ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেল থেকে জেনে নিন। ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ই ক্যাপের উপকারিতা থাকলেও, কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপকারিতাও লক্ষ্য করা যায়। আরো জানবেন, ই ক্যাপ খেলে কি হয় সে সম্পর্কে।
ই ক্যাপ বা ক্যাপসুল রূপচর্চার অংশ হিসেবে মুখে খাওয়া যেতে পারে এবং বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করলেও সমান উপকার পাওয়া যায়। আজকের আর্টিকেলে ই ক্যাপ ব্যবহারের ফলে যে সকল উপকার পাওয়া যায়, ই ক্যাপ ব্যবহারের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা এবং ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।পোস্ট সূচিপত্রঃ
তাই যারা ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান, তাদের আর্টিকেলটি উপকারে আসবে আশা করি। তাহলে চলুন দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা গুলো কি কি এ সম্পর্কে জানতে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। বর্তমানে ই ক্যাপ রূপচর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে বিবেচিত। ই ক্যাপ ব্যবহারে ত্বক, চুল ও স্বাস্থ্যের উপর নানা উপকার পাওয়া যায় বলেই দিন দিন উপকারী এই তেলটির জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে।
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা দিক সম্পর্কে আপনাদের জানানোর জন্য আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে। একই সাথে আপনাদের জানাবো ই ক্যাপ সম্পর্কিত আরো নানা বিষয়।
প্রথমে জেনে নিন ই ক্যাপ এর উপকারিতা গুলো কি কি সে সম্পর্কেঃ
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে ই ক্যাপ
ই ক্যাপ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে দারুন উপকারি। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য আপনি যদি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চান, তাহলে এক্ষেত্রে ই ক্যাপ হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে বাহ্যিকভাবে ই ক্যাপ বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা যায়। আপনি যদি শুষ্ক ত্বকের অধিকারী হন তাহলে ক্যাপ এর ভেতরের তেলটি শুধু মশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
এছাড়া বিভিন্ন ফেস মাস্কে ই ক্যাপ ব্যবহার করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। আপনার নাইট ক্রিমে ই ক্যাপ মিশিয়ে ব্যবহার করলে নাইট ক্রিমের কার্যকারিতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া ত্বকের যত্নে ই ক্যাপ আপনি ক্যাপসুল হিসেবে খেলে উপকার পাবেন।
ত্বকে আর্দ্র ভাব বজায় রাখে ই ক্যাপ
ই ক্যাপ বাহ্যিকভাবে ব্যবহারের ফলে ত্বকের আর্দ্র ভাব বজায় থাকে। এজন্য প্রাণহীন ও নির্জীব ত্বকের জন্য ই ক্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়। ই ক্যাপ ত্বকে মশ্চারাইজার হিসেবে আপনার ত্বকের প্রয়োজনীয় আদ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করবে। এর ফলে ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে।
শুষ্ক ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টি যুগিয়ে ত্বকের সতেজ ভাব ফিরিয়ে আনতে ই ক্যাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ত্বকের দাগ ছোপ দূর করতে ই ক্যাপ
ত্বকের যে কোন দাগ ছোপ দূর করতে অনেক কার্যকরি একটি উপাদান হল ই ক্যাপ। ই ক্যাপে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে যেকোনো ধরনের দাগ দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই ত্বকের যে কোন ধরনের ডার্ক স্পট, হাইপার পিকমেন্টেশন, মেলাজমা জনিত সমস্যায় ভুগলে, নিয়মিত ই ক্যাপ ব্যবহারে উপকার পাবেন।
ত্বকের বলি রেখা দূর করবে ই ক্যাপ
ই ক্যাপ এর সাহায্যে ত্বকের বলি রাখা দূর করা যায় সহজে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের অল্পবয়সে ত্বকে বলি রেখা পরতে দেখা যায়। আবার পরিবেশ দূষণ এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের জন্য ত্বকে সহসাই কুঁচকানো ভাব চলে আসে। এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ই ক্যাপ হতে পারে একটি কার্যকরী সমাধান।
