের ছোট ছোট পোস্ট তৈরি করতে পারেন, স্টোরি দিতে পারেন, শর্ট ভিডিও বা রিলস ভিডিও নিয়মিত পোস্ট করলে বেশি সংখ্যক ক্রেতার কাছে পৌঁছাতে পারে। যেহেতু বর্তমানে এই সকল ছোট ছোট ভিডিও সবচেয়ে বেশি রিচ পায়।
তবে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে শুধু লিংক শেয়ার করা যথেষ্ট নয়; আপনাকে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। কোন অডিয়েন্স কোন সমস্যার সমাধান খুঁজছে সেটা বুঝে সেই অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। কনটেন্ট যত বেশি উপকারী হবে মানুষ তত বেশি বিশ্বাস করবে এবং ক্লিক করে পণ্য কিনবে। আর যত বেশি পণ্য ক্রয় করবে তত বেশি আপনি কমিশন অর্জন করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি
এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি আয়ের পদ্ধতি যেখানে একজন ব্যক্তি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং প্রচারের মাধ্যমে বিক্রি হলে নির্দিষ্ট অঙ্কের কমিশন পায়। এখানে নিজের কোনো পণ্য তৈরি করতে হয় না, শুধু পণ্যের তথ্য শেয়ার করা এবং বিক্রয় নিশ্চিত করাই মূল কাজ।
এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হলে আপনাকে একটি বিশেষ লিংক দেওয়া হয়, যাকে রেফারেল লিংক বলা হয়। এই লিংক ব্যবহার করে যখন কেউ পণ্য কিনে বা সেবা গ্রহণ করে, তখন সেই বিক্রির হিসাব আপনার নামে সংরক্ষিত হয়। আপনি যত বেশি মানুষকে এই লিংকের মাধ্যমে ক্রয় করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা, বড় দক্ষতা কিংবা বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই শুরু করা যায়। শিক্ষার্থী, গৃহিণী, চাকরিজীবী কিংবা অবসর সময়ে অতিরিক্ত আয় করতে আগ্রহী যে কেউ সহজে এই কাজে যুক্ত হতে পারে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত প্রচারের মাধ্যমেই সফল হয়। ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক, বা ব্যক্তিগত ব্লগ এই ধরনের বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পণ্যের তথ্য ও উপকারিতা শেয়ার করা হয়। শুধুমাত্র লিংক শেয়ার করলে মানুষ আগ্রহী হয় না, বরং পণ্যের কাজ, সুবিধা এবং কেন ব্যবহার করা উচিত।
এফিলিয়েট মার্কেটিং জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান কারণ হলো এখানে নিজের কোনো মূলধন বিনিয়োগ করতে হয় না। পণ্য মজুত রাখতে হয় না, ডেলিভারি বা গ্রাহকের সমস্যার সমাধান করতেও হয় না। শুধু প্রচার করার মাধ্যমে আয় করা যায়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
এফিলিয়েট মার্কেটিং এমন একটি অনলাইন আয়ের পদ্ধতি যেখানে আপনি অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচার করেন এবং আপনার লিংকের মাধ্যমে কেউ সেই প্রোডাক্ট কিনলে বা অ্যাকশন নিলে আপনি কমিশন পান। অর্থাৎ, প্রোডাক্ট আপনার নয়, তবুও আপনি আয় করছেন মানুষকে সঠিক প্রোডাক্টে গাইড করার মাধ্যমে।
এই মডেলে আপনাকে প্রোডাক্ট তৈরি, কাস্টমার সাপোর্ট বা ডেলিভারি নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। শুধু সঠিক অডিয়েন্সের কাছে সঠিক প্রোডাক্ট পৌঁছানোর দক্ষতা থাকলেই ইনকাম সম্ভব। তাই এটি নতুনদের জন্য সবচেয়ে সহজ এবং কম বিনিয়োগে শুরু করার মতো একটি আয়ের মাধ্যম।