নিয়মিত ত্বকে ই ক্যাপ ব্যবহার করলে ত্বকের বলিরেখা এবং কুচকানো ভাব দূর হয়। এবং অল্প বয়সে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
রাতের ক্রিমে ই ক্যাপ ব্যবহারের সুফল
ই ক্যাপ দিয়ে তৈরি করুন আপনার ত্বকের জন্য উপযোগী নাইট ক্রিম। ত্বকের যে কোনো সমস্যার সমাধানের জন্য রাতের বেলায় ভালো মানের কোন নাইট ক্রিম ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হয়। এই ধরনের ক্রিমের সাথে যদি আপনি ই ক্যাপের এক ফোঁটা মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে আপনার ক্রিমের কার্যকারিতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে।
তাই প্রতিদিনের নাইট স্কিন কেয়ার রুটিনে আপনার ব্যবহারকৃত ক্রিম এর সাথে ই ক্যাপ যোগ করে ত্বকের জন্য দ্বিগুণ সুফল বয়ে আনতে পারেন।
ই ক্যাপ প্রতিরোধ করবে নখ ভাঙ্গা
ই ক্যাপ ব্যবহার করে আপনার নখ ভাঙ্গা সমস্যা সহজেই দূর করুন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের অল্পতেই নখ ভাঙ্গার সমস্যা রয়েছে। নখের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবের জন্যই এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এই ধরনের নখ ভাঙ্গা প্রতিরোধ করতে ই ক্যাপ দারুন কার্যকরী।
ই ক্যাপ মুখে খাওয়ার সাথে সাথে ই ক্যাপের তরল অংশ সারারাত ভাঙ্গা নখের চারপাশে দিয়ে রাখলে কিছুদিনের মধ্যেই নখ ভাঙ্গা সমস্যা দূর হবে।
ই ক্যাপ দূর করবে সানট্যান
ই ক্যাপ ত্বকের সানট্যান দূর করতে দারুন উপকারী একটি উপাদান। অনেকেরই ত্বকে অল্পতেই সানট্যান পড়ার সমস্যা রয়েছে। এছাড়া অনেক সময় রোদে থাকার কারণে ও এই সানট্যান পড়তে দেখা যায়। এই ধরনের সমস্যায় নিয়মিত ই ক্যাপ ত্বকে ব্যবহারের ফলে উপকার মিলে।
যে কোনো ধরনের সান ক্রিমের সাথে ই ক্যাপ মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করলে দ্রুত সানট্যান সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
ই ক্যাপ ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে
নিয়মিত ই ক্যাপ ব্যবহারের ফলে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের কোষের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। কারণ ই ক্যাপে থাকা ভিটামিন ই আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। যা ত্বকের যে কোনো ধরনের ক্ষতি হাত থেকে রক্ষা করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এর ফলে ত্বকের যে কোনো ধরনের ক্যান্সার হতেও দূরে থাকা সম্ভব হয়।ক
চুল পড়া বন্ধ করবে ই ক্যাপ
ই ক্যাপ চুল পড়া বন্ধ করতে বিশেষ কার্যকর। যারা নিয়মিত চুল পড়ার সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য একটি বেস্ট সলিউশন হলো ই ক্যাপের ব্যবহার। চুল পড়া বন্ধের জন্য নিয়মিত ই ক্যাপ খাওয়ার সাথে সাথে চুলেও ব্যবহার করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার নিয়মিত হেয়ার অয়েলের সাথে আপনার চুলের ঘনত্ব অনুযায়ী ই ক্যাপ মিশিয়ে চুলের গোড়ায় হালকা হাতে ম্যাসাজ করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ত্বক চুলের যত্নে পেয়ারা পাতার কার্যকারিতা
২০ থেকে ৩০ মিনিট পর চুল শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। নিয়মিত ব্যবহারে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার চুল পড়া বন্ধ হবে।
নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে ই ক্যাপ
ই ক্যাপ চুল পড়া বন্ধের সাথে সাথে নতুন চুল গজাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নতুন চুল গজানোর জন্য ই ক্যাপ নিয়মিত চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে ব্যবহার করতে হবে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে নতুন চুল গজানো শুরু হবে।
চুলকে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত করতে ই ক্যাপ
ই ক্যাপ নিয়মিত ব্যবহারে যাদের চুল অতিরিক্ত রুক্ষ, শুষ্ক এবং প্রাণহীন দেখায় তারা চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে পারেন। ই ক্যাপে থাকা ভিটামিন ই চুলের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা বজায় রাখার সাথে সাথে চুলের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দিতে দারুণ কার্যকরী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ই ক্যাপ