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সঠিক নিশ নির্বাচন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। নিশ হলো একটি নির্দিষ্ট বিষয় যেমনঃ ফিটনেস, বিউটি, টেক রিভিউ, অনলাইন আর্নিং, ট্রাভেল বা কুকিং। এমন নিশ বেছে নিন যেটি সম্পর্কে আপনার জ্ঞান বা আগ্রহ আছে এবং যে পণ্য বা সেবা মানুষের সমস্যা বা চাহিদা স্পষ্ট করে, যাতে করে ক্রেতা পণ্যটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে তা ক্রয় করে থাকে। এছাড়া বাজারে তুলনামূলক ভাবে কম প্রতিযোগিতার পণ্য বেছে নিতে পারেন, এতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
অর্থাৎ আপনাকে আপনার অডিয়েন্সকে বুঝতে হবে তাদের সমস্যা কী, কোন প্রোডাক্ট তাদের সাহায্য করবে, এবং তারা কেমন ধরনের কন্টেন্ট পছন্দ করে। টার্গেট অডিয়েন্স যত পরিষ্কার হবে, কনভার্সন তত দ্রুত হবে। কারণ এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মূল শক্তি হলো কন্টেন্ট।
কন্টেন্ট তৈরি করার পর মূল কাজ হলো ট্র্যাফিক নিয়ে আসা। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করে আপনি ব্লগে অর্গানিক ট্র্যাফিক পেতে পারেন, আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত পোস্ট, রিল, ভিডিও দিয়ে ট্র্যাফিক আনতে পারেন। চাইলে ছোট বাজেটে পেইড অ্যাডও ব্যবহার করা যায়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন
মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে এফিলেট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন এই বিষয়টি ভালোভাবে জানতে এবং বুঝতে হবে। আপনি যদি ঠিকঠাকভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান রাখেন তাহলে এই উপায়ে ভালো পরিমান টাকা আয় করার সুযোগ পাবেন, যা এখন অনেকেই করছেন।
নিচে আপনাদের জন্য এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন তা ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো-
নিশ নির্বাচনঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার প্রথম ধাপ হলো একটি নির্দিষ্ট নিশ নির্বাচন করা, যা উপরের আলোচনায় ইতিমধ্যে জেনেছেন। নিশ হলো এমন একটি বিষয়, যার ওপর আপনি কন্টেন্ট তৈরি করবেন এবং যা নিয়ে মানুষ আগ্রহী। সেটা হতে পারে ফিটনেস, স্কিনকেয়ার, লাইফ স্টাইল, অনলাইন ইনকাম, টেক রিভিউ বা ট্রাভেল।
এফিলিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়াঃ নিশ ঠিক হলে পরের ধাপ হলো বিশ্বস্ত অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করা। কিছু জনপ্রিয় প্রোগ্রাম হলো Amazon Affiliatebএবং বাংলাদেশে Daraz Affiliate। এই প্রোগ্রামগুলোতে সাইন আপ করলে আপনি একটি ইউনিক অ্যাফিলিয়েট লিংক পাবেন।
যথাযথ কন্টেন্ট তৈরিঃ এখন সময় কন্টেন্ট তৈরির। কন্টেন্ট এমন হওয়া উচিত যা মানুষের সমস্যার সমাধান দেয়। এটি হতে পারে ব্লগ পোস্ট, ইউটিউব ভিডিও, ফেসবুক পোস্ট বা টিকটক ভিডিও। সেরা স্কিনকেয়ার সিরাম রিভিউ। কন্টেন্টের মধ্যে প্রোডাক্টের ব্যবহার, সুবিধা ও কার্যকারিতা স্পষ্টভাবে দেখান এবং অ্যাফিলিয়েট লিংক যুক্ত করুন।
ট্রাফিক বৃদ্ধিঃ কন্টেন্ট থাকলেও ট্র্যাফিক না থাকলে বিক্রি হবে না। ট্র্যাফিক আনতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল নিউজলেটার এবং ফেসবুক গ্রুপ বা পেইজ ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত ও মানসম্মত কন্টেন্ট প্রকাশ করলে অডিয়েন্স ধীরে ধীরে বাড়বে।
বিচার বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ কোন কন্টেন্ট ও প্রোডাক্ট সবচেয়ে বেশি বিক্রি করছে তা মনিটর করুন। A বা B টেস্ট করে কন্টেন্টের শিরোনাম থাম্বনেল বা CTA অপ্টিমাইজ করুন। নিয়মিত বিশ্লেষণ এবং উন্নতি করলে আয় ধীরে ধীরে স্থায়ী হয়। ধৈর্য ধারাবাহিকতা এবং ট্রাস্টযোগ্য কন্টেন্টের মাধ্যমে এক সময় আপনি সফল এফিলিয়েট মার্কেটার হয়ে উঠবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়
প্রিয় পাঠক, এখন জেনে নিন এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয় এ বিষয়ে।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং-এ কমিশন মূলতঃ প্রোডাক্টের ধরন ও কোম্পানির নীতির উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে, ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বা পণ্য বিক্রির জন্য ২–১০% কমিশন দেওয়া হয়। Amazon বা Daraz-এর পণ্যের ক্ষেত্রে কমিশন সীমিত। ডিজিটাল প্রোডাক্ট, সফটওয়্যার বা অনলাইন কোর্সে কমিশন তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ৩০–৮০% পর্যন্ত।
কিছু প্রোগ্রামে কমিশন ফ্ল্যাট রেটে দেওয়া হয়, অর্থাৎ প্রতি লিড বা সাইনআপের জন্য একটি নির্দিষ্ট অর্থ দেওয়া হয়। যেমনঃ প্রতি ইমেইল সাইনআপে ৫–১০ ডলার বা প্রতি সাবস্ক্রিপশনে নির্দিষ্ট কমিশন। ফ্ল্যাট রেট প্রোগ্রাম সাধারণত নতুন অ্যাফিলিয়েটদের জন্য সুবিধাজনক।
কোম্পানি কমিশন নির্ধারণের সময় প্রোডাক্টের দাম, বিক্রির সম্ভাবনা এবং মার্কেটিং বাজেট বিবেচনা করে। বেশি দামি প্রোডাক্টে সাধারণত কম পারসেন্ট কমিশন থাকে, আর কম দামের প্রোডাক্টে তুলনামূলকভাবে বেশি পারসেন্ট দেওয়া হয়।
নতুন অ্যাফিলিয়েটদের জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রামের তুলনা করা গুরুত্বপূর্ণ। এক প্রোডাক্টে কমিশন বেশি হলেও বিক্রি কম হতে পারে, আবার কিছু প্রোডাক্টে কম কমিশন থাকলেও বিক্রি বেশি হওয়ায় আয় বেশি হতে পারে। তাই উচ্চ কমিশনের চেয়ে সঠিক প্রোডাক্ট ও নিশ বেছে নেওয়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে উচ্চ কমিশন, প্রোডাক্টের চাহিদা এবং মানসম্মত কন্টেন্ট এই তিনটি উপাদান একসাথে থাকা জরুরি। এছাড়া, ধৈর্য নিয়মিত কন্টেন্ট প্রকাশ এবং ট্র্যাফিক আনা অপরিহার্য। সঠিক কৌশল অবলম্বন করলে এই সেক্টর থেকে আপনি দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী আয় নিশ্চিত করতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফল হওয়ার উপায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে প্রথমে একটি নির্দিষ্ট নিশ নির্বাচন করা উচিত, যেটি নিয়ে আপনার আগ্রহ এবং জ্ঞান আছে। এরপর বিশ্বস্ত অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে সাইন আপ করুন এবং আপনার ইউনিক লিঙ্ক সংগ্রহ করুন। এটির মাধ্যমে আমরা সহজে সফলতা অর্জন করতে পারবো।
মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় গুলো এর মধ্যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সফল হওয়ার উপায় গুলো নিম্নরূপ ঃ
একটি জনপ্রিয় ও কম প্রতিযোগিতার নির্দিষ্ট নিশ নির্বাচন করুন।
নিশের অডিয়েন্সের চাহিদা বোঝার চেষ্টা করুন।
বিশ্বস্ত অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে সাইন আপ করুন।
অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক সংগ্রহ করুন।