নিয়মিত ই ক্যাপ গ্রহণের ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কারণ এতে রয়েছে উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের হাত থেকেও আমাদের রক্ষা করে।
আরো পড়ুনঃ টানটান এবং তারুণ্য দীপ্ত ত্বকের জন্য বিট্রুট খাওয়ার নিয়ম
হার্টের রোগ ও ক্যান্সার রোধে ই ক্যাপ
ই ক্যাপ আমাদের শরীরের ফ্রি রেডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এর ফলে বিভিন্ন ধরনের দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমনঃ হার্টের রোগ, ক্যান্সার, আলঝাইমার মতো রোগ থেকে দূরে থাকতে সহায়তা করে।
প্রদাহ ও ক্ষত জনিত সমস্যা দূর করবে ই ক্যাপ
শরীরের যেকোনো ধরনের সংক্রমণজনিত প্রদাহ থেকেও রক্ষা পেতে ই ক্যাপ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া ত্বকের যেকোনো ধরনের ক্ষত দ্রুত ভালো করতে ই ক্যাপ দারুন কার্যকরী। যে কোন ধরনের ক্ষত সারাতে নিয়মিত ই ক্যাপ গ্রহণের ফলে ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে।
রক্ত জমাট বাধতে বাধা দেয় ইক্যাপ
অনেকেই আছেন যারা রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যায় ভুগেন। এই ধরনের রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত ই ক্যাপ গ্রহণ করলে উপকার পাবেন। কারণ ই ক্যাপ রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা প্রদান করে।
পেশির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে ইক্যাপ
নিয়মিত ই ক্যাপ গ্রহণের ফলে পেশির কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে সহায়তা করে থাকে।
টক্সিন পদার্থ দূর করে ই ক্যাপ
ই ক্যাপ শরীরের বিষাক্ত বা টক্সিন পদার্থ বের করে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
চোখের সমস্যা দূর করে ই ক্যাপ
ই ক্যাপ চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ফলে চোখের ছানি পরা সহ যেকোনো সমস্যা দূর করে ই ক্যাপ।
উপরে এতক্ষণ আমরা ই ক্যাপ এর উপকারিতা গুলো সম্পর্কে আলোচনা করেছি। নিচে জেনে নিন ই ক্যাপের অপকারিতা গুলো কি কি সে সম্পর্কেঃ
ই ক্যাপের অপকারিতা
ই ক্যাপের অপকারিতা আছে কি? দেখুন, যে কোন জিনিস ব্যবহারের যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপকারিতাও লক্ষ্য করা যায়। যদিও ই ক্যাপ এর অপকারিতা খুব একটা নেই, তবু ব্যবহারের সময় কিছুটা সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ করে কোন কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ই ক্যাপ ব্যবহারের কারণে অপকার হতে পারে।
নিচে ই ক্যাপের অপকারিতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো জেনে নিনঃ
- যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের ই ক্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। কারণ ই ক্যাপ ব্যবহারের ফলে আপনার এলার্জি সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।
- লিভারের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের ই ক্যাপ খাওয়ার ফলে সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত ই ক্যাপ খেলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
- রক্ত জমাট বাধার মত সমস্যা অতিরিক্ত ই ক্যাপ গ্রহণ এর ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
- ই ক্যাপ যদিও আমাদের ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী, তবে যারা সংবেদনশীল ত্বকের অধিকারী তাদের জন্য সরাসরি ই ক্যাপ ত্বকে ব্যবহার না করাই ভালো হবে। এক্ষেত্রে আপনার ত্বকের যত্নের কোন প্রসাধনীর সাথে মিশিয়ে অল্প পরিমাণে ই ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ই ক্যাপ খাওয়ার ফলে বমি বমি ভাব হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মাথা ঘুরানো এবং ঝিমঝিম এর মত সমস্যা হতে দেখা যায়।
- এছাড়া একটানা ই ক্যাপ খাওয়ার ফলে পেটের পীড়া জনিত সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত ই ক্যাপ গ্রহণের সময় সীমা নির্ধারণ করতে হবে।
- গর্ভাবস্থার সময় ও বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো অবস্থায় ই ক্যাপ খাওয়ার ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।
ই ক্যাপ খেলে কি হয়
- ত্বকের বয়স রুখে দেয় ই ক্যাপ। তাই ত্বকের অকাল বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিয়মিত ই ক্যাপ খেতে পারেন।
- যে কোনো বয়সের ত্বকের যে কোন ধরনের বলিরেখা, কুচকানো ভাব দূর করতে পারে ই ক্যাপ।
- ই ক্যাপ ত্বকের নতুন কোষ তৈরি করে ত্বক টানটান করতে বিশেষ উপকারী।
- ই ক্যাপ ত্বকের রুক্ষতা ও শুষ্কতা দূর করে ত্বকের আর্দ্র ভাব বজায় রেখে ত্বককে সতেজ করে তোলে।
- ত্বকের যেকোনো ধরনের দাগ যেমনঃ সানট্যান, সানবার্ন, মেলাজমা, পিগমেন্টেশন দূর করতে বিশেষ উপকারী। নিয়মিত ই ক্যাপ খেলে ত্বকের এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- নিয়মিত ই ক্যাপ খেলে চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।
- চুল পড়া বন্ধে ই ক্যাপ বিশেষ উপকারী। যারা চুল পড়া সমস্যায় ভোগেন, নিয়মিত ই ক্যাপ খেলে উপকার মিলবে।
- নতুন চুল গজাতেও ই ক্যাপ এ রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।
- মানব শরীরের কোষের ক্ষয় রোধ ধীর গতিতে হয় নিয়মিত ই ক্যাপ খেলে।
- হাড়ের যেকোনো সমস্যা থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত ই ক্যাপ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
- হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে নিয়মিত ই ক্যাপ খেলে।
- কিডনির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ই ক্যাপ খেলে।
- এলজাইমারস মত রোগ থেকে দূরে থাকা যায় নিয়মিত ই ক্যাপ খেলে।
- ই ক্যাপ বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধেও কাজ করে। নিয়মিত ই ক্যাপ খেলে এই সমস্যায় সুফল পাওয়া যায়।
ই ক্যাপ খাওয়ার নিয়ম জানুন
ই ক্যাপ খাওয়ার নিয়ম জানুন আর্টিকেলের এই অংশটি পড়ে। ই ক্যাপ এর উপকারিতা যথাযথা ভাবে পাওয়ার জন্য এর খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের জানতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ই ক্যাপ খাওয়ার ফলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এমনকি প্রোস্টেট ক্যান্সারের মতো সমস্যাও হতে পারে।
এছাড়া ই ক্যাপ কত দিন খেতে হবে এ সম্পর্কিত সঠিক নিয়ম আপনার চিকিৎসকের নিকট থেকে জেনে নিন। তবে সাধারণত ই ক্যাপ সারা বছর এক টানা খাওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয় না। এক্ষেত্রে আপনি দুই থেকে তিন মাস ই ক্যাপ গ্রহণের পর ২-৩ মাস বিরতি দিয়ে আবার খাওয়া শুরু করতে পারেন।
আবার অনেক ক্ষেত্রে আপনি কি উদ্দেশ্যে ই ক্যাপ গ্রহণ করছেন সেটাও বিবেচনায় এনে অর্থাৎ সেই উদ্দেশ্য সফল না হওয়া পর্যন্ত ই ক্যাপ গ্রহণ করার কথা বলা হয়ে থাকে। যেমনঃ আপনি যদি চুল পড়া রোধের জন্য ই ক্যাপ খাওয়া শুরু করেন, তবে চুল পড়া বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ই ক্যাপ খাওয়া চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত সঠিক মাত্রা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া ভালো। ই ক্যাপ কখন খাওয়া ভালো, চিকিৎসকগণ সাধারণত ই ক্যাপ গ্রহণের সঠিক সময় বলে থাকেন রাতে। তবে আপনি চাইলে সকাল বেলাও ই ক্যাপ গ্রহণের সময় নির্ধারণ করতে পারেন।
আবার চিকিৎসকগণ কোন ব্যক্তির স্বাস্থ্য কেমন, বয়স এর উপর এবং লিঙ্গ ভেদে ই ক্যাপ হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য প্রতিদিন ৪০০ (আইইউ) এবং একজন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার জন্য প্রতিদিন ৩০০ (আইইউ) পরিমান খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ই ক্যাপ এর কাজ কি
ই কাপ এর কাজ কি অনেকের এ ব্যাপারে জানার আগ্রহ রয়েছে। ই ক্যাপ একটি ক্যাপসুল আকারের ফর্মে থাকে, যার ভেতরে রয়েছে চর্বি বা তেল এবং যা দ্রবণীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ, এবং এই ভিটামিন শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
সাধারণত ই ক্যাপ খাবারের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে মুখে খাওয়া যায় এবং বাহ্যিকভাবে ব্যবহার করেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। আপনি যেভাবেই ই ক্যাপ ব্যবহার করুন না কেন ই ক্যাপের উপকারী কাজের কোন হেরফের হবে না।
ই ক্যাপ কি কাজ করে তা এক নজরে নিচে দেখে নিনঃ