কন্টেন্ট স্ট্রাটেজি তৈরি করুন।
ব্লগ পোস্ট বা ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করুন।
সমস্যার সমাধান এবং প্রোডাক্ট সাজেস্ট করুন।
SEO অপটিমাইজেশন করুন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কন্টেন্ট শেয়ার করুন।
ইমেইল লিস্ট তৈরি করুন।
পেইড অ্যাড দিয়ে ট্র্যাফিক আনুন।
কনভার্সন ট্র্যাকিং টুল ব্যবহার করুন।
কোন কন্টেন্ট বেশি বিক্রি করছে তা বিশ্লেষণ করুন।
শিরোনাম এবং থাম্বনেল টেস্ট করুন।
call to Action অপ্টিমাইজ করুন।
বিভিন্ন প্রোডাক্টে বৈচিত্র্য আনুন।
অডিয়েন্সের প্রশ্নের দ্রুত উত্তর দিন।
মানসম্মত কন্টেন্ট ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করুন।
ধৈর্য ধরে আয় বাড়াতে থাকুন।
দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী সফলতা নিশ্চিত করুন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবেন
প্রিয় পাঠক, আপনাদের কারো মনে যদি এখনো প্রশ্ন জাগে এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবেন? তাহলে এই অংশটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। দেখুন, এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি শুরু করতে কোনো পুঁজি লাগে না। অন্য কোনো ব্যবসা শুরু করতে দোকান, পণ্য কেনা, প্যাকিং, ডেলিভারি এগুলো প্রয়োজন হয়। কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে শুধু মোবাইল, ইন্টারনেট এবং কিছু সময় দিলে কাজ শুরু করা যায়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে কোনো পণ্য তৈরি করতে হবে না। বড় বড় কোম্পানির পণ্য আপনি প্রচার করবেন এবং সেই লিংকের মাধ্যমে মানুষ কিনলে আপনি কমিশন পাবেন। কোম্পানি কেনাকাটার পরবর্তী সবকিছু ডেলিভারি, কাস্টমার সাপোর্ট সব নিজেই সামলায়।
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো প্যাসিভ ইনকাম। আপনি একবার কন্টেন্ট তৈরি করে অনলাইনে লিংক শেয়ার করলে এরপর মানুষ সেই কন্টেন্ট দেখে যখনই কিনবে তখনই আপনার কমিশন আসতে থাকবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে বাড়ির বাইরে যেতে হয় না। আপনি নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করতে পারেন। স্টুডেন্ট, গৃহিণী, ফ্রিল্যান্সার যে কেউ নিজের অবসর সময় কাজে লাগিয়ে আয় করতে পারে। অফিসের জবের মতো নির্দিষ্ট সময় নেই এবং বসের চাপ নেই।
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয়ের কোনো সীমা নেই। আপনি যত পণ্য প্রচার করতে পারবেন, এবং যত বিক্রি হবে, আয় তত বাড়বে। বড় বড় আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার সুযোগ থাকে। এর মাধ্যমে দেশের বাইরে থেকেও কমিশন ইনকাম করা সম্ভব।
অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং
অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল যেখানে কোনো কোম্পানির পণ্য বা সেবা আপনি প্রচার করেন এবং আপনার শেয়ার করা লিংকের মাধ্যমে যখন কেউ সেই পণ্য ক্রয় করে, তখন আপনি কমিশন পান।
এখানে নিজের কোনো পণ্য তৈরি করতে হয় না, দোকান লাগেনা এবং স্টক বা ডেলিভারি সামলানোরও ঝামেলা নেই। শুধুমাত্র মোবাইল এবং ইন্টারনেট থাকলেই শুরু করা যায়। সহজ কথায়, অন্যের পণ্য বিক্রি করে লাভ করার একটি স্মার্ট উপায়ই হলো এফিলিয়েট মার্কেটিং।
অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং জনপ্রিয় হওয়ার প্রধান কারণ হলো বিনা পুঁজিতে আয়ের সুযোগ। সাধারণ ব্যবসা শুরু করতে বিনিয়োগ ও ঝুঁকি থাকে, কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে ঝুঁকি নেই অনেকেই পার্টটাইম হিসেবে শুরু করে পরে ফুলটাইম ইনকাম তৈরি করছে।
অনলাইন এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের প্রক্রিয়া খুবই সহজ। প্রথমে কোনো কোম্পানির এফিলিয়েট প্রোগ্রামে সাইন আপ করতে হবে। এরপর তারা আপনাকে একটি ইউনিক এফিলিয়েট লিংক দেবে। যখনই কেউ আপনার লিংকে ক্লিক করে পণ্য কিনবে, আপনি কমিশন পাবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো প্যাসিভ ইনকাম। আপনি একবার ভালো কনটেন্ট তৈরি করে লিংক শেয়ার করলে, মাসের পর মাস সেখান থেকে ইনকাম হতে পারে। তাই অনেকেই এটি দীর্ঘমেয়াদী আয় বা সাইড ইনকাম হিসেবে বেছে নেয়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধা সমূহ
মোবাইল এবং ইন্টারনেট থাকলেই ঘরে বসে কাজ করা যায়, ফলে স্টুডেন্ট, গৃহিণী বা চাকরিজীবী — সবাই পার্টটাইম ফুলটাইম আয়ের সুযোগ পায়। একবার কনটেন্ট তৈরি করে লিংক যুক্ত করলে, তা থেকে মাসের পর মাস প্যাসিভ ইনকাম আসে। আজকের দিনে এফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইন ইনকামের সবচেয়ে বাস্তব ও জনপ্রিয় মাধ্যম।
মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধা সমূহ নিম্নরূপঃ
বিনা পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা যায়।
নিজের পণ্য তৈরি করার জরুরত নেই।
স্টক বা ইনভেন্টরিতে বিনিয়োগ লাগে না।
শিপিং বা ডেলিভারি নিয়ে ঝামেলা নেই।
মোবাইল ইন্টারনেটেই পুরো কাজ করা যায়।
সময় ও লোকেশন স্বাধীন যেকোনো জায়গা থেকে কাজ।
পার্টটাইম কাজ করেও ইনকাম সম্ভব।
প্যাসিভ ইনকামের সুযোগ ঘুমিয়েও আয় হতে পারে।
একবার কনটেন্ট দিলে সেটি দীর্ঘদিন আয় দিতে পারে।
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কাজের সুযোগ।
একাধিক পণ্য প্রচার করে আয়ের উৎস বাড়ানো যায়।
যত বেশি ট্র্যাফিক, তত বেশি আয়ের সম্ভাবনা।
নিজের দক্ষতা যেমন মার্কেটিং কনটেন্ট স্কিল বাড়ে।
কোনো লোকেশন বাধ্যবাধকতা নেই বাড়ি থেকেই আয়।
ঝুঁকি কম বিনিয়োগ না থাকায় ক্ষতির ভয়ও নেই।
আয়ের কোনো সীমা নেই যত বিক্রি, তত কমিশন।
ব্র্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয় নেটওয়ার্কিং বাড়ে।
ভবিষ্যতে নিজের ডিজিটাল ব্যবসার পথ তৈরি হয়।
দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী আয়ের একটি শক্তিশালী সোর্স হয়।
লেখকের মতামত
প্রিয় পাঠক, মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার উপায় নিয়ে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান যুগের অন্যতম সহজ, নিরাপদ এবং সম্ভাবনাময় আয়ের মাধ্যম। এখানে নিজের পণ্য নেই, তবুও আয় করা যায় শুধু সঠিক কনটেন্ট এবং সঠিক অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারলেই ইনকাম শুরু হয়। যা আমরা জানলাম আজকের এ আর্টিকেলের মাধ্যমে।
সময় ও স্থানের কোনো বাধা নেই, তাই যে কেউ নিজের সুবিধামতো কাজ করতে পারে। নিয়মিত শেখা, ধৈর্য এবং কৌশল প্রয়োগ করলে এফিলিয়েট মার্কেটিং দীর্ঘমেয়াদে একটি শক্তিশালী ও টেকসই আয়ের উৎস হতে পারে। অনলাইন ইনকাম বিষয়ক এরকম আরো পোস্ট পেতে নিয়মিত www.passiondrivefiona ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url