- ই ক্যাপে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোষকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ই ক্যাপ এর রয়েছে বিশেষ ভূমিকা।
- ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সাথে সাথে ত্বককে সতেজ এবং ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও ই ক্যাপের জুরি মেলা ভার। বর্তমানে তাই ই ক্যাপ দিয়ে ত্বকের যত্ন নিতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে এবং বিভিন্ন ত্বক পরিচর্যা কারী প্রসাধনের মধ্যেও ভিটামিন ই এর পর্যাপ্ততা লক্ষ্য করা যায়।
- চুল পড়ার রোধে, চুলকে ঘন কালো এবং মজবুত করতে বিভিন্নভাবে ই ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। চুলের যত্নে উৎপাদনকারী বিভিন্ন তেল, শ্যাম্পুতেও ই ক্যাপ এর ব্যবহার রয়েছে।
ই ক্যাপ দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
ত্বকের যত্নে ই ক্যাপ ব্যবহারের উপকারিতা কতটুকু তা উপরে জেনেছেন। ই ক্যাপ ব্যবহারের ফলে ত্বক হয় সুন্দর, সজীব, দাগ মুক্ত এবং যেকোনো ধরনের বলিরেখা মুক্ত। নিয়মিত ই ক্যাপ ব্যবহারের ফলে ত্বকের অকাল বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ই ক্যাপ ব্যবহার করে কি ফর্সা হওয়া যায়?
ত্বকের জন্য এত এত উপকার যে ই ক্যাপ এর সাহায্যে পাওয়া যায়, তাহলে কি ত্বক ফর্সা করার কাজটিও ই ক্যাপ দিয়ে করা যাবে?
সত্যি কথা বলতে আমাদের জন্মগত যে ত্বকের রং তা কোনভাবেই পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তবে কিছু কিছু উপাদান রয়েছে যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী এবং নিয়মিত ত্বকের যথাযথ যত্ন নিলে ত্বক অনেকটাই উজ্জ্বল এবং গ্লোয়িং করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ত্বক পরিচর্যার রুটিন টি নিয়মিতভাবে করে যেতে হবে।
ই ক্যাপ দিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী ফেসপ্যাকটি দেখে নিন-
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং ত্বকের যেকোনো ধরনের দাগ করতে এই ফেসপ্যাকটি বানাতে আমাদের লাগবেঃ
- ১ থেকে দেড় চা চামচ এলোভেরা জেল
- দুই থেকে তিন ফোঁটা লেবুর রস
- একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল
সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিক্সড করে পরিষ্কার ত্বকে সমানভাবে এপ্লাই করতে হবে। এই ফেস প্যাকটি ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখার পর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই প্যাকটি ত্বকে লাগাতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
তবে বাহ্যিকভাবে শুধু ত্বক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা না চালিয়ে আপনাকে পরিমাণ মতো পানি পান করতে হবে, ভিটামিন সি এবং ই যুক্ত খাবার আপনার প্রতিদিনে খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে, পরিমাণ মতো ঘুম এবং মানসিক চাপমুক্ত থাকলেই আপনি পাবেন উজ্জ্বল এবং গ্লোয়িং স্কিন।
ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্নঃ ই ক্যাপ খেলে কি ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ কোন কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে খেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বা বেশি পরিমাণে ই ক্যাপ খেলেও নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে। যেমনঃ
- মাথা ঘুরানো
- বমি বমি ভাব
- মাথা ব্যথা
- এলার্জি বা চুলকানি
- পাতলা পায়খানা
- চোখে ঝাপসা দেখা
- ক্লান্তি বোধ করা
পরিশেষে
প্রিয় পাঠক, ই ক্যাপ এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। ই ক্যাপ আমাদের ত্বক, চুল এবং স্বাস্থ্যের জন্য দারুন উপকারী উপাদানে সমৃদ্ধ একটি ক্যাপসুল। ই ক্যাপ এর ব্যবহারের অপকারিতা কিছু কিছু ক্ষেত্রে থাকলেও এর উপকারী দিকই অনেক বেশি।
তাই নিশ্চিন্তে আপনি আপনার ত্বকের যত্ন নিতে, চুলের যত্নে ই ক্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। তবে ইক্যাপ খাওয়ার নিয়ম, মাত্রা ও কতদিন খেতে হবে এই সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ জেনে নিন।
passiondrivefiona র নীতিমালা মেনে comment করুন। প্রতিটি comment রিভিউ করা হয়;
comment url